এসইউএসআই আবেদন নিচ্ছে মার্কিন দূতাবাস



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ঢাকাস্থ যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস ২০২০ সালের ‘স্টাডি অব দি ইউএস ইনস্টিটিউটস (এসইউএসআই) ফর স্কলার্স প্রোগ্রামের’ জন্য আবেদনপত্র গ্রহণ করছে।

এসইউএসআই ফর স্কলার্স প্রোগ্রাম হচ্ছে ছয় সপ্তাহ মেয়াদের একটি স্নাতকোত্তর একাডেমিক প্রোগ্রাম। এতে একটি সমন্বিত শিক্ষা সফরও থাকে। এর লক্ষ্য, বিদেশি বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও অন্যান্য স্কলারকে যুক্তরাষ্ট্রের সমাজ, সংস্কৃতি, মূল্যবোধ ও প্রতিষ্ঠানগুলো সম্পর্কে জানার পরিধি বাড়ানোর সুযোগ করে দেওয়া। ২০২০ সালের প্রোগ্রামে যুক্তরাষ্ট্র অধ্যয়নের সঙ্গে সম্পর্কিত নিচের বিষয়গুলোর ওপর জোর দেওয়া হবে: যুক্তরাষ্ট্রের সংস্কৃতি ও মূল্যবোধ, সাংবাদিকতা ও মিডিয়া, ধর্মীয় স্বাধীনতা ও বহুত্ববাদ, যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতি ও ব্যবসাবাণিজ্য, যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র নীতি এবং যুব, কর্মীবাহিনী বিকাশ ও দক্ষতার ব্যবধান হ্রাস করা। প্রোগ্রামটিতে এ ছয়টি বিষয়ের ওপর জোর দেওয়ার উদ্দেশ্য হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র অধ্যয়নের পাঠ্যক্রমকে উন্নত করা এবং বিদেশের শিক্ষায়তনগুলোতে যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্কে পড়ানোর মানোন্নয়ন। ২০২০ সালের এসইউএসআই ফর স্কলার্স প্রোগ্রামের জন্য আবেদনের শেষ তারিখ হচ্ছে ২০২০ সালের ১১ জানুয়ারি (শনিবার)।

এসইউএসআই ফর স্কলার্স প্রোগ্রামের লক্ষ্য হচ্ছেন উচ্চ শিক্ষায়তন বা গবেষণা প্রতিষ্ঠানে (যেমন অলাভজনক সংগঠন বা থিংক ট্যাংক) কর্মরত নিবেদিত মিড ক্যারিয়ার পেশাজীবীরা। এজন্য উপযুক্ত প্রার্থীদের স্নাতক ডিগ্রি এবং মনোনীত কর্মসূচির মূল বিষয়বস্তু বা এ সম্পর্কিত কোনো বিষয়ের ওপর গভীর জ্ঞান থাকতে হবে। তারা নিজ দেশের এমন প্রতিষ্ঠানের সদস্য হবেন যে প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের পাঠ্যক্রমে যুক্তরাষ্ট্র অধ্যয়নের বিভিন্ন বিষয় যুক্ত বা মনোনীত কর্মসূচির মূল বিষয়বস্তুর ভিত্তিতে নতুন কোর্স তৈরি এবং যুক্তরাষ্ট্র বিষয়ক বিদ্যমান কোর্স হালনাগাদ বা তার মানোন্নয়ন করবে। এছাড়া তারা পেশাজীবীদের জন্য মনোনীত কর্মসূচির মূল বিষয়বস্তুর সঙ্গে সম্পর্কিত যুক্তরাষ্ট্র অধ্যয়নের ক্ষেত্রগুলোতে বিশেষায়িত সেমিনার বা কর্মশালার আয়োজন করবে। আবেদনের ক্ষেত্রে প্রার্থীর জ্ঞান ও পেশাগত কৃতিত্ব এবং তার নিজ প্রতিষ্ঠানের ওপর এর সম্ভাব্য ইতিবাচক প্রভাব সমান গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করতে হবে। যুক্তরাষ্ট্রে সামান্যই পূর্ব অভিজ্ঞতা রয়েছে বা আদৌ কোনো অভিজ্ঞতা নেই এমন ব্যক্তিরা উপযুক্ত প্রার্থী বিবেচিত হবেন।

