সরকারি নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি টার্গেট করে প্রতারণা, পরীক্ষা ছাড়াই চাকরি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
সরকারি নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি টার্গেট করে প্রতারণা, পরীক্ষা ছাড়াই চাকরি

সরকারি নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি টার্গেট করে প্রতারণা, পরীক্ষা ছাড়াই চাকরি

  • Font increase
  • Font Decrease

রেলপথ মন্ত্রণালয়, খাদ্য মন্ত্রণালয়, ভূমি মন্ত্রণালয়, কারা অধিদপ্তর, পররাষ্ট্র অধিদপ্তর, বিআরটিসি, বিএডিসি, সচিবালয়, ব্যাংক, মেট্রোরেল, এয়ারপোর্ট, তিতাস গ্যাস এবং সেনাবাহিনীর সিভিল পদে চাকরির বিজ্ঞাপন বিভিন্ন পত্রিকায় আসার পরে একটি প্রতারক চক্র সক্রিয় হয়ে উঠে। পরীক্ষা ছাড়াই সহজেই সরকারি বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের চাকরির নামে ভুয়া নিয়োগপত্র দিয়ে টাকা আত্মসাৎ করত একটি চক্র। চক্রটি ১০ থেকে ২০ লাখ টাকা হাতিয়ে নিলেও এখন পর্যন্ত কাউকে চাকরি দিতে পারেনি তারা। এভাবে গত কয়েক বছরে তারা কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছে।

চাকরির ভুয়া নিয়োগপত্র দিয়ে অর্থ আত্মসাৎকারী সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের মূলহোতাসহ চারজনকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের ডিবি-সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম (উত্তর) বিভাগ।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন- মো. ফরিদুল ইসলাম (২৯), মো. নাসির চৌধুরী (৪৫), মো. নাসিম মাহমুদ (৪৩) ও জুয়েল রানা (৪৫)। গ্রেফতারের সময় তাদের কাছ থেকে প্রতারণার কাজে ব্যবহৃত ৪টি মোবাইল ফোন ও বেশকিছু ভুয়া নিয়োগপত্র, চেক ও স্ট্যাম্প জব্দ করা হয়।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) মিন্টো রোডের নিজ কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।


তিনি বলেন, গ্রেফতাররা বেশ কিছুদিন ধরে ভুয়া নিয়োগপত্র প্রদানের মাধ্যমে সাধারণ চাকরি প্রত্যাশীদের কাছ থেকে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়। অনুসন্ধানে এই চক্রের বিভিন্ন ধাপ লক্ষ্য করা যায়।

যেভাবে চাকরিপ্রত্যাশীদের সঙ্গে প্রতারণা-

প্রাথমিক তদন্তে জানা যায়, কোনো চাকরির বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হলেই এই চক্রের মাঠকর্মী হিসেবে চাকরি প্রত্যাশীদের কাছে যেয়ে বিভিন্ন নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেখিয়ে যেকোনো চাকরি পাইয়ে দেওয়ার মতো তাদের হাতে লোক রয়েছে বলে আশস্থ করতো। চাকরিপ্রার্থী তাদের প্রস্তাবে রাজি হলে তাদের কাছ থেকে ব্লু ব্যাংক চেক, ব্ল‍্যাংক স্ট্যাম্প ও সিভি সংগ্রহ করার পাশাপাশি মাঠকর্মী তাদের কাছ থেকে এডভান্স হিসেবে ৫০ হাজার থেকে ১ লাখ টাকা গ্রহণ করে।

ডিবি প্রধান বলেন, মাঠকর্মী তার কমিশনের নির্দিষ্ট টাকা রেখে বাকি টাকা ও সিভি ফিল্ড পর্যায়ের সাব এজেন্টের কাছে প্রেরণ করে। এরপর সাব এজেন্ট এই টাকা ও সিভি গ্রহণ করে সকল চাকরি প্রার্থীকে নির্দিষ্ট একটা দিনে ভাইভার কথা বলে ঢাকাস্থ এজেন্টের কাছে পাঠায়। পরবর্তীতে ঢাকাস্থ এজেন্ট আবাসিক হোটেলের রুমে বা সংশ্লিষ্ট দপ্তরের আশপাশের কোনো একটি চায়ের দোকানে চাকরি প্রার্থীদের ভাইভা পরীক্ষা গ্রহণ করে। ভাইভাতে উত্তীর্ণ হয়েছে বলে প্রার্থীর কাছ থেকে এইদিন চুক্তির ৫০ শতাংশ টাকা গ্রহণ করে।

