হাটহাজারীতে বাস-অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ২
চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে যাত্রীবাহী বাসের সঙ্গে সিএনজিচালিত অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে দুইজন নিহত হয়েছেন। এঘটনায় আরও দুইজন আহত হয়েছেন।
শনিবার (২৫ মে) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে উপজেলার মির্জাপুর ইউনিয়নের মুহুরীহাট বটতল এলাকায় চট্টগ্রাম-খাগড়াছড়ি মহাসড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন, হাটহাজারীর ফরহাদাবাদ ইউনিয়নের উদালিয়া এলাকার বাসিন্দা আব্দুল মোতালেব টুকু (৭০) ও ধলই ইউনিয়নের মনিয়াপুকুর এলাকার বাসিন্দা মো. আবছার (৫৫)। তারা দুজনই অটোরিকশার যাত্রী। এঘটনায় আহত দুজনের নাম জানা যায়নি। তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
বিষয়টি বার্তা২৪.কমকে নিশ্চিত করেছেন নাজিরহাট হাইওয়ে থানার উপপরিদর্শক মো. আনিসুল ইসলাম।
ঘূর্ণিঝড় রেমাল
রাতেই দেখানো হতে পারে মহাবিপদ সংকেত: প্রতিমন্ত্রী
বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড় রেমালের ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে রাতেই মহাবিপদ সংকেত দেখানো হতে পারে বলে জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মুহিববুর রহমান।
শনিবার (২৫ মে) দুপুরে সচিবালয়ে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে আলাপকালে প্রতিমন্ত্রী এ কথা জানান।
দুর্যোগ প্রতিমন্ত্রী বলেন, একটি সাইক্লোন আসার সম্ভাবনা রয়েছে। ইতোমধ্যে সাগরে এক নম্বর সংকেত রয়েছে। আগামী এক-দুই ঘণ্টার মধ্যে সংকেত বাড়বে এবং রাতেই মহাবিপদ সংকেত দেওয়া হতে পারে।
তিনি বলেন, ঘূর্ণিঝড় রেমালের আঘাতে কক্সবাজার থেকে সাতক্ষীরার উপকূল অঞ্চল বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। ৭ থেকে ৮ ফুট জলোচ্ছ্বাস হতে পারে। প্রচুর বৃষ্টিপাত হবে, এজন্য পাহাড়ি অঞ্চলে ভূমিধস হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় মন্ত্রণালয়ের সব প্রস্তুতি রয়েছে। ৮০ হাজার স্বেচ্ছাসেবক ও উপকূলে ৪ হাজার আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত আছে।
তিনি আরও বলেন, আবহাওয়া অধিদফতরের তথ্য অনুযায়ী এখন থেকে আমরা ঝড়ের জন্য প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছি। সব জেলায় আমাদের খাদ্য গুদাম রয়েছে। সেখানে দুর্যোগ মোকাবিলার জন্য পর্যাপ্ত খাবার ও সরঞ্জাম বিদ্যমান রয়েছে।
এদিকে, ঢাকা আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত গভীর নিম্নচাপটি আরও ঘনীভূত হয়ে ঘূর্ণিঝড় রেমালে রূপ নিতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। শুধু তাই নয়, ঘূর্ণিঝড়টি অতিপ্রবল হয়ে আঘাত হানতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এ পরিস্থিতিতে দেশের বিভিন্ন স্থানে ঝড়বৃষ্টি হতে পারে। কোথাও কোথাও হতে পারে অতি ভারি বর্ষণ।
ভারতের আবহাওয়া দফতর (আইএমডি) বলছে, রোববার সন্ধ্যায় ‘রেমাল’ নাম নিয়ে ঘূর্ণিঝড়টি বাংলাদেশ ও ভারতের পশ্চিমবঙ্গের উপকূলীয় অঞ্চলে আঘাত হানতে পারে। ওই সময় ঘূর্ণিঝড়টির বাতাসের গতিবেগ থাকবে ঘণ্টায় ১০০ থেকে ১২০ কিলোমিটার।
এমপি আনারের দেহাবশেষ খুঁজতে ফের তল্লাশি সিআইডির
