মঙ্গলবার তাপপ্রবাহে পারদ ছুঁতে পারে ৪১ ডিগ্রি



শাদরুল আবেদীন, নিউজরুম এডিটর, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় শিলাসহ বজ্রবৃষ্টি হওয়ায় গত কয়েকদিন ধরে ঠান্ডা আবহাওয়া বিরাজ করছে। তবে সোমবার (৬ এপ্রিল) থেকে আবারও তাপমাত্রা বাড়তে শুরু করেছে। এতে কিছুটা অস্বস্তিতে জনজীবন।

আবহাওয়া অফিস বলছে- রাঙামাটি, সিলেট, রাজশাহী, ও পাবনা অঞ্চলসহ ঢাকা ও খুলনা বিভাগের উপর দিয়ে মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে, তা অব্যাহত থাকতে পারে এবং আরও বিস্তার লাভ করতে পারে। সামনে তাপমাত্রা আরও বাড়তে পারে। আর কয়েকদিন পরই শুরু হবে গ্রীষ্মকাল। এ ঋতুতে বেশিরভাগ সময় আবহাওয়া গরম থাকে। তবে বৃষ্টি হলে তাপমাত্রা কিছুটা কমতে পারে।

আবহাওয়া গবেষণা সংস্থা অ্যাকুওয়েদার বলছে, আগামী মঙ্গলবার (৭ এপ্রিল) দুপুরের দিকে দেশের কোথাও কোথাও সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪১ ডিগ্রি সেলসিয়াস হতে পারে। ধূসর রোদ, কম আর্দ্রতাসহ গরম থাকতে পারে। এ সময় বাতাসের মান খুবই অস্বাস্থ্যকর। এছাড়া আগামী বুধবার দুপুরের দিকে কোথাও কোথাও সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস হতে পারে। এ সময় আংশিক রোদ ও গরম থাকবে।

আবহাওয়াবিদ ড. মুহাম্মদ আবুল কালাম মল্লিক বার্তা২৪.কম-কে বলেন, ‘আগামী কয়েকদিন তাপমাত্রা বেড়ে ৩৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত হতে পারে। আপাতত এর বেশি হওয়ার সম্ভাবনা নেই। তবে দেশের উপর যে মৃদু তাপপ্রবাহ বেয়ে যাচ্ছে, তা ক্রমান্বয়ে বিস্তার লাভ করতে পারে।’

তিনি আরও বলেন, ‘আজকে চৈত্রের ২২ তারিখ। আর কিছুদিন পর গ্রীষ্ম ঋতু শুরু হবে। বেশিরভাগ সময় গরম থাকাটাই স্বাভাবিক। তবে এ সময় হঠাৎ করেই বৃষ্টি হতে পারে। এর সঙ্গে বজ্রপাত হতে পারে। পাশাপাশি শিলা বৃষ্টিরও সম্ভাবনা রয়েছে। তবে বৃষ্টি বেশি সময় হবে না।’

অ্যাকুওয়েদারের এক সপ্তাহের আবহাওয়া পূর্বাভাস

এদিকে বর্তমানে সারা বিশ্বে করোনাভাইরাস যেন একটি আতঙ্কের নাম। এ থেকে বাদ যায়নি বাংলাদেশও। ক্রমান্বয়ে বাড়তে শুরু করেছে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা। গরমে নাকি করোনা সংক্রমণ বিস্তার করতে পারে না বলে দাবি কিছু চিকিৎসকের। তাই এই গরম আবহাওয়াতে দেশবাসীর মধ্যে কিছুটা স্বস্তি ফিরতে পারে বলেও মনে করছেন অনেকে।

রোববার সকালে রাজধানীতে ঠান্ডা আবহাওয়া বিরাজ করে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে রোদের প্রখরতা বাড়ে। একইসঙ্গে গরমও বাড়ে। ঢাকায় বাতাসের গতি ঘণ্টায় ৮ থেকে ১২ কিলোমিটার বেগে বয়ে যাচ্ছে।

এদিন সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ফরিদপুরে ৩৮.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা তেঁতুলিয়ায় ১৫.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গত শনিবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল যশোরে ৩৭.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল তেঁতুলিয়ায় ১৪.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

সোমবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়া পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে। ফলে অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। তবে বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রবৃষ্টি হতে পারে। সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা অপরিবর্তিত থাকতে পারে। ঢাকায় বাতাসের গতি বেগে ঘণ্টায় ৮ থেকে ১২ কিলোমিটার বেগে বয়ে যেতে পারে। আগামী দুই দিনে বৃষ্টি বা বজ্রবৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। এছাড়া আগামী পাঁচ দিনের শেষের দিকে দিন ও রাতের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেতে পারে।

   

কুমিল্লায় বৃষ্টির জন্য নামাজ আদায়



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম, কুমিল্লা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

