বরিশালে কর্মস্থলমুখী জনস্রোত অব্যাহত



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম, বরিশাল
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ঈদ উল ফিতরের আগে বরিশাল ও সন্নিহিত এলাকামুখী জনস্রোত ঈদ পরবর্তি সময়ে এখনো কর্মস্থলমুখী। পরিবহন বিশেষজ্ঞসহ মালিক ও শ্রমিকদের মতে এবারো ঈদ উল ফিতরের আগে পরে বরিশালসহ সন্নিহিত এলাকার সাথে রাজধানী ও চট্টগ্রাম অঞ্চলের অন্তত দশ লাখ মানুষ যাতায়াত করছে। কিন্তু দেশের একমাত্র রেললাইন বিহীন বরিশাল বিভাগে এতদিন নৌপথেই ৭৫ ভাগ যাত্রী যাতায়াত করলেও পদ্মা সেতু চালু হবার পরে সড়ক পথেই ৬৫ ভাগ চলাচল করছে।

নদ-নদী বহুল বরিশাল অঞ্চলে ঐতিহ্যবাহী নৌপথে পৌনে দুশ বছরের জৌলুস হারাতে চললেও পদ্মা সেতু ও বঙ্গবন্ধু এক্সপ্রেসওয়ে’র পরে ভাঙ্গা থেকে বরিশাল অঞ্চলের জাতীয় ও আঞ্চলিক মহাসড়কগুলোর অবস্থা নিরাপদ ও স্বাচ্ছন্দময় নয়। বরিশাল মহানগরী থেকে ৯০ কিলোমিটার অপ্রসস্ত জাতীয় মহাসড়ক অতিক্রম করে উত্তরে ভাংগায় বঙ্গবন্ধু এক্সপ্রেসওয়ে পর্যন্ত পৌছতেই ৩-৪ ঘন্টা পর্যন্ত লেগে যাচ্ছে। ফলে পদ্মা সেতু চালু হবার পরে বরিশাল ও সন্নিহিত এলাকা রাজধানীর যতটা কাছে আসার কথা ছিল, তা এখনো সম্ভব হয়নি। এ মহাসড়কে যানবাহনের আধিক্য ৩ গুনেরও বেশী বেড়ে যাওয়ায় রাজধানীরপাশাপাশি উত্তরবঙ্গের সাথে বরিশাল অঞ্চলের সড়ক পরিবহনে বিড়ম্বনা আরো বেড়েছে।

ঈদকে সামনে রেখে গত কয়েকদিন ধরে পরিস্থিতি আরো নাজুক আকার ধারন করে। বরিশাল ও ভাংগা’র মধ্যবর্তি ৯০ কিলোমিটার মহাসড়কের বেশীরভাগ এলাকায়ই দিনরাত যানজট লেগে আছে।

এদিকে ঈদকে ঘিরে দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম বরিশাল নদী বন্দরে অতীতের চীরচেনা দৃশ্য না থাকলেও ঈদ পরবর্তি সময়ে যাত্রীদের পদভারে মুখরিত বিগত কয়েকটি দিন। বরিশাল-ঢাকা নৌপথে রুট পারমিটধারী প্রায় ২৯টি যাত্রীবাহী নৌযানের অন্তত ১০টি ইতোমধ্যে হারিয়ে গেলেও অবশিষ্টগুলো কোনমতে অস্তিত্ব টিকিয়ে রেখেছে। রোববারে বরিশাল নদী বন্দর থেকে ১২টি নৌযান যাত্রী বোঝাই করে ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাবার পরে সোম ও মঙ্গলবারেও প্রায় একই পরিস্থিতি অব্যাহত ছিল। এমনকি বেশীরভাগ নৌযানই ধারণ ক্ষমতার দ্বিগুনেরও বেশী যাত্রী বহন করলেও এবার নৌপথে ভাড়া বাড়ায়নি মালিক পক্ষ। নিকটজনের সাথে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে ঘরেফেরা শ্রমজীবী ও কর্মজীবী মানুষ আগামী শনিবার পর্যন্তই বরিশাল ও সন্নিহিত এলাকা থেকে কর্মস্থলে ফিরবেন বলে আশা করছেন সড়ক ও নৌ পরিবহনের সাথে সংশ্লিষ্টজনেরা। দুটি বাস টার্মিনাল ছাড়াও বরিশাল নদী বন্দরেও গত কয়েকদিন পা ফেলার স্থান নেই।

