রাজশাহীতে বাসচাপায় নিহত ১, আহত ৩



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রাজশাহী
দুর্ঘটনা কবলিত অটোরিকশা, ছবি: বার্তা২৪.কম

দুর্ঘটনা কবলিত অটোরিকশা, ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজশাহীতে বাসচাপায় একজন নিহত হয়েছেন। এ দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ৩ জন।

শনিবার (১৪ মার্চ) রাত সোয়া ৮টায় নগরীর চৌদ্দপাই এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

হতাহত সবাই অটোরিকশার যাত্রী ও চালক ছিলেন। তাৎক্ষণিকভাবে তাদের নাম-পরিচয় জানা যায়নি।

রাজশাহী নগরীর মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এসএম মাসুদ পারভেজ জানান, রাজশাহী থেকে ঢাকাগামী একটি বাস চৌদ্দপাই এলাকায় কাটাখালী থেকে ছেড়ে আসা একটি অটোরিকশাকে চাপা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই অটোরিকশার এক যাত্রী মারা যান। অটোরিকশা চালক ও অপর ২ জনকে গুরুতর আহত অবস্থায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

ওসি আরও জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে। আহতদের আগেই উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায় স্থানীয়রা। তবে ঘাতক বাসসহ চালক পালিয়ে গেছে।

   

পায়ে হেঁটে দুই বিল পাড়ি দিয়ে পানি আনেন তারা



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, খুলনা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

‘দুই বিল পাড়ি দিয়ে এক কলস পুকুরের পানি আনতি যাই। হাইটে যাতি প্রায় ১ ঘন্টা লাগে। এক বিল পাড়ি দিয়ে পথের মধ্যে একটু খানি জিরাই। তারপর আবার কলসি কাকে নিয়ে বাড়ি ফিরি। প্রত্যেকদিন এক কলস পানি আনতে গিলি প্রায় দু’ঘন্টা সময় লাগে। এতো কষ্ট করে পানি আনার পরও ওই পানিতে শেওলার গন্ধ থাকে। শীতের সময় থেকে বর্ষাকাল আসা পর্যন্ত এভাবে আমাগের পানি আনতি হয়।’ কথাগুলো বলছিলেন খুলনা কয়রা উপজেলার বাগালী ইউনিয়নের কলাপাতা গ্রামের ছবি রানী সরদার।

শুধু ছবি রানী নয়, এ গ্রামের ১২০টি পরিবারেরই একই চিত্র এটি। তারা প্রতিদিন কাকডাকা ভোরে বিছানা ছাড়ে। সকাল ৭টার মধ্যে সকালের এবং দুপুরের রান্না, খাওয়া সেরে কাজে বের হতে হয়। এ গ্রামের প্রতিটি ঘরের নারী এবং পুরুষেরা সকাল ৭টায় বাড়ি থেকে দেড় কিলোমিটার হেঁটে গিয়ে অন্যের ঘেরে কাজ করেন। দুপুর ১টায় কাজ শেষে করে বাড়ি ফিরে সংসারের কিছু কাজ গুছিয়ে দুপুরের খাবার শেষ করে আবার বের হতে হয় খাবার পানি আনার জন্য। বিকাল ৪টার দিকে ওই রোদের মধ্যে কলসি নিয়ে দুই বিল পাড়ি দিয়ে যেতে হয় কলাপাতা গ্রাম থেকে ৩ কিলোমিটার দূরে বামিয়া গ্রামে। পানি নিয়ে বাড়ি ফিরতে ফিরতে চারিদিকে অন্ধকারে ঢেকে যায়। তখন বসতে হয় রাতের রান্নার জন্য। এভাবেই চলে এই গ্রামের নারীদের দিন রাত।

জেলার কয়রায় ৭ ইউনিয়নে ৪০ হাজার ৫০০ পরিবার রয়েছে। যেখানে ৩ লাখেরও বেশি লোকসংখ্যা। এর মধ্যে শতকরা ৬০ ভাগ মানুষ সুপেয় পানি থেকে বঞ্চিত। কয়রা উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল বিভাগের তথ্যানুযায়ী উপজেলায় নলকূপের সংখ্যা ১ হাজার ৬৩২ ও পিএসএফের (পুকুরের পানি পরিশোধন করে খাওয়া ও রান্নার কাজে ব্যবহার উপযোগী করা) সংখ্যা ১৬৫।