এরপর চক্রের আরেক সদস্য চুক্তির বাকি টাকা গ্রহণ করে প্রার্থীকে নির্দিষ্ট একটা দিনে যোগদানের কথা উল্লেখ করে একটি ভুয়া নিয়োগপত্র এবং সংশ্লিষ্ট দপ্তরের একটি ভুয়া আইডি কার্ড প্রদান করে পুরো টাকা আত্মসাৎ করে লাপাত্তা হয়ে যায়।

চাকরিতে যোগদান করতে গেলে জানতে পারে নিয়োগপত্র ভুয়া-

অতিরিক্ত কমিশনার হারুন অর রশীদ আরও বলেন, পরবর্তী সময়ে চাকরি প্রার্থীরা নিয়োগপত্রে উল্লেখিত তারিখে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে যোগদান করতে গেলে প্রার্থীরা জানতে পারে, প্রতারক চক্রের দেওয়া নিয়োগপত্র আর আইডি কার্ডটি ভুয়া। ততোদিনে প্রত্যেক চাকরি প্রত্যাশিদের কাছ থেকে হাতিয়ে নেওয়া হয় দশ থেকে বিশ লাখ টাকার মতো। পরে চক্রটি নিজেদের মধ্যে চুক্তির টাকা ভাগাভাগি করে নেয়।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতাররা জানায়, চক্রটি দুই/তিন বছর ধরে এভাবে চাকরি প্রত্যাশিদের সঙ্গে প্রতারণা করে আসছিল। তাদের ব্যবহৃত হোয়্যান্সঅ্যাপ/মেসেঞ্জারে পর্যালোচনা করে দেখা যায়, তারা বিভিন্ন চাকরি প্রত্যাশীদের বাংলাদেশ রেলপথ মন্ত্রণালয়, খাদ্য মন্ত্রণালয়, ভূমি মন্ত্রণালয়, কারা অধিদপ্তর, পররাষ্ট্র অধিদপ্তর, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর, বিআরটিসি, বিএডিসি, এলজিইডি, সচিবালয়, বিভিন্ন ব্যাংক, প্রাথমিকের পিয়ন, মেট্রোরেল, এয়ারপোর্ট, তিতাস গ্যাস ও ওয়াসার আউটসোর্সিং এবং সেনাবাহিনীর সিভিল পদে নিয়োগ পাইয়ে দেওয়ার কথা বলে টাকা হাতিয়ে নিতেন।

গ্রেফতারদের যার যে দায়িত্ব ছিল প্রতারণার কাজে-

গ্রেফতার এ চক্রে জুয়েল রানা ফিল্ড পর্যায়ে মাঠ কর্মী হিসেবে, নাসিম মাহমুদ ফিল্ড পর্যায়ের সাব এজেন্ট হিসেবে ও নাসির চৌধুরী ঢাকাস্থ সাব এজেন্ট হিসেবে এবং চক্রের মাস্টারমাইন্ড হিসেবে মো. ফরিদুল ইসলামের জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া যায়।

একজন ভুক্তভোগীর কাছে ১২ লাখ টাকা হাতিয়েছে চক্রটি এরপর মামলা করেন তিনি-

মামলার বাদীকে রেলপথ মন্ত্রণালয়ের এমএলএসএস পদের চাকরি পাইয়ে দেওয়ার নাম করে ১২ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়ে একটি নিয়োগপত্র প্রদান করে এ নিয়োগপত্র নিয়ে তিন মাস পরে রেলপথ মন্ত্রণালয়ে যোগদানের জন্য গেলে জানতে পারেন যে নিয়োগপত্রটি ভুয়া। পরবর্তী সময়ে আসামিদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করলে তাদের ব্যবহৃত সকল যোগাযোগ নম্বর বন্ধ পাওয়া যায়। মামলার বাদী প্রতারণার বিষয়টি বুঝতে পেরে চকবাজার থানায় মামলাটি দায়ের করেন।

