ঘূর্ণিঝড় বুলবুল

বিপদ সংকেত: মংলা-পায়রা সমুদ্র বন্দরে ৭, চট্টগ্রামে ৬

  ঘূর্ণিঝড় বুলবুল


নিউজরুম এডিটর, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম
ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

গতিবেগ বেড়েছে বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’র। ঘণ্টায় প্রায় ২০ কিলোমিটার গতিবেগে বাংলাদেশ ও ভারতের পশ্চিমবঙ্গের দিকে ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড়টি। এ গতিবেগে আঘাত হানলে বেশ ক্ষয়ক্ষতির শঙ্কা রয়েছে। অথচ শুরুর দিকে এর গতিবেগ ছিল মাত্র ৮-১০ কিলোমিটার। আসতে আসতে গতিবেগ আরও বাড়তে পারে।

ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে পায়রা ও মংলা সমুদ্র বন্দরের চার নম্বর হুঁশিয়ারি সংকেত সরিয়ে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। আর চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দরের চার নম্বর সতর্কতা সংকেত সরিয়ে ৬ নম্বর বিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। এছাড়া কক্সবাজার সমুদ্র বন্দরে চার নম্বর সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। ওইসব এলাকার সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।

এদিকে নদীবন্দরগুলোকে ২ নম্বর হুঁশিয়ারি সতর্কতা সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

শুরুর দিকে ঘূর্ণিঝড়ের বাতাসের বেগ ঘণ্টায় ৮০-৯০ কিলোমিটার ছিল। তবে শুক্রবার (৮ নভেম্বর) দুপুর থেকে ক্রমেই শক্তি বাড়তে থাকে এটির। শক্তি বাড়িয়ে ইতোমধ্যে দ্বিতীয় ক্যাটাগরির ঘূর্ণিঝড়ে উন্নীত হয়েছে। এটি ১৩০ কিলোমিটার বেগে আঘাত হানতে পারে। এতে ঘরবাড়ির ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হতে পারে। তবে উপকূলের দিকে আসতে আসতে আরও শক্তির সঞ্চার করতে পারে ঘূর্ণিঝড় বুলবুল।

আবহাওয়া অফিস থেকে বলা হয়েছে জানায়, ঘুর্ণিঝড় বুলবুল চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দর থেকে ৬২০ কিলোমিটার, কক্সবাজার সমুদ্র বন্দর থেকে ৫৮৫ কিলোমিটার, মংলা সমুদ্র বন্দর থেকে ৪৯৫ কিলোমিটার এবং পায়রা সমুদ্র বন্দর থেকে ৪৯০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছে। এটি ঘনীভূত হয়ে উত্তর/উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হতে পারে। আগামী শনিবার (৯ নভেম্বর) যেকোনো সময় পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের মংলা উপকূলে আঘাত হানতে পারে ঘূর্ণিঝড়টি।

আবহাওয়াবিদ ওমর ফারুক বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম-কে বলেন, ‘বাংলাদেশের দিকে ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় বুলবুল। শনিবার এটি খুলনা সংলগ্ন সুন্দরবনের উপকূলীয় এলাকায় আঘাত হানতে পারে। সারাদেশে বৃষ্টির প্রবণতা বাড়বে। তাপমাত্রা ধীরে ধীরে কমতে থাকবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘মংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরে ৭ নম্বর এবং চট্টগ্রামে ৬ নম্বর বিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। এছাড়া কক্সবাজারে ৪ নম্বর হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। পরিস্থিতি বিবেচনা করে সংকেত পরিবর্তন হতে পারে।’

এদিকে, ঘূর্ণিঝড় বুলবুল মোকাবিলায় দেশের উপকূলীয় অঞ্চলগুলোতে কন্ট্রোল রুম খোলা হচ্ছে। সরকারি-বেসরকারি সাইক্লোন শেল্টার প্রস্তুত করা হচ্ছে। একই সঙ্গে নদী তীরবর্তী শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানের পাকা ভবনগুলো প্রস্তুত করা হচ্ছে। স্থানীয় জেলেদেরকে নদীতে মাছ ধরা থেকে বিরত ও চরে বসবাসকারীদের নিরাপদে সরে আসার জন্য বলা হচ্ছে। সার্বিক পরিস্থিতি মোকাবিলায় মেডিকেল টিমও প্রস্তুত করা হচ্ছে।