এমপি আনোয়ারুল আজীম আনারের খণ্ডিত মরদেহ খুঁজতে আবারও তল্লাশি চালাচ্ছে পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ (সিআইডি)। কসাই জিহাদ হাওলাদারের দেয়া তথ্যানুয়ায়ী শনিবার (২৫ মে) সঞ্জীভা গার্ডেনে জাল নিয়ে বিভিন্ন অংশে তল্লাশি চালাচ্ছেন তারা।
সিআইডির আশঙ্কা, এমপি আনরের মরদেহের খণ্ডিত অংশ এরই মধ্যে হয়তো চলে গেছে বিভিন্ন জলজ প্রাণীর পেটে।
আজীম হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্দেহে বনগাঁ সীমান্ত থেকে বৃহস্পতিবার গ্রেফতার করা হয় জিহাদকে। এরপর শুক্রবার আদালতের নির্দেশে নিজেদের হেফাজতে পাওয়ার পর পশ্চিমবঙ্গ সিআইডির গোয়েন্দাদের জেরায় খুনের পর ফ্ল্যাটেই দেহ টুকরো টুকরো করে লোপাটের লোমহর্ষক তথ্য স্বীকার করে সে।
জিহাদকে গ্রেফতারের পরই তার দেয়া তথ্য অনুযায়ী এমপি আনোয়ারুল আজীম আনারের দেহাবশেষের উদ্ধারের জন্য বৃহস্পতিবার রাতেই কলকাতা সংলগ্ন দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার ভাঙ্গড়-পোলেরহাট এলাকার ব্যাপক তল্লাশি চালায় সিআইডি। তবে মরদেহের কোনো অংশ খুঁজে পাওয়া যায়নি। এরপর আজ আবারও তল্লাশিতে নেমেছে সিআইডি।
এদিকে কলকাতায় খুন হওয়া বাংলাদেশি সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনারের মরদেহ অন্তত ৮০ টুকরায় বিভক্ত করা হয়। পরে তা ফেলা হয় খালসহ বিভিন্ন স্থানে। পশ্চিমবঙ্গের গোয়েন্দা বিভাগ সিআইডির জিজ্ঞাসাবাদে এমনটাই জানিয়েছেন জিহাদ হাওলাদার।
মূলত আনারকে হত্যার জন্য ভারতের মুম্বাই থেকে ‘কসাই’ খ্যাত জিহাদ হাওলাদারকে কলকাতায় আনা হয়। কলকাতায় গ্রেফতার হওয়ার পর আনোয়ারুলকে হত্যার পর কীভাবে তার মরদেহ টুকরা টুকরা করে ফেলে দেওয়া হয়, তার রোমহর্ষক বর্ণনা দিয়েছেন তিনি।
শ্যামনগরে ডাম্পারে পিষ্ট হয়ে কলেজ শিক্ষার্থী নিহত
সাতক্ষীরার শ্যামনগরে ইটভাটার ডাম্পারের চাকায় পিষ্ট হয়ে পলাশ আউলিয়া (১৮) নামে এক কলেজ শিক্ষার্থী নিহত হয়েছেন।
শনিবার (২৫ মে) সকাল ৯টার দিকে উপজেলার আটুলিয়া ইউনিয়নের নওয়াবেকী-আড়পাঙ্গাশিয়া সড়কের বড়কুপট এলাকার মেসার্স জামান ব্রিকসের সামনে এ দুর্ঘটনাটি ঘটে।
নিহত পলাশ উপজেলার মুন্সিগঞ্জ ইউনিয়নের জেলেখালি এলাকার ভোলানাথ আউলিয়ার ছেলে ও নওয়াবেকী ডিগ্রি কলেজের একাদশ শ্রেণির মানবিক বিভাগের ছাত্র।
নিহত পলাশের সহপাঠী রিয়াদ হোসেন ও সুদীপ মণ্ডল জানান, পলাশ আটুলিয়া ইউনিয়নের বয়ারশিং গ্রামে তার দাদু শচীন মণ্ডলের বাড়িতে থেকে পড়াশোনা করতো। শনিবার সকালে সেখান থেকে সহপাঠী সাদিকের মোটরসাইকেলে করে কলেজে আসার পথে মেসার্স জামান ব্রিকসের সামনে পৌঁছালে একটি ডাম্পার ট্রাক্টর তাদের মোটরসাইকেলকে ধাক্কা দেয়। এতে পলাশ ছিটকে ডাম্পারের তলায় পড়ে যায়। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে শ্যামনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়ার পথে পলাশের মৃত্যু হয়। তবে সঙ্গে থাকা সহপাঠী সাদিক প্রাণে বেঁচে যায়।
শ্যামনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. শাকির হোসেন বলেন, হাসপাতালে আনার আগেই পলাশের মৃত্যু হয়।
এদিকে, এই ঘটনার পর বিক্ষুব্ধ জনতা ঘাতক ডাম্পারটিতে আগুন ধরিয়ে দেয় ও জামানের ইটভাটা (মেসার্স জামান ব্রিকস) ভাঙচুর শুরু করে। বর্তমানে ওই এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।
শ্যামনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবুল কালাম আজাদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।