নওগাঁয় ধানের ন্যায্য দাম পাচ্ছেন না কৃষক



শহিদুল ইসলাম, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নওগাঁ
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

নওগাঁয় বোরো ধান কাটা-মাড়াই চলছে। প্রান্তিক বিভিন্ন হাট-বাজারে ধান বিক্রি করছেন কৃষকরা। ধান হাটে ওঠার পর থেকে দাম ওঠা-নামা করছে। তবে সরকার বেঁধে দেয়া দামের চেয়ে হাটে অনেক কম দামে মোটা ধান বিক্রি হচ্ছে। সরকার বেঁধে দেয়া দামে বিক্রি করতে না পেরে হতাশ কৃষকরা। এতে করে লোকসানের আশঙ্কা করছেন তারা।

কৃষকরা বলছেন, সরকার নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে খোলাবাজারে অনেক কম মূল্যে বিক্রি করতে হচ্ছে। ব্যবসায়ীরা ধানের দাম পেলেও ন্যায্য দাম পাওয়া থেকে বঞ্চিত হতে হয় তাদের। বাজার মনিটরিংয়ের দাবি জানিয়েছে তারা।

কৃষকরা শ্রমে-ঘামে ধানের আবাদ করেছেন। তবে ফসল হাটে বিক্রি করতে গিয়ে ন্যায্য দাম না পেয়ে কৃষকদের মুখের হাসি মলিন হয়ে যাচ্ছে। কৃষকের চোখে মুখে হাসির ঝিলিক আর নেই। হাটে মোটা জাত হাইব্রিড ধান ৯০০ টাকা থেকে ১ হাজার টাকা মণ দরে বিক্রি হচ্ছে। আর খাটো-১০ জাত ১১০০ টাকা। তবে সরু বা চিকন ব্রি-৯০ জাতের ধান ১২৩০-১২৮০ টাকা, কাটারিভোগ ১২০০ টাকা ও সুভলতা ১১০০ টাকা মণ দরে বিক্রি হচ্ছে। সরকার মোটা জাতের ধানের দাম নির্ধারিত করে দিয়েছে ১২৮০ টাকা মণ। সেখানে খোলা বাজারে সরু বা চিকন জাতের ধান বিক্রি হচ্ছে সরকারি মূলে। আর মোটা ধান মনে প্রায় ২০০-২৫০ টাকা কমে। সরকারি মূল্যের চেয়ে খোলাবাজারে অনেক কম দামে ধান বিক্রি করতে হচ্ছে। ব্যবসায়ীরা ধানের দাম পেলেও ন্যায্য দাম পাওয়া থেকে বঞ্চিত হতে হচ্ছে কৃষকরা।

কৃষকরা বলছেন, ধান রোপণ থেকে শুরু করে কাটা মাড়াই পর্যন্ত খরচ হয়েছে অন্তত ১৪-১৫ হাজার টাকা। বিঘাপ্রতি ফলন হচ্ছে ২২-২৪ মণ। মৌসুমের শুরুতে ব্যবসায়িদের সিন্ডিকেটে কম দামে বিক্রি করতে বাধ্য হন ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক চাষীরা। এ বছর মৌসুমের শুরু থেকে তীব্র তাবদাহ ও খরা বইছে। প্রচণ্ড গরমে জমিতে ঠিকমতো পানি সেচ দেয়া সম্ভব হয়নি। এছাড়া পোকার উপদ্রব হয়েছে। এতে করে বিঘাপ্রতি ৩-৪ মণ ফলন কম হয়েছে। আবার বাজারে বিক্রি করতে এসে কম দামে দিতে হচ্ছে।

