জাতীয় ফ্রন্ট থেকে এরশাদের জাপা



সেরাজুল ইসলাম সিরাজ, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ

হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ

  • Font increase
  • Font Decrease

১৯৮৫ সালের ১৬ আগস্ট তৎকালীন রাষ্ট্রপতি এরশাদের নীতি ও আদর্শ বাস্তবায়নের অঙ্গীকারে নিয়ে জাতীয় ফ্রন্ট গঠিত হয়েছিল। জোটের শরীকদল হিসেবে ছিল জনদল, ইউপিপি, গণতান্ত্রিক পার্টি, বিএনপি (শাহ) মুসলিম লীগ (সা)।

রাজনৈতিক দলের বাইরেও বিভিন্ন শ্রেণির পেশার মানুষ ও রাজনৈতিক নেতা ফ্রন্টে যোগ দিয়েছিলেন। ক্ষেত্র বিশেষ চাপ প্রয়োগ করে যোগদানেও বাধ্য করা হয়। জাতীয় ফ্রন্ট গঠনের ৪ মাস ১৪ দিনের মাথায় ১৯৮৬ সালের ১ জানুয়ারি ফ্রন্ট বিলুপ্ত করে জাতীয় পার্টি গঠন করা হয়।

আরও পড়ুন:  এরশাদ মারা গেছেন

জাতীয় ফ্রন্টের ধানমণ্ডিস্থ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সাংবাদিক সম্মেলনের মাধ্যমে জাতীয় পার্টি গঠনের ঘোষণা দেওয়া হয়। এতে শরিক দলের নেতারা তাদের নিজেদের দল বিলুপ্ত করে জাতীয় পার্টিতে যোগ দেন।

নবগঠিত পার্টির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান নিযুক্ত হন রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ এবং মহাসচিব নিযুক্ত হন অধ্যাপক এমএ মতিন। পার্টির কাউন্সিল না হওয়া পর্যন্ত-জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য সচিব হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন আনোয়ার জাহিদ। ২১ সদস্যের প্রেসিডিয়াম, ৫৭ সদস্যের জাতীয় নির্বাহী কমিটিসহ ৬০১ সদস্যের জাতীয় নির্বাহী কমিটি গঠনের ঘোষণা দেওয়া হয়।

পার্টি গঠনের ঘোষণায় বলা হয় দেশের সকল গণতন্ত্রকামী জাতীয়তাবাদী দেশপ্রেমিক শক্তিগুলোর বিভক্তির প্রবণতা কাটিয়ে একটি একক রাজনৈতিক দলে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার প্রয়োজনীয়তা থেকে জাতীয় পার্টি গঠন করা হয়েছে।

সামরিক শাসকের ‍হাত ধরে প্রতিষ্ঠা পাওয়া জাতীয় পার্টি শুরু থেকেই এরশাদকে কেন্দ্র করেই আবর্তিত হয়ে আসছে। দু-একবার যারাই এরশাদের সিদ্ধান্তে দ্বিমত করতে গেছেন তাদের দল থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে। আবার অনেক নেতা একাধিক দফায় শোকজ নোটিশ পেয়েছেন বা সাময়িক বহিষ্কারের শিকার হয়েছেন। শোকজের ক্ষেত্রে এরশাদ ছাড় দেননি আপন ভাই জিএম কাদের ও সহধর্মিনী রওশন এরশাদকেও।

আরও পড়ুন:  রংপুরই হোক এরশাদের শেষ ঠিকানা

নানা কারণে জাতীয় পার্টির মতো আর কোনো রাজনৈতিক দল সম্ভবত এতো বেশি দফায় ভাঙনের শিকার হয়নি। প্রথম দল জাতীয় পার্টি থেকে বের হয়ে গিয়ে পৃথক জাতীয় পার্টি (মিম) গঠন করেন মিজানুর রহমান ও আনোয়ার হোসেন মঞ্জু। এরপর আরেক দফায় ভাঙনের শিকার হয় নাজিউর রহমান মঞ্জু ও কাজী ফিরোজ রশীদের নেতৃত্বে।

সর্বশেষ এরশাদকে বহিষ্কার করে নিজে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হন প্রয়াত কাজী জাফর আহমেদ। বর্তমানে জাতীয় পার্টি, জাপা, জেপি, বিজেপি ও জাপা (জাফর) নামে চারটি ধারা বিদ্যমান।