স্থানীয়রা জানান, এ অঞ্চলের মানুষকে পান করার পানি এবং দৈনন্দিন কাজের জন্য পুকুর ও বৃষ্টির পানির ওপর নির্ভর করতে হয়। তবে, এসব এলাকায় প্রাকৃতিক দুর্যোগ, অনিয়ন্ত্রিত চিংড়ি চাষ, চিংড়ি ঘেরে উঁচু বাঁধ না দেয়া, নদীর প্রবাহ আটকে দেয়া, পুকুর ভরাট ও সরকারি খালগুলো বেদখলের হয়ে গেছে। ফলে মানুষকে মাইলের পর মাইল পেরিয়ে সুপেয় পানি সংগ্রহ করতে হচ্ছে। সুন্দরবনসংলগ্ন গ্রামগুলোর অবস্থা আরও ভয়াবহ।

উপজেলার দক্ষিণ বেদকাশি ইউনিয়নের আংটিহারা গ্রামের বাসিন্দা মোঃ মিজানুর রহমান জানান, তীব্র গরমে খাবার পানির পুকুরগুলোও শুকিয়ে গেছে। বাড়ির নারী, শিশুসহ অন্য সদস্যরা কলস নিয়ে মাইলের পর মাইল হেঁটে পানি সংগ্রহ করে। চারপাশে পানি থাকলেও খাবার উপযোগী পানি নেই কোথাও, সবই লবণাক্ত।

খুলনা মৃত্তিকা সম্পদ ইনস্টিটিউটের তথ্যানুযায়ী, কোনো জমিতে ৪ ডিএস/মিটার লবণাক্ততা ফসল উৎপাদনের জন্য স্বাভাবিক ধরা হয়। কিন্তু এসব এলাকার জমিতে লবণাক্ততার পরিমাণ গড়ে প্রতি মাসে ১১ ডিএস/মিটার। কোথাও কোথাও লবণাক্ততা ১৭ ডিএস/মিটার পাওয়া যায়। অন্যদিকে এসব এলাকায় নদীতে লবণাক্ততার গড় ১৬ ডিএস/মিটারেরও বেশি। এ প্রতিষ্ঠানটির মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা জিএম মোস্তাফিজুর রহমান জানান, লবণাক্ততার তীব্রতার জন্য উপকূলীয় এলাকায় আবাদি জমি অনাবাদি হয়ে যাচ্ছে।

কয়রা উপজেলার মঠবাড়ি গ্রামের আনোয়ার হোসেন জানান, আমাদের এ গ্রামে ২০ হাজারেরও বেশি মানুষ বাস করে। এখানে ভাল খাবার পানি তেমন পাওয়া যায় না। এসব এলাকার বেশির ভাগ পানি লোনা। সরকারি ও বিভিন্ন এনজিও মাধ্যমে কিছু পরিবারে পানির ট্যাংকি দেয়া হয়েছে। কিন্তু সময় মত বৃষ্টি না হলে সেগুলোও খালি হয়ে যায়। সরকারি কোনো পুকুর বা জলাধার না থাকায় আমাদের এখানে প্রতিবছর দু-তিন মাস বিশুদ্ধ খাবার পানির কষ্টে থাকতে হয়। এই তীব্র গরমে এলাকায় খাবার পানি ও দৈনন্দিন জীবনের ব্যবহারযোগ্য পানির চরম সংকট দেখা দিয়েছে।

উপজেলার ৫নং কয়রা গ্রামের মোঃ আবির হোসেন জানান, এখন তাপদাহ চলছে। এমন আবহাওয়ায় বার বার তৃষ্ণায় কাতর হচ্ছে উপকূলের মানুষ। কিন্তু এ অঞ্চলের মানুষের নাগালে এক ফোঁটা সুপেয় পানি নেই। এখানে তীব্র তাপপ্রবাহে শুধু সুপেয় পানিই নয় দৈনন্দিন ব্যবহারের পানির সংকটও চরমে। এক ফোঁটা পানির জন্য রীতিমতো সংগ্রাম করতে হয় তাদের। নারী-পুরুষ, এমনকি শিশুদেরও পানি জন্য মাইলের পর মাইল পথ পাড়ি দিতে হয়।

কয়রা উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী ইস্তিয়াক আহমেদ জানান, এ অঞ্চলের মানুষের খাবার পানি সংরক্ষণের জন্য ৪ হাজার ৫০০ প্লাষ্টিকের ট্যাংক বিতরণ করা হয়েছে।

তিনি আরও জানান, অতিরিক্ত লবণাক্ততার জন্য নলকূপ স্থাপন করা যাচ্ছে না। আর যেসব নলকূপ রয়েছে, সেগুলো নভেম্বর থেকে জুন পর্যন্ত পানি ওঠে না। ফলে মানুষ বাধ্য হয়ে দূষিত পানি পান করছে।

;

রাবার চাষ সম্পর্কে ধারণা নিতে বাংলাদেশে ভারতের প্রতিনিধি দল



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

রাবার চাষ সম্পর্কে ধারণা নিতে বাংলাদেশে এসেছেন ভারতের রাবার বোর্ডের নির্বাহী পরিচালক ভাসান তাগেসানের নেতৃত্বে ৫ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল।