মহাদেবপুর উপজেলার তেরমাইল এলাকার কৃষক রফিক ইসলাম বলেন, এ বছর আবহাওয়ার কারণে ধান উৎপাদন খরচ কিছুটা বেশি হয়েছে। আবার ধানের ফলনও কিছুটা কম হয়েছে। সরু জাতের ব্রি-৯০ ধান বিক্রি হচ্ছে ১৩ শ টাকা মন। যেখানে সরকার মোটা ধান ১২৮০ টাকা দাম বেঁধে দিয়েছে। এ ধান ১৬ শ টাকা মন দরে বিক্রি হলে কৃষকদের জন্য সুবিধা। কিন্তু আমাদের পক্ষে বিক্রি করা সম্ভব হচ্ছে না।


একই উপজেলার গাহলি গ্রামের কৃষক সুমন চন্দ্র বলেন, আমরা হাটে ধান বিক্রি করতে এসে ন্যায্য দাম পাচ্ছি না। সরকারি দামের চেয়ে মোটা ধান অনেক কম দামে বিক্রি করতে হচ্ছে। এ অবস্থায় কৃষকদের সুবিধার জন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে বাজার মনিটরিং করা প্রয়োজন।

ধান ব্যবসায়ী জামান হোসেন বলেন, বিগত বছরে আমরা হাটে ধান কিছুটা বেশি কিনেত মজুত করতে পারতাম। এজন্য দাম কিছুটা বেশি ছিল। তবে এ বছর বেশি করে ধান কীনা সম্ভব হচ্ছে। যে পরিমাণ ধান কেনা হচ্ছে তা চাল উৎপাদনের জন্য চালকলে পাঠানো হচ্ছে। মজুতবিরোধ অভিযানের ভয়ে বেশি করে ধান কিনে রাখা সম্ভব হচ্ছে না। যদি মজুত করা সম্ভব হতো তাহলে ধানের দাম আরও ১০০-১৫০ টাকা বাজার বেড়ে যাবে।

নওগাঁ চালকল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ফরহাদ হোসেন চকদার বলেন, কৃষকরা হাট-বাজারে যে ধান নিয়ে আসে তাতে, কিছুটা ভেঁজা, চিটা এবং ও ধুলা-বালি যুক্ত। ভেঁজা ধান কেনার পর শুকানো হলে ওজনে কমে যায়। আবার সংরক্ষণ করাও সম্ভব হয়না। সরকার মোটা ধান ১২৮০ টাকা মণ ঘোষণা করেছে। আমরা বাজার থেকে ধান কেনার পর দেখা যায় সরকারি মূল্যের কাছাকাছি চলে যায়। তাই বাধ্য হয়ে কম দামে কিনতে হয়। তবে সরকারি মূল্যে কেনা হলে পোশানো সম্ভব না। কারণ সরকারি গুদামে শুকনা ও ধুলা-বালি মুক্ত ধান দিতে হয়।

নওগাঁ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক মোঃ আবুল কালাম আজাদ বলেন, এ বছর জেলায় ১ লাখ ৯২ হাজার ৯২০ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদ হয়েছে। যেখানে প্রতি হেক্টরে ৪ দশমিক ৪৫ টন হিসেবে ফলন হচ্ছে। তবে আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ফলন ভাল হওয়ায় লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে বলে আশা করা হচ্ছে।

নওগাঁ জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মুহাম্মদ তানভীর রহমান বলেন, জেলায় ১৯ হাজার ২১৮ টন ধান, ৪৭ হাজার ৮১৫ টন সিদ্ধ চাল এবং ৪ হাজার ৬৫২ টন আতব চালের বরাদ্দ পাওয়া গেছে। ইতোমধ্যে ধান-চাল সংগ্রহ শুরু হয়েছে। সরকারি মূল্যে দাম পেয়ে কৃষকরা লাভবান হবে। তবে গুদামে ধান দিতে গিয়ে কৃষকরা যেনো কোন ভাবে হয়রানি না হয় সে বিষয়টিও খতিয়ে দেখা হবে বলে জানান তিনি।

   

চামড়ার দাম নিয়ে সিন্ডিকেট বাণিজ্যের অভিযোগ



md.nazrul
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে মৌসুমী ব্যবসায়ীরা যে চামড়া কিনেছেন তার চেয়েও কমে বিক্রির অভিযোগ করেছেন তারা। তাদের দাবি, কোম্পানিগুলো সিন্ডিকেট করে সরকার নির্ধারিত দামের চেয়েও কম দামে চামড়া কিনছেন।

