যে ৬ সময়ে হাত পরিষ্কার করা অপরিহার্য



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
পরিষ্কার হাতে পাওয়া যাবে শারীরিক সুস্থতা, ছবি: সংগৃহীত

পরিষ্কার হাতে পাওয়া যাবে শারীরিক সুস্থতা, ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

দৈনন্দিন জীবনের সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত অঙ্গটি হলো হাত।

প্রতিদিন অসংখ্য কাজের মাধ্যমে প্রায় পাঁচ হাজারের মতো জীবাণুর সংস্পর্শে আসে হাত। খাদ্য গ্রহণ কিংবা মুখে হাত দেওয়ার মাধ্যমে এসব জীবাণু শরীরে প্রবেশ করে বিভিন্ন রোগ সৃষ্টি করে। এ বিষয়ে জনগণকে সচেতন করতে প্রতিবছর ১৫ই অক্টোবর বিশ্ব হাত ধোয়া দিবস পালন করা হয়।

মেয়ো ক্লিনিকের মতে, হাত ধোয়ার মাধ্যমে ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাস ও অন্যান্য জীবাণু দূর হয়। এছাড়া রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ কেন্দ্রগুলো পরামর্শ দিয়ে থাকে, সাবান অথবা হাত স্যানিটাইজার দিয়ে হাত পরিষ্কার করা উচিৎ। গবেষণার মতে, এই দুইটি উপাদান ব্যবহার জীবাণু দূর করার ক্ষেত্রে অনেকটা কার্যকর।

এদিকে আমাদের অনিচ্ছা সত্ত্বেও বেশ কিছু অপরিষ্কার জিনিস ধরতে হয় এবং সেই হাতেই অনেক সময় খাবার খেতে হয়। এতে সহজেই জীবাণু শরীরে প্রবেশ করে নানান ধরণের শারীরিক ক্ষতি করে থাকে। আজকের ফিচার থেকে জেনে নিন, সুস্থ থাকতে চাইলে কোন কোন সময়ে অবশ্যই হাত ভালোভাবে ধুয়ে নিতে হবে।

টাকা

বর্তমানে অনেকেই কার্ডে টাকা আদান-প্রদান করলেও, কিছু ক্ষেত্রে টাকা দিয়েই কাজ সমাধান করতে হয়। বিশেষজ্ঞরা টাকার নোট পরীক্ষা করে এতে কয়েক হাজার মানুষসহ পশুর জীবাণু ও ভাইরাস পেয়েছেন। এছাড়াও কিছু গবেষণায় ই-কোলাই, সেলমোনেল্লা রোগের মতো ভাইরাস দেখা গিয়েছে।

যেহেতু একটি টাকার নোট বছরের পর বছর ব্যবহার করা হয় এবং এতে কতখানি জীবাণু নিয়ে নোটটি আপনার কাছে আসে তা গণনা করা দুষ্কর, তাই নিজেকে সুস্থ রাখতে টাকা লেনদেনের পর দ্রুত হাত ধুয়ে নিতে হবে।

বিভিন্ন হ্যান্ডেল

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jun/25/1561443125659.jpg

প্রতিদিন ঘর বা বাইরে দরজা, হ্যান্ডেল, বাসের সিট, জানালা, সিঁড়ি, লিফট ধরা হয়। কলোম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিক্যাল সেন্টারের চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ ক্যাটি বুরিস জানান, ব্যাকটেরিয়া ও ভাইরাস ছড়িয়ে পরার আগেই হাত পরিষ্কার করা উচিৎ। বিশেষ করে লোকাল যানবাহন- বাস, ট্রেন, গাড়ি, রিকশা ইত্যাদি এবং বাথরুমের দরজা ধরার পর অবশ্যই হাত ভালোভাবে পরিষ্কার করতে হবে। কারন প্রতিদিন মানুষজন হাজারো জীবাণু নিয়ে এসব ধরছে এবং জীবাণুগুলো একজন থেকে আর একজনের কাছে ছড়িয়ে পড়ছে।

রেস্টুরেন্টের মেন্যু

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jun/25/1561443100886.jpg

বন্ধুবান্ধব, পরিবারের সাথে প্রায়ই ঘুরতে যাওয়া হয় রেস্টুরেন্টে, গিয়েই দেখা হয় মেন্যু কার্ড। প্রতিদিন শত কাস্টমার এসে সেটি ধরে দেখেন। তাদের হাতে থাকা জীবাণুগুলো প্রবাহিত হয় সেই মেন্যুতে এবং পরবর্তী সকলের কাছে ছড়িয়ে যায়। অ্যারিজোনা বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা একটি মেন্যু পরীক্ষা করে দেখেন, সেটিতে  প্রায় ১,৮৫,০০০টি ব্যাকটেরিয়া রয়েছে। তাই মেন্যু দেখার পর ও খাবার খাওয়ার আগে অবশ্যই হাত পরিষ্কার করতে হবে।

