নুসরাত হত্যা

কারাগারের অন্ধ কুঠুরিতে মনির সন্তান, ভবিষ্যৎ কী?

  নুসরাত হত্যা


শাহরিয়ার হাসান, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম
ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

কামরুন নাহার মনি, নুসরাত হত্যা মামলার ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি। তিনি পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় ‘নুসরাত কিলিংমিশনে’ অংশ নেন। নুসরাত হত্যায় গ্রেফতার হওয়ার পর কারাগারেই ঠাঁই হয় অন্তঃসত্ত্বা মনির। এরপর তার সন্তান ভূমিষ্ঠ হয়। গত ২৪ অক্টোবর কন্যা সন্তান কোলে নিয়ে আদালতে ফাঁসির রায় শুনেছেন নুসরাত হত্যার অন্যতম এই আসামি। শুধু নিজেই এই রায় শোনেননি, রায় শুনেছেন তার এক মাস বয়সী নবজাতকও।

গত ২০ সেপ্টেম্বর মনির প্রসববেদনা উঠলে কারা কর্তৃপক্ষের সহায়তায় ফেনী হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে কন্যা সন্তানের মা হন মনি। হাসপাতালে দুইদিন বাবা-মাসহ পরিবারের সান্নিধ্য পায় শিশুটি। এরপর থেকে মায়ের সঙ্গে কারাগারের অন্ধ কুঠুরিতে দিন কাটছে শিশুটির।

শিশুটির নাম রাখা হয় মোবাশিরা খানম রথি। মনির স্বামীর দাবি, নুসরাত জাহান রাফির নামানুসারে তার নাম রাখা হয়েছে। যদিও মনি তার মেয়েকে ডাকেন ‘রোজা’ নামে।

নুসরাত হত্যা মামলার ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি মনির শিশু সন্তান 

নুসরাত হত্যায় মনির ভূমিকা সম্পর্কে পিআইবি‘র তদন্তে জানা যায়, মনি হত্যার জন্য বোরকা ও হাতমোজা কেনেন। ঘটনার সময় নুসরাতের হাত বাঁধেন এবং চেপে ধরেন।

নুসরাত হত্যাকাণ্ডে নিজের সম্পৃক্তার কথা স্বীকারও করেছেন তিনি। নিম্ন আদালতে ফাঁসির সাজাও শুনেছেন। জেল বিধি ৯৯৪ অনুযায়ী, মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত স্ত্রীলোককে গর্ভবতী বা দুগ্ধপোষ্য অবস্থায় পাওয়া গেলে হাইকোর্টবিভাগ দণ্ড স্থগিতের আদেশ দিতে পারেন। অথবা উপযুক্ত মনে করলে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিতে পারবেন। তবে মনি নবজাতকের মা হিসেবে আপিল বিভাগের রায়ে কতটা সুবিধা পাবেন তা সময়ই বলে দেবে।

তবে নিজের ‘অনিশ্চিত জীবনের সঙ্গে সন্তানকে জড়াতে’ চান না মনি। চান না, কারা দেয়ালের ভেতরে বন্দী অবস্থায় বেড়ে উঠুক তার মেয়ে। 

পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে- কারা ফটকে দেখা করতে গেলে মনি তার পরিবারকে বলেন, ‘জন্মের পর থেকে মেয়েটা তার বাবা ও পরিবার কিছুই পেল না। আমার কারণে মেয়েটি পরিবার থেকে আজ বিচ্ছিন্ন। আমি ওকে কারাগারে রাখতে চাই না। আমি ওকে আমার কাছ থেকে মুক্ত করে দেব। আমি চাই সে তার বাবার কাছে চলে যাক। আমার সাজা আমি সন্তানকে দিতে চাই না’।

রায় ঘোষণার দিন, সন্তান নিয়ে আদালতে আসেন মনি

কারাগার সূত্র বলছে, জেল কোড ৯৫৭ ধারা অনুযায়ী কারাদণ্ড অবস্থায় কোন মা যদি সন্তান প্রসব করে। চাইলে সে সন্তান ৪ বছর পর্যন্ত মায়ের সঙ্গে কারাগারে থাকতে পারে। তবে জেল সুপার চাইলে আরো দুই বছর অর্থাৎ মোট ৬ বছর শিশুটি কারাগারে থাকতে পারবে।

