কুমিল্লা-নোয়াখালী আঞ্চলিক মহাসড়ক

কাজ চলছে শম্ভুক গতিতে, যাত্রীদের ভোগান্তি চরমে



আবদুর রহমান, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুমিল্লা
দেশের ব্যস্ততম এই আঞ্চলিক মহাসড়কটি বর্তমানে যাত্রীদের কাছে যেন, বিষফোঁড়া হয়ে দাঁড়িয়েছে, ছবি: সংগৃহীত

দেশের ব্যস্ততম এই আঞ্চলিক মহাসড়কটি বর্তমানে যাত্রীদের কাছে যেন, বিষফোঁড়া হয়ে দাঁড়িয়েছে, ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

কুমিল্লা-নোয়াখালী আঞ্চলিক মহাসড়ক। এই সড়কটি এখন যাত্রী ও চালকদের কাছে এক আতঙ্কের নাম। দেশের ব্যস্ততম এই আঞ্চলিক মহাসড়কটি বর্তমানে যাত্রীদের কাছে যেন, বিষফোঁড়া হয়ে দাঁড়িয়েছে! আর এই আঞ্চলিক মহাসড়কটি দিয়ে চলাচলকারী যাত্রীরা আতঙ্কের মধ্য দিয়ে যানবাহনে আসা-যাওয়া করেন।

সরেজমিনে ঘুরে গেছে, দেশের গুরুত্বপূর্ণ এই আঞ্চলিক মহাসড়কটির অনেক স্থানেই পিচ ঢালাই আর ইট-পাথর উঠে অসংখ্য খানাখন্দ আর বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। এই অবস্থা দীর্ঘদিন আগ থেকেই চলছে সড়কটির। বর্তমানে অবস্থাটা এমন হয়ে দাঁড়িয়েছে যেকোন সুস্থ মানুষ এই সড়ক দিয়ে যাতায়াত করলে অসুস্থ হয়ে পড়বেন।

এদিকে, কুমিল্লা-নোয়াখালী আঞ্চলিক মহাসড়কে ফোরলেনের কাজও চলছে শম্ভুক গতিতে। এভাবে ধীর গতিতে সড়কটির কাজ চলায় ক্ষুব্ধ সবাই। সবার একই কথা, এই মহাসড়কের কাজের এমন কচ্ছপগতির কারণ কি? আর কবেই-বা শেষ হবে মহাসড়কের চার লেনের কাজ। আর কবে কমবে মানুষের দীর্ঘদিনের দুর্ভোগ।

প্রতিদিন কয়েক হাজার দূরপাল্লার যানবাহন চলাচল করে সড়কটি দিয়ে
প্রতিদিন কয়েক হাজার দূরপাল্লার যানবাহন চলাচল করে সড়কটি দিয়ে

সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগ, কুমিল্লার সূত্র জানায়, কুমিল্লা নগরীর টমছমব্রিজ থেকে নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ পর্যন্ত ৫৯ কিলোমিটার দীর্ঘ কুমিল্লা-নোয়াখালী আঞ্চলিক মহাসড়কটি বর্তমানে ফোরলেনে উন্নীতকরণের কাজ চলছে। সড়কটির নির্মাণ কাজ শেষ হলে দেশের দক্ষিণাঞ্চলের কুমিল্লা, চাঁদপুর, নোয়াখালী, লক্ষীপুর জেলাসহ সারা দেশের মানুষ উপকৃত হবে।

২০১৮ সালের সেপ্টেম্বর মাসে শুরু হওয়া কাজ এই ফোরলেনের কাজ চলতি বছরের জুন মাসে শেষ হওয়ার কথা রয়েছে। তবে বর্তমানে যেভাবে ধীরগতিতে কাজ চলছে, তা দেখে যেকেউই বলবে ২০২১ সালেও এই কাজ শেষ হবে কিনা সন্দেহ রয়েছে। এই প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে দুই হাজার ১৭০ কোটি টাকা। সড়কটির বিভিন্ন স্থানে কাজ চললেও লাকসাম থেকে লালমাই পর্যন্ত ১৭ কিলোমিটার এলাকার কাজও এখনো শুরু হয়নি।

