আজ ১৭ এপ্রিল ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

১৭৫৭ সালে পলাশির আম্রকাননে বাংলার স্বাধীনতার শেষ সূর্য অস্তমিত হয়েছিল। ২১৪ পর একাত্তরের ১৭ এপ্রিল পলাশি থেকে ৭০ কি.মি দূরে বৈদ্যনাথতলা তথা মুজিবনগর আম্রকাননে বাংলার সূর্য় উদিত হয়েছিল।

আজ ১৭ এপ্রিল ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস। বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে এক অবিস্মরণীয় দিন। ১৯৭১ সালের এ দিনে তখনকার মেহেরপুর মহকুমার বৈদ্যনাথতলার আম্রকাননে স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম সরকার শপথ নেয়। পাশাপাশি এ দিন বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র অনুমোদিত হয়।

দিবসটি উপলক্ষে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় ও মেহেরপুর জেলা প্রশাসন নানা কর্মসুচী গ্রহণ করেছে।

জনপ্রশাসনমন্ত্রী ও মেহেরপেুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফরহাদ হোসেন বলেছেন, বাঙালির স্বাধীনতা সংগ্রামের দীর্ঘ পথ পরিক্রমায় ১৭ এপ্রিল এক স্মরণীয় দিন। ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস উদ্‌যাপনের মাধ্যমে বর্তমান প্রজন্ম মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস জানতে পারবে এবং দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের ‘সোনার বাংলা’ গঠনে অবদান রাখবে।

জানা যায়, ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ কালরাতে নিরস্ত্র বাঙালিদের ওপর পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বর্বর গণহত্যার পর বাংলাদেশের অস্থায়ী সরকার গঠনের লক্ষ্যে আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ নেতারা সমবেত হন। যুদ্ধের গতি বাড়ানো এবং আন্তর্জাতিক মহলের সমর্থন আদায়ে একটি সরকার গঠনের প্রয়োজনীয়তা সর্বসম্ততিক্রমে অনুমোদিত হয়। ১৯৭০ সালের সাধারণ নির্বাচনে পূর্ব পাকিস্তানে আওয়ামী লীগের নিরষ্কুশ জয় পান। এ নির্বাচনের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে ১০ এপ্রিল একটি সরকার গঠন করার সিদ্ধান্তে উপনীত হন বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ট সহচরেরা।

পাকিস্তানের কারাগারেবন্দি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত করেন। আরও সিদ্ধান্ত হয় সৈয়দ নজরুল ইসলাম হবেন উপ-রাষ্ট্রপতি, যিনি বঙ্গবন্ধুর অনুপস্থিতিতে অস্থায়ী রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালন করবেন। তাজউদ্দীন আহমদ যুদ্ধকালীন সরকারের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্বে থাকবেন। সেদিনই গভীর রাতে (১১ এপ্রিল) পশ্চিমবঙ্গের কোনো এক অজ্ঞাত স্থান থেকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তাজউদ্দীন আহমদের রেকর্ড করা একটি ভাষণ গোপন বেতার কেন্দ্রের মাধ্যমে প্রচারিত হয়। এই বেতার ভাষণের মধ্য দিয়েই আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশের সরকার বিশ্ববাসীর সামনে আত্মপ্রকাশ করে। অস্থায়ী সরকারের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা ও শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানটি হওয়ার কথা ছিল ১৪ এপ্রিল ১৯৭১, চুয়াডাঙ্গায়। কিন্তু সেই গোপন সিদ্ধান্তটি সংবাদপত্রে ফাঁস হয়ে যায়। ফলে পাকিস্তানি সেনারা প্রবল বোমাবর্ষণ করে ওই স্থানে। আর এতে ভেস্তে যায় সেই পরিকল্পনা।

মুজিবনগরে শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলামকে গার্ড অব অনার দেওয়া হয়। গার্ড অব অনার প্রদানকারী ১২ মধ্যে বেঁচে আছেন মাত্র ২ আনসার সদস্য।

মেজর আবু উসমান চৌধুরীর পৌঁছাতে বিলম্ব হওয়ায় ক্যাপ্টেন মাহবুব উদ্দীন আহমেদ ইপিআর আনছারের একটি ছোট্ট দল নিয়ে নেতৃবৃন্দকে গার্ড অব অনার প্রদান করেন।

গার্ড অব অনার শেষে স্থানীয় শিল্পীদের জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশনের মধ্য দিয়ে সৈয়দ নজরুল ইসলাম বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন। বাকের আলীর কোরআন তেলাওয়াত এবং ভবরপাড়া গ্রামের পিন্টু বিশ্বাসের বাইবেল পাঠের মাধ্যমে শুরু হয় আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম।