বাংলাদেশের কারাগারগুলোতে যে ধারণ ক্ষমতা, তার বেশি বন্দী থাকেন। এর মধ্যে একটি বড় অংশই নারী বন্দী। এই নারী কয়েদীদের অনেকের সাথেই তাদের শিশু সন্তানরাও থাকছে কারাগারের উঁচু ফটকের ভেতরে। কারাগারগুলোতে শিশুদের বেড়ে ওঠার জন্য নেই পর্যাপ্ত আলো বাতাস, বিনোদনের ব্যবস্থা।  

ফেনী জেলা কারাগার-১ এর আলো-বাতাসহীন সাধারণ মহিলা ওয়ার্ডের একটি কক্ষে মায়ের সঙ্গে রয়েছেন শিশু রথি। যেখানে বিভিন্ন অপরাধে সাজাপ্রাপ্ত নারী বন্দীরা রয়েছেন।

বন্দী মায়ের সাথে বন্দী দশায় থাকা শিশু রথী সঠিক খাবার পাচ্ছে কিনা, তার চিকিৎসা হচ্ছে কিনা, মানসিক বিকাশ ও তার ভবিষ্যৎ কেমন হবে?-অন্যদিকে কারাগার থেকে বের হওয়ার পর সমাজ শিশুটিকে কিভাবে গ্রহণ করবে? কবে সে পৃথিবীর আলো-বাতাস পাবে? এসব প্রশ্নও থেকে যায়, হয়ত সময়ই একদিন তার উত্তর দেবে। 

ফেনী জেলা কারাগার

যদিও ফেনী জেলা কারাগারের ডেপুটি জেলার মনির হোসেন দাবি করেন, মনির সন্তানের কারাবিধি অনুযায়ী সঠিক পরিচর্যাই হচ্ছে। তিনি বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে বলেন, আমাদের এই কারাগারে দুটি শিশু বাচ্চা রয়েছে। একটির বয়স এক বছর। মনির বাচ্চার বয়স এক মাস। এ বয়সী শিশুর মায়েদের বাড়তি খাবারের প্রয়োজন হয়, কারাগার থেকে তাদের খাবার দেয়া হয়। তাছাড়া শিশুর পরিচর্যার জন্য আলাদা যত্ন নেওয়া হয়।

মায়ের সঙ্গে কারাবন্দী শিশুদের বিষয়ে মানবাধিকার কর্মী নূর খান লিটন বলেন, মায়ের অপরাধে শিশুরা এভাবে কারাগারে বন্দিজীবন-যাপন করবে তা সুস্থ-সুন্দর সমাজ-পরিবেশের কাম্য হতে পারে না। একটা বাচ্চা কারাগারে জন্ম নিয়েছে এবং আগামী চার বছর কারাগারে থাকবেন বিষয়টা অত্যন্ত দুঃখজনক। তবে বাচ্চাটিকে কারাগারের বাইরে নিয়ে এসে লালন পালন করাও কষ্টসাধ্য। কেননা এই মুহূর্তে তার মায়ের সান্নিধ্যই তার প্রয়োজন। কষ্টের ব্যাপার এটা, মায়ের সাজা ভোগ করছেন অবুঝ শিশুটি।

পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাতে মনি ও তার সন্তান

এ মানবাধিকার কর্মী বলেন, বহির্বিশ্বে এসব ঘটনায় মায়েদেরকে উন্মুক্ত কারাগারে রাখা হয়। যেখানে ওই মা শিশুটিকে নিয়ে একটা নির্দিষ্ট এলাকা পর্যন্ত যেতে পারবেন, নির্দিষ্ট মানুষের সঙ্গে মিশতে পারবেন। সেই নিয়ম যেহেতু আমাদের কারাবিধিতে এখনো যোগ হয়নি। তাই আপাতত শিশুটি মায়ের কাছে থাকাটাই নিরাপদ।

শিশু হাসপাতালের শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. মমিনুল হক বলেন, একটা শিশুর মানসিক বিকাশের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সময় শূন্য থেকে ৫ বছর। এই সময়টাতে সে যা দেখবে, যে পরিবেশ পাবে সেখানে থেকেই তার মানসিক বিকাশ ঘটবে। যদি কোন শিশু এই সময় কারাগারে থাকে। অবশ্যই সে পারিবারিক বন্ধন, সামাজিকতা থেকে দূরে থাকবে। তার বিকাশ অন্য সাধারণ শিশুর মতো হবে না। কিছুটা বুদ্ধি ও আচরণ প্রতিবন্ধকতা নিয়েই তাকে সারা জীবন চলতে হবে।