সোমবার (১৭ জুন) বিকেলে রাজধানীর সাইন্সল্যাব এলাকায় মৌসুমী ব্যবসায়ীরা চামড়া বিক্রি করতে এসে এই অভিযোগ করেন।

মিরপুর ৬০ ফিট এলাকায় আবু বকর মাদ্রাসার সংগ্রহ করা চামড়া নিয়ে এসেছেন খাদেম মোখসুর রহমান। তিনি বার্তা২৪. কমকে বলেন, এলাকার বিভিন্ন বাসা বাড়ির মালিকরা তাদের কোরবানির পশুর চামড়া মাদ্রাসায় দান করেছেন। সরকার বলছে দাম নূন্যতম ১২০০ টাকা। কিন্তু এখানে এসে বিক্রি করতে হয়েছে ৬৫০ টাকায়।

মাদ্রাসার এই খাদেমের মত অভিযোগ করেছেন মৌসুমি ব্যবসায়ী কাউসার মিয়া। তিনি পান্থপথ কাঠাল বাগান এলাকা থেকে ২৯টি গরুর চামড়া কিনেছেন। বার্তা২৪.কমকে তিনি বলেন, এলাকায় চামড়া আকারভেদে ৬০০ থেকে ৯০০ টাকা পর্যন্ত। ভ্যান ভাড়াসহ একেকটা চামড়ার দাম পড়েছে গড়ে ৮০০ টাকা। এখানে পাইকারি ব্যবসায়ীরা বলছে ছোট চামড়া দাম ৭০০ টাকা।

চামড়া কিনতে আসা এপেক্স ট্যানারির এক কর্মকর্তা বলেন, সরকার নির্ধারিত দামের চেয়ে বেশি দামে চামড়া কিনেছেন মৌসুমি ব্যবসায়ীরা। বেশি দামে চামড়া কিনে এখন আমাদের উপর দোষ চাপানো হচ্ছে।

সরকার নির্ধারিত দাম নিয়ে তিনি বলেন, সরকার লবণ জাত চামড়ার সর্বোচ্চ দাম দিয়েছেন ১২০০ টাকা। সর্বনিম্ন দিয়েছেন ১০০০ টাকা। কিন্তু মৌসুমি ব্যবসায়ীরা এটা না বুঝে কাঁচা চামড়ার দাম বেশি চাচ্ছে।

এদিকে ঈদের আগে গতবারের চেয়ে এবার প্রতি বর্গফুট চামড়ার দাম ৫ টাকা বাড়িয়ে প্রতি পিস চামড়ার সর্বনিম্ন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। এ ক্ষেত্রে ঢাকায় প্রতিপিস গরুর চামড়ার দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ১ হাজার ২০০ টাকা এবং ঢাকার বাহিরে ১ হাজার টাকা।

;

২৪ ঘণ্টার আগেই কোরবানির পশুর বর্জ্য অপসারণে করা হবে: তাপস



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

২৪ ঘণ্টার যে লক্ষ্যমাত্রা দেওয়া হয়েছে তার অনেক আগেই কোরবানির পশুর বর্জ্য অপসারণে সক্ষম হবে বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস।

সোমবার (১৭ জুন) দুপুরে সিটি করপোরেশনের প্রধান কার্যালয় নগর ভবনের শীতলক্ষ্যা হলে স্থাপিত কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণ কক্ষের মাধ্যমে অনলাইন প্লাটফর্মে সংযুক্ত হয়ে পবিত্র ঈদ-উল-আযহা উদযাপনে উৎপন্ন সৃষ্ট বর্জ্যের আনুষ্ঠানিক অপসারণ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন। উদ্বোধন করার সময়ে তিনি একথা বলেন।