এরপর আওয়ামী লীগের চিফ হুইফ অধ্যাপক মো. ইউসুফ আলী বাংলার মুক্ত মাটিতে স্বাধীনতাকামী কয়েক হাজার জনতা এবং শতাধিক দেশি-বিদেশি সাংবাদিকের সামনে দাঁড়িয়ে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র পাঠ করেন।

ঐতিহাসিক সেই স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রে প্রদত্ত ক্ষমতাবলে চিফ হুইফ অধ্যাপক ইউসুফ আলী রাষ্ট্রপ্রধান বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অনুপস্থিতিতে উপরাষ্ট্র প্রধান হিসেবে সৈয়দ নজরুল ইসলামকে শপথবাক্য পাঠ করান।

এরপর গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তাজ উদ্দীন আহমেদের নাম ঘোষণা করেন এবং প্রধানমন্ত্রীর সাথে পরামর্শক্রমে মন্ত্রী পরিষদের সদস্য আইন, সংসদ ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে খন্দকার মোশতাক আহমদ, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে এএইচএম কামরুজ্জামান এবং অর্থমন্ত্রী হিসেবে ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলীকে পরিচয় করিয়ে দেন এবং শপথ পাঠ করান।

মন্ত্রিপরিষদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান সেনাপতি হিসেবে কর্নেল এম এ জি ওসমানী এবং সেনাবাহিনীর চিফ অফ স্টাফ পদে কর্নেল আব্দুর রবের নাম ঘোষণা করা হয়। এরপর প্রধানমন্ত্রী তাজ উদ্দীন আহমেদ উপস্থিত সকলের সামনে ৩০ মিনিটের এক উদ্দীপনাময় ভাষণ দেন।

তিনি বলেন, আজ থেকে স্বাধীন বাংলাদেশের রাজধানী হবে এ বৈদ্যনাথতলা এবং এর নতুন নাম হবে মুজিবনগর। তিনি বিশ্ববাসীর কাছে নতুন রাষ্ট্রের স্বীকৃতিদান ও সামরিক সাহায্যের আবেদন জানান। সেদিন থেকেই বৈদ্যনাথতলা মুজিবনগর নামে পরিচিত।

বক্তৃতা এবং শপথগ্রহণ পর্ব শেষে নেতৃবৃন্দ মঞ্চ থেকে নেমে এলে অস্থায়ী রাষ্ট্রপতিকে গার্ড অব অনার প্রদান করেন মেজর আবু উসমান চৌধুরী। উপস্থিত জনতার মূহুর্মূহু জয়বাংলা ধ্বনিতে মুখরিত হয়ে ওঠে মুজিবনগরের আম্রকানন। সব মিলিয়ে ঘণ্টা দুয়েকের মধ্যে অনুষ্ঠান শেষ হয়।

মুজিবনগর সরকারের নেতৃত্বেই টানা ৯ মাস যুদ্ধ শেষে লাখো শহীদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত হয় বাংলার স্বাধীনতা। বিশ্বের মানচিত্রে ঠাঁই করে নেয় স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ।

   

পরিবেশ দূষণ রোধে ১০ সুপারিশ উপস্থাপন



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
পরিবেশ দূষণ রোধে ১০ সুপারিশ উপস্থাপন

পরিবেশ দূষণ রোধে ১০ সুপারিশ উপস্থাপন

  • Font increase
  • Font Decrease

কাউন্টারপার্ট ইন্টারন্যাশনাল কারিগরি সহায়তায় এবং ইউএসএইড-এর সহযোগিতা বাস্তবায়িত প্রোমোটিং অ্যাডভোকেসি এন্ড রাইটস কর্মসূচি জাতীয় রাউন্ডটেবিল আলোচনায় খুলনা, ও ঢাকার প্রান্তিক মানুষের প্রতিনিধিরা পরিবেশ দূষণ রোধ, পরিকল্পিত নগরায়ণ ও নদীর পানি দূষণ রোধে ১০টি সুপারিশমালা উপস্থাপন করেছেন।

সোমবার (২৯ এপ্রিল) রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক হোটেলে টেকসই নগরায়ণ ও পরিবেশের সুরক্ষায় সুপারিশ শীর্ষক জাতীয় রাউন্ডডটেবিল আলোচনায় সুপারিশগুলো উপস্থাপন করা হয়।