প্রার্থীদের অবশ্যই ইংরেজি ভাষায় এমন চমৎকার দখল থাকতে হবে যাতে যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয় পরিমণ্ডলে পেশাদারভাবে কাজ করা যায়। এসইউএসআই ফর স্কলার্স একটি শ্রমসাধ্য ও কঠিন প্রোগ্রাম। এতে অংশগ্রহণকারীদের ইংরেজি ভাষায় ব্যাপক পরিমাণ পড়াশোনার অ্যাসাইনমেন্ট সম্পন্ন করতে হবে। সব সেমিনার ও প্যানেল আলোচনায় পুরোপুরি এবং সক্রিয়ভাবে অংশ নিতে হবে। সুতরাং এ কর্মসূচিতে সফল হওয়ার জন্য ইংরেজি ভাষায় ভালো দখল অপরিহার্য।

আগ্রহী প্রার্থীদের অবশ্যই অনলাইনে আবেদন করতে হবে। প্রোগ্রামের ঘোষণা ও আবেদন ফর্ম পাওয়া যাবে https://bd.usembassy.gov/apply-for-study-of-the-united-states-institute-susi-scholars-program-2020/ এখানে।

এসইউএসআই ফর স্কলার্স খুবই প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ একটি প্রোগ্রাম। নির্বাচনী কমিটি লিখিত আবেদনের ওপর খুব জোর দিয়ে থাকে। এ প্রোগ্রামটি বাংলাদেশি নাগরিকদের জন্য। আগ্রহী প্রার্থীদের আবেদনের সময় অবশ্যই বাংলাদেশে থাকতে হবে। যুক্তরাষ্ট্রে স্থায়ী বসবাসের অনুমোদন বা নাগরিকত্ব আছে কিংবা স্থায়ী বসবাসের অনুমোদন লাভের প্রক্রিয়া চলছে এমন কেউ এতে অংশ নিতে পারবেন না।

এ বিষয়ে আরও তথ্যের জন্য কালচারাল অ্যাফেয়ার্স স্পেশালিস্ট রায়হানা সুলতানার সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে। যোগাযোগ: [email protected].

আবেদনের শেষ তারিখ ১১ জানুয়ারি (শনিবার)। সংক্ষিপ্ত তালিকায় থাকা প্রার্থীদের সঙ্গে যোগাযোগ করে ঢাকায় সাক্ষাৎকারের জন্য ডাকা হবে।

 

   

২০০‘র বেশি ঘরের ইলেকট্রিক কাজ করলেন জন্মান্ধ রিপন, অন্ধত্ব জয়ের গল্প



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেট, বার্তা ২৪.কম, নোয়াখালী
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জের চরহাজারী ইউনিয়নের ৮নম্বর ওয়ার্ডের তের বাড়ি সমাজের মরহুম আব্দুস সোবহানের ছেলে ইমরোজ হোসেন রিপন (৩৬)। সে একজন জন্মান্ধ যুবক।

দৃষ্টি প্রতিবন্ধকতা কোনো বাধাই নয়, এমনটা প্রমাণ করতে জীবনের প্রথম দিন থেকে শুরু হয় লড়াই। মনের আলোয় উদ্ভাসিত এ যুবক পেশায় একজন ইলেকট্রিক ও প্লাম্বার মিস্ত্রি। পাশাপাশি বাড়ির পাশে করছেন ছোট্র একটি ইলেকট্রিক দোকান। শারীরিক সীমাবদ্ধতা থাকা সত্ত্বেও কারো কাছে হাত না পেতে করছেন ইলেকট্রিক ও পাইপ ফিটারের কাজ। স্থানীয় এলাকাবাসী তার এমন প্রয়াসে অনুপ্রাণিত। সে যেন নিজেই নিজের অনুপ্রেরণা।

১৯৮৬ সালে জন্ম গ্রহণ করেন রিপন। সাত ভাই-বোনের মধ্যে সে চতুর্থ। বর্তমানে তার মা দুই ছেলের সাথে আমেরিকায় থাকেন। আমেরিকা প্রবাসী বড় বোন সুমনা ও ডাক্তার শাহজান আক্তার এবং ছোট ভাই শিপনের সহযোগিতায় বাবার দিয়ে যাওয়া ঘরে এক ছেলে এক মেয়েকে নিয়ে বসবাস করছে রিপন।

নিজ গ্রামে বিদ্যুতায়ন শুরু হলে নিজের মধ্যে ইলেকট্রিকের কাজ শেখার স্বপ্ন জাগে। কিন্তু এতে বাধা দেন মা-বাবাও স্থানীয় ইলেকট্রিক মিস্ত্রিরা। এরপর একা একা নিজেদের বসত ঘরে ইলেকট্রিকের কাজ শিখতে চেষ্টা চালায় রিপন। এক পর্যায়ে এ নিয়ে চেঁচামেচি শুরু করে তার মা-বাবা। এ কারণে ইলেকট্রিকের কাজ করার যন্ত্রপাতি লুকিয়ে রাখতেন। পরে ঘর থেকে বের হয়ে বারান্দায় চলে যান। সেখানে একাকী দীর্ঘ চেষ্টার পর আয়ত্ত করে ইলেকট্রিক, প্লাম্বার ও সোলারের কাজ। এরপর তিনি গত ১৮ বছরে নিজ গ্রামে বেশ কয়েকটি মসজিদসহ ১৫০-২০০টি ঘরের ইলেকট্রিক কাজ সম্পন্ন করেন। এছাড়াও টুকিটাকি অসংখ্য মেরামতের কাজ করেছেন।