চারটি খণ্ডিত অংশের মধ্যে জাতীয় পার্টি জাপা, জাতীয় পার্টি (জেপি) আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন জোটের সঙ্গে সম্পৃক্ত। অপর দুই অংশ বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি (বিজেপি) ও জাতীয় পার্টি (জাফর) বিএনপির নেতৃত্বাধীন জোটের সঙ্গে যুক্ত।

গণ অভ্যত্থানের মধ্য দিয়ে ক্ষমতাচ্যুত এই দলটিকে নানা চড়াই উৎরাই পাড়ি দিতে হয়েছে। কয়েক দফায় ভাঙন আর নেতাদের দল ছেড়ে যাওয়া কারণে ক্ষয়িষ্ণু হয়ে পড়েছে দলটি। ভোটের সমীকরণেও দিন দিন পিছিয়ে পড়ছে। আসনের সংখ্যায় কিছুটা হেরফের হলেও ভোটের সূচক দিনকে দিন কেবলই নিম্নগামী।

গণ আন্দোলনের মুখে বিদায়ের পর ১৯৯১ সালে নির্বাচনে যতো ভোট পড়েছিল তার ১১.৯২ শতাংশ পেয়েছিল জাতীয় পার্টি। এরপর ১৯৯৬ সালের নির্বাচনে ১০.৬৭ শতাংশ, আর ২০০১ সালের ইসলামী জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের ব্যানারে নির্বাচনে অংশ নিয়ে তারা ভোট পেয়েছে ৭.২৫ শতাংশ। সর্বশেষ ২০০৮ সালের নির্বাচনে পেয়েছে মাত্র ৭.৪ শতাংশ।

২০০৮ সালে আওয়ামী লীগের সঙ্গে জোটবদ্ধভাবে নির্বাচন অংশ নেয়। কিন্তু যে আসনেই জোট ছাড়া নির্বাচন করেছে সেখানেই ধরাশায়ী হয়েছেন দলটির প্রার্থীরা।

জাতীয় পার্টির দুর্গ বলে খ্যাত রংপুর ও গাইবান্ধার তিনটি আসনেও বিপুল ভোটে পরাজিত হয়েছেন দলটির হেভিওয়েট প্রার্থীরা। রংপুর-৪ (পীরগাছা-কাউনিয়া) আসনে আওয়ামী লীগ নেতা টিপু মুনশির কাছে পরাজিত হন টানা কয়েকবারের সংসদ সদস্য জাতীয় পার্টির ডোনার বলে খ্যাত আরকে গ্রুপের কর্ণধার প্রেসিডিয়াম সদস্য করিম উদ্দিন ভরসা।

অন্যদিকে রংপুর-৫ (মিঠাপুকুর) আসনে আওয়ামী লীগ নেতা এইচএন আশিকুর রহমানের কাছে পরাজিত হন  আরডি গ্রুপের কর্ণধার আখম জাহাঙ্গীর হোসেন। রংপুরের পর গাইবান্ধাকে ধরা হয় জাতীয় পার্টির দ্বিতীয় দুর্গ বলে। সেখানেও জাতীয় পার্টির সাবেক নেতা অ্যাডভোকেট ফজলে রাব্বি মিয়ার কাছে পরাজিত হন জাপার সেকেন্ড ইন কমান্ড বলে খ্যাত সাবেক ফার্স্ট লেডি রওশন এরশাদ। সর্বশেষ নির্বাচনে রংপুর ও গাইবান্ধায় জাতীয় পার্টির মাত্র তিনজন এমপি নির্বাচিত হয়েছেন।

বিগত নির্বাচনে জাতীয় পার্টি আওয়ামী লীগের সঙ্গে জোটগতভাবে নির্বাচনে অংশ নেয়। জোট থেকে ২৬টি আসন দেওয়া হয়। আর ১৪৬টি আসন রাখা হয় উন্মুক্ত। জোটগত আসনে ২১টি, উন্মুক্ত একটি নিয়ে মোট ২২টি আসনে বিজয়ী হয় এরশাদের প্রার্থীরা। সংসদে মহিলা এমপির সংখ্যা তাদের চারজন। ২৬ আসন নিয়ে বিরোধীদলের চেয়ার অলংকৃত করে আসছেন।

নানা টানা পোড়েনের মধ্য দিয়ে যাওয়া পার্টির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ঘোষণা নিয়েও অনেক জটিলতার মধ্য দিয়ে যেতে হয় এরশাদকে। একবার ঘোষণা দিয়েও প্রত্যাহার করেছিলেন। পরে রংপুরের নেতাদের আন্দোলনের মুখে ছোটো ভাই জিএম কাদেরকে দ্বিতীয় দফায় ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ঘোষণা করেছেন। বিষয়টিতে ভালো ভাবে দেখছেন না রওশন পন্থীরা। যে কারণে এরশাদের অবর্তমানে পার্টির মধ্যে আরেকটি জটিলতা দেখা দিতে পারে বলে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন নেতারা।

আরও পড়ুন: 

 এরশাদের দাফন ঢাকায়!