সওজ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বর মাসে ওই প্রকল্পের কাজ শুরু হলেও এর এক বছর পর লাকসাম থেকে লালমাই পর্যন্ত ১৭ কিলোমিটার এলাকার টেন্ডার আহ্বান করা হয় গত বছরের নভেম্বর মাসে। জেলার লাকসাম দৌলতগঞ্জ বাজার বাইপাস ও লালমাই উপজেলার বাগমারা বাজার এলাকায় এখনো জমি অধিগ্রহণ করতে পারেনি কর্তৃপক্ষ। আর এই দুই বাজারে বেশি যানজটের সৃষ্টি হয়। এতে যাত্রী ও ব্যবসায়ীদের ভোগান্তি বাড়ছে। আর সড়কের বেহাল অবস্থার কারনে প্রায়ই সড়কটিতে যানবাহন বিকল হয়ে সৃষ্টি হচ্ছে যানজটের।

কুমিল্লা-নোয়াখালী আঞ্চলিক মহাসড়কে ফোরলেনের কাজও চলছে শম্ভুক গতিতে। এভাবে ধীর গতিতে সড়কটির কাজ চলায় ক্ষুব্ধ সবাই
কুমিল্লা-নোয়াখালী আঞ্চলিক মহাসড়কে ফোরলেনের কাজও চলছে শম্ভুক গতিতে। এভাবে ধীর গতিতে সড়কটির কাজ চলায় ক্ষুব্ধ সবাই

এদিকে, লাকসাম থেকে লালমাই পর্যন্ত ছাড়াও সড়কটিও অন্যান্য অংশগুলোর বিভিন্ন স্থানের কাজও চলছে অনেকটা শম্ভুক গতিতে। আর ধুলাবালির জন্য সড়কটি দিয়ে চলাফেরাও এখন দায় হয়ে পড়েছে। এছাড়া ভাঙ্গা রাস্তার কারণে যাত্রী ও চালকদের দুর্ভোগতো রয়েছেই।

ওই রুটে চলাচলকারী বিভিন্ন গণপরিবহনের অন্তত ১০ জন চালক জানান, এই সড়কটি দেশের অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি আঞ্চলিক মহাসড়ক। প্রতিদিন কয়েক হাজার দূরপাল্লার যানবাহন চলাচল করে সড়কটি দিয়ে। তাই সকলের ভোগান্তি রোধে দ্রুত ফোরলেনের কাজ শেষ করার দাবি জানাচ্ছি। আর ফোরলেনের কাজ শেষ করার আগে সড়কের সংস্কার করে চলাচলের উপযোগী রাখারও দাবি করছি আমরা।

কুমিল্লা-নোয়াখালী-লক্ষ্মীপুর রুটে চলাচলকারী উপকূল বাস সার্ভিসের পরিচালক কবির আহমেদ জানান, ভাঙ্গা রাস্তার কারণে প্রতিদিন গাড়ি নষ্ট হচ্ছে। মালিকরা যা রোজগার করে, তা গাড়ি মেরামতেই চলে যায়। ফোরলেনের কাজ যেই ধীরগতি চলছে, তাতে কবে মানুষের এই দুর্ভোগ শেষ হবে জানি না।

এই আঞ্চলিক মহাসড়কটির অনেক স্থানেই পিচ ঢালাই আর ইট-পাথর উঠে অসংখ্য খানাখন্দ আর বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে
এই আঞ্চলিক মহাসড়কটির অনেক স্থানেই পিচ ঢালাই আর ইট-পাথর উঠে অসংখ্য খানাখন্দ আর বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে

এই প্রসঙ্গে জানতে চাইলে সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগ, কুমিল্লার নির্বাহী প্রকৌশলী ড. মো. আহাদ উল্লাহ বলেন, কুমিল্লা-নোয়াখালী আঞ্চলিক মহাসড়ক ফোরলেন প্রকল্পের লাকসাম থেকে লালমাই পর্যন্ত ১৭ কিলোমিটার এলাকার টেন্ডার হয়েছে। এখন ভূমি অধিগ্রহণ করার প্রক্রিয়া চলমান।

তিনি জানান, আমরা দ্রুত সময়ের মধ্যে ভূমি অধিগ্রহণ করতে পারবো বলে আশা করছি। এই কাজগুলো শেষ হলে আশা করছি দ্রুত সময়ের মধ্যে পুরো সড়কের কাজও শেষ করতে পারবো।

   

বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীরা এ দেশের স্বাধীনতা মেনে নিতে পারেনি: গণপূর্তমন্ত্রী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীরা এ দেশের স্বাধীনতা মেনে নিতে পারেনি: গণপূর্তমন্ত্রী

বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীরা এ দেশের স্বাধীনতা মেনে নিতে পারেনি: গণপূর্তমন্ত্রী