ভারতের আবহাওয়াবিদদের মতে, পশ্চিমবঙ্গের সুন্দরবনের ওপর দিয়ে বাংলাদেশ উপকূলে আছড়ে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে বুলবুলের। তবে ঘূর্ণিঝড়ে সুন্দরবনে ক্ষয়ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে। ঘূর্ণিঝড়ের জেরে শনিবার ও রোববার ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর কলকাতা, হাওড়া, হুগলী এবং নদিয়াতে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে তুলনামূলকভাবে কলকাতাতে কম বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

   

নোঙর করা ট্রলারে আরেকটির ধাক্কা, জেলে নিখোঁজ



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, বরগুনা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বরগুনার পাথরঘাটা লঞ্চঘাটের খালে নোঙর করা এফবি সাফওয়ান-১ ট্রলারে এফবি তূর্ণা ট্রলারের ধাক্কা লেগে মনির হোসেন (৩০) নামের এক জেলে নিখোঁজ হয়েছেন। এ ঘটনার পর থেকেই ফায়ার সার্ভিস স্থানীয়দের সহযোগিতায় উদ্ধার অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে।

রোববার (৫ মে) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে পাথরঘাটা পৌর শহরের লঞ্চঘাটের খালে এ ঘটনা ঘটে।

নিখোঁজ জেলে লক্ষ্মীপুর জেলার হাফিজুল্লাহ ওরফে হাফেজের ছেলে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত জেলে মনির হোসেনকে পাওয়া যায়নি।

প্রত্যক্ষ্যদর্শী জেলে কামাল হোসেন জানান, এফবি তূর্ণা ও এফবি সাফওয়ান ট্রলার দুটি পাথরঘাটা লঞ্চঘাটে নোঙর করা ছিলো। সকাল সাড়ে ১০টার দিকে এফবি তূর্ণা ট্রলারটি সেখান থেকে বের হওয়ার সময় পাশে থাকা এফবি সাফওয়ান ১ ট্রলারের চুকানের ধাক্কা লেগে খালের পানিতে পড়ে নিখোঁজ হন মনির হোসেন। এরপর থেকেই স্থানীয় লোকজন খালে জাল ফেলে তাকে উদ্ধারের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। পরে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা এসে উদ্ধারে কাজে অংশ নেন।

ফায়ার সার্ভিসের পাথরঘাটা স্টেশন লিডার মো: রুহুল কুদ্দুস বলেন, আমরা স্থানীয়দের মাধ্যমে উদ্ধার কাজ চালিয়ে যাচ্ছি। গতকাল একজন শিশু নিখোঁজ থাকার পর আমাদের ডুবুরিদল এসে উদ্ধার করে সকালে চলে গিয়েছিল। তারা পটুয়াখালী পৌঁছালে এ ঘটনা ঘটে। তখন আবারো ফোন দিয়ে তাদেরকে ফিরিয়ে আনা হয়েছে।

  ঘূর্ণিঝড় বুলবুল

;

বরিশালে ইউপি চেয়ারম্যানের ওপর হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, বরিশাল
ইউপি চেয়ারম্যানের ওপর হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন

ইউপি চেয়ারম্যানের ওপর হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রধানমন্ত্রীর জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত ইউপি চেয়ারম্যান সৈকত গুহ পিকলুর ওপর সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদে ও হামলাকারীদের গ্রেফতারপূর্বক বিচারের দাবিতে মানববন্ধন ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বাংলাদেশ হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের বরিশাল জেলা কমিটির আয়োজনে নগরীর অশ্বিনী কুমার টাউন হলের সামনে এ কর্মসূচি পালন করা হয়।

রোববার (০৫ মে) সকালে সংগঠনের পক্ষ থেকে প্রেরিত এক ই-মেইল বার্তায় এ তথ্য জানা জানা গেছে।

এতে বলা হয়, উপজেলা নির্বাচনের জের ধরে গৌরনদী উপজেলার মাহিলাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চারবারের নির্বাচিত চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সৈকত গুহ পিকলুকে হত্যার উদ্দেশ্যে চিহ্নিত সন্ত্রাসীরা উপর্যুপরি কুপিয়ে মারাত্মক জখম করে। এ ঘটনার প্রতিবাদে ৪ মে বিকেলে ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন, পূজা উদযাপন কমিটির কেন্দ্রীয় সদস্য সুরঞ্জিত দত্ত লিটু। অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, সংগঠনের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট হিরণ কুমার দাস মিঠু, বরিশাল শ্মশান রক্ষা কমিটির আহ্বায়ক নারায়ণ চন্দ্র দে নাড়, অ্যাডভোকেট শুভাশিস ঘোষ বাপ্পি, বরিশাল ট্রেড ইউনিয়নের সভাপতি অ্যাডভোকেট একে আজাদ, মহিলা ঐক্য পরিষদের নেত্রী সুচিত্রা রানি, শংকর মঠ কমিটির সম্পাদক ভাষাই কর্মকার, বরিশাল যুব ঐক্য পরিষদের সভাপতি অমিত রায় প্রমুখ।