   

গাম্বিয়ার সঙ্গে বাণিজ্য-কৃষিতে সহযোগিতা বৃদ্ধির আশা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
গাম্বিয়ার সঙ্গে বাণিজ্য-কৃষিতে সহযোগিতা বৃদ্ধির আশা

গাম্বিয়ার সঙ্গে বাণিজ্য-কৃষিতে সহযোগিতা বৃদ্ধির আশা

  • Font increase
  • Font Decrease

গাম্বিয়ার বানজুলে ওআইসি শীর্ষ সম্মেলনের প্রাক প্রস্তুতিমূলক পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকের পাশাপাশি স্থানীয় সময় গতকাল শুক্রবার (৩ মে) সন্ধ্যায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের সঙ্গে গাম্বিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মামাদোউ তাংগারা’র দ্বিপাক্ষিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বৈঠকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কে সন্তোষ প্রকাশ করেন এবং গাম্বিয়ার কৃষিখাতে বাংলাদেশের জনশক্তি রপ্তানি, বাণিজ্য ও বিনিয়োগে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা বৃদ্ধির বিষয়ে আলোচনা করেন।

শনিবার (৩ মে) ঢাকায় প্রাপ্ত পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে একথা বলা হয়েছে।

গাম্বিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী কৃষিখাতে বাংলাদেশের অভাবনীয় সাফল্যের ভূয়সী প্রশংসা করেন এবং উভয় দেশের মধ্যে বাণিজ্য সহযোগিতা সম্প্রসারণের অভিপ্রায় ব্যক্ত করেন।

গাম্বিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী মিয়ানমার হতে সেনাবাহিনী কর্তৃক জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে বাংলাদেশে আশ্রয় দেওয়ার মাধ্যমে মুসলিম উম্মাহর প্রতি সংহতি প্রকাশের জন্য বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভূয়সী প্রশংসা করেন। একইসাথে রোহিঙ্গা গণহত্যা মামলায় আর্থিক সহায়তা প্রদানের জন্যও তিনি বাংলাদেশ সরকারকে ধন্যবাদ জানান।

ওআইসি’র ১৫তম শীর্ষ সম্মেলনের প্রাক-প্রস্তুতিমূলক পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকে সভাপতিত্ব করার সুযোগ পাওয়ায় গাম্বিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে ড. হাছান মাহমুদ অভিনন্দন জানান এবং গাম্বিয়া ওআইসি’র সভাপতি থাকাকালীন সংস্থার বিভিন্ন ক্ষেত্রে সদস্য দেশগুলোর মধ্যে সহযোগিতা বৃদ্ধির লক্ষে একযোগে কাজ করার আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

  নুসরাত হত্যা

;

বৃষ্টি আর গরম নিয়ে সুখবর দিল আবহাওয়া অফিস



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশজুড়ে বইছে তীব্র তাপপ্রবাহ। এর মধ্যে গত বৃহস্পতিবার রাতে রাজধানীতে স্বস্তির বৃষ্টি ঝড়লেও তারপর থেকে আবার বাড়ছে গরম। এমন অবস্থায় সুখবর দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। 

সংস্থাটি জানায়, আগামীকাল রোববার (৫ মে) থেকে তাপমাত্রা কিছুটা কমতে পারে। পাশাপাশি আগামী ৫ দিনে বাড়তে পারে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা।

শনিবার (৪ মে) সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, বর্তমানে পাবনা, যশোর, চুয়াডাঙ্গা ও বাগেরহাট জেলাসমূহের ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। সেই সঙ্গে চাঁদপুর ও মৌলভীবাজার জেলাসহ ঢাকা, ময়মনসিংহ, রাজশাহী, রংপুর ও বরিশাল বিভাগ এবং খুলনা বিভাগের অবশিষ্টাংশের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। আগামী ২৪ ঘণ্টায়ও তাপপ্রবাহের এমন দাপট অব্যাহত থাকতে পারে।

এই অবস্থায় আগামীকাল রোববার সকাল ৯টা পর্যন্ত সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রংপুর, ঢাকা, ময়মনসিংহ, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের দু’এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। তবে এই সময়ে সারাদেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।