ডিবি-সাইবারের অর্গানাইজড ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন টিমের টিম লিডার অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার মো. নাজমুল হক জাগো নিউজকে বলেন, চক্রটি গত কয়েক বছরে চাকরিপ্রত্যাশীদের কাছ থেকে ১০ থেকে ২০ লাখ টাকা কারে নিলেও কারো চাকরি দিতে পারেনি তারা। পত্রিকায় চাকরির বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হলে শুধুমাত্র সংশ্লিষ্ট দপপ্তরে যোগাযোগ করতে হবে। চাকরির ক্ষেত্রে কারো সঙ্গে কোনো লেনদেন করা যাবে না।

তিনি বলেন, গ্রেফতারদের বিরূদ্ধে বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। চক্রের অন্য সদস্যদের গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত আছে। আসামিদের ১০ দিনের পুলিশ রিমান্ডের আবেদনসহ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।

ডিবির পরামর্শ-

১. যে কোনো চাকরিতে যোগ্যতার ভিত্তিতে লোক নিয়োগ দেওয়া হয়। অনৈতিক উপায়ে চাকরি পাওয়ার চেষ্টা না করা।

২. অনেক প্রতারক চক্র রয়েছে যারা ভুয়া নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেখিয়েও প্রতারণা করে থাকে। তাই বিজ্ঞপ্তিগুলোর সত্যতা যাচাই করার জন্য জাতীয় দৈনিক সংবাদপত্র ও সংশ্লিষ্ট দপ্তরের ওয়েবসাইটের সহায়তা নেওয়া।

৩. সরকারি চাকরিতে কেবলমাত্র সরকার নির্ধারিত ফি পরিশোধ করে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে বর্ণিত নির্দেশনা মোতাবেক নিয়োগ কার্যক্রম সম্পন্ন হয়ে থাকে। সুতরাং যথাযথ নিয়ম অনুসরণ করেই নিয়োগ পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করা।

৪. প্রতারিত হলে নিকটস্থ থানা পুলিশকে তাৎক্ষনিক অবহিত করতে হবে।

   

এমপিদের বিরুদ্ধে নির্বাচনে প্রভাব খাটানোর প্রমাণ পেলেই ব্যবস্থা: ইসি রাশেদা



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, লালমনিরহাট
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে সংসদ সদস্যদের বিরুদ্ধে প্রভাব খাটানোর তথ্য প্রমাণ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার রাশেদা সুলতানা।

শনিবার (২৭ এপ্রিল) দুপুরে লালমনিরহাট জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে লালমনিরহাট, কুড়িগ্রাম ও নীলফামারী জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, রিটার্নিং কর্মকর্তা ও প্রার্থীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা শেষে তিনি এসব কথা বলেন। সভায় সভাপতিত্ব করেন রংপুর বিভাগের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার আবু জাফর।

ইসি রাশেদা বলেন, সংসদ সদস্যগণ নির্বাচনী এলাকায় অবস্থান করতে পারবেন, ভোট দিতে পারবেন কিন্তু কোন প্রচার - প্রচারণায় অংশ নিতে পারবেন না। নিলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

তিনি বলেন, কোন প্রার্থীর বিরুদ্ধে তথ্য গোপনের অভিযোগ এলে সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং কর্মকর্তারা দেখবেন, আইনগত ব্যবস্থা নেবেন। তবে তথ্য গোপনের কোন অভিযোগ নির্বাচন কমিশন পায়নি বলে জানান তিনি।

আরও বলেন, ভোটারদের উপস্থিতির জন্য নির্বাচন কমিশন থেকে সচেতনতামূলক প্রচারণাসহ নানা পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।

