কাকাকে অভিনন্দন জানাচ্ছি, উনার মেয়ে জিতেছে: আইভী

  নাসিক নির্বাচন



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নারায়ণগঞ্জ
হ্যাটট্রিক জয়ের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে ব্রিফিংয়ে হাস্যোজ্জ্বল আইভী। ছবি: বার্তা২৪.কম

হ্যাটট্রিক জয়ের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে ব্রিফিংয়ে হাস্যোজ্জ্বল আইভী। ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের (নাসিক) নির্বাচনে মেয়র পদে বেসরকারি ফলাফলে জয়ী আওয়ামী লীগের প্রার্থী ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী বলেছেন, ‌‘আমি অবশ্যই আমার কাকা তৈমূর আলম খন্দকারকে সঙ্গে নিয়ে কাজ করব।’

আইভী বলেন, ‘কাকা অনেক ভোট পেয়েছেন, তাকে অভিনন্দন জানাতে চাচ্ছি। আপনার মেয়ে জিতেছে। মেয়ে তো জিতবেই, বাবারা সব সময় মেয়েদের জিতিয়ে দেয়। তিনি যেহেতু আমার চাচা, তিনিও খুশি হয়েছে যে, চুনকার মেয়ে জিতেছে, উনারই মেয়ে জিতেছে।’

তিনি বলেন, ‘কাকা আগেও আমাকে অনেক সহযোগিতা করেছেন। আবার অনেক সময় অনেক সমালোচনা করেছেন, অনেক কথা বলেছেন। তবে আমি উনাকে সব সময় সম্মান করি, শ্রদ্ধা করি।’

রোববার (১৬ জানুয়ারি) রাতে বেসরকারি ফলাফলে জয় নিশ্চিতের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন সেলিনা হায়াৎ আইভী। এসময় তিনি এসব কথা বলেন।

নির্বাচনী প্রচারে তৈমূর আলম খন্দকার যেসব পরিকল্পনা তুলে ধরেছেন, সেগুলো বিবেচনায় নেওয়ার কথা উল্লেখ করে আইভী বলেন, ‘আমি উনার সঙ্গে কথা বলব, আগেও কথা হতো। তার উন্নয়ন পরিকল্পনার অনেক কিছুই আমার পরিকল্পনার মধ্যেও রয়েছে।’

সেলিনা হায়াৎ আইভী বলেন, ‘আমি এ শহরেই থাকতে চাই। জীবনের শেষ সময় পর্যন্ত মানুষের পাশে থাকতে চাই। জীবনের শেষ দিনটি পর্যন্ত মানুষের জন্য কাজ করতে চাই। নারায়ণগঞ্জ মানুষের জন্য, নারায়ণগঞ্জবাসীর জন্য। তারা যেমন আমার বিপদে পাশে দাঁড়িয়েছেন, আমিও তাদের পাশে থাকতে চাই।’

তিনি বলেন, ‘কোনো ভয় ও শঙ্কা কাজ করেনি। আমার কনফিডেন্স দেখে অনেকে মনে করেছিলেন, আমি ওভার কনফিডেন্স। কনফিডেন্সে না থাকলে নেতাকর্মীরা মন মরা হয়ে যায়। আমি ছোটবেলা থেকেই দেখে আসছি। আব্বাও এ শহরে কাজ করেছেন। আমি জানতাম, তারা আমাকে বিমুখ করবে না। ভোট স্লো হয়েছে, হয়তো আরও ভোট পড়লে ব্যবধানটা আরও বড় হতো।’

তিনি বলেন, ‘আমি নির্বাচন কমিশনকে ধন্যবাদ দিতে চাই। তারা এত বেশি সক্রিয় ছিলেন, যার ফলে কোথাও অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। আমি আপনাদের কাছে ঋণী। আমার জন্য দোয়া করবেন। যে প্রত্যাশা নিয়ে মানুষ ভোট দিয়েছে, প্রধানমন্ত্রী নৌকা দিয়েছে সেটা যেন পূরণ করতে পারি।’

