নতুন বছরের শুরুতে ফের বৃষ্টির সম্ভাবনা



নিউজরুম এডিটর, বার্তা২৪.কম
পুরোনো ছবি

পুরোনো ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

পৌষের শুরু থেকেই দেশের ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে শৈত্যপ্রবাহ। মাঝে মাঝে মেঘকে সরিয়ে উঁকি দিলেও দীর্ঘ সময় ধরে দেখা মিলছে না সূর্যের। তীব্র শীত ও ঘন কুয়াশায় জনজীবন অনেকটাই বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। বিশেষ করে শিশু ও বৃদ্ধদের ঠাণ্ডাজনিত সমস্যা দেখা দিচ্ছে। 

দেশের উত্তরাঞ্চলের জেলা পঞ্চগড়, রংপুর, ঠাকুরগাঁও, লালমনিরহাট, দিনাজপুর, গাইবান্ধা, কুড়িগ্রাম, নীলফামারীসহ বেশ কয়েকটি জেলায় শীত বেশ দাপট দেখাচ্ছে। এসব জেলায় গত ১১ দিনে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১১ থেকে ৫.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসে ওঠা-নামা করছে। এছাড়া ঢাকায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৬ থেকে ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াসে ওঠা-নামা করছে।

শুক্রবার দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে তেঁতুলিয়ায় ৯.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে কক্সবাজারে ২৬.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ঢাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৫.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ২১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গত বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে তেঁতুলিয়া ৫.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এদিন ঢাকায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১২.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

গত বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) রাত থেকে শুক্রবার (২৭ ডিসেম্বর) ভোর পর্যন্ত রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হয়েছে। এছাড়া ফরিদপুর, গোপালগঞ্জ, খুলনা ও যশোরসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে গুঁড়ি গুঁড়ি থেকে হালকা বৃষ্টি হয়েছে।

এদিকে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে আবারও বৃষ্টির পূর্বাভাস দিচ্ছে আবহাওয়া অফিস। অফিস বলছে, দেশের রাতের তাপমাত্রা ১-২ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমতে পারে। দিনের তাপমাত্রা কিছুটা বাড়তে পারে। এছাড়া নতুন বছরের শুরুতে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে আবারও হালকা বৃষ্টি হতে পারে। এতে শীতের তীব্রতা বাড়তে পারে।

আবহাওয়াবিদ একেএম নাজমুল হক বার্তা২৪.কম-কে বলেন, ‘শনিবার থেকে রাতের তাপমাত্রা কিছুটা কমবে। দিনের মাত্রা কিছুটা বাড়বে। এদিন দেশের উপর দিয়ে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে। ঘন কুয়াশা পড়তে পারে। তাপমাত্রা ওঠা-নামা করতে পারে। এছাড়া জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহের শেষ দিকে আবারও বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। সে সময় তাপমাত্রা আরও কমতে পারে।’

শুক্রবার সন্ধ্যার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, উপ-মহাদেশীয় উচ্চচাপ বলয়ের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ এবং তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে। বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় হালকা অথবা গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। শুক্রবার রাত থেকে শনিবার দুপুর পর্যন্ত দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে।

পঞ্চগড়, দিনাজপুর ও নীলফামারী অঞ্চলের উপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে ও বিস্তার লাভ করতে পারে। সারাদেশে রাতের তাপমাত্রা (১-২) ডিগ্রি সেলসিয়াস হ্রাস পেতে পারে এবং দিনের তাপমাত্রা (১-২) ডিগ্রি সেলসিয়াস বৃদ্ধি পেতে পারে। পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টায় রাতের তাপমাত্রা আরও হ্রাস পেতে পারে। বর্ধিত ৫ দিনে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।

   

