আশ্রয়কেন্দ্রে ছুটছেন উপকূলবাসী
ঘূর্ণিঝড় বুলবুলবঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের প্রভাবে খুলনায় দমকা হাওয়ার সঙ্গে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি হচ্ছে। বৃহত্তর খুলনার দাকোপ-কয়রা-পাইকগাছা-সাতক্ষীরা-মংলা উপকূলের লক্ষাধিক মানুষ ঝড়ের আতঙ্কে দিনাতিপাত করছে। যে কোনো মুহূর্তে ঘূর্ণিঝড়ের আঘাতের আশঙ্কা করছেন অনেকে। কেউ কেউ আবার আশ্রয়কেন্দ্রে প্রয়োজনীয় মালামাল নিয়ে ছুটছেন।
শনিবার (৯ নভেম্বর) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত এ অঞ্চলের আকাশে ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টিপাত হচ্ছে। উপকূলের নদীগুলোতে পানির উচ্চতা বেড়েই চলেছে। পানির উচ্চতা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়ছে মানুষের মধ্যে আতঙ্ক। উপকূলীয় এসব অঞ্চলের মানুষের ভয়, পানি বাড়লেই যেকোনো সময় বাঁধ ভেঙে লোকালয়ে পানি ঢুকে যেতে পারে। তাই উপকূলীয় এসব এলাকার অনেকেই প্রাণের মায়ায় নিরাপদ আশ্রয়ের সন্ধানে ছুটছেন। স্থানীয় আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছেন কেউ কেউ।
খুলনার জেলা প্রশাসক হেলাল হোসেন বার্তাটোয়েন্টিফোর. কমকে বলেন, ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’ মোকাবিলায় ইতোমধ্যে সব ধরনের প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। স্বেচ্ছাসেবকরা প্রতিটি বাড়ি বাড়ি গিয়ে উপকূলের বাসিন্দাদের সতর্ক করছেন। এতসব আয়োজনের পরেও আশ্রয় কেন্দ্রে মানুষ যেতে চাচ্ছেনা। তাই উপজেলা প্রশাসন ও সিপিপি এর সদস্যরা স্থানীয়দের আশ্রয়কেন্দ্রে নিয়ে যাচ্ছে। দুর্যোগ পরবর্তী প্রস্তুতি হিসেবেও শুকনো খাবার, টিআর চাউল, নগদ অর্থ ও ঢেউটিন মজুদ রয়েছে। মাঝি ও উপকূলবাসীদের সতর্ক করতে চলছে মাইকিং।
জেলা ত্রাণ কর্মকর্তা আজিজুল হক জোয়ার্দার বলেন, ঘূূর্ণিঝড় বুলবুল মোকাবিলায় জেলার ৩৪৯টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এছাড়া উপকূলীয় উপজেলা কয়রা, দাকোপ ও পাইকগাছায় ২৪ হাজার স্বেচ্ছাসেবককে প্রস্তুত থাকতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় আক্রান্ত এলাকায় ত্রাণ পৌঁছে দেবার জন্য সব ধরণের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।
খুলনা জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় সর্বাত্মক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। জেলায় ৩৪৯টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা রাখা আছে। জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে একটি এবং নয়টি উপজেলায় নয়টি কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। স্থানীয় লোকজনকে সতর্ক করতে উপকূলীয় উপজেলাগুলোতে মাইকিং করা হচ্ছে। সার্বিক পরিস্থিতি মোকাবিলায় পর্যাপ্ত মেডিকেল টিমও প্রস্তুত রাখা হয়েছে।