সোমবার (২৯ এপ্রিল) সকালে বাংলাদেশ বন শিল্প উন্নয়ন করপোরেশন (বিএফআইডিসি) অধীন চট্টগ্রামের ফটিকছড়ির দাঁতমারা রাবার বাগান, নার্সারি ও রাবার প্রক্রিয়াজাতকরণ কারখানা পরিদর্শন করেছেন তারা। এ সময় বাংলাদেশ রাবার বোর্ড, বিএফআইডিসি এর কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

এসময় ভারতীয় রাবার বোর্ডের নির্বাহী পরিচালক ভাসান তাগেসান বলেন, বাংলাদেশের রাবার চাষ সম্পর্কে ধারণা নিতে এসেছি। দুই দেশের আবহাওয়াগত মিল থাকলেও রাবার চাষ ও প্রক্রিয়াজাতকরণে পার্থক্য রয়েছে। ফলে রাবারের মানের তারতম্য হচ্ছে। উন্নতজাতের গাছের চাষ হলে রাবার উৎপাদন বাড়বে এবং তা ভালোভাবে প্রক্রিয়াজাত করতে পারলে বিশ্ববাজারে রফতানি করা যাবে।

বাংলাদেশ রাবার বোর্ডের চেয়ারম্যান সৈয়দা সরওয়ার জাহান বলেন, ভারতীয় প্রতিনিধি দল আমাদের রাবার বাগান পরিদর্শন করেছেন। আমাদের দেশে রাবার গাছের যেজাত আছে তা থেকে যে কষ পাওয়া যায় তা খুবই কম। তাই আমরা চেষ্টা করছি ভারত থেকে রাবারের উন্নত ক্লোনিং জাত আমদানি করতে। তাদের জাতটি আমার যদি ক্লোনিং এর মাধ্যমে কাজে লাগাতে পারি তাহলে দেশের রাবারের উৎপাদন বাড়ানো যাবে।

তিনি বলেন, আমরা যে গাছগুলো থেকে রাবার সংগ্রহ করছি তা প্রায় ৪০-৫০ বছর আগে বিদেশ থেকে আনা জাত। যা থেকে ২০০-৩০০ গ্রাম রাবারের কষ পাওয়া যায়। কিন্তু উন্নতমানের গাছ লাগালে এর উৎপাদন কয়েকগুণ বাড়বে।

;

ঠাকুরগাঁওয়ে হিট স্ট্রোকে নারীর মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঠাকুরগাঁও
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ঠাকুরগাঁওয়ের হরিপুরে অতিরিক্ত তাপদাহের কারণে হিট স্ট্রোকে লতিফা বেগম (৪০) নামে এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। লতিফা বেগম উপজেলার বকুয়া ইউনিয়নের নারগুন গ্রামের মৃত মোকসেদুলের স্ত্রী।

সোমবার (২৯ এপ্রিল) দুপুরে উপজেলার বকুয়া ইউনিয়নের সিংহাড়ি গ্রামে ঘটনাটি ঘটে।

বকুয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম‌্যান আবু তাহের বলেন, অতিদরিদ্রদের জন্য ৪০ দিনের কর্মসংস্থান কর্মসূচি প্রকল্পের কাজ পায় তার দেবর ইলিয়াস। সোমবার সকালে দেবরের পরিবর্তে শ্রমিক হিসেবে কাজে আসেন ল‌তিফা বেগম। এ সময় একটি মাটির রাস্তা সংস্কারে মা‌টি কাটার কাজ কর‌ছিলেন তি‌নি। এসময় হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। অন‌্য শ্রমিকরা তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়ার প‌থে তি‌নি মারা যান।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঠাকুরগাঁওয়ের সিভিল সার্জন ডা নুর নেওয়াজ আহমদ। তিনি বলেন, তীব্র তাপপ্রবাহে তিনি মাটি কাটা কাজ করছিলেন৷ ধারণা করা হচ্ছে তাপপ্রবাহ সহ্য না হওয়ায় জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন এবং স্ট্রোক করেন। হাসপাতালে নিয়ে আসার আগেই তিনি মারা যান৷

;

উপজেলা নির্বাচন

ভোটকেন্দ্র পাহারায় থাকবে ১৭ থেকে ১৮ জনের ফোর্স



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

উপজেলা নির্বাচনকে অবাধ ও সুষ্ঠু করতে এবার প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে সর্বোচ্চ সংখ্যক আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী মোতায়েন থাকবে। একই সঙ্গে প্রতিটি ইউনিয়নে দায়িত্বে পালন করবেন একজন ম্যাজিস্ট্রেট।

প্রতিটি ভোট কেন্দ্রে পুলিশ ও আনসারের সমন্বয়ে ১৭ থেকে ১৮ জনের দল নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবে। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মতো উপজেলা নির্বাচনেও ৯৯৯-এ অভিযোগ জানানো যাবে।

