ঘূর্ণিঝড় বুলবুল মোকাবিলায় যা করবেন

  ঘূর্ণিঝড় বুলবুল


নিউজরুম এডিটর, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

দ্রুততার সঙ্গে ধেয়ে আসছে বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় বুলবুল। এটি খুলনা সংলগ্ন সুন্দরবনের উপকূলীয় এলাকায় ১৪০ কিলোমিটার বেগে আঘাত হানতে পারে। এতে উপকূলীয় অঞ্চলগুলোতে ঘরবাড়ির ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হতে পারে।

ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি হচ্ছে। এর প্রবণতা আরও বৃদ্ধি পেতে পারে। ইতোমধ্যে চার নম্বর হুঁশিয়ারি সংকেত সরিয়ে মংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরে সাত নম্বর বিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বন্দর থেকে লঞ্চ ও জাহাজ চলাচল। অন্যদিকে, চট্টগ্রামে ছয় নম্বর বিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। এছাড়া কক্সবাজারে এখনো চার নম্বর সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।

ইতোমধ্যে চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দর থেকে ৬২০ কিলোমিটার, কক্সবাজার সমুদ্র বন্দর থেকে ৫৮৫ কিলোমিটার, মংলা সমুদ্র বন্দর থেকে ৪৯৫ কিলোমিটার এবং পায়রা সমুদ্র বন্দর থেকে ৪৯০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছে। এটি ঘনীভূত হয়ে উত্তর/উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হতে পারে।

ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় প্রস্তুত রাখতে পারেন শুকনা খাবার ও খাবার পানি

এ ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় প্রয়োজন পূর্ব প্রস্তুতি ও সচেতনতা। আকস্মিক এমন বিপর্যয়ে স্বাভাবিকভাবেই দিশেহারা হয়ে যান সকলে। কীভাবে মোকাবিলা করবেন, কী পদক্ষেপ গ্রহণ করা প্রয়োজন এবং কী করলে ক্ষয়ক্ষতি কমিয়ে আনা সম্ভব হবে, এসব বিষয় বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম-এর পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হলো।

ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানার আগের প্রস্তুতি

ঘরের সকল দরজা-জানালার লক ঠিক আছে কিনা দেখতে হবে। প্রয়োজনে লক ঠিক করতে হবে অথবা নতুন লক লাগিয়ে নিতে হবে।

ঘরের কোথাও কোনো ধরনের ফাটল বা চিড় আছে কিনা দেখতে হবে, এবং টিনের ছাদ হলে ছাদে উঠে দেখতে হবে ছাদের অংশে কোন সমস্যা রয়েছে কিনা। যদি কোনো সমস্যা দেখা দেয় তবে দ্রুত মেরামত করতে হবে। নতুবা ঝড়ে বাড়ির দুর্বল অংশের কারণে ঘরের উপরে বড় ধরনের নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে।

এ সময় সবচেয়ে বেশি সমস্যা দেখা দেবে বিদ্যুৎ সংযোগ নিয়ে। তাই ঘরে হারিকেন, কেরোসিন তেল ও মোমবাতি রাখতে হবে, যাতে দীর্ঘসময় বিদ্যুৎ না থাকলেও কোনো সমস্যা না হয়।

মোমবাতি সংগ্রহে রাখতে হবে

বিদ্যুতের বিষয়ে যেহেতু সংশয় থাকছে, তাই মোবাইল, ল্যাপটপ, পাওয়ার ব্যাংক, চার্জার লাইট আগে থেকেই ফুল চার্জ দিয়ে রাখুন। প্রয়োজনের সময়ে যেন সমস্যায় না পড়তে হয়।

এবারের ঘূর্ণিঝড়ের আকার ও বেগ তুলনামূলক বেশ বড়। সেক্ষেত্রে ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানলে কিছু এলাকার মানুষকে ঘরবন্দী অবস্থায় পড়তে হতে পারে। এছাড়া অন্যান্য স্থানের মানুষরাও বৃষ্টিপাতের সম্মুখীন হতে পারেন। তাই ঘরে আগে থেকেই শুকনো খাবার ও সুপেয় পানি সংগ্রহ করে রাখা প্রয়োজন। এতে করে খাদ্য সংকট মোকাবিলা করা সহজ হবে।