বক্তারা অতিদ্রুত হামলাকারীদের গ্রেফতারপূর্বক দৃষ্টান্তমূলক শাস্তিসহ গুরুতর আহত ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে উলটো দায়ের করা সাজানো মামলা প্রত্যাহারের দাবি করেন।

উল্লেখ্য, ক্ষমতাসীন দলের এক নেতার একক আধিপত্য বিস্তারের প্রতিবাদ করায় গৌরনদী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা কালিয়া দমন গুহর ছেলে চারবারের নির্বাচিত ইউপি চেয়ারম্যান সৈকত গুহ পিকলু ও তার ছোট ভাই সাবেক ছাত্রলীগ নেতা সলিল গুহ পিন্টুকে চারবার হত্যা চেষ্টা করা হয়। সর্বশেষ গত ২ মে সন্ধ্যায় উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী মনির হোসেন মিয়ার সাথে বাটাজোর এলাকায় ভোট চাইতে গেলে ইউপি চেয়ারম্যান পিকলু ও তার দুই সমর্থককে কুপিয়ে মারাত্মক জখম করা হয়। খবর পেয়ে পরিবারের সদস্যরা উপজেলা হাসপাতালে ছুটে গেলে আহত ইউপি চেয়ারম্যানের ভাই সলিল গুহ পিন্টু, মা তাপসী রানী গুহকে বেদম মারধর করে মোটরসাইকেল ও টাকা-পয়সা লুটপাট করে নেয়া হয়।

  ঘূর্ণিঝড় বুলবুল

;

নেত্রকোনার হাওরে ৮৫ ভাগ ধান কাটা শেষ, খুশি কৃষক



তোফায়েল আহমেদ, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

নেত্রকোনা জেলার হাওর এলাকায় বোরো ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। পুরো দমে ধান কাটা ও মাড়াইয়ে রাত দিন ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকেরা। এর মধ্যে হাওর এলাকায় প্রায় ৮৫ ভাগ ধান কাটা শেষ হয়েছে। বোরো ধানের বাম্পার ফলন হওয়ায় খুশি কৃষক। 

উজান থেকে নেমে আসা বন্যার শঙ্কায় বাকি ধানগুলো দুই এক দিনের মধ্যে কেটে ফেলার নির্দেশনা দিয়েছে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর।

নেত্রকোনা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর অফিস সূত্রে জানা যায়, চলতি বোরো মৌসুমে জেলায় ১ লাখ ৮৫ হাজার ২৬০ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদ হয়েছে। জেলা চাল উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৮ লক্ষ ২ হাজার ৪ শত ৪৫ মেট্রিক টন চাল। কিন্তু ফলন ভালো হওয়ায় সম্ভাব্য ১২ লক্ষ ৩৭ হাজার ২২৩ মেট্রিক টন ছাড়িয়ে যাবে। এর মধ্যে হাওর এলাকায় ৪১ হাজার ৭০ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদ হয়েছে। হাওরে চাল উৎপাদনের লক্ষ্য মাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১ লক্ষ ৮১ হাজার ৭৭ টন চাল। কিন্তু ফলন ভালো হওয়ায় ২ লক্ষ ৮২ হাজার ৩১৫ মেট্রিক টন ছাড়িয়ে যাবে। বেশিরভাগ জমিতে বি ২৮, বি -৮৮ হাইব্রিড ধানের চাষ হয়েছে।


জেলার হাওর এলাকার মধ্যে সবচেয়ে বেশি ধান কাটা হয়েছে মদন উপজেলার উচিতপুর হাওর, ফতেহপুর হাওর, খালিয়াজুড়ি উপজেলায় কীর্তনখোলা হাওর, লক্ষীপুর হাওর, চুনাই হাওর, কাটকাইলের হাওর,চৈতারা হাওর, লেপসাই হাওর, চৈতারা হাওর,আশাখালী হাওর, পায়া হাওর ও দৈলং সাপমারা হাওরে। এছাড়া মোহনগঞ্জের ডিঙ্গাপোতা হাওর ও কলমাকান্দা উপজেলার হাওরগুলোর ধান কাটা শেষ পর্যায়ে।

দ্রুত ধান কাটার জন্য নেত্রকোনা কৃষি অধিদফতর অফিস থেকে ৭৩০ টি কম্বাইন হারভেস্টার মেশিন হাওর এলাকায় পাঠানো হয়েছে।