এদিকে ঈদকে কেন্দ্র করে এবার সড়ক পথে যে যার মত করে ভাড়া আদায় করছে। এমনকি অনেক নামী দামী সড়ক পরিবহন কোম্পানী রুট পারমিটের বাইরেও বাস নিয়ে আসছেন বরিশালসহ আশেপাশের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ রুটে। ভাড়াও আদায় করছেন তাদের মত করেই। বরিশাল থেকে মাত্র ১৬৫ কিলোমিটার সড়ক পথে ঢাকার বাতানুকুল বাসে সাড়ে ১২'শ টাকা ভাড়া আদায় এখন স্বাভাবিক ঘটনা। অথচ বিআরটিসি একই পথে ৬'শ টাকায় যাত্রী পরিবহন করছে। তবে রাষ্ট্রীয় এ সড়ক পরিবহন সংস্থাটি ঈদ উপলক্ষে কোন বিশেষ বাস সার্ভিস চালু করতে পারেনি যানবাহন স্বল্পতায়।

রাষ্ট্রীয় সড়ক পরিবহন সংস্থাটি দিনরাতে বরিশাল-ঢাকা সড়ক পথে প্রায় ৩০টি বাসে যাত্রী পরিবহন করলেও সরকারী নৌ-বানিজ্য প্রতিষ্ঠান, বিআইডব্লিউটিসি এবারের ঈদে ছিলো সম্পূর্ণই নিরুদ্বিগ্ন। দেশের একমাত্র অভ্যন্তরীন স্টিমার সার্ভিসের জন্য সংস্থাটির হাতে ৬টি যাত্রীবাহী নৌযান থাকলেও তার কোনটিই যাত্রী পরিবহনে নেই।

রাষ্ট্রীয় আকাশ পরিবহন সংস্থা-বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স বরিশালের আকাশ পথে তার সাপ্তাহিক ৪টি ফ্লাইটের বাইরে ঈদের আগে ২টি বিশেষ উড়ানোর ব্যবস্থা করলেও ঈদ পরবর্তী সময়ে ছিল চুপচাপ। তবে বিগত পুরো সপ্তাহ জুড়েই যাত্রীর চাপে জাতীয় পতাকাবাহী এয়ারলাইন্সটিও ৩২'শ টাকার টিকেট সাড়ে ৮ হাজার টাকারও বেশী দামে বিক্রী করছে। এব্যাপারে বিমান-এর বরিশাল বিক্রয় অফিসের জেলা ব্যবস্থাপকের ল্যান্ডফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করেও কাউকে পাওয়া যায়নি।

   

পরিবেশ দূষণ রোধে ১০ সুপারিশ উপস্থাপন



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
পরিবেশ দূষণ রোধে ১০ সুপারিশ উপস্থাপন

পরিবেশ দূষণ রোধে ১০ সুপারিশ উপস্থাপন

  • Font increase
  • Font Decrease

কাউন্টারপার্ট ইন্টারন্যাশনাল কারিগরি সহায়তায় এবং ইউএসএইড-এর সহযোগিতা বাস্তবায়িত প্রোমোটিং অ্যাডভোকেসি এন্ড রাইটস কর্মসূচি জাতীয় রাউন্ডটেবিল আলোচনায় খুলনা, ও ঢাকার প্রান্তিক মানুষের প্রতিনিধিরা পরিবেশ দূষণ রোধ, পরিকল্পিত নগরায়ণ ও নদীর পানি দূষণ রোধে ১০টি সুপারিশমালা উপস্থাপন করেছেন।

সোমবার (২৯ এপ্রিল) রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক হোটেলে টেকসই নগরায়ণ ও পরিবেশের সুরক্ষায় সুপারিশ শীর্ষক জাতীয় রাউন্ডডটেবিল আলোচনায় সুপারিশগুলো উপস্থাপন করা হয়।