আলোচনায় সুপারিশগুলোর মধ্যে বিদ্যমান কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা নীতিমালা বাস্তবায়ন, একবার-ব্যবহার্য প্লাস্টিকের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা, প্রস্তাবিত নীতিমালার বাস্তবায়ন, জাতীয় পর্যায়ে কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় ডিজিটাল মনিটরিং ও নজরদারির ব্যবস্থা এবং পরিকল্পিত নগরায়ণের জন্য বাংলাদেশের সকল সিটি কর্পোরেশনে মাল্টি-স্টেকহোল্ডার ওয়ার্কিং কমিটি গঠন, নিয়মিতভাবে মাল্টি-সেক্টরাল সভায় নদী এবং পরিবেশ দূষণের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা ও পদক্ষেপের অগ্রগতি আলোচনা, জাতীয় পর্যায়ে একটি টাস্কফোর্স গঠন, সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্বমূলক পদক্ষেপ গ্রহণ, জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের তদারকি ক্ষমতার পরিধি বৃদ্ধি এবং নতুন সরকারি অবকাঠামোগত উন্নয়নমূলক প্রকল্প অনুমোদনের পূর্বে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে পরিবেশগত দিক মূল্যায়ন করা।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরি বলেন, পিএআর কর্মসূচির মাধ্যমে প্রান্তিক মানুষ যেভাবে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, পরিকল্পিত নগরায়ণ,সরকারি সেবা প্রদানকারী সংস্থাগুলোর সেবা প্রদান ব্যবস্থা, নদী দূষণ রোধে সকলের অংশগ্রহণে সুপারিশসমূহ তৈরি করেছে এবং স্থানীয় পর্যায় থেকে জাতীয় পর্যায়ে সুপারিশমালা উপস্থাপন করেছে তা সুশাসন ও জবাবদিহিতার একটি মডেল পদ্ধতি হিসেবে পরিগণিত হতে পারে।

মন্ত্রী আরো বলেন, সংসদীয় কমিটিতে ককাস গঠন করে এই সব সুপারিশমালা দ্রুত বাস্তবায়ন ও সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যে বাংলাদেশের আলোকবর্তিকার ধারক প্রান্তিক মানুষকেই উদ্যোগ নিতে হবে ও সকলের অংশগ্রহণ নিশ্চিতে কাজ করতে হবে।

ইউএসএআইডি-এর অফিস অফ ইকোনমিক গ্রোথের পরিচালক মুহাম্মদ এন খান বলেন, মানবাধিকার এবং দেশের মৌলিক সংস্কারের জন্য সুশীল সমাজ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। প্রোমোটিং অ্যাডভোকেসি এবং রাইটস প্রোগ্রামের মতো উদ্যোগগুলি নাগরিকবান্ধব শাসনব্যবস্থাকে এগিয়ে নিতে বাংলাদেশের সুশীল সমাজ, প্রান্তিক মানুষ এবং সরকারের মধ্যে অংশীদারিত্ব জোরদার করায় মার্কিন সরকারের প্রতিশ্রুতিকে জোরদার করে। ইউএসএইড আজকের এই ফলপ্রসূ আলোচনার অংশ হতে পেরে গর্বিত এবং নাগরিকরা কীভাবে ইতিবাচক পরিবর্তনকে আরো প্রভাবিত করে আপনাদের সকলকে সাথে নিয়ে কাজ করে যেতে চায়।

কাউন্টারপার্ট ইন্টারন্যাশনালের চিফ অব পার্টি কেটি ক্রোক অনুষ্ঠান বলেন, নানাবিধ নাগরিক সমস্যা সমাধানের জন্য একসাথে কাজ করায় সকলকে আন্তরিক ধন্যবাদ। সারা বাংলাদেশে জনগণের জীবনযাত্রার উন্নতির জন্য নাগরিক এবং নীতিনির্ধারকদের মধ্যে মেলবন্ধনের যে শিক্ষণীয় মডেল আপনারা সবাই তৈরি করছেন, তা আমাদের কাজকে সার্থক করে তুলেছে।