মতবিনিময় সভায় লালমনিরহাট জেলার ৫ উপজেলার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী, সম্ভাব্য প্রার্থী, রিটার্নিং কর্মকর্তা, প্রিজাইডিং অফিসাররা উপস্থিত ছিলেন। সভায় রংপুর বিভাগের অতিরিক্ত ডিআইজি রশিদুল হক, লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ উল্ল্যাহ, পুলিশ সুপার সাইফুল ইসলামসহ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী এবং নারী ও পুরুষ ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীগণ উপস্থিত ছিলেন।

;

গাবতলী উপজেলা নির্বাচন

নগদ টাকায় এগিয়ে রবিন, সোনায় সিটন



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, বগুড়া
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

৮ মে অনুষ্ঠিত হবে বগুড়ার গাবতলী উপজেলা পরিষদের নির্বাচন। এই উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে চারজন প্রার্থী মাঠে থাকলেও মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে বগুড়া পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও বর্তমান গাবতলী উপজেলা চেয়ারম্যান রফিনেওয়াজ খান রবিনের সঙ্গে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় বন ও পরিবেশ বিষয়ক উপকমিটির সদস্য অরুণ কান্তি রায় সিটনের মধ্যে। মূল প্রতিদ্বন্দ্বী এই দুই প্রার্থীর মধ্যে বার্ষিক আয়ের দিক থেকে এগিয়ে রয়েছেন রবিন। তিনি বাড়ি ভাড়া, ব্যবসা ও উপজেলা পরিষদ থেকে সম্মানী ভাতা বাবদ বছরে আয় করেন ৬৮ লাখ ৭৬ হাজার টাকা। পক্ষান্তরে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী সিটনের বার্ষিক আয় ১৪ লাখ ১৬ হাজার ১৬৯ টাকা। তিনি ব্যবসা ও শিক্ষকতা পেশা থেকে এই আয় করেন। টাকা আয়ের দিক থেকে সিটন পিছিয়ে থাকলেও স্বর্ণালঙ্কারের দিক থেকে এগিয়ে রয়েছেন তিনি।

স্ত্রীর নামে রয়েছে ৫০ ভরি স্বর্ণালঙ্কার; পক্ষান্তরে রবিনের স্ত্রীর রয়েছে ১৫ ভরি স্বর্ণালঙ্কার এবং নিজের নামে আছে ৩০ হাজার টাকা মূল্যের সোনা। দুই প্রার্থীর দাখিল করা নির্বাচনী হলফনামা বিশ্লেষণে এমন তথ্যই উঠে এসেছে।

প্রতিদ্বন্দ্বী দুই প্রার্থীর দাখিলকৃত হলফনামায় দেখা যায়, রবিনের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা চলমান। পক্ষান্তরে সিটনের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া তিনটি মামলার মধ্যে দুটি মামলা নিষ্পত্তি হয়েছে, চলমান রয়েছে পাবলিক পরীক্ষা আইনের একটি মামলা।

হলফনামায় বার্ষিক আয়ের খাতে রবিন উল্লেখ করেছেন তিনি বাড়ি ভাড়া থেকে ৩ লাখ ৯৫ হাজার টাকা, ব্যবসা থেকে ৬০ লাখ ১ হাজার টাকা এবং উপজেলা চেয়ারম্যান হিসেবে সম্মানী বাবদ ৪ লাখ ৮০ হাজার টাকা আয় করেন। সিটন তার বার্ষিক আয়ের খাত হিসেবে দেখিয়েছেন ব্যবসা থেকে ১০ লাখ ৯৩ হাজার ৫৭৩ টাকা এবং শিক্ষকতা পেশা থেকে ৩ লাখ ২৩ হাজার ৫৯৬ টাকা আয় করেন।