৪ স্থানে এরশাদের জানাজা

এরশাদের মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রীর শোক

   

রিজার্ভ নিয়ে দুশ্চিন্তার কিছু নেই: প্রধানমন্ত্রী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, রিজার্ভ নিয়ে দুশ্চিন্তার কিছু নেই, আপদকালীন খাদ্যের মজুদ আছে।

বৃহস্পতিবার (২৩ মে) সন্ধ্যা ৭টায় ১৪ দলীয় জোটের নেতাদের সাথে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে এক বৈঠকে তিনি এ কথা বলেন।।

সভায় সভাপতিত্ব করছেন কেন্দ্রীয় ১৪ দলীয় জোট নেত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা।

;

যশোর সদর উপজেলা পরিষদের নির্বাচন স্থগিত



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, যশোর
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

যশোর সদর উপজেলা নির্বাচন স্থগিত করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। বৃহস্পতিবার (২৩ মে) স্থগিত আদেশ দেয়া হয়। ইসির উপ-সচিব মো. আতিয়ার রহমান সিদ্ধান্তটি বাস্তবায়নে রিটার্নিং কর্মকর্তাকে নির্দেশনা পাঠিয়েছেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন অতিরিক্ত জেলা নির্বাচন অফিসার ও রিটার্নিং কর্মকর্তা আব্দুর রশিদ।

এতে বলা হয়েছে, ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদের ৩য় ধাপে ২৯ মে অনুষ্ঠেয় যশোর জেলার সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে মো. শাহারুল ইসলাম হাইকোর্ট বিভাগে মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণার জন্য রিট পিটিশন দায়ের করলে হাইকোর্ট বিভাগ ১৩ মে আদেশে মো. শাহারুল ইসলামকে নির্বাচনে অংশগ্রহণসহ তার অনুকূলে প্রতীক বরাদ্দের জন্য আদেশ দেন। পরবর্তীতে হাইকোর্টের এ আদেশের বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশন আপিল বিভাগে সিপিএলএ নং ১৭১৩/২২৪ দায়ের করলে ২০ মে ২০২৪ তারিখের আদেশে ‘নো-অর্ডার দেওয়া হয়। এমতাবস্থায় বাস্তবতার নিরীখে বাংলাদেশ সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগের এ আদেশ বাস্তবায়নের নিমিত্ত পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত আগামী ২৯ মে অনুষ্ঠেয় যশোর সদর উপজেলা পরিষদের সাধারণ নির্বাচনের সব পদের নির্বাচন স্থগিত রাখার জন্য নির্বাচন কমিশন এ সিদ্ধান্ত দেন।

;

ত্রিশালের ট্রিপল মার্ডার: স্ত্রী ও দুই সন্তানকে হত্যার পর পুঁতে রাখেন আলী



Sajid Sumon
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ময়মনসিংহের ত্রিশালে চাঞ্চল্যকর নারী ও দুই শিশু সন্তান হত্যাকাণ্ডের রহস্যভেদ করেছে জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। এ ঘটনায় গ্রেফতার হওয়া নিহত নারীর স্বামী আলী হোসেন (২৫) লোমহর্ষক এই হত্যাকাণ্ডে নিজের সম্পৃক্ততা স্বীকার করে পুলিশের কাছে স্বীকারোক্তি দিয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৩ মে) দুপুর পৌনে ৩টায় জেলা পুলিশ সুপারের সম্মেলন কক্ষে এক সংবাদ ব্রিফ্রিংয়ে এই তথ্য জানান জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম) মো: শামীম হোসেন।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ঘাতক আলী হোসেন ২০১২ সালে দায়ের হওয়া আরও একটি ধর্ষণ ও হত্যা মামলার আসামি। ওই মামলায় সে টানা পাঁচ বছর কারাভোগ করে ২০১৭ সালের আগস্টে জামিনে মুক্তি লাভ করে। এরপর সে ২০১৯ সালে তার আপন মামাত বোন আমেনা খাতুনকে বিয়ে করে দিন মজুরি করে জীবিকা নির্বাহ করছিল। এরই মাঝে তাদের দাম্পত্য জীবনে আবু বক্কর সিদ্দিক ও আনাছ নামে দুটি ছেলে সন্তানের জন্ম হয়। ফলে তার চার সদস্যের সংসারে অভাব-অনট লেগেই থাকত। এ কারণে সম্প্রতি সে একটি এনজিও থেকে এক লাখ ৭০ হাজার টাকা ঋণ করে। ওই ঋণের কিস্তি পরিশোধ করতে না পারায় প্রায়ই তাদের অপমান করা হত। এতে হতাশ আলী হোসেন স্ত্রী-সন্তানদের হত্যা করে নিজেও আত্মহত্যার পরিকল্পনা করে। এরই মাঝে গত ১৬ মে রাতে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া হলে গভীর রাতে স্ত্রীকে ঘুম থেকে ডেকে তুলে গলায় ওড়না পেচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে আলী হোসেন। এরপর মৃত স্ত্রীর ওড়না দিয়ে ঘুমন্ত দুই সন্তানকে হত্যা করে বাড়ির পাশের নির্জন স্থানে গর্ত করে মাটিতে পুতে রেখে পালিয়ে যায় সে।