প্রসঙ্গত, ২০২৪ সালের সংসদীয় নির্বাচনের আগে, পিএআর প্রকল্প বাংলাদেশি সহযোগী সংস্থাদেরকে দেশের অপেক্ষাকৃত কম ও প্রতিনিধিত্বহীন দুই হাজার ৩০৩ জন নাগরিককে একই কাতারে আনতে সহায়তা করে যারা নিজেরাই তাদের গুরুত্বপূর্ণ সমস্যা চিহ্নিত করে ও এবং তা সমাধানের কার্যকরী সুপারিশ দেয়। এরপর সেসব চিহ্নিত সমস্যা এবং সুপারিশ নিয়ে তারাই ২১৭ জন রাজনৈতিক নেতা এবং ৪৬ জন সংসদীয় প্রার্থীর কাছে সরাসরি তুলে ধরে ও নির্বাচনী ইশতেহারে এবং প্রার্থীদের প্রতিশ্রুতি সেগুলো অন্তর্ভুক্তির দাবি জানায়। যার ফলশ্রুতি রাজনৈতিক নেতা ও প্রার্থীদের কাছ থেকে ২৬৩ টি অঙ্গীকারনামা। নির্বাচনের পর পিএআর কর্মসূচি সেইসব নাগরিক সমস্যাগুলোর বাস্তব সমাধান প্রক্রিয়াকে আরো এগিয়ে নিতে রূপরেখা তৈরিতে কারিগরি সহায়তা প্রদান করে যেখানে নির্বাচনী ইশতেহার এবং প্রার্থীদের প্রতিশ্রুতি প্রতিফলিত হয়েছে। এই রূপরেখা লাখ লাখ বাংলাদেশি নাগরিকরা যেন তাদের দেশের টেকসই উন্নয়নে পিছিয়ে না থাকে তা নিশ্চিত করবে বলে পিএআর কর্মসূচি বিশ্বাস করে। 

;

নীলফামারীতে কীটনাশক পানে বৃদ্ধের মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪, নীলফামারী
নীলফামারীতে কীটনাশক পানে বৃদ্ধের মৃত্যু

নীলফামারীতে কীটনাশক পানে বৃদ্ধের মৃত্যু

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলায় পারিবারিক কলহের জেরে কীটনাশক পানে জ্যোতিষ চন্দ্র (৬০) নামে এক বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে।

সোমবার (২৯ এপ্রিল) রাতে বিষয়টি নিশ্চিত করেন থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) পলাশ চন্দ্র মন্ডল।

এর আগে রোববার রাতে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

নিহত বৃদ্ধ বড়ভিটা ইউনিয়নের খামারডুমরিয়া এলাকার বাসিন্দা ছিলেন।

নিহতের স্বজন ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, পারিবারিক কলহের জেরে আত্মহত্যার উদ্দেশ্যে জমিতে দেওয়া কীটনাশক পান করেন। পরে বাড়ির আঙিনায় বমি করা শুরু করলে স্বজনরা তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেসময় দায়িত্বরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রোববার রাতে তার মৃত্যু হয়।

কিশোরগঞ্জ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) পলাশ চন্দ্র মন্ডল বলেন, জমিতে দেওয়া কীটনাশক খেয়ে জ্যোতিষ চন্দ্র (৬০) নামে এক বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে।

;

সিলেটে শিবু হত্যা মামলার এক আসামি গ্রেফতার



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, সিলেট
ফয়সল আহমদ

ফয়সল আহমদ

  • Font increase
  • Font Decrease

সিলেটের স্থানীয় দৈনিক উত্তরপূর্ব পত্রিকার কম্পিউটার ইনচার্জ অমিত দাস শিবু (৩৬) হত্যা মামলায় ফয়সল আহমদ (৩২) নামে একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

গত শনিবার (২৭ এপ্রিল) তাকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে সোমবার (২৯ এপ্রিল) গ্রেফতার দেখায় পুলিশ।

গ্রেফতারকৃত ফয়সল নগরীর শাহী ঈদগাহ এলাকার হাজারিবাগের ৪৮নং বাসার মৃত আ. মুকিতের ছেলে। তাকে সোমবার আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।

পুলিশ জানায়, ফয়সল একজন দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসী। তার বিরুদ্ধে চুরি-ছিনতাই-ডাকাতিসহ নানা অভিযোগে বিভিন্ন থানায় মামলা রয়েছে।

সোমবার রাতে সিলেট মহানগর পুলিশের এডিসি (মিডিয়া) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম জানান, গ্রেফতারকৃত আসামি ফয়সল আহমদসহ আরও কয়েকজন মিলে গত বৃহস্পতিবার রাতে অমিত দাস শিবুকে মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে এলোপাথাড়ি কিল, ঘুষি, লাথি মারে। আসামিদের একজন অমিতের ব্যবহৃত মোটরসাইকেলের হেলমেট দিয়ে শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করে।

মারধরের একপর্যায়ে অমিত অচেতন হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। পরে তার মৃত্যু নিশ্চিত করে দ্রুত ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এয়ারপোর্ট থানার ওসি (তদন্ত) দেবাংশু কুমার দে জানান, ফয়সল আহমদকে গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে। মঙ্গলবার তাকে রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করা হবে।