উল্লেখ্য, গত ২৪ ঘণ্টায় কুমিল্লায় সর্বোচ্চ ৩৭ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। পাশাপাশি এই সময় ভোলায় ৩২, চট্টগ্রাম ও কুতুবদিয়ায় ২৭, টেকনাফে ২০, শ্রীমঙ্গলে ১২, বান্দরবানে ৬ মিলিমিটারসহ সিলেট, রাঙামাটি, মোংলা ও সন্দ্বীপে সামান্য থেকে ৪ মিলিমিটার পর্যন্ত বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। এছাড়া গতকাল দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে যশোরে, ৪১ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। 

 

  নুসরাত হত্যা

;

কাপ্তাই লেকের হারানো যৌবন ফিরিয়ে আনা হবে: প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

কাপ্তাই লেকের হারানো যৌবন ফিরিয়ে আনতে সব ধরণের পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী মো. আব্দুর রহমান।

শনিবার (৪ মে) দুপুরে রাঙামাটির কাপ্তাই লেকে মাছের পোনা অবমুক্তকরণ ও মৎস্যজীবীদের মাঝে ভিজিএফ চাল বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, কাপ্তাই লেক তার সেই আগের সৌন্দর্য রূপে নেই। এটি যেন নুইয়ে পড়েছে। তবে সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় আমরা কাপ্তাই লেকের আগের সৌন্দর্য ফিরিয়ে আনতে চাই। তবে এই সৌন্দর্য ফিরিয়ে আনতে হলে শুধু মৎস্যজীবীদেরই নয়, এলাকার সর্ব সাধারণের সহযোগিতা প্রয়োজন।

জেলেদের উদ্দেশ্যে করে প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী বলেন, আগামী তিন মাস আপনারা লেকে মাছ ধরবেন না। এছাড়া নিষিদ্ধ ঘোষিত মশারি জাল, বেহুন্দী জাল, কারেন্ট জাল এগুলো ব্যবহার করবেন না। জাটকাসহ ছোট মাছ ধরবেন না। আপনারা নিজ সন্তানকে যেমন পরিপূর্ণ করে গড়ে তোলেন তেমনি মাছকেও বড় হতে দিতে হবে। শুধু মন্ত্রী হিসেবেই নয় একজন নাগরিক হিসেবেও কাপ্তাই লেকের সৌন্দর্য ফিরিয়ে আনতে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় থেকে যা যা করা দরকার সবকিছুই করা হবে।

তিনি বলেন, আপনাদের লেকের মাছ আপনারাই ধরবেন। অন্য এলাকা থেকে কেউ এসে এই মাছ ধরবে না। সুতরাং এই লেকের ব্যবস্থাপনায় আপনাদেরই এগিয়ে আসতে হবে।

পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করে কাপ্তাই লেক নিয়ে প্রকল্প গ্রহণের বিষয়ে উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে জানিয়ে তিনি বলেন, রাঙামাটির বর্তমান ফিস ল্যান্ডিং সেন্টারটি সংস্কার করে আধুনিক ও উন্নত মানের ফিস ল্যান্ডিং স্টেশন হিসেবে গড়ে তোলার উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে। আপনারা যাতে বংশ পরম্পরায় কাপ্তাই লেকের মাধ্যমে জীবন জীবিকা নির্বাহ করতে পারেন সে বিষয়ে মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে সকল ধরণের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

কৃষি জমিতে ব্যবহার করা কীটনাশকের ফলে মাছের ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ফসলের জমিতে কীটনাশকের ব্যবহারে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। তবে কেউ যদি আইনের ব্যত্যয় ঘটিয়ে কিছু করে তবে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এসময় তিনি কাপ্তাই লেকে পোনা অবমুক্ত করেন এবং জেলেদের মাঝে ভিজিএফ চাল বিতরণ করেন।

  নুসরাত হত্যা

;

চামড়াশিল্পে ন্যূনতম মজুরি ২২৭৭৬ টাকার প্রস্তাব সিপিডি’র



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

মূল্যস্ফীতি বিবেচনায় দেশের চামড়াশিল্প খাতের শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি ২২ হাজার ৭৭৬ টাকা প্রস্তাব করেছে সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি)। একইসঙ্গে মজুরি দেওয়ার ক্ষেত্রে গ্রেডিং সিস্টেম যথাযথ করার প্রস্তাব দিয়েছে সংস্থাটি।