হিট অ্যালার্টের সময় বাড়ল আরও ৩ দিন



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে তীব্র তাপপ্রবাহ। দিনদিন বাড়ছে তাপমাত্রা। গরমে অতিষ্ঠ জনজীবন। এমন পরিস্থিতিতে আরও তিনদিন বা ৭২ ঘণ্টা এই তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকবে জানিয়ে হিট অ্যালার্ট জারি করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

রোববার (২৮ এপ্রিল) আবহাওয়াবিদ খো. হাফিজুর রহমান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানানো হয়েছে।

এতে বলা হয়, দেশের উপর দিয়ে চলমান তাপপ্রবাহ আজ (২৮ এপ্রিল) হতে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টা অব্যাহত থাকতে পারে। জলীয়বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তি বৃদ্ধি পেতে পারে।

আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, চুয়াডাঙ্গা জেলার ওপর দিয়ে অতি তীব্র তাপপ্রবাহ এবং রাজশাহী, পাবনা, সিরাজগঞ্জ, যশোর ও কুষ্টিয়া জেলার ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। দিনাজপুর, রাঙ্গামাটি, চাঁদপুর, ফেনী ও বান্দরবান জেলাসহ রাজশাহী ও খুলনা বিভাগের অবশিষ্টাংশ এবং ঢাকা ও বরিশাল বিভাগের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে।

সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তিভাব বিরাজমান থাকতে পারে বলেও জানিয়েছে আবহাওয়া বিভাগ।

এর আগে গত ১৯ এপ্রিল তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে প্রথমবার তিন দিনের হিট অ্যালার্ট জারি করা হয়। এরপর কয়েক ধাপে তা বাড়ানো হয়।

 

;

২০০‘র বেশি ঘরের ইলেকট্রিক কাজ করলেন জন্মান্ধ রিপন, অন্ধত্ব জয়ের গল্প



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেট, বার্তা ২৪.কম, নোয়াখালী
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জের চরহাজারী ইউনিয়নের ৮নম্বর ওয়ার্ডের তের বাড়ি সমাজের মরহুম আব্দুস সোবহানের ছেলে ইমরোজ হোসেন রিপন (৩৬)। সে একজন জন্মান্ধ যুবক।

দৃষ্টি প্রতিবন্ধকতা কোনো বাধাই নয়, এমনটা প্রমাণ করতে জীবনের প্রথম দিন থেকে শুরু হয় লড়াই। মনের আলোয় উদ্ভাসিত এ যুবক পেশায় একজন ইলেকট্রিক ও প্লাম্বার মিস্ত্রি। পাশাপাশি বাড়ির পাশে করছেন ছোট্র একটি ইলেকট্রিক দোকান। শারীরিক সীমাবদ্ধতা থাকা সত্ত্বেও কারো কাছে হাত না পেতে করছেন ইলেকট্রিক ও পাইপ ফিটারের কাজ। স্থানীয় এলাকাবাসী তার এমন প্রয়াসে অনুপ্রাণিত। সে যেন নিজেই নিজের অনুপ্রেরণা।

১৯৮৬ সালে জন্ম গ্রহণ করেন রিপন। সাত ভাই-বোনের মধ্যে সে চতুর্থ। বর্তমানে তার মা দুই ছেলের সাথে আমেরিকায় থাকেন। আমেরিকা প্রবাসী বড় বোন সুমনা ও ডাক্তার শাহজান আক্তার এবং ছোট ভাই শিপনের সহযোগিতায় বাবার দিয়ে যাওয়া ঘরে এক ছেলে এক মেয়েকে নিয়ে বসবাস করছে রিপন।