সিটি করপোরেশনের উন্নয়নে এমপি শামীম ওসমানকে সঙ্গে রাখবেন কি না, এমন প্রশ্নে আইভী বলেন, ‘যে কেউ আমার সাথে উন্নয়নে অংশ নিতে পারেন। সবার কথাই আমি গ্রহণ করব। প্রত্যাশা অনেক বেশি। মানুষ যেই প্রত্যাশা রাখে, সেগুলো পূরণ করব। আর চ্যালেঞ্জ থাকবেই, আগেও মোকাবিলা করেছি, আগামীতেও করব।’

বেসরকারিভাবে ঘোষিত ফলাফল অনুযায়ী, আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র পদপ্রার্থী ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী (নৌকা) পেয়েছে ১ লাখ ৬১ হাজার ২৭৩ ভোট। তার নিকট প্রতিদ্বন্দ্বি বিএনপির অব্যাহতিপ্রাপ্ত নেতা তৈমূর আলম খন্দকার (হাতি) পেয়েছেন ৯২ হাজার ১৭১ ভোট।

নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, ভোট পড়েছে প্রায় ৫০ শতাংশ। সকাল থেকেই ভোটের পরিবেশ নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন প্রার্থীরা। কোথাও সহিংসতার কোনো ঘটনা ঘটেনি।

  নাসিক নির্বাচন

‘বিশ্বের মুক্তিকামী মানুষের অনুপ্রেরণা হয়ে থাকবে আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রাম’



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস। গৌরবোজ্জল ও তাৎপর্যপূর্ণ এই দিনে আমি দেশবাসীকে প্রাণঢালা অভিনন্দন জানাচ্ছি। একইসাথে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে অবস্থানরত বাংলাদেশিদের প্রতি শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা জানিয়েছেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের।

শনিবার (২৫ মার্চ) স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে দেওয়া এক বাণীতে এমন মন্তব্য করেছেন তিনি।

বাণীতে বলেন, কৃতজ্ঞচিত্তে সেই দেশের অবদান স্বীকার করছি, যারা আমাদের মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে আমাদের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে সমর্থন ও সহায়তা জুগিয়েছে।

মহান স্বাধীনতা দিবসের এই মাহেন্দ্রক্ষণে গভীর কৃতজ্ঞতায় স্মরণ করছি মহান মুক্তিযুদ্ধের অবিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। বিনম্র শ্রদ্ধা আর ভালোবাসায় স্মরণ করছি ৩০ লাখ বীর শহীদদের। মহান মুক্তিযুদ্ধে জীবন উৎসর্গ করে যারা আমাদের লাল-সবুজের পতাকা উপহার দিয়েছেন। সশ্রদ্ধ সালাম সেই সকল বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি যারা জীবনবাজী রেখে লড়াই করেছেন আমাদের স্বাধীনতা ও মুক্তির জন্য।

পরম শ্রদ্ধায় স্মরণ করছি বাংলাদেশের প্রয়াত রাষ্ট্রপতি ও জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদকে। মহান মুক্তিযুদ্ধে অর্জিত স্বাধীন বাংলাদেশের আধুনিকায়নে যার অপরিসীম অবদান অক্ষয় হয়ে থাকবে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়ন ও মুক্তিযোদ্ধাদের কল্যাণে অসামান্য অবদান রেখেছেন তিনি।