শনিবার (৪ মে) রাজধানীর ধানমন্ডিতে সিপিডি কার্যালয়ে ‘ট্যানারি শিল্পে ন্যূনতম মজুরি নির্ধারণ ও বাস্তবায়নে চ্যালেঞ্জ’ শীর্ষক আয়োজিত আলোচনা সভায় ট্যানারি শ্রমিকদের জন্য ন্যূনতম এ মজুরি প্রস্তাব করে প্রতিষ্ঠানটি।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন সিপিডির গবেষণা পরিচালক খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম এবং বিশেষ অতিথি ছিলেন ন্যূনতম মজুরি বোর্ডের চেয়ারম্যান লিয়াকত আলী মোল্লা।

সিপিডির গবেষণা পরিচালক খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেমের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন মজুরি বোর্ডের চেয়ারম্যান লিয়াকত আলী মোল্লা, ট্যানারি মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ ট্যানার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিটিএ) সভাপতি শাহীন আহমেদ, ভাইস-চেয়ারম্যান মো. মিজানুর রহমান, ট্যানারি ওয়ার্কার্স ইউনিয়নের সভাপতি আবুল কালাম আজাদ ও সাধারণ সম্পাদক মো. আবদুল মালেক, অশি ফাউন্ডেশনের ভাইস-চেয়ারম্যান এস এম মোরশেদ প্রমুখ।

গবেষণা প্রতিবেদন তুলে ধরে সিপিডির সিনিয়র গবেষক তামিম আহমেদ জানান, বর্তমান বাজারে সবকিছুর দাম ঊর্ধ্বমুখী। এমন পরিস্থিতিতে ট্যানারি বা চামড়াখাতের একজন শ্রমিকের পরিবারের জন্য প্রয়োজনীয় খাবারের খরচ মাসে ২০ হাজার ৫৬৪ টাকা। আর খাদ্যবহির্ভূত খরচ ১২ হাজার ৯১৪ টাকা। প্রত্যেক শ্রমিক পরিবারের গড়ে সদস্যসংখ্যা ৪ দশমিক ৬ জন। এর মধ্যে উপার্জনক্ষম সদস্য ১ দশমিক ৫ জন। সেই হিসেবে শ্রমিকের মাসিক ন্যূনতম মজুরি ২২ হাজার ৭৭৬ টাকা হওয়া উচিত।

সিপিডির গবেষণা পরিচালক খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন, নানা সময়ে চামড়া খাতের পরিবেশ নিয়ে অনেক আলোচনা হয়। কিন্তু এ খাতের মজুরি নিয়ে আলোচনা কম হয়। সুতরাং মজুরি বাড়লে এই খাতে ইতিবাচক পরিবর্তন আসবে বলে মনে করেন তিনি।

ন্যূনতম মজুরি নিয়ে সিপিডির প্রস্তাবের বিষয়ে ট্যানারি ওয়ার্কার্স ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মো. আবদুল মালেক বলেন, সিপিডির প্রস্তাবটি তাদের আকাঙ্ক্ষার সঙ্গে মেলেনি। তবে সংস্থাটির প্রতিবেদনে এ খাতের সার্বিক অবস্থা উঠে এসেছে। আমরা নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় ২৫ হাজার টাকা ন্যূনতম মজুরি বিষয়ে একটি প্রস্তাবনা তৈরি করেছি। ইতোমধ্যে প্রস্তাবটি মালিকপক্ষ ও মজুরি বোর্ডের কাছে জমা দেওয়া হয়েছে।

বাংলাদেশ ট্যানার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি শাহীন আহমেদ বলেন, চামড়া খাতের বর্তমান পরিস্থিতিতে সিপিডির এমন প্রস্তাবনা কোনোভাবেই বাস্তবায়ন করা সম্ভব না। কারণ, ডলারের দাম বাড়ার কারণে আগের তুলনায় উৎপাদন খরচ বেড়েছে। বিপরীতে রফতানিতে চামড়ার ইউনিট মূল্য কমেছে। তবে সব পক্ষের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে গ্রহণযোগ্য একটি মজুরি নির্ধারণ করা হলে সেটি বিবেচনায় নেওয়ার চেষ্টা করবেন বলে জানান তিনি।

ন্যূনতম মজুরি বোর্ডের চেয়ারম্যান লিয়াকত আলী মোল্লা বলেন, বোর্ডে আলোচনা করে দেখা হবে মজুরি কতটা বাড়ানো সম্ভব। যাতে চামড়া শিল্প টিকিয়ে শ্রমিকেরাও বেঁচে থাকতে পারেন এমন একটি বেতন কাঠামো দেওয়ার চেষ্টা করা হবে।

  নুসরাত হত্যা

;