এ ঘটনায় নিহত আমেনা খাতুনের মা হাসিনা খাতুন গত ২২ মে ত্রিশাল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করলে জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ আসামি গ্রেফতারে অভিযান শুরু করে। এরপর গতকাল ২২ মে বিকালে গাজিপুর জেলার শ্রীপুর বাজার এলাকা থেকে আলী হোসেনকে গ্রেফতার করে ডিবি পুলিশ।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ট্রাফিক) মোহাইমেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) ফালগুনি নন্দী, সহকারি পুলিশ সুপার তাহমিনা, জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো: ফারুক হোসেনসহ এই গ্রেফতার অভিযানে অংশ নেওয়া ডিবি পুলিশের সদস্যরা।

এর আগে গত ২১ মে বিকাল সাড়ে তিনটার দিকে উপজেলার রামপুর ইউনিয়নের কাকচর নয়াপাড়া গ্রামে একটি নির্জন স্থানে শিয়ালের টানাহেচড়ায় এক নারী ও দুই শিশুকে মাটি খুড়ে পুতে রাখার ঘটনার সন্ধান পায় এলাকাবাসী। এ ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ নিহতদের লাশ উদ্ধার করে। নিহতরা হলেন- ঘাতক আলী হোসেনের স্ত্রী আমেনা খাতুন (৩০), তার শিশুপুত্র আবু বক্কর সিদ্দিক (৪) ও আনাছ (২)।

;

চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্যরা ভাতা বাবদ টাকা নিলে ব্যবস্থা: সমাজকল্যাণমন্ত্রী



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, টাঙ্গাইল
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

সমাজকল্যাণমন্ত্রী দীপু মনি বলেছেন, চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্যদের বিরুদ্ধে যদি ভাতা কার্ড করে দেওয়ার কথা বলে টাকা নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া যায় তাহলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। যারা এই ধরনের অনৈতিক কাজে লিপ্ত তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করছে মন্ত্রণালয়।

বৃহস্পতিবার (২৩ মে) দুপুরে টাঙ্গাইলের কুমুদিনী কমপ্লেক্সে প্যালিয়েটিভ কেয়ার সোসাইটি অব বাংলাদেশ এবং ভারতের কেরালার প্রতিষ্ঠান ইনস্টিটিউট অব প্যালিয়েটিভ মেডিসিনের যৌথ উদ্যোগে কর্মশালার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।

তিনি বলেন, ইদানীং দেখা যাচ্ছে ভাতার সিম অনেকে হাতিয়ে নেয় ও একটি চক্র গড়ে উঠেছে যারা রকেট, নগদ ও বিকাশের মাধ্যমে পিন কোড নিয়ে টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। এই চক্রের বিরুদ্ধেও মন্ত্রণালয় ব্যবস্থা নিচ্ছে।

মন্ত্রী ঝিনাইদহ-৪ আসনের এমপি আনোয়ারুল ইসলাম আজিম আনার বিষয়ে বলেন, দুঃখ প্রকাশ করছি যে আমাদের একজন জনপ্রিয় সংসদকে হারালাম। ভারতীয় পুলিশ ও বাংলাদেশ পুলিশ আসামিদের আটক করেছে। আশা করছি খুব দ্রুত মূল ঘটনা জানা যাবে।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন কুমুদিনী ওয়েলফেয়ার ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রাজিব প্রসাদ সাহা, পরিচালক প্রতীভা মুৎশুদ্দি, শ্রীমতি সাহা, শম্পা সাহা, কুমুদিনী হাসাপতালের পরিচালক ড. প্রদীপ কুমার সাহা।

;