আলোচনায় সুপারিশগুলোর মধ্যে বিদ্যমান কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা নীতিমালা বাস্তবায়ন, একবার-ব্যবহার্য প্লাস্টিকের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা, প্রস্তাবিত নীতিমালার বাস্তবায়ন, জাতীয় পর্যায়ে কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় ডিজিটাল মনিটরিং ও নজরদারির ব্যবস্থা এবং পরিকল্পিত নগরায়ণের জন্য বাংলাদেশের সকল সিটি কর্পোরেশনে মাল্টি-স্টেকহোল্ডার ওয়ার্কিং কমিটি গঠন, নিয়মিতভাবে মাল্টি-সেক্টরাল সভায় নদী এবং পরিবেশ দূষণের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা ও পদক্ষেপের অগ্রগতি আলোচনা, জাতীয় পর্যায়ে একটি টাস্কফোর্স গঠন, সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্বমূলক পদক্ষেপ গ্রহণ, জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের তদারকি ক্ষমতার পরিধি বৃদ্ধি এবং নতুন সরকারি অবকাঠামোগত উন্নয়নমূলক প্রকল্প অনুমোদনের পূর্বে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে পরিবেশগত দিক মূল্যায়ন করা।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরি বলেন, পিএআর কর্মসূচির মাধ্যমে প্রান্তিক মানুষ যেভাবে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, পরিকল্পিত নগরায়ণ,সরকারি সেবা প্রদানকারী সংস্থাগুলোর সেবা প্রদান ব্যবস্থা, নদী দূষণ রোধে সকলের অংশগ্রহণে সুপারিশসমূহ তৈরি করেছে এবং স্থানীয় পর্যায় থেকে জাতীয় পর্যায়ে সুপারিশমালা উপস্থাপন করেছে তা সুশাসন ও জবাবদিহিতার একটি মডেল পদ্ধতি হিসেবে পরিগণিত হতে পারে।

মন্ত্রী আরো বলেন, সংসদীয় কমিটিতে ককাস গঠন করে এই সব সুপারিশমালা দ্রুত বাস্তবায়ন ও সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যে বাংলাদেশের আলোকবর্তিকার ধারক প্রান্তিক মানুষকেই উদ্যোগ নিতে হবে ও সকলের অংশগ্রহণ নিশ্চিতে কাজ করতে হবে।

ইউএসএআইডি-এর অফিস অফ ইকোনমিক গ্রোথের পরিচালক মুহাম্মদ এন খান বলেন, মানবাধিকার এবং দেশের মৌলিক সংস্কারের জন্য সুশীল সমাজ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। প্রোমোটিং অ্যাডভোকেসি এবং রাইটস প্রোগ্রামের মতো উদ্যোগগুলি নাগরিকবান্ধব শাসনব্যবস্থাকে এগিয়ে নিতে বাংলাদেশের সুশীল সমাজ, প্রান্তিক মানুষ এবং সরকারের মধ্যে অংশীদারিত্ব জোরদার করায় মার্কিন সরকারের প্রতিশ্রুতিকে জোরদার করে। ইউএসএইড আজকের এই ফলপ্রসূ আলোচনার অংশ হতে পেরে গর্বিত এবং নাগরিকরা কীভাবে ইতিবাচক পরিবর্তনকে আরো প্রভাবিত করে আপনাদের সকলকে সাথে নিয়ে কাজ করে যেতে চায়।

কাউন্টারপার্ট ইন্টারন্যাশনালের চিফ অব পার্টি কেটি ক্রোক অনুষ্ঠান বলেন, নানাবিধ নাগরিক সমস্যা সমাধানের জন্য একসাথে কাজ করায় সকলকে আন্তরিক ধন্যবাদ। সারা বাংলাদেশে জনগণের জীবনযাত্রার উন্নতির জন্য নাগরিক এবং নীতিনির্ধারকদের মধ্যে মেলবন্ধনের যে শিক্ষণীয় মডেল আপনারা সবাই তৈরি করছেন, তা আমাদের কাজকে সার্থক করে তুলেছে।