মহান স্বাধীনতা সংগ্রাম বাংলাদেশিদের জীবনে এক অবিনশ্বর চেতনা। মহান স্বাধীনতা জাতির শ্রেষ্ঠ অর্জন। বিশ্বের মুক্তিকামী মানুষের সামনে অনুপ্রেরণা হয়ে থাকবে আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রাম। প্রতিটি জাতির অধিকার আদায়ের সংগ্রামে একাত্তরের গৌরবোজ্জল উত্তাল দিনগুলো আজীবন পথ দেখাবে। মহান স্বাধীনতা সংগ্রাম বিশ^বাসীর সামনে সাহস আর বিজয়ের প্রতিক হয়ে থাকবে। মহান মুক্তিযুদ্ধ আজীবন সুখী ও সমৃদ্ধশালী নতুন বাংলাদেশ গড়তে অনুপ্রেরণা যোগাবে।

এই শুভক্ষণে আগামী প্রজন্মের সুখময় ভবিষ্যত নিশ্চিত করতে ক্ষুধা, দারিদ্র এবং দুর্নীতিমুক্ত হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ-এর স্বপ্নের নতুন বাংলাদেশ গড়তে সবার প্রতি উদাত্ত আহবান জানাচ্ছি। সবার সর্বাঙ্গীন মঙ্গল, সমৃদ্ধি এবং সুস্থতা কামনা করছি।

  নাসিক নির্বাচন

;

নান্দাইলে ভাগ্নে ভাগ্নির হাতে মামা খুন



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ময়মনসিংহ
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ময়মনসিংহের নান্দাইলে বাড়ির সীমানা নিয়ে বিরোধের জেরে ভাগ্নে ভাগ্নির হাতে খুন হয়েছেন মাজিম উদ্দিন (৭০) নামের এক বৃদ্ধ।

শুক্রবার (২৪ মার্চ) বিকেলে নান্দাইলের উত্তর জাহাঙ্গীরপুর গ্রামে মাজিম উদ্দিনকে পিটিয়ে আহত করেন হালিমা ও তার ভাইয়েরা। পরে সন্ধ্যা ৭টায় ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় মাজিম উদ্দিনের। এ ঘটনার পর থেকে ভাগ্নি হালিমা খাতুন ও তার ভাইয়েরা পলাতক রয়েছে।

নান্দাইল মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ মিজানুর রহমান আকন্দ বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, মাজিম উদ্দিনের সঙ্গে ভাগ্নি হালিমা, নাছিমা ও ভাগ্নে আব্দুর রাশিদ, কাদির, আলামিন, হালিমদের দীর্ঘদিন ধরে জমির সীমানা নিয়ে বিরোধ চলছিল। ঘটনার দিন তাদের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে হালিমা তার হাতে থাকা কাঠের লম্বা টুকরা দিয়ে মামা মাজিম উদ্দিনের মাথায় আঘাত করেন। এতে তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়লে নাছিমা, আব্দুর রাশিদ, কাদির, আলামিন, হালিম তাকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে গুরুতর আহত করেন। পরে মাজিম উদ্দিনের স্বজনরা তাকে উদ্ধারে করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সন্ধ্যা ৭টার দিকে মৃত্যু হয় তার।

ওসি আরও বলেন, অভিযুক্তরা ঘটনার পর থেকে পালিয়েছে। তাদেরকে গ্রেফতারের চেষ্টা করছে পুলিশ। এই ঘটনায় আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।

  নাসিক নির্বাচন

;

রাত সাড়ে ১০টায় সারা দেশ এক মিনিট অন্ধকার থাকবে



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বিভীষিকাময় কালরাতের প্রথম প্রহর স্মরণ করে গণহত্যা দিবসে ২৫ মার্চ এক মিনিট অন্ধকারে (ব্ল্যাক আউট) থাকবে সারা দেশ। ১৯৭১ সালের এই দিনে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর গণহত্যার স্মরণে ২৫ মার্চ রাত ১০টা ৩০ থেকে ১০টা ৩১ মিনিট পর্যন্ত সারা দেশ অন্ধকার থাকবে।

মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী বাণী দেবেন এবং সংবাদপত্রসমূহে বিশেষ ক্রোড়পত্র প্রকাশ করা হবে।