মোবাইল, ল্যাপটপ, পাওয়ার ব্যাংক, চার্জার লাইট ফুল চার্জ করে রাখা প্রয়োজন

জরুরি কাগজপত্র আলমারি বা টেবিলের ড্রয়ারে থাকলেও ওয়াটারপ্রুফ ফাইলে সংরক্ষের ব্যবস্থা নিতে হবে। শীতের কাপড় পস্তুত রাখতে হবে।

বাসার শিশুদের ঘূর্ণিঝড় সম্পর্কে ধারণা দিতে হবে। শিশুরা সাধারণত ঝড়-বৃষ্টি ভয় পেয়ে থাকে। সেক্ষেত্রে ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানলে তারা যেন ভীত না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।

যেকোনো সমস্যার জন্য ঘরে ফার্স্ট এইড বক্স তৈরি রাখতে হবে। নিত্যদিনের ওষুধ, জরুরি ওষুধ, ডেটল, ব্যান্ডেজ প্রভৃতি সংগ্রহে রাখতে হবে।

হারিকেন ও কেরোসিন প্রস্তুত রাখতে হবে

টিভি কিংবা রেডিও খবরে প্রতি মুহূর্তের আপডেট শুনতে হবে এবং সেই মতো প্রস্তুতি গ্রহণ করতে হবে।

ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানলে করণীয়

প্রথমেই ঘরের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দিতে হবে এবং ইলেকট্রনিক পণ্য সুইচ অফ করে দিতে হবে। গ্যাস লাইন বন্ধ রাখতে হবে।

বাইরে বিদ্যুৎ চমকানোর সময় পানি ও পানিযুক্ত স্থানের আশেপাশে যাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। ঝড়ের সময় দাহ্য জাতীয় পদার্থ ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকতে হবে। ঘরে ও ঘরের আশেপাশের যেকোনো ধরনের লোহা ও স্টিলের জিনিসপত্র স্পর্শ করা থেকে বিরত থাকতে হবে।

বাইরে থাকাকালীন অবস্থায় ঝড় শুরু হলে যতসম্ভব দ্রুত নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নিতে হবে এবং বজ্রাপাতের সময় দ্রুত মাটিতে শুয়ে পড়তে হবে। ঝড়ের মাঝে কোনো অবস্থাতেই জলাশয় তথা পুকুর, খাল, নদীতে অবস্থান করা যাবে না।

বাইরে খোলা ও উঁচু কোনো স্থানে অবস্থান করা যাবে না এবং সম্পূর্ণ উন্মুক্ত স্থানে খোলা ছাতা ব্যবহার করা যাবে না। এছাড়া যেকোনো ধরনের জরুরি প্রয়োজনে ‘৯৯৯’ নম্বরে ফোন করতে হবে।

   

টাঙ্গাইলে বজ্রপাতে বাবুর্চির মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, টাঙ্গাইল
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

 

টাঙ্গাইলের ঘাটাইলে বজ্রপাতে ওয়াজেদ আলী খান (৫০) নামে এক হোটেল বাবুর্চির মৃত্যু হয়েছে।

শনিবার (৪ মে) রাতে ঘাটাইল উপজেলায় ফতেরপাড়া-খিলপাড়া রোড এলাকায় বজ্রপাতের সময় এই মৃত্যুর ঘটনা ঘটে।

রোববার (৫ মে) সকালে উপজেলার ঝাইকা রাস্তার নদীর পাড় থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