নিজের গ্রামের সকল রাস্তার সাথে তার নাড়ির সম্পর্ক। কারো সহযোগিতা ছাড়াই রাস্তাঘাটে চলাফেরা করেন। একা একা যান নিজের দোকানে। গোসল থেকে খাবার সবই করেন নিজে হাতে কারো সাহায্য ছাড়া। এখন পর্যন্ত সরকারি কোনো সহযোগিতা পাননি রিপন। তবে তিনি সরকারের প্রতিবন্ধী ভাতা পেতেও তেমন আগ্রহী নয়।

রিপনের স্ত্রী শাহিনা আক্তার বলেন, স্বামী দৃষ্টি প্রতিবন্ধী হলেও অন্যদের থেকে সে পুরোপুরি আলাদা। সে নিজের সকল কাজ নিজে করতে পারে।

তবে স্থানীয় ইউপি সদস্য মো.জাহাঙ্গীর আলম শিপন বলেন,দৃষ্টি প্রতিবন্ধকতা যে স্বপ্ন পূরণের জন্য বাধা নয় তার উজ্জল দৃষ্টান্ত রিপন। দৃষ্টি প্রতিবন্ধী হয়েও অবিরাম কাজের পিছনে ছুটে চলেছেন। দৃষ্টি তার সামনে এগোনোতে কোনো বাধা হতে পারেনি, উল্টো সে এক অনুপ্রেরণার নাম। ব্যতিক্রমী প্রতিভার অধিকারী রিপন কারো বোঝা না হয়ে নিজের পায়ে দাঁড়াতে চান। তার এ উদ্যম ও মনের শক্তি সমাজের প্রতিটি মানুষের কর্মজীবনকে প্রভাবিত করবে এমনটাই সকলের প্রত্যাশা।  তাকে খুব দ্রুত একটি প্রতিবন্ধী ভাতার কার্ড করে দেওয়া হবে।

;

শেখ জামালের জন্মদিনে আওয়ামী লীগের শ্রদ্ধা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মেজ ছেলে বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ লেফটেন্যান্ট শেখ জামালের ৭১তম জন্মদিন আজ। এ উপলক্ষে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে তার সমাধিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হয়েছে।

শুক্রবার (২৮ এপ্রিল) সকাল ৯টায় রাজধানীর বনানী কবরস্থানে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এর নেতৃত্বে দলটির নেতারা শেখ জামালের সমাধিতে শ্রদ্ধা জানান। এসময় শ্রদ্ধাঞ্জলি শেষে তার আত্মার মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়। 

উল্লেখ্য, ১৯৫৪ সালের ২৮ এপ্রিল গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জন্মগ্রহণ করেন শেখ জামাল। ঢাকা রেসিডেন্সিয়াল মডেল কলেজ থেকে মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিক পাস করেন ঢাকা কলেজ থেকে। সংস্কৃতিপ্রেমী ও ক্রীড়াবিদ হিসেবেও পরিচিত ছিলেন তিনি। 

১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় পরিবারের অন্য সদস্যদের সঙ্গে শেখ জামালও গৃহবন্দি ছিলেন। কিন্তু সেখান থেকে পালিয়ে মুক্তিযুদ্ধে সম্মুখভাগের নেতৃত্ব দেন তিনি। 

জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ধানমন্ডি থেকে ভারতের আগরতলায় পৌঁছানোর পর সেখানে মুজিব বাহিনীতে (বাংলাদেশ লিবারেশন ফোর্সেস-বিএলএফ) যোগদান এবং প্রশিক্ষণ শেষে মুক্তিযুদ্ধের ৯ নম্বর সেক্টরে অংশ নেন শেখ জামাল। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট রাতে পরিবারের অন্য সদস্যদের সঙ্গে শহীদ হন তিনি।

;

সরকারের ধারাবাহিকতা থাকলে দেশে উন্নয়ন হয়: ওবায়দুল কাদের 



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

সরকারের ধারাবাহিকতা থাকলে দেশে স্ট্যাবিলিটি থাকে, এবং স্থিতিশীলতা থাকলে দেশে উন্নয়ন হয় বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