এদিন সকাল সাড়ে ৯টায় মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর মিলনায়তনে গণহত্যা দিবসের ওপর আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হবে। সারা দেশে গণহত্যা ও মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক গীতিনাট্য এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে।

এ ছাড়া স্কুল, কলেজ এবং মাদরাসাসহ সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বিশিষ্ট ব্যক্তি এবং বীর মুক্তিযোদ্ধাদের কণ্ঠে ২৫ মার্চ গণহত্যার স্মৃতিচারণ ও আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হবে। সব সিটি করপোরেশনের মিনিপোলগুলোতে গণহত্যার ওপর দুর্লভ আলোকচিত্র ও প্রামাণ্যচিত্র প্রচার করা হবে।

১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ রাতে নিহতদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে এদিন বাদ জোহর/সুবিধাজনক সময়ে দেশের সব মসজিদে বিশেষ মোনাজাত এবং অন্যান্য উপাসনালয়গুলোতে প্রার্থনা করা হবে।

  নাসিক নির্বাচন

;

‘গণহত্যা দিবসের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি আদায়ে সকলকে ভূমিকা রাখতে হবে’



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ

রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ

  • Font increase
  • Font Decrease

২৫ মার্চ গণহত্যা দিবসের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি আদায়ে বিদেশে বাংলাদেশ মিশনসমূহসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে ফলপ্রসূ ভূমিকা রাখার আহ্বান জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।

‘গণহত্যা দিবস’ উপলক্ষে দেয়া এক বাণীতে রাষ্ট্রপতি বলেন, ১৯৭১ সালের এই দিনে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ঢাকাসহ সারাদেশে ইতিহাসের নৃশংসতম হত্যাকাণ্ড পরিচালনা করে। বাঙালির মুক্তি আন্দোলনকে স্তব্ধ করতে কাপুরুষের দল সেদিন নিরস্ত্র ও ঘুমন্ত বাঙালির ওপর নির্বিচারে হামলা চালায়। এ গণহত্যায় শহিদ হন ছাত্র, শিক্ষক, বুদ্ধিজীবী, বিভিন্ন বাহিনী, বিশেষ করে পুলিশ ও তৎকালীন ইপিআর সদস্যসহ বিভিন্ন শ্রেণিপেশার অগণিত মানুষ। এ দিনটিকে গণহত্যা দিবস হিসেবে পালন বাংলাদেশের মুক্তিসংগ্রামে ত্রিশ লাখ বাঙালির আত্মত্যাগের মহান স্বীকৃতির পাশাপাশি তৎকালীন পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর নির্মম গণহত্যার বিরুদ্ধে চরম প্রতিবাদের প্রতীক।

এ দিনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে পরম শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করে রাষ্ট্রপতি বলেন, তার নেতৃত্ব ও দিকনির্দেশনায় দীর্ঘ ন'মাস সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত হয় আমাদের মহান স্বাধীনতা। তিনি সশ্রদ্ধচিত্তে স্মরণ করেন ২৫ মার্চ কালরাতের নৃশংস হত্যাকাণ্ডসহ পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর হাতে নির্মম গণহত্যার শিকার সকল শহিদকে এবং জাতীয় চার নেতা, বীর মুক্তিযোদ্ধা, মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক-সমর্থকসহ দেশের জনগণকে, যাঁদের অসামান্য অবদান ও আত্মত্যাগের বিনিময়ে অর্জন হয়েছে স্বাধীনতা।