নিহত ওয়াজেদ আলী খান ঘাটাইল সদর ইউনিয়নের খিলপাড়া গ্রামের মৃত সোনা খানের ছেলে।

স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য রায়হান খান ও নিহতের পরিবার জানান, ওয়াজেদ আলী একটি হোটেলের বাবুর্চি ছিলেন। শনিবার দিবাগত রাতে হোটেলের কাজ শেষ করে ঘাটাইল থেকে তিনি বাড়ি ফিরছিলেন। এ সময় আকাশে ঘন ঘন বজ্রপাত হচ্ছিল। রাত ১১টায় বজ্রপাতের এক পর্যায়ে ফতেরপাড়া-খিলপাড়া রোডে বজ্রপাতে তার মৃত্যু হয়। রোববার সকালে স্থানীয়রা তার মরদেহ দেখতে পেয়ে পরিবারকে খবর দেয়। পরে ঝাইকা রাস্তার নদীর পাড় থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

ঘাটাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আবু ছালাম মিয়া বলেন, তার শরীরের বিভিন্ন অংশ বজ্রপাতে ঝলসে গেছে। নিহতের পরিবার মরদেহ বাড়িতে নিয়ে গেছে।

  ঘূর্ণিঝড় বুলবুল

;

দায়িত্বের কাছে তুচ্ছ তাপমাত্রা



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ফেনী
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশজুড়ে চলমান দাবদাহে রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকা যখন কঠিন, তখন ঘণ্টার পর পর ঘণ্টা ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে ট্রাফিক পুলিশের সদস্যরা। গেল দু-একদিন বৃষ্টি হলেও রোদের তীব্রতা কমার নাম নেই। ফেনীতে গড়ে প্রতিদিন ৩৩ থেকে ৩৬ ডিগ্রি পর্যন্ত তাপমাত্রা অব্যাহত আছে। গরমে সাধারণ মানুষের যখন হাঁসফাঁস অবস্থা ট্রাফিক পুলিশদের দায়িত্বের কাছে তাপমাত্রা যেন তুচ্ছ।

রোববার (৫ মে) দুপুরে ফেনীর মহিপাল, ট্রাংক রোড়, মিজান রোড়, ডাক্তার পাড়া মোড়সহ শহরের বি়ভিন্ন ব্যস্ত সড়কে দায়িত্ব পালনরত অবস্থায় দেখা যায় তাদের। কড়া রোদ, তীব্র গরম, যানজট, উচ্চ শব্দের হর্ন চারদিকে। এরমধ্যে রয়েছে হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি। সব মিলিয়ে অসহনীয় পরিস্থিতি তৈরি হলেও ট্রাফিক পুলিশের সদস্যরা পরিস্থিতির সম্মুখে থেকে তাদের দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছে প্রতিনিয়ত।

জেলা ট্রাফিক পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ফেনী সদর, সোনাগাজী, দাগনভূঞাসহ ৬ জন ট্রাফিক ইন্সপেক্টর (টি.আই), শহরে ৬ জন সার্জেন্ট/ টাউন সাব-ইন্সপেক্টর (টিএসআই), ১০ জন অ্যাসিসটেন্ট টাউন সাব-ইন্সপেক্টরসহ (এটিএসআই) ৪০ জন কনস্টেবল ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ কাজে নিয়োজিত আছে।

ট্রাফিক পুলিশের সদস্যরা বার্তা২৪.কমকে জানায়, তীব্র গরমকে উপক্ষো করে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে কাজ করতে হচ্ছে তাদের। এছাড়াও হিট স্ট্রোকসহ অন্যান্য রোগের ঝুঁকি থাকলেও সাধারণ মানুষকে যানজট থেকে মুক্তি দিতে প্রতিদিন ৮ থেকে ১২ ঘণ্টা কাজ করতে হয়।

কথা হয় ট্রাংক রোড মোড়ে দায়িত্ব পালন করা ট্রাফিক পুলিশের সদস্য কনস্টেবল জামালের সাথে। তিনি বলেন, জনগণের স্বার্থে এই তীব্র গরমে আমাদের রাস্তায় কাজ করতে হয়। হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি রয়েছে বিধায় পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে সার্বক্ষণিক খাবার স্যালাইন, পানি, ছাতা সরবরাহ করছে। এছাড়াও নিয়মিত শরীর চেকআপ করা হচ্ছে।

