পদত্যাগ করলেন বশেমুরবিপ্রবি উপাচার্য নাসির উদ্দিন



সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, ঢাকা
বশেমুরবিপ্রবি উপাচার্য প্রফেসর ড. খোন্দকার নাসির উদ্দিন, ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

বশেমুরবিপ্রবি উপাচার্য প্রফেসর ড. খোন্দকার নাসির উদ্দিন, ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

গোপালগঞ্জ বঙ্গবন্ধু শেখ মু‌জিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযু‌ক্তি বিশ্ব‌বিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি) উপাচার্য প্রফেসর ড. খোন্দকার নাসির উদ্দিন পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন।

সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) দুপুরের পর তিনি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব আবদুল্লাহ আল হাসান চৌধুরীর কাছে সাদা কাগজে লিখিত পদত্যাগপত্রটি জমা দেন। পরে সেটি শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনির কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

জানা গেছে, সোমবার বিভিন্ন কর্মসূচি নিয়ে শিক্ষামন্ত্রী, শিক্ষা উপমন্ত্রী এবং মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব ব্যস্ত ছিলেন। অতিরিক্ত সচিব পদত্যাগপত্রটি সেখানে নিয়ে যান এবং মন্ত্রীর হাতে তুলে দেন। এর আগে পদত্যাগের বিষয়ে মন্ত্রী, উপমন্ত্রী ও সিনিয়র সচিবের সঙ্গে ভিসি মৌখিকভাবে আলোচনা করেন বলে জানা গেছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী বলেন, 'তিনি (ভিসি) আর থাকতে চাচ্ছেন না। তদন্ত প্রতিবেদন আমরা পর্যালোচনা করছি।'

এর আগে বশেমুরবিপ্রবি উপাচার্য প্রত্যাহার করার সুপারিশ করেছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) তদন্ত কমিটি।

ইউজিসির পাঁচ সদস্যের গঠিত কমিটি ভিসির বিষয়ে তদন্ত প্রতিবেদনটি গতকাল সংস্থার চেয়ারম্যানের কাছে জমা দেয়। পরে সেটি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। প্রতিবেদনে ভিসির বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ প্রমাণ হয়েছে উল্লেখ করা হয়। একই সঙ্গে তিনি সুষ্ঠুভাবে বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনা করতে যোগ্য নয়, তাই তাকে উপাচার্যের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ার সুপারিশ করা হয়। এছাড়াও দুর্নীতি ও অনিয়মের সঙ্গে সম্পৃক্ততা পাওয়ায় তার বিষয়ে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ারও সুপারিশ করে এই কমিটি।

এ বিষয়ে তদন্ত কমিটির সদস্য প্রফেসর ড. মো. সাজ্জাদ হোসেন বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম-কে বলেন, 'আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিদর্শন করে সকলের সঙ্গে কথা বলে আমাদের তদন্ত প্রতিবেদন তৈরি করেছি। সেটি ইতোমধ্যে ইউজিসি চেয়ারম্যানের কাছে জমা দিয়েছি, এবং তা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। তবে সেখানে গিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনার জন্য ভালো কিছু আমরা দেখিনি। সুতরাং বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য যেটি মঙ্গলজনক হবে সেটিই আমরা সুপারিশ করেছি। এ বিষয়ে শক্ত প্রতিবেদনই আমরা দিয়েছি। কারণ আমাদের কাছে মনে হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ে সুষ্ঠু পরিবেশ নেই।'

গত ২৩ সেপ্টেম্বর মন্ত্রণালয় চিঠি পাওয়ার পরদিন ২৪ সেপ্টেম্বর ইউজিসির সদস্য অধ্যাপক ড. মো. আলমগীরকে আহ্বায়ক করে পাঁচ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন- ইউজিসি সদস্য ড. মো. সাজ্জাদ হোসেন, ড. দিল আফরোজ বেগম, ইউজিসির পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ম্যানেজমেন্ট বিভাগের পরিচালক কামাল হোসেন এবং একই বিভাগের উপপরিচালক মৌলি আজাদ।

কমিটি দায়িত্ব পাওয়ার পর ২৫ সেপ্টেম্বর (বুধবার) বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় সরেজমিনে যান। পরিদর্শনে গিয়ে সেখানে দুইদিন অবস্থান করেন এবং ২৭ সেপ্টেম্বর (শুক্রবার) ঢাকা ফিরে এসে ওই দিনই তদন্ত প্রতিবেদন তৈরি করে ইউজিসির কাছে জমা দেন।

   

নীলফামারীতে কীটনাশক পানে বৃদ্ধের মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪, নীলফামারী
নীলফামারীতে কীটনাশক পানে বৃদ্ধের মৃত্যু