তিনি বলেন, ১৯৭০ সালের ৭ ডিসেম্বর তৎকালীন অবিভক্ত পাকিস্তানে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ সে নির্বাচনে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে। বঙ্গবন্ধুকে সরকার গঠনে আহ্বান জানানোর পরিবর্তে তৎকালীন প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান ১৯৭১ সালের ১ মার্চ জাতীয় পরিষদ অধিবেশন অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত ঘোষণা করেন। পাকিস্তানের শাসকগোষ্ঠী সেই নির্বাচনে বিজয়ী শেখ মুজিবের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরে টালবাহানা শুরু করে। এর প্রতিবাদে সমগ্র পূর্ব পাকিস্তানে অসহযোগ আন্দোলন শুরু হয়। ইয়াহিয়া খান বঙ্গবন্ধুর সাথে আলোচনায় বসলেও বাঙালি জাতিকে চিরতরে স্তব্ধ করে দিতে পর্দার অন্তরালে গণহত্যার পরিকল্পনা করতে থাকে, যা বাস্তবায়নের দায়িত্ব দেওয়া হয় বালুচিস্তানের কসাই খ্যাত জেনারেল টিক্কা খানকে।

রাষ্ট্রপতি বলেন, ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ অত্যাধুনিক অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে তৎকালীন পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী নিরস্ত্র বাঙালির ওপর নির্বিচারে গণহত্যা চালায়। ‘অপারেশন সার্চলাইট’ নামে অভিযানটি পরিচালনার মাধ্যমে তারা স্বাধীনতাকামী ছাত্রজনতার প্রতিরোধকে স্তব্ধ করে দিতে চেয়েছিল। এর ব্যাপ্তি ছিল ঢাকাসহ সারাদেশ। হায়েনার দল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস, রাজারবাগ পুলিশ লাইনস, পিলখানাসহ (বর্তমানে বিজিবি সদর দফতর) যশোর, খুলনা, রাজশাহী, রংপুর, সৈয়দপুর, কুমিল্লা, সিলেট, চট্টগ্রামে একযোগে গণহত্যা চালায়। বিশ্বের সকল গণমাধ্যমেই গুরুত্বের সাথে স্থান পায় এ গণহত্যার খবর। ২৬ মার্চ প্রথম প্রহরে পাকিস্তানি বাহিনীর হাতে গ্রেফতার হন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তার আগেই তিনি স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়ে যান, যার পথ ধরে শুরু হয় মুক্তিযুদ্ধ।

তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধকালীন ন’মাসে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ও তাদের এদেশীয় দোসরদের নৃশংস হত্যাকাণ্ডের শিকার হন ত্রিশ লাখ মানুষ। হত্যা-নিপীড়নের ভয়াবহতায় এক কোটি বাঙালি আশ্রয় নিয়েছিল প্রতিবেশী দেশ ভারতে। একাত্তরের বীভৎস গণহত্যা শুধু বাংলাদেশের নয়, বিশ্বমানবতার ইতিহাসেও একটি কালো অধ্যায়। এমন গণহত্যা আর কোথাও যাতে না ঘটে, গণহত্যা দিবস পালনের মাধ্যমে সে দাবিই বিশ্বব্যাপী প্রতিফলিত হবে।

সকল বাধা পেরিয়ে মুক্তিযুদ্ধের মন্ত্রে উজ্জীবিত হয়ে বাংলাদেশ আজ এগিয়ে চলেছে উন্নতি আর সমৃদ্ধির পথে উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি বলেন, বাংলাদেশ ইতিমধ্যে স্বল্পোন্নত থেকে উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হয়েছে। বাংলাদেশকে ২০৪১ সালে উন্নত-সমৃদ্ধ স্মার্ট বাংলাদেশে পরিণত করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ‘রূপকল্প ২০৪১' ঘোষণা করেছেন। এ লক্ষ্য অর্জনে রাষ্ট্রপতি দলমত নির্বিশেষে সকলকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে কার্যকর অবদান রাখার আহ্বান জানান।

তিনি বলেন, দেশকে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলায় পরিণত করার মধ্য দিয়েই আমরা একাত্তরের গণহত্যায় জীবনদানকারী প্রতিটি প্রাণের প্রতি জানাতে পারি আমাদের চিরন্তন শ্রদ্ধাঞ্জলি।

  নাসিক নির্বাচন

;