নিজ গ্রামে বিদ্যুতায়ন শুরু হলে নিজের মধ্যে ইলেকট্রিকের কাজ শেখার স্বপ্ন জাগে। কিন্তু এতে বাধা দেন মা-বাবাও স্থানীয় ইলেকট্রিক মিস্ত্রিরা। এরপর একা একা নিজেদের বসত ঘরে ইলেকট্রিকের কাজ শিখতে চেষ্টা চালায় রিপন। এক পর্যায়ে এ নিয়ে চেঁচামেচি শুরু করে তার মা-বাবা। এ কারণে ইলেকট্রিকের কাজ করার যন্ত্রপাতি লুকিয়ে রাখতেন। পরে ঘর থেকে বের হয়ে বারান্দায় চলে যান। সেখানে একাকী দীর্ঘ চেষ্টার পর আয়ত্ত করে ইলেকট্রিক, প্লাম্বার ও সোলারের কাজ। এরপর তিনি গত ১৮ বছরে নিজ গ্রামে বেশ কয়েকটি মসজিদসহ ১৫০-২০০টি ঘরের ইলেকট্রিক কাজ সম্পন্ন করেন। এছাড়াও টুকিটাকি অসংখ্য মেরামতের কাজ করেছেন।

নিজের গ্রামের সকল রাস্তার সাথে তার নাড়ির সম্পর্ক। কারো সহযোগিতা ছাড়াই রাস্তাঘাটে চলাফেরা করেন। একা একা যান নিজের দোকানে। গোসল থেকে খাবার সবই করেন নিজে হাতে কারো সাহায্য ছাড়া। এখন পর্যন্ত সরকারি কোনো সহযোগিতা পাননি রিপন। তবে তিনি সরকারের প্রতিবন্ধী ভাতা পেতেও তেমন আগ্রহী নয়।

রিপনের স্ত্রী শাহিনা আক্তার বলেন, স্বামী দৃষ্টি প্রতিবন্ধী হলেও অন্যদের থেকে সে পুরোপুরি আলাদা। সে নিজের সকল কাজ নিজে করতে পারে।

তবে স্থানীয় ইউপি সদস্য মো.জাহাঙ্গীর আলম শিপন বলেন,দৃষ্টি প্রতিবন্ধকতা যে স্বপ্ন পূরণের জন্য বাধা নয় তার উজ্জল দৃষ্টান্ত রিপন। দৃষ্টি প্রতিবন্ধী হয়েও অবিরাম কাজের পিছনে ছুটে চলেছেন। দৃষ্টি তার সামনে এগোনোতে কোনো বাধা হতে পারেনি, উল্টো সে এক অনুপ্রেরণার নাম। ব্যতিক্রমী প্রতিভার অধিকারী রিপন কারো বোঝা না হয়ে নিজের পায়ে দাঁড়াতে চান। তার এ উদ্যম ও মনের শক্তি সমাজের প্রতিটি মানুষের কর্মজীবনকে প্রভাবিত করবে এমনটাই সকলের প্রত্যাশা।  তাকে খুব দ্রুত একটি প্রতিবন্ধী ভাতার কার্ড করে দেওয়া হবে।

;

শেখ জামালের জন্মদিনে আওয়ামী লীগের শ্রদ্ধা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মেজ ছেলে বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ লেফটেন্যান্ট শেখ জামালের ৭১তম জন্মদিন আজ। এ উপলক্ষে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে তার সমাধিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হয়েছে।

শুক্রবার (২৮ এপ্রিল) সকাল ৯টায় রাজধানীর বনানী কবরস্থানে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এর নেতৃত্বে দলটির নেতারা শেখ জামালের সমাধিতে শ্রদ্ধা জানান। এসময় শ্রদ্ধাঞ্জলি শেষে তার আত্মার মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়। 

উল্লেখ্য, ১৯৫৪ সালের ২৮ এপ্রিল গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জন্মগ্রহণ করেন শেখ জামাল। ঢাকা রেসিডেন্সিয়াল মডেল কলেজ থেকে মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিক পাস করেন ঢাকা কলেজ থেকে। সংস্কৃতিপ্রেমী ও ক্রীড়াবিদ হিসেবেও পরিচিত ছিলেন তিনি। 