রোববার (২৮ এপ্রিল) সকাল ৯টায় রাজধানীর বনানী কবরস্থানে শেখ জামালের জন্মদিনে তার সমাধিতে শ্রদ্ধা জানানো শেষে তিনি এ মন্তব্য করেন।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এসেছেন বলে হত্যা ও গুমের রাজনীতি থেকে দেশ বের হয়ে আসতে পেরেছেন। দেশে গণতান্ত্রিক সরকারের ধারাবাহিকতা থাকলে দেশে  স্থিতিশীলতা থাকে, এবং  স্থিতিশীলতা থাকলে দেশে উন্নয়ন হয়। বঙ্গবন্ধু কন্যা সে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। হত্যা ও ষড়যন্ত্রের রাজনীতি তিনি দেশ থেকে নির্মূল করেছেন। তার নেতৃত্বে দেশে স্থিতিশীলতা এসেছে। সেই রাজনীতি বর্তমানে অব্যাহত রয়েছে। 

মন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার দেশে প্রত্যাবর্তনের দিয়ে দেশে গণতন্ত্রের শৃঙ্খল মুক্তির সংগ্রাম শুরু হয়েছে। ১৯৭৫ এ যদি বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যা সে দিন ৩২ নম্বরে থাকতেন তাদের বেঁচে থাকার কথা ছিল না।

বিএনপির সম্পর্কে করা এক প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, পাকিস্তানের সঙ্গে পিরিতি তাদের (বিএনপি), বন্ধুত্ব তাদের। সেই পাকিস্তানও বাংলাদেশের উন্নয়ন দেখতে পায়। একসময় বোঝা ভাবতো, এখন লজ্জা পাচ্ছে। শাহবাজ শরীফ বলেন, তাদের লজ্জা পাওয়া উচিত কারণ তারা বাংলাদেশের উন্নয়ন দেখতে পায় না। শাহবাজ শরীফ যা দেখেন তারা (বিএনপি) তাও দেখেন না। 

জাতীয় পার্টি বিদেশি চাপ ও দল ভাঙ্গার হুমকির মুখে নির্বাচনে অংশ নিয়েছে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদেরের বক্তব্যের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘তিন বিদেশী শক্তির কথা বলছেন তিনি, সেই চাপটা তিনি অনুভব করছেন কি না জানি না। কারণ তাদের জন্ম তো বন্ধুকের নলে। তারা গণতান্ত্রিক পন্থায় আসেনি। বাংলাদেশে ৪২ শতাংশ লোক ভোট দিয়েছে। খুন-খারাবি কিছু হয়নি। ফ্রি এন্ড ফেয়ার ইলেকশন হয়েছে। আমরা এখানে কোনো বিদেশি শক্তির চাপ অনুভব করিনি। তিনি কোন কারণে বা কার চাপে নির্বাচনে এসেছেন সেটা তাকেই বলতে বলুন।’



;

সিলেটে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৩



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম, সিলেট
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

সিলেটের জকিগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় তিনজন নিহত হয়েছেন। শনিবার (২৭ এপ্রিল) রাতে সিলেট-জকিগঞ্জ সড়কের বারঠাকুরী ব্রিকফিল্ড এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। 

নিহতরা হলেন- উপজেলার বারঠাকুরী ইউনিয়নের বারঠাকুরী গ্রামের মৃত আব্দুল শুক্কুরের ছেলে কালিগঞ্জ বাজারের ব্যবসায়ী দেলোয়ার হোসেন (৩৬), ছাদ উদ্দিনের ছেলে ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান লোকমান উদ্দিন চৌধুরীর ব্যক্তিগত সহকারী রেদোয়ান হোসেন (২৬) ও সোনাসার বাজারের ব্যবসায়ী মো. মঞ্জুর হোসেন (২৪)।

মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (জকিগঞ্জ সার্কেল) ইয়াহিয়া আল মামুন।

জানা যায়, শনিবার রাত পৌনে ১২ টার দিকে একটি মোটরসাইকেলে সোনাসার থেকে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেন তারা। সিলেট-জকিগঞ্জ সড়কের বারঠাকুরী গ্রামে ইট ভাটার পাশে আসা মাত্র ট্রাকের সাথে মোটরসাইকেলের ধাক্কা লাগে। এ ঘটনায় তিন মোটরসাইকেল আরোহী গুরুতর আহত হন। দ্রুত তাদের উদ্ধার করে স্থানীয় রাবেয়া খাতুন চৌধুরী জেনারেল হাসপাতালে নিলে রেদোয়ান ও মঞ্জুরকে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। গুরুতর আহত অবস্থায় অপর মোটরসাইকেল আরোহী দেলোয়ার হোসেনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিলেটে নেওয়ার পথে মারা যান।

;