  • Font increase
  • Font Decrease

বঙ্গবন্ধুকে যারা হত্যা করেছে তারা এ দেশের স্বাধীনতা মেনে নিতে পারেনি বলে মন্তব্য করেছেন গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী।

এসময় তিনি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানিয়েছেন।

সোমবার (২৯ এপ্রিল) ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের উদ্যোগে শেখ জামালের ৭১তম জন্মদিন উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ আহ্বান জানান।

যুবলীগ সভাপতি শেখ ফজলে শামস পরশের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রেস ইনস্টিটিউট অব্ বাংলাদেশের (পিআইবি) মহাপরিচালক মোঃ জাফর ওয়াজেদ, যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিল, কবি, প্রাবন্ধিক ও লেখক অজয় দাশ গুপ্ত প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী আরো বলেন, বঙ্গবন্ধুকে যারা হত্যা করেছে তারা এ দেশের স্বাধীনতা মেনে নিতে পারেনি। একটা গভীর রাজনৈতিক চক্রান্তের অংশ হিসেবে জাতির পিতাকে হত্যা করা হয়েছে। বঙ্গবন্ধুর দ্বিতীয় পুত্র শহীদ লেফটেন্যান্ট শেখ জামাল অত্যন্ত অমায়িক, ভদ্র ও মিশুক প্রকৃতির মানুষ ছিলেন। তিনি একজন স্মার্ট মিলিটারি অফিসার ছিলেন। মাত্র সতেরো বছর বয়সে মুক্তিযুদ্ধে গিয়েছিলেন। তার মতো দেশপ্রেমের উজ্জ্বল নক্ষত্রকে যারা হত্যা করতে পারে তাদের নির্মমতা সহজেই অনুমেয়। তরুণ প্রজন্মকে শেখ জামালের মতো দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে তার মতো জীবন গঠনের আহ্বান জানান।

যুবলীগ সভাপতি শেখ ফজলে শামস পরশ সভাপতির বক্তব্যে বলেন, জিয়াউর রহমান প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত ছিলো। একটি পৃথক কমিশন গঠন করে এ হত্যাকাণ্ডের পেছনে জিয়ার ভূমিকা উন্মোচন ও তার মরণোত্তর বিচারের দাবি জানান তিনি।

অনুষ্ঠানে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, যুবলীগের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দসহ আওয়ামী লীগের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।

;

দুর্নীতির অভিযোগে ইসলামপুরের পৌর মেয়র সাময়িক বরখাস্ত



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, জামালপুর
দুর্নীতির অভিযোগে ইসলামপুরের পৌর মেয়র সাময়িক বরখাস্ত

দুর্নীতির অভিযোগে ইসলামপুরের পৌর মেয়র সাময়িক বরখাস্ত

  • Font increase
  • Font Decrease

 

দুর্নীতির অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় জামালপুরের ইসলামপুর পৌরসভার মেয়র আব্দুল কাদের সেখকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।

সোমবার (২৯ এপ্রিল) স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের পৌর-১ শাখার উপসচিব মো. আব্দুর রহমান স্বাক্ষরিত আদেশে এ তথ্য জানা গেছে।

এতে বলা হয়েছে, ইসলামপুর পৌরসভার মেয়র আব্দুল কাদের সেখের বিরুদ্ধে ১১ জন কাউন্সিলরের আনীত স্বেচ্ছাচারী আচরণ, সরকারি গুদামের মাল লুট, আত্মসাৎ ও দুর্নীতির অভিযোগ তদন্তে প্রমাণিত হওয়ায় স্থানীয় সরকার (পৌরসভা) আইন, ২০০৯ এর ধারা ৩২ (১) (খ) (ঘ) এবং (২) অনুযায়ী তাকে মেয়র এর পদ থেকে অপসারণের কার্যক্রম শুরু করা হয়।

স্থানীয় সরকার (পৌরসভা) আইন, ২০০৯ এর ধারা ৩১ (১) অনুযায়ী 'পৌরসভা বা রাষ্ট্রের হানিকর কার্যকলাপে জড়িত থাকা' এবং অসদাচরণ বা ক্ষমতার অপব্যবহারে দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় মেয়র এর পদ থেকে আব্দুল কাদের সেখকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হলো। এতে আরও বলা হয়, যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমোদনক্রমে এ আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে।

এর আগে ২০২২ সালে ২৭ নভেম্বর জামালপুর জেলা প্রশাসকের কাছে মেয়র আব্দুল কাদের সেখের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দেন পৌরসভার ১২ জন কাউন্সিলরের মধ্যে ১১ জন। একই সঙ্গে মেয়রের বিরুদ্ধে অভিযোগগুলো তদন্তের জন্য ময়মনসিংহ বিভাগীয় কমিশনারের কাছেও আবেদন করেন তারা।