প্রসঙ্গত, ২০২৪ সালের সংসদীয় নির্বাচনের আগে, পিএআর প্রকল্প বাংলাদেশি সহযোগী সংস্থাদেরকে দেশের অপেক্ষাকৃত কম ও প্রতিনিধিত্বহীন দুই হাজার ৩০৩ জন নাগরিককে একই কাতারে আনতে সহায়তা করে যারা নিজেরাই তাদের গুরুত্বপূর্ণ সমস্যা চিহ্নিত করে ও এবং তা সমাধানের কার্যকরী সুপারিশ দেয়। এরপর সেসব চিহ্নিত সমস্যা এবং সুপারিশ নিয়ে তারাই ২১৭ জন রাজনৈতিক নেতা এবং ৪৬ জন সংসদীয় প্রার্থীর কাছে সরাসরি তুলে ধরে ও নির্বাচনী ইশতেহারে এবং প্রার্থীদের প্রতিশ্রুতি সেগুলো অন্তর্ভুক্তির দাবি জানায়। যার ফলশ্রুতি রাজনৈতিক নেতা ও প্রার্থীদের কাছ থেকে ২৬৩ টি অঙ্গীকারনামা। নির্বাচনের পর পিএআর কর্মসূচি সেইসব নাগরিক সমস্যাগুলোর বাস্তব সমাধান প্রক্রিয়াকে আরো এগিয়ে নিতে রূপরেখা তৈরিতে কারিগরি সহায়তা প্রদান করে যেখানে নির্বাচনী ইশতেহার এবং প্রার্থীদের প্রতিশ্রুতি প্রতিফলিত হয়েছে। এই রূপরেখা লাখ লাখ বাংলাদেশি নাগরিকরা যেন তাদের দেশের টেকসই উন্নয়নে পিছিয়ে না থাকে তা নিশ্চিত করবে বলে পিএআর কর্মসূচি বিশ্বাস করে। 

;

নীলফামারীতে কীটনাশক পানে বৃদ্ধের মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪, নীলফামারী
নীলফামারীতে কীটনাশক পানে বৃদ্ধের মৃত্যু

নীলফামারীতে কীটনাশক পানে বৃদ্ধের মৃত্যু

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলায় পারিবারিক কলহের জেরে কীটনাশক পানে জ্যোতিষ চন্দ্র (৬০) নামে এক বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে।

সোমবার (২৯ এপ্রিল) রাতে বিষয়টি নিশ্চিত করেন থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) পলাশ চন্দ্র মন্ডল।

এর আগে রোববার রাতে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

নিহত বৃদ্ধ বড়ভিটা ইউনিয়নের খামারডুমরিয়া এলাকার বাসিন্দা ছিলেন।

নিহতের স্বজন ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, পারিবারিক কলহের জেরে আত্মহত্যার উদ্দেশ্যে জমিতে দেওয়া কীটনাশক পান করেন। পরে বাড়ির আঙিনায় বমি করা শুরু করলে স্বজনরা তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেসময় দায়িত্বরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রোববার রাতে তার মৃত্যু হয়।

কিশোরগঞ্জ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) পলাশ চন্দ্র মন্ডল বলেন, জমিতে দেওয়া কীটনাশক খেয়ে জ্যোতিষ চন্দ্র (৬০) নামে এক বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে।

;

সিলেটে শিবু হত্যা মামলার এক আসামি গ্রেফতার



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, সিলেট
ফয়সল আহমদ

ফয়সল আহমদ

  • Font increase
  • Font Decrease

সিলেটের স্থানীয় দৈনিক উত্তরপূর্ব পত্রিকার কম্পিউটার ইনচার্জ অমিত দাস শিবু (৩৬) হত্যা মামলায় ফয়সল আহমদ (৩২) নামে একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

গত শনিবার (২৭ এপ্রিল) তাকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে সোমবার (২৯ এপ্রিল) গ্রেফতার দেখায় পুলিশ।

গ্রেফতারকৃত ফয়সল নগরীর শাহী ঈদগাহ এলাকার হাজারিবাগের ৪৮নং বাসার মৃত আ. মুকিতের ছেলে। তাকে সোমবার আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।

পুলিশ জানায়, ফয়সল একজন দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসী। তার বিরুদ্ধে চুরি-ছিনতাই-ডাকাতিসহ নানা অভিযোগে বিভিন্ন থানায় মামলা রয়েছে।

সোমবার রাতে সিলেট মহানগর পুলিশের এডিসি (মিডিয়া) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম জানান, গ্রেফতারকৃত আসামি ফয়সল আহমদসহ আরও কয়েকজন মিলে গত বৃহস্পতিবার রাতে অমিত দাস শিবুকে মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে এলোপাথাড়ি কিল, ঘুষি, লাথি মারে। আসামিদের একজন অমিতের ব্যবহৃত মোটরসাইকেলের হেলমেট দিয়ে শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করে।

মারধরের একপর্যায়ে অমিত অচেতন হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। পরে তার মৃত্যু নিশ্চিত করে দ্রুত ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এয়ারপোর্ট থানার ওসি (তদন্ত) দেবাংশু কুমার দে জানান, ফয়সল আহমদকে গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে। মঙ্গলবার তাকে রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করা হবে।