অস্থাবর সম্পদ বিবরণীতে রবিন উল্লেখ করেছেন তার হাতে নগদ টাকা রয়েছে দেড় লাখ এবং ব্যাংকে তার নামে জমা আছে ২০ লাখ টাকা। এছাড়া তার স্ত্রীর কাছে নগদ রয়েছে ৩০ হাজার এবং ব্যাংকে জমা রয়েছে ৪ লাখ টাকা। রবিনের নিজের একটি জিপগাড়ি ও ট্রাক রয়েছে যার মূল্য দেখানো হয়েছে ৬০ লাখ ৯৫ হাজার টাকা। নিজের ৩০ হাজার টাকার সোনা এবং স্ত্রীর নামে ১৫ ভরি স্বর্ণালঙ্কার ছাড়াও তার ১ লাখ ২০ হাজার টাকার ইলেক্ট্রনিক সামগ্রী এবং ২০ হাজার টাকার আসবাবপত্র রয়েছে। পক্ষান্তরে সিটনের কাছে ১ লাখ ২০ হাজার নগদ টাকা এবং ব্যাংকে ১০ হাজার টাকা জমা রয়েছে। তার নিজের কোন স্বর্ণ না থাকলেও স্ত্রীর নামে রয়েছে ৫০ ভরি ওজনের স্বর্ণালঙ্কার। এছাড়া ২ লাখ ২০ হাজার টাকার ইলেক্ট্রনিক সামগ্রী ও ২ লাখ ৬০ হাজার টাকার আসবাবপত্র রয়েছে।

স্থাবর সম্পদ বিবরণীতে রবিন উল্লেখ করেছেন তার নিজ নামে ১ লাখ ৫৫ হাজার টাকা মূল্যের অকৃষি জমি (পরিমাণ উল্লেখ নেই), ১ কোটি ৫৪ লাখ ৪৯ হাজার ৪৩৪ টাকা মূল্যের বাড়ি রয়েছে। পক্ষান্তরে সিটনের নিজের নামে এক শতক জমির ওপরে একটি অ্যাপার্টমেন্ট রয়েছে। তাদের স্ত্রী বা নির্ভরশীলদের নামে কোন স্থাবর সম্পদের উল্লেখ নেই।

দায়-দেনার বিবরণীতে রবিন উল্লেখ করেছেন- তিনি এনসিসি ব্যাংক বগুড়ার বড়গোলা শাখা থেকে ১ কোটি ২২ লাখ ৬৬ হাজার টাকা ঋণ নিয়েছেন। তার প্রতিদ্বন্দ্বী সিটন রংপুরের বদরগঞ্জ উপজেলার সোনালী ব্যাংক শাখা থেকে ১৫ লাখ টাকা সেলারি ঋণ নিয়েছেন।

;

চিফ হিট অফিসারের পরামর্শেই কাজ চলছে: মেয়র আতিক



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম জানিয়েছেন, চিফ হিট অফিসার (সিএইচও) বুশরা আফরিনের পরামর্শ অনুযায়ী তাপদাহ মোকাবিলায় কাজ চলছে।

চিফ হিট অফিসার পরামর্শ দিচ্ছেন জানিয়ে তিনি বলেন, তিনি একজন একক ব্যক্তি। তিনি তো কাজগুলো বাস্তবায়ন করবেন না। তিনি পরামর্শ দিচ্ছেন, কিন্তু কাজগুলো আসলে আমাদের সকলকে করতে হবে। তার পরামর্শেই জনগণকে স্বস্তি দিতে আমরা এই কাজগুলো করছি।

শনিবার (২৭ এপ্রিল) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বায়ু দূষণ রোধ ও তীব্র তাপদাহে শহরকে ঠাণ্ডা রাখতে ডিএনসিসির ওয়াটার স্প্রে (পানি ছিটানো) কার্যক্রম পরিদর্শনকালে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

এসময় চিফ হিট অফিসার বুশরা আফরিনকে নিয়োগ ও বেতন ভাতা প্রসঙ্গে প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমি দেখছি কয়েকদিন ধরে তাকে নিয়ে অনেকে কথা বলছেন। তিনি সিটি কর্পোরেশন থেকে বেতন পাচ্ছেন, আসলে এটা সঠিক নয়। সিটি কর্পোরেশন থেকে তিনি একটি টাকাও পান না। এমনকি সিটি কর্পোরেশনে তার কোনো বসার ব্যবস্থাও নেই। তার কোনো চেয়ারও কিন্তু নেই।