টানা তাপপ্রবাহ ও অনাবৃষ্টি থেকে পরিত্রাণ পেতে এবার কুমিল্লার সদর দক্ষিণে ইসতিসকার নামাজ আদায় করলেন হাজারো মুসল্লি। রোববার (২৮ এপ্রিল) সকাল ৯ টায় উপজেলার সুয়াগঞ্জ টি.এ. হাই স্কুল এন্ড কলেজ মাঠ প্রাঙ্গণে এই নামাজ অনুষ্ঠিত হয়।

নামাজ শেষে মোনাজাতের মাধ্যমে মুসল্লিরা দুই চোখের পানি ছেড়ে দিয়ে মহান আল্লাহর কাছে বৃষ্টির জন্য প্রার্থনা করেন। ভারী বৃষ্টি চেয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন মুসল্লিরা।

হানজালা কাসেমী ফাউন্ডেশন এই ইসতিসকার নামাজের আয়োজন করেন। নামাজের ইমামতি করেন জামিয়া ইসলামিয়া হামিদিয়া বট্টগ্রাম মাদ্রাসার মুহাদ্দিস মাওলানা এমদাদুদ হক। পরে মোনাজাত পরিচালনা করেন কুমিল্লা জেলা কওমী মাদ্রাসা সংগঠনের সভাপতি মাওলানা নূরুল হক। এতে আশপাশের এলাকার প্রায় ১ হাজার স্থানীয় মুসল্লি অংশ নেন।

এদিকে তীব্র তাপপ্রবাহে পুড়ছে পুরো কুমিল্লা অঞ্চল। সূর্যোদয়ের পর থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত একই মাত্রায় তাপ নামছে। এরই মাঝে কুমিল্লার বিভিন্ন উপজেলায় বেশ ক'জন হিট স্ট্রোক করে মারা যাওয়ার খবর রয়েছে। সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে বাড়ছে গরমজনিত রোগী।

;

রাজধানীতে মাদকবিরোধী অভিযানে আটক ২৩



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

 

রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় মাদকবিরোধী অভিযান চালিয়ে ২৩ জনকে আটক করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) অপরাধ ও গোয়েন্দা বিভাগ। মাদক বিক্রি ও সেবনের অভিযোগে তাদের আটক করা হয়েছে বলে জানানো হয়েছে।

শনিবার (২৭এপ্রিল) সকাল ছয়টা থেকে রোববার (২৮ এপ্রিল) সকাল ছয়টা পর্যন্ত রাজধানীর বিভিন্ন থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে মাদকদ্রব্য উদ্ধারসহ তাদেরকে আটক করা হয়।

এ সময় তাদের কাছ থেকে ৪৭০ পিস ইয়াবা, ১৮ গ্রাম হেরোইন, ৫৫০ গ্রাম গাঁজা, ৭টি গাঁজার গাছ, ৬ বোতল দেশি মদ ও ১ কেজি আইস উদ্ধার করা হয়েছে বলে জা‌নিয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) অপরাধ ও গোয়েন্দা বিভাগ।

ডিএমপির নিয়মিত মাদকবিরোধী অভিযানের অংশ হিসেবে এ অ‌ভিযান প‌রিচালনা করা হয়েছে বলে জানানো হয়। সেই সঙ্গে আটককৃতদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে ১৭ টি মামলা রুজু হয়েছে বলেও জানানো হয়।

 

;

হিট অ্যালার্টের সময় বাড়ল আরও ৩ দিন



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে তীব্র তাপপ্রবাহ। দিনদিন বাড়ছে তাপমাত্রা। গরমে অতিষ্ঠ জনজীবন। এমন পরিস্থিতিতে আরও তিনদিন বা ৭২ ঘণ্টা এই তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকবে জানিয়ে হিট অ্যালার্ট জারি করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

রোববার (২৮ এপ্রিল) আবহাওয়াবিদ খো. হাফিজুর রহমান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানানো হয়েছে।

এতে বলা হয়, দেশের উপর দিয়ে চলমান তাপপ্রবাহ আজ (২৮ এপ্রিল) হতে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টা অব্যাহত থাকতে পারে। জলীয়বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তি বৃদ্ধি পেতে পারে।

আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, চুয়াডাঙ্গা জেলার ওপর দিয়ে অতি তীব্র তাপপ্রবাহ এবং রাজশাহী, পাবনা, সিরাজগঞ্জ, যশোর ও কুষ্টিয়া জেলার ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। দিনাজপুর, রাঙ্গামাটি, চাঁদপুর, ফেনী ও বান্দরবান জেলাসহ রাজশাহী ও খুলনা বিভাগের অবশিষ্টাংশ এবং ঢাকা ও বরিশাল বিভাগের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে।

সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তিভাব বিরাজমান থাকতে পারে বলেও জানিয়েছে আবহাওয়া বিভাগ।

এর আগে গত ১৯ এপ্রিল তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে প্রথমবার তিন দিনের হিট অ্যালার্ট জারি করা হয়। এরপর কয়েক ধাপে তা বাড়ানো হয়।

 

;