এ বিষয়ে পৌর মেয়র (বরখাস্ত) আব্দুল কাদের সেখের মুঠোফোনের মাধ্যমে যোগাযোগ করা হলে তিনি ব্যস্ততা দেখিয়ে ফোন কেটে দেন।

;

পরিবেশ দূষণ রোধে ১০ সুপারিশ উপস্থাপন



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
পরিবেশ দূষণ রোধে ১০ সুপারিশ উপস্থাপন

পরিবেশ দূষণ রোধে ১০ সুপারিশ উপস্থাপন

  • Font increase
  • Font Decrease

কাউন্টারপার্ট ইন্টারন্যাশনাল কারিগরি সহায়তায় এবং ইউএসএইড-এর সহযোগিতা বাস্তবায়িত প্রোমোটিং অ্যাডভোকেসি এন্ড রাইটস কর্মসূচি জাতীয় রাউন্ডটেবিল আলোচনায় খুলনা, ও ঢাকার প্রান্তিক মানুষের প্রতিনিধিরা পরিবেশ দূষণ রোধ, পরিকল্পিত নগরায়ণ ও নদীর পানি দূষণ রোধে ১০টি সুপারিশমালা উপস্থাপন করেছেন।

সোমবার (২৯ এপ্রিল) রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক হোটেলে টেকসই নগরায়ণ ও পরিবেশের সুরক্ষায় সুপারিশ শীর্ষক জাতীয় রাউন্ডডটেবিল আলোচনায় সুপারিশগুলো উপস্থাপন করা হয়।

আলোচনায় সুপারিশগুলোর মধ্যে বিদ্যমান কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা নীতিমালা বাস্তবায়ন, একবার-ব্যবহার্য প্লাস্টিকের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা, প্রস্তাবিত নীতিমালার বাস্তবায়ন, জাতীয় পর্যায়ে কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় ডিজিটাল মনিটরিং ও নজরদারির ব্যবস্থা এবং পরিকল্পিত নগরায়ণের জন্য বাংলাদেশের সকল সিটি কর্পোরেশনে মাল্টি-স্টেকহোল্ডার ওয়ার্কিং কমিটি গঠন, নিয়মিতভাবে মাল্টি-সেক্টরাল সভায় নদী এবং পরিবেশ দূষণের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা ও পদক্ষেপের অগ্রগতি আলোচনা, জাতীয় পর্যায়ে একটি টাস্কফোর্স গঠন, সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্বমূলক পদক্ষেপ গ্রহণ, জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের তদারকি ক্ষমতার পরিধি বৃদ্ধি এবং নতুন সরকারি অবকাঠামোগত উন্নয়নমূলক প্রকল্প অনুমোদনের পূর্বে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে পরিবেশগত দিক মূল্যায়ন করা।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরি বলেন, পিএআর কর্মসূচির মাধ্যমে প্রান্তিক মানুষ যেভাবে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, পরিকল্পিত নগরায়ণ,সরকারি সেবা প্রদানকারী সংস্থাগুলোর সেবা প্রদান ব্যবস্থা, নদী দূষণ রোধে সকলের অংশগ্রহণে সুপারিশসমূহ তৈরি করেছে এবং স্থানীয় পর্যায় থেকে জাতীয় পর্যায়ে সুপারিশমালা উপস্থাপন করেছে তা সুশাসন ও জবাবদিহিতার একটি মডেল পদ্ধতি হিসেবে পরিগণিত হতে পারে।

মন্ত্রী আরো বলেন, সংসদীয় কমিটিতে ককাস গঠন করে এই সব সুপারিশমালা দ্রুত বাস্তবায়ন ও সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যে বাংলাদেশের আলোকবর্তিকার ধারক প্রান্তিক মানুষকেই উদ্যোগ নিতে হবে ও সকলের অংশগ্রহণ নিশ্চিতে কাজ করতে হবে।