ডিএসসিসি মেয়র বলেন, আমরা গত রাত থেকেই হাট গুলো থেকে বর্জ্য অপসারণের কাজ শুরু করে দিয়েছি এবং এই কার্যক্রম এখনো চলমান রয়েছে। ২৪ ঘণ্টার যে লক্ষ্যমাত্রা দেওয়া হয়েছে তার অনেক আগেই কোরবানির পশুর বর্জ্য অপসারণে সক্ষম হবো।

মেয়র আরও বলেন, দুপুর ২টার আগেই দক্ষিণ সিটির ১ নম্বর ওয়ার্ড হতে কোরবানির পশুর বর্জ্য শতভাগ অপসারণ করা হয়েছে। আমাদের নতুন কিছু সরঞ্জাম যোগ হওয়ার কারণে আমরা অনেক দ্রুতই বর্জ্য অপসারণ করতে পারবো।

ডিএসসিসির এলাকা গুলো পরিষ্কার করার পরেও কাউন্সিলরদেরকে পুরো এলাকা ভালোভাবে ঘুরে দেখার আহবান জানিয়েছেন মেয়র।

এ সময় বিভিন্ন ওয়ার্ডের কাউন্সিলরা অনলাইনে যুক্ত ছিলেন। তারা বলেন, আমরা খুব তাড়াতাড়ি কাজ করে যাচ্ছি। অতিদ্রুতই বর্জ্য অপসারণ করা হবে বলে।

বৃষ্টি হলে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। সেজন্য করপোরেশনের পক্ষ থেকে তিনটি টিমকে প্রস্তুত রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ডিএসসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান।

;

রাজধানীতে বর্জ্য অপসারণে ব্যস্ত পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ঈদুল আজহায় রাজধানীর দুই সিটিতে কয়েক লাখ পশু কোরবানি হয়েছে। পশু জবাই ও কাটা-কাটিতে সৃষ্ট বর্জ্য পরিষ্কারে কাজ করছেন কয়েক হাজার পরিচ্ছন্নতা কর্মী। সকাল থেকে মাঠে রয়েছেন তারা।

সোমবার (১৭ জুন) ঈদের দিন সকাল সাতটা থেকে রাজধানীতে পশু কোরবানি শুরু হয়। এরপর থেকে মাঠে নামেন সিটি করপোরেশনের কর্মীরা। সঙ্গে থাকে আধুনিক ভেকু ও ট্রাক। ফলে দ্রুতই সরে যাচ্ছে বর্জ্য।

আবহাওয়ার তথ্য বলছে, ঈদের দিন রাজধানীর তাপমাত্রা ৩৩ ডিগ্রী সেলসিয়াস। তবে অনুভূত হচ্ছে ৪৪ ডিগ্রী পর্যন্ত। তীব্র গরম উপেক্ষা করে সিটি করপোরেশনের হাজারো পরিচ্ছন্নতাকর্মীকে নিজ নিজ দায়িত্ব পালন করতে দেখা গেছে।

এর মধ্যে পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের একাংশ ঝাড়ু দিয়ে সড়কের ময়লা একত্রিত করে নিচ্ছেন। আরেক দল একত্রিত করা ময়লা সংগ্রহ করে নির্ধারিত স্থান পর্যন্ত নিয়ে যাচ্ছেন। পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের আরেকটি দল শুধু কুরবানির পশুর বর্জ্য সংগ্রহ করছেন। সব কিছু এক জায়গায় নিয়ে আসার পর বড় গাড়ির মাধ্যমে তা নিয়ে যাওয়া হচ্ছে ডাম্পিং স্টেশনে।

ভেকু দিয়ে সরানো হচ্ছে কুরবানির বর্জ্য

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ৩৩ নং ওয়ার্ডে পরিচ্ছন্নতা কর্মী হিসেবে কাজ করেন মোহাম্মদ সবুজ। তিনি বলেন, 'আমরা সকাল থেকেই কাজ করতাছি। দুপুরের আগে সব ময়লা ক্লিয়ার করমু। গরম অনেক, একটু কষ্ট তো হইতাছে।'