এর আগে শনিবার দুপুরে নিহত অমিত দাসের বড় ভাই অনুকূল দাস (৪২) বাদি হয়ে নগরীর পুলিশের এয়ারপোর্ট থানায় অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

উল্লেখ্য গত বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে নগরীর এয়ারপোর্ট থানাধীন শাহী ঈদগাহ এলাকার হাজারিবাগ দলদলি চা-বাগানসংলগ্ন মাঠ থেকে অমিত দাস শিবুর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

পরদিন শুক্রবার বিকেলে ময়নাতদন্ত শেষে চালিবন্দর মহাশশ্মানে মরদেহ দাহ করা হয়।

নিহত অমিত দাশ শিবু সুনামগঞ্জ জেলার দিরাই উপজেলার এলেংজুড়ি গ্রামের মৃত গৌর চাঁদ দাসের ছেলে। তিনি দুই সন্তানের জনক। সপরিবারে তিনি নগরীর কানিশাইল এলাকায় বসবাস করছিলেন।

;

এবার টেকনাফ থেকে অপহৃত হলো তৃতীয় শ্রেণি পড়ুয়া শিশু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কক্সবাজার
এবার টেকনাফ থেকে অপহৃত হলো তৃতীয় শ্রেণি পড়ুয়া শিশু

এবার টেকনাফ থেকে অপহৃত হলো তৃতীয় শ্রেণি পড়ুয়া শিশু

  • Font increase
  • Font Decrease

কক্সবাজার টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়নের জাদিমুড়া নয়াপাড়া শাল বাগান রাস্তার মাথা থেকে মো. সাইফ (৯) নামের এক ছাত্রকে অপহরণ করেছে অপহরণ চক্রের সদস্যরা। অপহৃত ভিক্টিম জাদিমুড়ার রহমানিয়া হোসাইনিয়া মাদরাসার নুরানি বিভাগের তৃতীয় শ্রেণির ছাত্র ও মৃত মোহাম্মদ হোছনের ছেলে। উক্ত ঘটনায় ভুক্তভোগীকে উদ্ধারের জন্য টেকনাফ মডেল থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।

সোমবার (২৯ এপ্রিল) বিকালে ছাত্রের মামা জামাল উদ্দীন জানান, রোববার বিকালে মাদরাসা থেকে বাড়ি ফেরার পথে নয়াপাড়া শাল বাগান রাস্তার মাথা থেকে তাকে অপহরণ করা হয়।

তিনি আরও জানান, প্রতিদিনের মত মাদরাসা ছুটি হয়ে রাত হলেও ছেলে বাড়িতে ফিরে না আসায় আমরা বাড়ির লোকজন তাকে খুঁজ করতে বের হয়। অনেক খুঁজাখুঁজির পরে না পেয়ে বাড়িতে ফিরে আসি। পরে সকালে একটি মোবাইলফোন থেকে বাড়িতে কল করে বলে সাইফকে পেতে ২০ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ দিতে হবে, না হয় তাকে পাওয়া সম্ভব না বলে মোবাইল কেটে দেন। তখন জানতে পেরেছি তাকে অপহরণ করা হয়েছে।

ভিক্টিমের ভাই রিয়াজ উদ্দীন জানান, আমার পিতা নাই। বেশি টাকাও নাই। অপহরণকারীরা এত টাকা মুক্তিপণ দাবি করে আমরা তা কীভাবে দেব। আমার ভাইকে জীবিত উদ্ধারে প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করছি।

এ বিষয়ে তাহার সহপাঠী ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মাদরাসা ছুটি শেষে বাড়ি ফেরার পথে সাইফকে একজন যুবক এসে বলে, তোমার ভাবি আমার থেকে ৫ হাজার টাকা পাবে সেগুলো নেওয়ার জন্য বাড়িতে যায়। এর পরও যখন ভিক্টিমকে বিশ্বাস করাতে পারছিল না তখন অপহরণ চক্রের সদস্য তাহার মোবাইল থেকে সাইফের ভাবিকে কল দিয়ে কথা বলিয়ে দেওয়ার অভিনয় করে ১০ টাকার একটি নোট হাতে দিয়ে তাকে ফুসলিয়ে নিয়ে যায়।

টেকনাফ মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক (অপারেশন) আব্দুর রাজ্জাক জানান, ঘটনাটি শুনেছি। তাকে উদ্ধারে পুলিশ কাজ করছে।

;