মদন উপজেলার ফতেহপুর হাওর এলাকার কৃষক আরিফ মিয়া বলেন, আমাদের হাওরে ধান কাটা শেষ পর্যায়ে। কিন্তু প্রচণ্ড গরম থাকার পরও পানি না থাকায় নিরাপদে ধান উঠাতে পেরেছি।

কৃষক ফয়েজ আহমেদ বলেন, শুনছি বৃষ্টি ও বন্যার সম্ভাবনা আছে এজন্য কৃষি অফিসের পরামর্শে দ্রুত ধান কেটে ফেলছি।


নেত্রকোনা জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ পরিচালক মোহাম্মদ নুরুজ্জামান বার্তা২৪.কমকে বলেন, আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় সঠিকভাবে চাষাবাদ করায় প্রয়োজনীয় সার, বীজ ও কীটনাশক সঠিকভাবে প্রয়োগ করায় বোরো ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। হাওর এলাকায় প্রায় ৮৫ ভাগ ধান কেটে মাড়াই হয়েছে। বাকি ধানগুলো দুই-এক দিনের মধ্যে কাটা ও মাড়াই সম্পন্ন হবে। খুব কম সময়ে কম্বাইন হারভেস্টার মেশিনে ধান কাটা ও মাড়াই করা হয় বলে কৃষকরা তাদের বোরো আবাদ সহজেই ঘরে তুলতে পারছেন।

  ঘূর্ণিঝড় বুলবুল

;

‘বে-টার্মিনালসহ বাংলাদেশের উন্নয়নে ভূমিকা রাখতে চায় সিঙ্গাপুর’



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

সিঙ্গাপুরের হাইকমিশনার ডেরেক লোহে বলেছেন, বে-টার্মিনালসহ বাংলাদেশের অবকাঠামোগত উন্নয়নে ইতিবাচক ভূমিকা রাখতে চায় সিঙ্গাপুর। বিশেষ করে বন্দর নগরী চট্টগ্রামের সঙ্গে সিঙ্গাপুরের ভৌগোলিক মিল থাকায় চট্টগ্রাম সিঙ্গাপুরের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে আর্থিকভাবে লাভবান হতে পারে। বাংলাদেশ থেকে খাদ্য আমদানির পাশাপাশি বিভিন্ন খাতে সহায়তা করতে চায় সিঙ্গাপুর। 

রোববার (৫ মে) সকালে টাইগারপাসস্থ চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন কার্যালয়ে মেয়রে সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতে তিনি এ কথা জানান। 

মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. রেজাউল করিম চৌধুরী মেয়র বলেন, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নাগরিক সেবার জন্য ৮২টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও ৫৬ টি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স পরিচালনা করছে। সিঙ্গাপুর এ প্রতিষ্ঠানগুলোর সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য কারিগরি সহায়তা, প্রশিক্ষণ ও প্রযুক্তি সরবরাহের মাধ্যমে চট্টগ্রামবাসীর পাশে দাঁড়াতে পারে। এছাড়া, নদী-সমুদ্র-পাহাড়বেষ্টিত চট্টগ্রামের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যকে কাজে লাগিয়ে পর্যটন সম্ভাবনার বিকাশে সিঙ্গাপুর বিনিয়োগ করতে পারে।

জবাবে সিঙ্গাপুরের হাই কমিশনার ডেরেক লোহে বলেন, বাংলাদেশের ব্যাপারে সিঙ্গাপুরের সফট স্পট রয়েছে। বাংলাদেশের কর্মীরা কঠোর পরিশ্রমী এবং সৎ বিধায় সিঙ্গাপুর বিভিন্ন খাতে বিপুল সংখ্যক বাংলাদেশিকে নিয়োগ দিয়েছে এবং ভবিষ্যতে আরও দিবে। বিভিন্ন দেশে সিঙ্গাপুর যে কো-অপারেশন প্রোগ্রাম চালায় তার আওতায় চট্টগ্রামের শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও পর্যটন খাতের প্রসারে কীভাবে সহায়তা করা যায় তা বিবেচনা করবে সিঙ্গাপুর।

এসময় চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহম্মদ তৌহিদুল ইসলাম, মেয়রের একান্ত সচিব আবুল হাশেম, সিঙ্গাপুরের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপ-পরিচালক মিচেল লি, সিঙ্গাপুর হাই কমিশনের চার্জ ডি' অ্যাফেয়ার্স শিলা পিল্লাইসহ সিঙ্গাপুরের একটি প্রতিনিধি দল অংশ নেয়।

 

  ঘূর্ণিঝড় বুলবুল

;