নীলফামারীতে কীটনাশক পানে বৃদ্ধের মৃত্যু

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলায় পারিবারিক কলহের জেরে কীটনাশক পানে জ্যোতিষ চন্দ্র (৬০) নামে এক বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে।

সোমবার (২৯ এপ্রিল) রাতে বিষয়টি নিশ্চিত করেন থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) পলাশ চন্দ্র মন্ডল।

এর আগে রোববার রাতে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

নিহত বৃদ্ধ বড়ভিটা ইউনিয়নের খামারডুমরিয়া এলাকার বাসিন্দা ছিলেন।

নিহতের স্বজন ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, পারিবারিক কলহের জেরে আত্মহত্যার উদ্দেশ্যে জমিতে দেওয়া কীটনাশক পান করেন। পরে বাড়ির আঙিনায় বমি করা শুরু করলে স্বজনরা তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেসময় দায়িত্বরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রোববার রাতে তার মৃত্যু হয়।

কিশোরগঞ্জ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) পলাশ চন্দ্র মন্ডল বলেন, জমিতে দেওয়া কীটনাশক খেয়ে জ্যোতিষ চন্দ্র (৬০) নামে এক বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে।

;

সিলেটে শিবু হত্যা মামলার এক আসামি গ্রেফতার



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, সিলেট
ফয়সল আহমদ

ফয়সল আহমদ

  • Font increase
  • Font Decrease

সিলেটের স্থানীয় দৈনিক উত্তরপূর্ব পত্রিকার কম্পিউটার ইনচার্জ অমিত দাস শিবু (৩৬) হত্যা মামলায় ফয়সল আহমদ (৩২) নামে একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

গত শনিবার (২৭ এপ্রিল) তাকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে সোমবার (২৯ এপ্রিল) গ্রেফতার দেখায় পুলিশ।

গ্রেফতারকৃত ফয়সল নগরীর শাহী ঈদগাহ এলাকার হাজারিবাগের ৪৮নং বাসার মৃত আ. মুকিতের ছেলে। তাকে সোমবার আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।

পুলিশ জানায়, ফয়সল একজন দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসী। তার বিরুদ্ধে চুরি-ছিনতাই-ডাকাতিসহ নানা অভিযোগে বিভিন্ন থানায় মামলা রয়েছে।

সোমবার রাতে সিলেট মহানগর পুলিশের এডিসি (মিডিয়া) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম জানান, গ্রেফতারকৃত আসামি ফয়সল আহমদসহ আরও কয়েকজন মিলে গত বৃহস্পতিবার রাতে অমিত দাস শিবুকে মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে এলোপাথাড়ি কিল, ঘুষি, লাথি মারে। আসামিদের একজন অমিতের ব্যবহৃত মোটরসাইকেলের হেলমেট দিয়ে শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করে।

মারধরের একপর্যায়ে অমিত অচেতন হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। পরে তার মৃত্যু নিশ্চিত করে দ্রুত ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এয়ারপোর্ট থানার ওসি (তদন্ত) দেবাংশু কুমার দে জানান, ফয়সল আহমদকে গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে। মঙ্গলবার তাকে রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করা হবে।

এর আগে শনিবার দুপুরে নিহত অমিত দাসের বড় ভাই অনুকূল দাস (৪২) বাদি হয়ে নগরীর পুলিশের এয়ারপোর্ট থানায় অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

উল্লেখ্য গত বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে নগরীর এয়ারপোর্ট থানাধীন শাহী ঈদগাহ এলাকার হাজারিবাগ দলদলি চা-বাগানসংলগ্ন মাঠ থেকে অমিত দাস শিবুর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

পরদিন শুক্রবার বিকেলে ময়নাতদন্ত শেষে চালিবন্দর মহাশশ্মানে মরদেহ দাহ করা হয়।

নিহত অমিত দাশ শিবু সুনামগঞ্জ জেলার দিরাই উপজেলার এলেংজুড়ি গ্রামের মৃত গৌর চাঁদ দাসের ছেলে। তিনি দুই সন্তানের জনক। সপরিবারে তিনি নগরীর কানিশাইল এলাকায় বসবাস করছিলেন।

;

এবার টেকনাফ থেকে অপহৃত হলো তৃতীয় শ্রেণি পড়ুয়া শিশু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কক্সবাজার
এবার টেকনাফ থেকে অপহৃত হলো তৃতীয় শ্রেণি পড়ুয়া শিশু