ইউএসএআইডি-এর অফিস অফ ইকোনমিক গ্রোথের পরিচালক মুহাম্মদ এন খান বলেন, মানবাধিকার এবং দেশের মৌলিক সংস্কারের জন্য সুশীল সমাজ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। প্রোমোটিং অ্যাডভোকেসি এবং রাইটস প্রোগ্রামের মতো উদ্যোগগুলি নাগরিকবান্ধব শাসনব্যবস্থাকে এগিয়ে নিতে বাংলাদেশের সুশীল সমাজ, প্রান্তিক মানুষ এবং সরকারের মধ্যে অংশীদারিত্ব জোরদার করায় মার্কিন সরকারের প্রতিশ্রুতিকে জোরদার করে। ইউএসএইড আজকের এই ফলপ্রসূ আলোচনার অংশ হতে পেরে গর্বিত এবং নাগরিকরা কীভাবে ইতিবাচক পরিবর্তনকে আরো প্রভাবিত করে আপনাদের সকলকে সাথে নিয়ে কাজ করে যেতে চায়।

কাউন্টারপার্ট ইন্টারন্যাশনালের চিফ অব পার্টি কেটি ক্রোক অনুষ্ঠান বলেন, নানাবিধ নাগরিক সমস্যা সমাধানের জন্য একসাথে কাজ করায় সকলকে আন্তরিক ধন্যবাদ। সারা বাংলাদেশে জনগণের জীবনযাত্রার উন্নতির জন্য নাগরিক এবং নীতিনির্ধারকদের মধ্যে মেলবন্ধনের যে শিক্ষণীয় মডেল আপনারা সবাই তৈরি করছেন, তা আমাদের কাজকে সার্থক করে তুলেছে।

প্রসঙ্গত, ২০২৪ সালের সংসদীয় নির্বাচনের আগে, পিএআর প্রকল্প বাংলাদেশি সহযোগী সংস্থাদেরকে দেশের অপেক্ষাকৃত কম ও প্রতিনিধিত্বহীন দুই হাজার ৩০৩ জন নাগরিককে একই কাতারে আনতে সহায়তা করে যারা নিজেরাই তাদের গুরুত্বপূর্ণ সমস্যা চিহ্নিত করে ও এবং তা সমাধানের কার্যকরী সুপারিশ দেয়। এরপর সেসব চিহ্নিত সমস্যা এবং সুপারিশ নিয়ে তারাই ২১৭ জন রাজনৈতিক নেতা এবং ৪৬ জন সংসদীয় প্রার্থীর কাছে সরাসরি তুলে ধরে ও নির্বাচনী ইশতেহারে এবং প্রার্থীদের প্রতিশ্রুতি সেগুলো অন্তর্ভুক্তির দাবি জানায়। যার ফলশ্রুতি রাজনৈতিক নেতা ও প্রার্থীদের কাছ থেকে ২৬৩ টি অঙ্গীকারনামা। নির্বাচনের পর পিএআর কর্মসূচি সেইসব নাগরিক সমস্যাগুলোর বাস্তব সমাধান প্রক্রিয়াকে আরো এগিয়ে নিতে রূপরেখা তৈরিতে কারিগরি সহায়তা প্রদান করে যেখানে নির্বাচনী ইশতেহার এবং প্রার্থীদের প্রতিশ্রুতি প্রতিফলিত হয়েছে। এই রূপরেখা লাখ লাখ বাংলাদেশি নাগরিকরা যেন তাদের দেশের টেকসই উন্নয়নে পিছিয়ে না থাকে তা নিশ্চিত করবে বলে পিএআর কর্মসূচি বিশ্বাস করে। 

;

নীলফামারীতে কীটনাশক পানে বৃদ্ধের মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪, নীলফামারী
নীলফামারীতে কীটনাশক পানে বৃদ্ধের মৃত্যু

নীলফামারীতে কীটনাশক পানে বৃদ্ধের মৃত্যু

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলায় পারিবারিক কলহের জেরে কীটনাশক পানে জ্যোতিষ চন্দ্র (৬০) নামে এক বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে।

সোমবার (২৯ এপ্রিল) রাতে বিষয়টি নিশ্চিত করেন থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) পলাশ চন্দ্র মন্ডল।

এর আগে রোববার রাতে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

নিহত বৃদ্ধ বড়ভিটা ইউনিয়নের খামারডুমরিয়া এলাকার বাসিন্দা ছিলেন।

নিহতের স্বজন ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, পারিবারিক কলহের জেরে আত্মহত্যার উদ্দেশ্যে জমিতে দেওয়া কীটনাশক পান করেন। পরে বাড়ির আঙিনায় বমি করা শুরু করলে স্বজনরা তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেসময় দায়িত্বরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রোববার রাতে তার মৃত্যু হয়।

কিশোরগঞ্জ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) পলাশ চন্দ্র মন্ডল বলেন, জমিতে দেওয়া কীটনাশক খেয়ে জ্যোতিষ চন্দ্র (৬০) নামে এক বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে।

;