১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় পরিবারের অন্য সদস্যদের সঙ্গে শেখ জামালও গৃহবন্দি ছিলেন। কিন্তু সেখান থেকে পালিয়ে মুক্তিযুদ্ধে সম্মুখভাগের নেতৃত্ব দেন তিনি। 

জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ধানমন্ডি থেকে ভারতের আগরতলায় পৌঁছানোর পর সেখানে মুজিব বাহিনীতে (বাংলাদেশ লিবারেশন ফোর্সেস-বিএলএফ) যোগদান এবং প্রশিক্ষণ শেষে মুক্তিযুদ্ধের ৯ নম্বর সেক্টরে অংশ নেন শেখ জামাল। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট রাতে পরিবারের অন্য সদস্যদের সঙ্গে শহীদ হন তিনি।

;

সরকারের ধারাবাহিকতা থাকলে দেশে উন্নয়ন হয়: ওবায়দুল কাদের 



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

সরকারের ধারাবাহিকতা থাকলে দেশে স্ট্যাবিলিটি থাকে, এবং স্থিতিশীলতা থাকলে দেশে উন্নয়ন হয় বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

রোববার (২৮ এপ্রিল) সকাল ৯টায় রাজধানীর বনানী কবরস্থানে শেখ জামালের জন্মদিনে তার সমাধিতে শ্রদ্ধা জানানো শেষে তিনি এ মন্তব্য করেন।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এসেছেন বলে হত্যা ও গুমের রাজনীতি থেকে দেশ বের হয়ে আসতে পেরেছেন। দেশে গণতান্ত্রিক সরকারের ধারাবাহিকতা থাকলে দেশে  স্থিতিশীলতা থাকে, এবং  স্থিতিশীলতা থাকলে দেশে উন্নয়ন হয়। বঙ্গবন্ধু কন্যা সে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। হত্যা ও ষড়যন্ত্রের রাজনীতি তিনি দেশ থেকে নির্মূল করেছেন। তার নেতৃত্বে দেশে স্থিতিশীলতা এসেছে। সেই রাজনীতি বর্তমানে অব্যাহত রয়েছে। 

মন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার দেশে প্রত্যাবর্তনের দিয়ে দেশে গণতন্ত্রের শৃঙ্খল মুক্তির সংগ্রাম শুরু হয়েছে। ১৯৭৫ এ যদি বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যা সে দিন ৩২ নম্বরে থাকতেন তাদের বেঁচে থাকার কথা ছিল না।

বিএনপির সম্পর্কে করা এক প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, পাকিস্তানের সঙ্গে পিরিতি তাদের (বিএনপি), বন্ধুত্ব তাদের। সেই পাকিস্তানও বাংলাদেশের উন্নয়ন দেখতে পায়। একসময় বোঝা ভাবতো, এখন লজ্জা পাচ্ছে। শাহবাজ শরীফ বলেন, তাদের লজ্জা পাওয়া উচিত কারণ তারা বাংলাদেশের উন্নয়ন দেখতে পায় না। শাহবাজ শরীফ যা দেখেন তারা (বিএনপি) তাও দেখেন না। 

জাতীয় পার্টি বিদেশি চাপ ও দল ভাঙ্গার হুমকির মুখে নির্বাচনে অংশ নিয়েছে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদেরের বক্তব্যের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘তিন বিদেশী শক্তির কথা বলছেন তিনি, সেই চাপটা তিনি অনুভব করছেন কি না জানি না। কারণ তাদের জন্ম তো বন্ধুকের নলে। তারা গণতান্ত্রিক পন্থায় আসেনি। বাংলাদেশে ৪২ শতাংশ লোক ভোট দিয়েছে। খুন-খারাবি কিছু হয়নি। ফ্রি এন্ড ফেয়ার ইলেকশন হয়েছে। আমরা এখানে কোনো বিদেশি শক্তির চাপ অনুভব করিনি। তিনি কোন কারণে বা কার চাপে নির্বাচনে এসেছেন সেটা তাকেই বলতে বলুন।’



;