এর আগে শনিবার দুপুরে নিহত অমিত দাসের বড় ভাই অনুকূল দাস (৪২) বাদি হয়ে নগরীর পুলিশের এয়ারপোর্ট থানায় অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

উল্লেখ্য গত বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে নগরীর এয়ারপোর্ট থানাধীন শাহী ঈদগাহ এলাকার হাজারিবাগ দলদলি চা-বাগানসংলগ্ন মাঠ থেকে অমিত দাস শিবুর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

পরদিন শুক্রবার বিকেলে ময়নাতদন্ত শেষে চালিবন্দর মহাশশ্মানে মরদেহ দাহ করা হয়।

নিহত অমিত দাশ শিবু সুনামগঞ্জ জেলার দিরাই উপজেলার এলেংজুড়ি গ্রামের মৃত গৌর চাঁদ দাসের ছেলে। তিনি দুই সন্তানের জনক। সপরিবারে তিনি নগরীর কানিশাইল এলাকায় বসবাস করছিলেন।

;

এবার টেকনাফ থেকে অপহৃত হলো তৃতীয় শ্রেণি পড়ুয়া শিশু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কক্সবাজার
এবার টেকনাফ থেকে অপহৃত হলো তৃতীয় শ্রেণি পড়ুয়া শিশু

এবার টেকনাফ থেকে অপহৃত হলো তৃতীয় শ্রেণি পড়ুয়া শিশু

  • Font increase
  • Font Decrease

কক্সবাজার টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়নের জাদিমুড়া নয়াপাড়া শাল বাগান রাস্তার মাথা থেকে মো. সাইফ (৯) নামের এক ছাত্রকে অপহরণ করেছে অপহরণ চক্রের সদস্যরা। অপহৃত ভিক্টিম জাদিমুড়ার রহমানিয়া হোসাইনিয়া মাদরাসার নুরানি বিভাগের তৃতীয় শ্রেণির ছাত্র ও মৃত মোহাম্মদ হোছনের ছেলে। উক্ত ঘটনায় ভুক্তভোগীকে উদ্ধারের জন্য টেকনাফ মডেল থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।

সোমবার (২৯ এপ্রিল) বিকালে ছাত্রের মামা জামাল উদ্দীন জানান, রোববার বিকালে মাদরাসা থেকে বাড়ি ফেরার পথে নয়াপাড়া শাল বাগান রাস্তার মাথা থেকে তাকে অপহরণ করা হয়।

তিনি আরও জানান, প্রতিদিনের মত মাদরাসা ছুটি হয়ে রাত হলেও ছেলে বাড়িতে ফিরে না আসায় আমরা বাড়ির লোকজন তাকে খুঁজ করতে বের হয়। অনেক খুঁজাখুঁজির পরে না পেয়ে বাড়িতে ফিরে আসি। পরে সকালে একটি মোবাইলফোন থেকে বাড়িতে কল করে বলে সাইফকে পেতে ২০ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ দিতে হবে, না হয় তাকে পাওয়া সম্ভব না বলে মোবাইল কেটে দেন। তখন জানতে পেরেছি তাকে অপহরণ করা হয়েছে।

ভিক্টিমের ভাই রিয়াজ উদ্দীন জানান, আমার পিতা নাই। বেশি টাকাও নাই। অপহরণকারীরা এত টাকা মুক্তিপণ দাবি করে আমরা তা কীভাবে দেব। আমার ভাইকে জীবিত উদ্ধারে প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করছি।

এ বিষয়ে তাহার সহপাঠী ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মাদরাসা ছুটি শেষে বাড়ি ফেরার পথে সাইফকে একজন যুবক এসে বলে, তোমার ভাবি আমার থেকে ৫ হাজার টাকা পাবে সেগুলো নেওয়ার জন্য বাড়িতে যায়। এর পরও যখন ভিক্টিমকে বিশ্বাস করাতে পারছিল না তখন অপহরণ চক্রের সদস্য তাহার মোবাইল থেকে সাইফের ভাবিকে কল দিয়ে কথা বলিয়ে দেওয়ার অভিনয় করে ১০ টাকার একটি নোট হাতে দিয়ে তাকে ফুসলিয়ে নিয়ে যায়।

টেকনাফ মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক (অপারেশন) আব্দুর রাজ্জাক জানান, ঘটনাটি শুনেছি। তাকে উদ্ধারে পুলিশ কাজ করছে।

;