হিট অফিসার নিয়োগ দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক একটি প্রতিষ্ঠান (অ্যাড্রিয়েন আরশট-রকফেলার ফাউন্ডেশন রেসিলিয়েন্স সেন্টার (আরশট-রক)। সারা বিশ্বে ৭ জন চিফ হিট অফিসার তারা নিয়োগ করেছে এবং সাতজনই নারী।

এর আগে, বেলা সাড়ে ১১টায় মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম আগারগাঁওয়ের সৈয়দ মাহবুব মোর্শেদ সরণিতে এসে বিশুদ্ধ খাবার পানি সরবরাহের জন্য রাখা বিশেষ ভ্যান পরিদর্শন করেন এবং নিজে ট্যাব ছেড়ে পানি পান করেন। পরে স্প্রে ক্যাননের মাধ্যমে কৃত্রিম বৃষ্টির মতো পানি ছিটানো শুরু হলে তিনি নিজে উচ্ছ্বসিত শিশু কিশোরদের সাথে ভেজেন এবং তাদের সাথে আনন্দ ভাগাভাগি করে নেন।

পরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপ করেন মেয়র। আতিকুল ইসলাম বলেন, দুটি স্প্রে ক্যানন যেগুলো কৃত্রিম বৃষ্টির ব্যবস্থা করে এগুলো প্রধান সড়কে পানি ছিটাবে। এগুলো বেশ বড় হওয়ায় গলির সড়কে প্রবেশ করতে পারবে না৷ গলির সড়কে পানি ছিটানোর জন্য দশটি ব্রাউজার কাজ করবে। এগুলোর মাধ্যমে সড়কগুলো ভিজিয়ে ঠাণ্ডা রাখা হবে। এছাড়াও ডিএনসিসির পার্কগুলোয় স্প্রে ক্যাননের মতো কৃত্রিম বৃষ্টির ব্যবস্থার জন্য সংশ্লিষ্ট বিভাগকে নির্দেশ দিয়েছি। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে পার্কগুলোয় কৃত্রিম বৃষ্টির ব্যবস্থা করা হবে।

তিনি বলেন, চিফ হিট অফিসার (সিএইচও) বুশরা আফরিনের পরামর্শে বর্তমানে চলমান তীব্র তাপদাহে জনগণকে স্বস্তি দিতে সড়কে পানি ছিটানো এবং ডিএনসিসির ৫৪টি ওয়ার্ডে বিনামূল্যে খাবার পানি সরবরাহের উদ্যোগ নিয়েছি। প্রতিটি ওয়ার্ডে তিনটি বিশেষ ভ্যানগাড়ি (৫০০ লিটার পানির ট্যাংক সম্বলিত) পথচারীদের পানি পান করানোর জন্য নামানো হয়েছে। ভ্যানগুলো বিশুদ্ধ খাবার পানি নিয়ে ওয়ার্ডের বিভিন্ন জায়গায় ঘুরবে। এই ভ্যানগুলো ছোট আকারে করা হয়েছে যেন শহরের অলি গলিতে প্রবেশ করতে পারে। পথচারী এবং শ্রমজীবী মানুষ যেন পানি পান করতে পারেন।

নগরবাসীকে আহ্বান জানিয়ে মেয়র বলেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে নগরবাসীর প্রতি আমার তিনটি আহবান। ১, আমি ডিএনসিসি এলাকার দোকানদার, ব্যবসায়ী ও মালিক সমিতির নেতৃবৃন্দদের অনুরোধ করছি আপনারা প্রতিটি দোকান, শপিংমল, মার্কেটের সামনে পানি খাওয়ার জন্য একটি ড্রামের ব্যবস্থা রাখবেন। সবাই যেন পানি খেতে পারে। ২, আমরা গতবছর ৮০ হাজার গাছ লাগিয়েছি। এই বছর আরও ১ লাখ ২০ হাজার গাছ লাগাবো। এই গাছগুলো লালন পালনের জন্য আমি নগরবাসীকে অনুরোধ করছি। সিটি কর্পোরেশন পরিচর্যা করছে, পাশাপাশি নগরবাসী যার যার বাড়ির সামনে, দোকানের সামনে যে গাছগুলো আছে সেগুলোর যত্ন নিবেন। ৩, এবছর ডেঙ্গু ছড়িয়ে পড়ার আগেই আমরা কার্যক্রম শুরু করেছি। এডিস মশার সিজন শুরু হচ্ছে। সবাই যার যার বাড়ি, অফিস, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও আশপাশ পরিষ্কার রাখবেন যেন এডিসের লার্ভা না জন্মায়।