২০০‘র বেশি ঘরের ইলেকট্রিক কাজ করলেন জন্মান্ধ রিপন, অন্ধত্ব জয়ের গল্প



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেট, বার্তা ২৪.কম, নোয়াখালী
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জের চরহাজারী ইউনিয়নের ৮নম্বর ওয়ার্ডের তের বাড়ি সমাজের মরহুম আব্দুস সোবহানের ছেলে ইমরোজ হোসেন রিপন (৩৬)। সে একজন জন্মান্ধ যুবক।

দৃষ্টি প্রতিবন্ধকতা কোনো বাধাই নয়, এমনটা প্রমাণ করতে জীবনের প্রথম দিন থেকে শুরু হয় লড়াই। মনের আলোয় উদ্ভাসিত এ যুবক পেশায় একজন ইলেকট্রিক ও প্লাম্বার মিস্ত্রি। পাশাপাশি বাড়ির পাশে করছেন ছোট্র একটি ইলেকট্রিক দোকান। শারীরিক সীমাবদ্ধতা থাকা সত্ত্বেও কারো কাছে হাত না পেতে করছেন ইলেকট্রিক ও পাইপ ফিটারের কাজ। স্থানীয় এলাকাবাসী তার এমন প্রয়াসে অনুপ্রাণিত। সে যেন নিজেই নিজের অনুপ্রেরণা।

১৯৮৬ সালে জন্ম গ্রহণ করেন রিপন। সাত ভাই-বোনের মধ্যে সে চতুর্থ। বর্তমানে তার মা দুই ছেলের সাথে আমেরিকায় থাকেন। আমেরিকা প্রবাসী বড় বোন সুমনা ও ডাক্তার শাহজান আক্তার এবং ছোট ভাই শিপনের সহযোগিতায় বাবার দিয়ে যাওয়া ঘরে এক ছেলে এক মেয়েকে নিয়ে বসবাস করছে রিপন।

নিজ গ্রামে বিদ্যুতায়ন শুরু হলে নিজের মধ্যে ইলেকট্রিকের কাজ শেখার স্বপ্ন জাগে। কিন্তু এতে বাধা দেন মা-বাবাও স্থানীয় ইলেকট্রিক মিস্ত্রিরা। এরপর একা একা নিজেদের বসত ঘরে ইলেকট্রিকের কাজ শিখতে চেষ্টা চালায় রিপন। এক পর্যায়ে এ নিয়ে চেঁচামেচি শুরু করে তার মা-বাবা। এ কারণে ইলেকট্রিকের কাজ করার যন্ত্রপাতি লুকিয়ে রাখতেন। পরে ঘর থেকে বের হয়ে বারান্দায় চলে যান। সেখানে একাকী দীর্ঘ চেষ্টার পর আয়ত্ত করে ইলেকট্রিক, প্লাম্বার ও সোলারের কাজ। এরপর তিনি গত ১৮ বছরে নিজ গ্রামে বেশ কয়েকটি মসজিদসহ ১৫০-২০০টি ঘরের ইলেকট্রিক কাজ সম্পন্ন করেন। এছাড়াও টুকিটাকি অসংখ্য মেরামতের কাজ করেছেন।

নিজের গ্রামের সকল রাস্তার সাথে তার নাড়ির সম্পর্ক। কারো সহযোগিতা ছাড়াই রাস্তাঘাটে চলাফেরা করেন। একা একা যান নিজের দোকানে। গোসল থেকে খাবার সবই করেন নিজে হাতে কারো সাহায্য ছাড়া। এখন পর্যন্ত সরকারি কোনো সহযোগিতা পাননি রিপন। তবে তিনি সরকারের প্রতিবন্ধী ভাতা পেতেও তেমন আগ্রহী নয়।

রিপনের স্ত্রী শাহিনা আক্তার বলেন, স্বামী দৃষ্টি প্রতিবন্ধী হলেও অন্যদের থেকে সে পুরোপুরি আলাদা। সে নিজের সকল কাজ নিজে করতে পারে।

তবে স্থানীয় ইউপি সদস্য মো.জাহাঙ্গীর আলম শিপন বলেন,দৃষ্টি প্রতিবন্ধকতা যে স্বপ্ন পূরণের জন্য বাধা নয় তার উজ্জল দৃষ্টান্ত রিপন। দৃষ্টি প্রতিবন্ধী হয়েও অবিরাম কাজের পিছনে ছুটে চলেছেন। দৃষ্টি তার সামনে এগোনোতে কোনো বাধা হতে পারেনি, উল্টো সে এক অনুপ্রেরণার নাম। ব্যতিক্রমী প্রতিভার অধিকারী রিপন কারো বোঝা না হয়ে নিজের পায়ে দাঁড়াতে চান। তার এ উদ্যম ও মনের শক্তি সমাজের প্রতিটি মানুষের কর্মজীবনকে প্রভাবিত করবে এমনটাই সকলের প্রত্যাশা।  তাকে খুব দ্রুত একটি প্রতিবন্ধী ভাতার কার্ড করে দেওয়া হবে।

;