এবার টেকনাফ থেকে অপহৃত হলো তৃতীয় শ্রেণি পড়ুয়া শিশু

  • Font increase
  • Font Decrease

কক্সবাজার টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়নের জাদিমুড়া নয়াপাড়া শাল বাগান রাস্তার মাথা থেকে মো. সাইফ (৯) নামের এক ছাত্রকে অপহরণ করেছে অপহরণ চক্রের সদস্যরা। অপহৃত ভিক্টিম জাদিমুড়ার রহমানিয়া হোসাইনিয়া মাদরাসার নুরানি বিভাগের তৃতীয় শ্রেণির ছাত্র ও মৃত মোহাম্মদ হোছনের ছেলে। উক্ত ঘটনায় ভুক্তভোগীকে উদ্ধারের জন্য টেকনাফ মডেল থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।

সোমবার (২৯ এপ্রিল) বিকালে ছাত্রের মামা জামাল উদ্দীন জানান, রোববার বিকালে মাদরাসা থেকে বাড়ি ফেরার পথে নয়াপাড়া শাল বাগান রাস্তার মাথা থেকে তাকে অপহরণ করা হয়।

তিনি আরও জানান, প্রতিদিনের মত মাদরাসা ছুটি হয়ে রাত হলেও ছেলে বাড়িতে ফিরে না আসায় আমরা বাড়ির লোকজন তাকে খুঁজ করতে বের হয়। অনেক খুঁজাখুঁজির পরে না পেয়ে বাড়িতে ফিরে আসি। পরে সকালে একটি মোবাইলফোন থেকে বাড়িতে কল করে বলে সাইফকে পেতে ২০ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ দিতে হবে, না হয় তাকে পাওয়া সম্ভব না বলে মোবাইল কেটে দেন। তখন জানতে পেরেছি তাকে অপহরণ করা হয়েছে।

ভিক্টিমের ভাই রিয়াজ উদ্দীন জানান, আমার পিতা নাই। বেশি টাকাও নাই। অপহরণকারীরা এত টাকা মুক্তিপণ দাবি করে আমরা তা কীভাবে দেব। আমার ভাইকে জীবিত উদ্ধারে প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করছি।

এ বিষয়ে তাহার সহপাঠী ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মাদরাসা ছুটি শেষে বাড়ি ফেরার পথে সাইফকে একজন যুবক এসে বলে, তোমার ভাবি আমার থেকে ৫ হাজার টাকা পাবে সেগুলো নেওয়ার জন্য বাড়িতে যায়। এর পরও যখন ভিক্টিমকে বিশ্বাস করাতে পারছিল না তখন অপহরণ চক্রের সদস্য তাহার মোবাইল থেকে সাইফের ভাবিকে কল দিয়ে কথা বলিয়ে দেওয়ার অভিনয় করে ১০ টাকার একটি নোট হাতে দিয়ে তাকে ফুসলিয়ে নিয়ে যায়।

টেকনাফ মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক (অপারেশন) আব্দুর রাজ্জাক জানান, ঘটনাটি শুনেছি। তাকে উদ্ধারে পুলিশ কাজ করছে।

;

কক্সবাজারে র‍্যাব-ডাকাতের গোলাগুলিতে কৃষক নিহত



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কক্সবাজার
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

কক্সবাজারের ভারুয়াখালীতে র‍্যাব-ডাকাতের গোলাগুলিতে বায়াত উল্লাহ নামের এক কৃষক নিহত হয়েছে।

সোমবার (২৯ এপ্রিল) সন্ধ্যার দিকে কক্সবাজার সদর উপজেলার ভারুয়াখালী ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ড মুরা পাড়ায় এঘটনা ঘটে।

জানা গেছে, বেসরকারি সংস্থা প্রত্যাশীর এনজিও কর্মী মাসুদ চৌধুরী আজ বিকেলে অপহরণের স্বীকার হয়। বিষয়টি র‍্যাব জানতে পেরে ভারুয়াখালীর ৯ নং ওয়ার্ড মুরা পাড়ায় এলাকার পাহাড়ে র‍্যাব অভিযান পরিচালনা করে। ওই অভিযানে র‍্যাবকে লক্ষ্য করে গুলি ছোঁড়ে ডাকাতরা। এসময় এক পর্যায়ে একজন নিরীহ কৃষক গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যুবরণ করে।

নিহত বায়াত উল্লাহর ভাই করিম উল্লাহ জানান, শেরে বাহিনীর প্রধান ডাকাত ফরহাদ-মোস্তক এঘটনা ঘটিয়েছে। তারা আমাদের এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে। তারা বাজারে আসলে সবার মোবাইল ফোনের ভিডিও ক্যামেরা বন্ধ রাখার নির্দেশ দিতো।

এঘটনায় এনজিও কর্মী মাসুদ চৌধুরীকে মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করেছে র‍্যাব। এসময় ডাকাত ফরহাদকে আটক করেছে বলে র‍্যাব সূত্রে জানা গেছে।

;