সোমবার (২৯ এপ্রিল) সচিবালয়ে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে সামনে রেখে আইন শৃঙ্খলা সংক্রান্ত সভায় এসব সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল সভায় সভাপতিত্ব করেন। সভা শেষে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মোস্তাফিজুর রহমান সাংবাদিকদের সিদ্ধান্তগুলো জানান।

গৃহীত সিদ্ধান্তগুলো তুলে ধরে তিনি বলেন, সাধারণ ভোট কেন্দ্রসমূহে নির্ধারিত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য আগে যা ছিল, সেটা থেকে যথেষ্ট পরিমাণ বাড়ানো হয়েছে। এখন প্রতিটি সেন্টারে অস্ত্রসহ পুলিশ মোতায়েন থাকবে তিনজন, অস্ত্রসহ আনসারের পিসি এপিসিসহ থাকবে তিনজন, মোট ছয় জন অস্ত্রধারী সদস্য নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবেন। প্রতিটি বুথ ম্যানেজমেন্টের জন্য কমপক্ষে ১০ জন আনসার থাকবে। ছয়টির বেশি বুথ যেখানে আছে সেখানে অতিরিক্ত আরও একজন করে থাকবেন।

সিনিয়র সচিব বলেন, গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রগুলোতে অস্ত্রসহ পুলিশ সদস্য থাকবেন চারজন, অস্ত্রসহ আনসার সদস্য থাকবেন তিনজন, মোট ১৭ থেকে ১৮ জন ফোর্স মোতায়েন থাকবে।

যেহেতু ভোটের দিন ব্যালট পেপার পৌঁছানো হবে। মোবাইল ফোর্স, স্টাইকিং ফোর্স ভোর রাতেই ব্যালট পেপার পৌঁছে দেওয়ার কাজে নিয়োজিত থাকবে। ব্যালট পেপার সেন্টারে পৌঁছানোর পর তাদের এলাকাভিত্তিক যে দায়িত্ব বন্টন করা হবে, জেলা ম্যাজিস্ট্রেট, পুলিশ সুপার, রিটার্নিং কর্মকর্তার সঙ্গে আলাপ করে যেটা করবে, সেইভাবে তারা দায়িত্ব পালন করবেন।

প্রতিটি ইউনিয়নে একজন করে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োজিত থাকবেন জানিয়ে তিনি বলেন, প্রতিটি উপজেলায় একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট থাকবেন। আচরণবিধি মানা হচ্ছে কিনা সেটা দেখভালের জন্য ভোটের দু’দিন আগে, ভোটের দিন এবং ভোটের পরে দুদিন তারা সেখানে দায়িত্ব পালন করবেন।

তিনি আরও বলেন, আনসার, পুলিশ, বিজিবি, র‌্যাব ও কোস্টগার্ডের সমন্বয়ে গড়ে প্রতি পাঁচটি সেন্টারের জন্য একটি স্ট্রাইকিং ফোর্স বা মোবাইল ফোর্স প্রস্তুত থাকবে। উপকূলীয় এলাকাগুলোতে বিজিবির পরিবর্তে কোস্টগার্ড দায়িত্ব পালন করবে। পার্বত্য এলাকার কিছু দুর্গম কেন্দ্রে প্রতি বছরের মতো এবারও হেলিকপ্টারের মাধ্যমে ভোটের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা এবং ভোটের উপকরণ পৌঁছে দেওয়া হবে।

তিনি বলেন, এই পর্যন্ত গোয়েন্দা তথ্য অনুযায়ী সেইরকম কোন সহিংসতার খবর নেই। তারপর আমাদের প্রতিটি বাহিনী সতর্ক থাকবে। সুষ্ঠু ভোটের জন্য যা যা করণীয় তা করা হবে।

সব বাহিনীর প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে একটি সমন্বয় সেল খোলা হবে জানিয়ে সিনিয়র সচিব বলেন, গত সংসদ নির্বাচনের আদলে সকল ধরনের নির্বাচন সংক্রান্ত কমপ্লেইন ৯৯৯- এর মাধ্যমে গ্রহণ করা হবে। একটি সফটওয়্যারের মাধ্যমে এটি ম্যানেজ করা হবে, প্রতিটি অভিযোগ আসার পর থেকে এটি কিভাবে নিষ্পত্তি হলো, কে এটি দেখল- সবকিছু ট্র্যাকিং থাকবে এবং একটি টিম এখানে বসে দেখভাল করবে।

মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, প্রতি ভোটের দু’দিন আগে, ভোটের দিন, ভোটের পরের দিনসহ মোট চার দিন আমাদের এই সমন্বয় সেল থাকবে।

;