মহিপালে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে দায়িত্ব পালন করছেন কনস্টেবল মো. রিপন। তিনি বলেন, জনগণের সেবা করা আমাদের দায়িত্ব। কষ্ট হলেও জনগণকে সেবা দিতে এই তীব্র দাবদাহে রাস্তায় আমরা ট্রাফিক পুলিশের সদস্যরা অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছি।

এ প্রসঙ্গে জেলা ট্রাফিক পুলিশ পরিদর্শক মো. আনোয়ারুল আজীম মজুমদার বলেন, তাপমাত্রা যদি ১০০ ডিগ্রি সেলসিয়াসও হয় আমাদের দায়িত্ব পালন করতে হবে। কারণ আমরা যদি কিছুক্ষণের জন্য থেমে যাই তাহলে তীব্র যানজট লেগে শহর অচল হয়ে যাবে। যতই রোদ, বৃষ্টি, ঝড় লেগে থাকুক আমাদের সার্বক্ষণিক রাস্তায় দায়িত্ব পালন করতে হয়।

পুলিশ পরিদর্শক (শহর ও যানবাহন) এস.এম শওকত হোসেন বলেন, ট্রাফিক পুলিশদের সবসময় রাস্তায় থেকে কাজ করতে হয়। ঝড়-বৃষ্টি, রোদ, যানবাহনের উচ্চ শব্দের হর্ন আর ধুলোয় থেকে শরীরে নানা অসুস্থতা বাসা বাঁধলেও জনগণের স্বার্থে দায়িত্ব পালন করে যেতে হয়।

চিকিৎসকের মতে, তীব্র দাবদাহে হিটস্ট্রোকের সবচেয়ে ঝুঁকিতে ট্রাফিক পুলিশের সদস্যরা। তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রির উপরে হলে মাসল ব্রেকডাউন হতে পারে। এছাড়াও ডিহাইড্রেশন হয়, শরীরে পটাশিয়াম বেড়ে যায়। এর ফলে হার্টবিট অ্যাবনর্মাল হয়ে যেতে পারে, যে কারণে মৃত্যুঝুঁকি অনেক বেশি। পটাশিয়ামের মাত্রা অনেক বেশি বেড়ে গেলে চিকিৎসা নেওয়ার আগেই রোগীর মৃত্যু হতে পারে।

হিট স্ট্রোক রোধে চিকিৎসকরা পরামর্শ দিচ্ছেন, ঢিলেঢালা পোশাক পরিধান করার (হালকা রঙের সুতির কাপড় হলে ভালো), যথাসম্ভব ঘরের ভেতরে বা ছায়াযুক্ত স্থানে থাকার, রোদে বাইরে যাওয়ার সময় টুপি, ক্যাপ অথবা ছাতা ব্যবহার করার, প্রচুর পরিমাণে পানি বা খাবার স্যালাইন অথবা ফলের রস পান করার, রোদে দীর্ঘ সময় ঘোরাঘুরি না করা, তীব্র শারীরিক পরিশ্রম এড়িয়ে চলার।

এ প্রসঙ্গে জেলা ট্রাফিক পুলিশ পরিদর্শক মো. আনোয়ারুল আজীম মজুমদার বলেন, ট্রাফিক পুলিশদের হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি রয়েছে সর্বোচ্চমাত্রায়। হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি প্রতিরোধে পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে সার্বক্ষণিক পানি, স্যালাইন, ছাতা সরবরাহ করা হচ্ছে এবং প্রত্যেকটি কনস্টেবলের শরীরে কোনো সমস্যা আছে কিনা তা পর্যবেক্ষণ করতে নিয়মিত চেকআপ করা হচ্ছে। যাদের সমস্যা ধরা পড়ছে তাদের স্থলে অন্য কনস্টেবলকে দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে।

তিনি বলেন, প্রত্যেককে নির্দেশনা দেওয়া আছে যাতে তীব্র রোদে একটানা কাজ না করে ৩০ মিনিট বিশ্রাম নিয়ে কাজ করে। ওই ৩০ মিনিটে অন্য কনস্টেবল দায়িত্ব পালন করবে। এভাবে সমন্বয় করে দায়িত্ব পালন করার জন্য নির্দেশ দেওয়া আছে বলে জানান তিনি।