একই তথ্য জানিয়েছেন আরেক পরিচ্ছন্নতাকর্মী মোহাম্মদ রায়হান। তিনি বলেন, 'গরমে কাজ করার অভ্যাস আমগো আছে। আজকে তো তাড়াতাড়ি কাজ শ্যাষ করা লাগবো। স্যাররা আগেই কইয়া দিছে। সব ঈদেই এমন হয়।'

পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা জানিয়েছেন, ঈদের দিনের মতো ঈদের পর আরও দুইদিন একইভাবে ঘাম ঝড়াতে হবে তাদের। কারণ রাজধানীতে টানা তিনদিন পশু কুরবানি হয়। তবে মূল চাপটা আজই।

এদিকে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম ঘোষণা দিয়েছেন ২৪ ঘণ্টায় নয় মাত্র ৬ ঘণ্টায় তার সিটির অলিগলিসহ সকল সড়ক পরিষ্কার করা হবে। নতুন সময় বেঁধে না দিলেও পূর্ব নির্ধারিত ২৪ ঘণ্টার মধ্যে দক্ষিণ সিটির কোরবানি বর্জ্য পরিষ্কারের কথা জানিয়েছেন মেয়র ফজলে নুর তাপস।

ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন সূত্রে জানা গেছে, এ বছর কোরবানির ঈদে দুই সিটি করপোরেশন ৪০ হাজার মেট্রিক টনের বেশি বর্জ্য সরানোর প্রস্তুতি নিয়েছে। এ জন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে প্রায় ২০ হাজার পরিচ্ছন্নতাকর্মী আর হাজারের উপর যানবাহন ও যন্ত্রপাতি। এ জন্য কেনা হয়েছে নতুন নতুন যন্ত্রও।

;

বৃষ্টিতে ভিজে ঈদের নামাজ আদায় করলেন সিসিক মেয়র



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, সিলেট
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ভারী বৃষ্টিতে ভিজে মুসল্লিদের সঙ্গে পবিত্র ঈদুল আজহার নামাজ পড়লেন সিলেট সিটি করপোরেশনের (সিসিক) মেয়র মো. আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী।

সোমবার (১৭ জুন) সকাল ৮টায় সিলেট নগরীর শাহী ঈদগাহ ময়দানে ঈদের প্রধান জামাতে অংশ নেন তিনি। প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে জামাতে মুসল্লিদের উপস্থিতি ছিল কম।

দুই রাকাত ওয়াজিব নামাজ শেষে সমগ্র মুসলিম উম্মাসহ দেশ ও জাতির শান্তি, সমৃদ্ধি ও কল্যাণ কামনায় মোনাজাত করা হয়। বিশেষ করে ফিলিস্তিনের মুসলমানদের জন্য এই জামাতে মুসল্লিরা দোয়া করেন। এরপর সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র সবার সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।

জামাতে ইমামতি ও দোয়া পরিচালনা করেন বন্দরবাজার কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের পেশ ইমাম মাওলানা মুফতি আবু হোরায়রা নোমান।

এদিকে, ঈদের জামাত শেষ করে নগর ভবনে সিলেট সিটি করপোরেশনের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা শাখায় কর্মরত পরিচ্ছন্নতা কর্মীদের সঙ্গে সকালের নাস্তা করেন এবং কোরবানির বর্জ্য অপসারণ কাজের সূচনা করেন তিনি।

অপরদিকে, সিলেট সিটি করপোরেশনের ৪২টি ওয়ার্ডের ট্রাকের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। এছাড়াও দ্রুত কোরবানির বর্জ্য পরিষ্কারের জন্যে ১৬০০ জন পরিচ্ছন্নতা কর্মী মাঠে রয়েছেন। যেকোনো প্রয়োজনে নগর ভবনে সরাসরি কিংবা হটলাইন নাম্বারে ( ০১৯৫৮২৮৪৮০৭) যোগাযোগ করার জন্য বলা হয়েছে।

;