ওয়াটার স্প্রে পরিদর্শনকালে আরও উপস্থিত ছিলেন ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মীর খায়রুল আলম, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ইমরুল কায়েস চৌধুরী, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা ক্যাপ্টেন মোহাম্মদ ফিদা হাসান, ২৮ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. ফোরকান হোসেন, সংরক্ষিত কাউন্সিলর হামিদা আক্তার (মিতা) প্রমুখ।

;

এফডিসিতে সাংবাদিকদের উপর হামলায় প্রতিবাদ সমাবেশ



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, জামালপুর
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

এফডিসিতে খবরের কাগজের দুইজনসহ ২২ সাংবাদিকদের উপর হামলা ও দেশব্যাপী সাংবাদিক নির্যাতনের প্রতিবাদে জামালপুরে প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (২৭ এপ্রিল) দুপুরে জামালপুর জেলা প্রেসক্লাব প্রাঙ্গনে প্রতিবাদ সমাবেশের আয়োজন করা হয়।

জামালপুর জেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি অ্যাডভোকেট ইউসুফ আলীর সভাপতিত্বে প্রতিবাদ সমাবেশে সচেতন নগরিক কমিটি (সনাক) জামালপুরের সভাপতি শামীমা খান, সুইড জামালপুরের সাধারণ সম্পাদক অজয় কুমার পাল, ভাষা ও স্বাধীনতা সংগ্রামী মতি মিয়া ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক একেএম আশরাফুজ্জামান স্বাধীন, প্রবীণ সাংবাদিক মুকুল রানা, আজকের জামালপুরের নির্বাহী সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান কিছলু, ইত্তেফাকের সাংবাদিক শাহ জামালসহ অন্যান্যরা বক্তব্য রাখেন।

এ সময় বক্তারা বলেন, এফডিসিতে হামলা চালিয়ে খবরের কাগজের বিনোদন প্রতিবেদক মিঠুন আল মামুন, ক্যামেরাপার্সন আরমান আফ্রাদসহ ২২ জন সাংবাদিকের উপর হামলা চালিয়ে গুরুত্বর আহত করে শিল্পী সমিতির সদস্যরা। এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে দোষীদের বিচারের আওতায় আনার দাবি জানান তারা।

সাংবাদিকদের হত্যা, নির্যাতনের কোন বিচার না হওয়ায় দিন দিন গণমাধ্যমকর্মীদের উপর হামলার ঘটনা বাড়ছে, তাই সাংবাদিকদের নিরাপত্তা প্রদান, সকল সাংবাদিক হত্যা ও নির্যাতনের বিচার দাবী করেন বক্তারা।

এছাড়াও বকশীগঞ্জের সাংবাদিক গোলাম রাব্বানী নাদিম হত্যাকান্ডের প্রায় এক বছর হয়ে গেলেও চার্জশীট গঠন না হওয়ায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে দ্রুত বিচার শেষ করার জন্য সমাবেশ থেকে দাবি জানানো হয়।

প্রতিবাদ সমাবেশ সঞ্চালনা করেন জামালপুর জেলা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ডিবিসি নিউজ ও বাংলাদেশ প্রতিদিনের সাংবাদিক শুভ্র মেহেদী।

ঘণ্টাব্যাপী প্রতিবাদ সমাবেশে সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ ও সাংবাদিকবৃন্দ অংশ নেন।

;