  ঘূর্ণিঝড় বুলবুল

;

আইএবি অ্যাওয়ার্ডস ২০২৩ পেল ‘নাফ-ডরমেটরি টেকনাফ প্রকল্প'



নিউজ ডেস্ক
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

স্থাপত্য ও নকশায় অসামান্য অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে সম্প্রতি ‘আইএবি অ্যাওয়ার্ডস ২০২৩’ প্রদান করেছে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব আর্কিটেক্টস (আইএবি)। এ বছর পুরস্কার পাওয়া ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে অন্যতম ছিল ‘নাফ-ডরমেটরি টেকনাফ প্রকল্প'।

উদ্ভাবনী নকশা ও দূরদর্শী নেতৃত্বের কারণে অনন্য স্থাপত্য হিসেবে গড়ে উঠেছে ‘নাফ-ডরমেটরি টেকনাফ প্রকল্প'। এর স্বীকৃতি হিসেবে প্রকল্পটির স্থপতি মোহাম্মদ এহসানুল আলম, মামুনুর রশিদ চৌধুরী ও সায়মা শারমিন নিপা আইএবি পুরস্কার পেয়েছেন। এই যুগান্তকারী প্রকল্প বাস্তবায়নের উদ্যোগে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন ইউনাইটেড গ্রুপের প্রয়াত পরিচালক নাসিরুদ্দিন আকতার রশীদ। প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত প্রত্যেকের একাগ্রতা ও অক্লান্ত পরিশ্রমের প্রতিফলন ঘটেছে আইএবি পুরস্কার প্রাপ্তিতে।

নাফ ডরমেটরি প্রকল্পটি বাংলাদেশের সর্বদক্ষিণে নাফ নদীর তীরে ২৭ একর জমির ওপর অবস্থিত। উদ্ভাবনী নকশা এবং স্থাপত্যের কারণে আমদানি-রপ্তানি পণ্যের আনা-নেয়ার ক্ষেত্রে কম সময় লাগছে। বাংলাদেশ ও মায়ানমারের মধ্যে সংযোগ ও বাণিজ্য বৃদ্ধির মাধ্যমে যা অর্থনৈতিক উন্নয়নকে ত্বরান্বিত করতে ভূমিকা রাখছে।

নাফ ডরমেটরির মাধ্যমে আর্থ-সামাজিক অবকাঠামোর অগ্রগতি এবং বাংলাদেশ ও বহির্বিশ্বে ইতিবাচক পরিবর্তনের লক্ষ্যে ইউনাইটেড গ্রুপের যে প্রতিশ্রুতি, তার প্রতিফলন ঘটেছে।

  ঘূর্ণিঝড় বুলবুল

;

খুলনা বাদে ৭ বিভাগে বৃষ্টির সম্ভাবনা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

খুলনা বাদে বৃষ্টি নিয়ে সুখবর দিল আবহাওয়া অফিস। 

রোববার (৫ মে) আবহাওয়া অধিদপ্তরের এক পূর্বাভাসে জানানো হয়, খুলনা বাদে দেশের ৭ বিভাগে ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।

এছাড়াও পূর্বাভাসে বলা হয়, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের দু'এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে, সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলা বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।

ঢাকা, রাজশাহী, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা কিছু কিছু জায়গা থেকে প্রশমিত হতে পারে।

রংপুর, ঢাকা, ময়মনসিংহ, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে এবং অন্যত্র তা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।

আগামীকাল সোমবার ও পরদিন মঙ্গলবার সারাদেশে বৃষ্টি অব্যাহত থাকতে পারে। সোমবার সারাদেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা কমতে পারে ১ থেকে ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

মঙ্গলবারও সারাদেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে। পরবর্তী পাঁচ দিনে সারাদেশে বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টিপাতের প্রবণতা অব্যাহত থাকতে পারে বলে পূর্বাভাসে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

  ঘূর্ণিঝড় বুলবুল

;