পশুপাখি

অনেকেই রাস্তাঘাটি প্রাণী দেখলেই ধরে আদর করেন। শারীরিক ও স্বাস্থ্য বিশ্লেষক নেসোচি অকেকে-ইগবোকউই বলেছেন, কুকুর বিড়ালের মতো পশু অসংখ্য ব্যাকটেরিয়া-ভাইরাস বহন করে থাকে। এদিকে ঘরে পালিত পশুদের ঘরের সদস্য হিসেবেই দেখা হয়। তাই বেশিরভাগ সময় হাত ধোয়ার ব্যাপারটি এড়িয়ে যাওয়া হয় কিন্তু তা একেবারেই উচিৎ নয়।

বই-কলম

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jun/25/1561443114481.jpg

অন্যের কাছ থেকে বই, খাতা, কলম কিছু নিয়ে ব্যবহারের পর অবশ্যই সাথে সাথে হাত পরিষ্কার করে নিতে হবে। কারণ এতে থাকতে পারে হাজারো জীবাণু। ওয়াল স্ট্রীট জার্নালে প্রকাশিত গবেষণার তথ্য মতে, অফিসে ব্যবহৃত একটি কলমে ১০ গুন বেশি জীবাণু রয়েছে। এছাড়াও অনেকে কলম মুখে দিয়ে কামড়ায়, চাবায়- যা থেকেও ব্যবহৃত কলমে ব্যাকটেরিয়া সংক্রমিত হয়। 

হাসপাতাল

হাসপাতাল বা ক্লিনিক চিকিৎসকের কাছ থেকে চিকিৎসা গ্রহণের পর যত দ্রুত সম্ভব হাত ও মুখ ধুয়ে ফেলতে হবে। প্রতিনিয়ত সেখানে বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত রোগীরা আসে। এতে করে উক্ত স্থানটিসহ সেখানকার সবকিছুর সাথেই জীবাণু উপস্থিতি দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে।

আরও পড়ুন: হেয়ার ড্রায়ার ব্যবহারে যে বিষয়গুলো জানা জরুরি

আরও পড়ুন: বিত্তবান হতে গড়ে তুলতে হবে ‘তিন অভ্যাস’

   

পিরিয়ডে হেভি ফ্লো-এর দিনগুলো হোক হ্যাসেল-ফ্রি



লাইফস্টাইল ডেস্ক বার্তা২৪.কম
পিরিয়ডে হেভি ফ্লো-এর দিনগুলো হোক হ্যাসেল-ফ্রি

পিরিয়ডে হেভি ফ্লো-এর দিনগুলো হোক হ্যাসেল-ফ্রি

  • Font increase
  • Font Decrease

পিরিয়ড মানেই মুড সুইং, ক্র্যাম্প, পেইন। তবু এটুকুই যথেষ্ট না। পিরিয়ডের সবচেয়ে কমন ফেনোমেনা হলো রক্তক্ষরণ, যা বয়স ও ব্যক্তিভেদে বিভিন্নরকম হয়। কারও কারও শুরুতে হেভি ফ্লো হয়ে পরে কমে যায়, আবার কারও পুরো সময়জুড়েই হালকা অথবা ভারী ব্লিডিং হয়। বিশেষজ্ঞদের মতে, পিরিয়ডের সময় স্বাভাবিক রক্তক্ষরণের পরিমাণ ৩০-৫০ মিলিলিটার, কিন্তু যখন রক্তক্ষরণের মাত্রা এর চেয়ে বেশি হয়ে যায়, মেডিকেলের ভাষায় তাকে বলে হেভি মেন্সট্রুয়াল ব্লিডিং বা এইচএমবি। ধারণা করা হয়, শতকরা ২৫ ভাগ নারীর হেভি ফ্লো হয়। 

যেহেতু হেভি ফ্লো হলে প্রতি ২-৩ ঘন্টায় ন্যাপকিন পাল্টানোর মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়, এবং স্বচ্ছন্দে প্রতিদিনের কাজ করা সম্ভব হয়ে ওঠে না। এমনকি ভালোভাবে মেন্সট্রুয়াল হাইজিন মেইন্টেইন করাও কঠিন হয়ে পড়ে। ফলে অনেকেই ডিপ্রেসড হয়ে যায়। 

এছাড়া হেভি ফ্লো হলে প্রয়োজনে অপেক্ষাকৃত দীর্ঘ সময় স্যানিটারি ন্যাপকিন ব্যবহার করা ঠিক হবে কি হবে না, এ নিয়ে ক্লিয়ার কনসেপ্ট না থাকায় হেভি ফ্লো-এর সময়টা অনেকের জন্যই খুবই পীড়াদায়ক মনে হয়। বিশেষভাবে কর্মজীবী নারীরা এই বিষয়টা নিয়ে বেশ উদ্বিগ্ন থাকে। তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, দীর্ঘ সময় স্যানিটারি ন্যাপকিন পরে থাকার সাথে গাইনোকোলজিকাল সমস্যার কোনো সম্পর্ক নেই। শুধু ন্যাপকিন কেনার সময় খেয়াল রাখতে হবে সেটা যেন সর্বোচ্চ শোষণক্ষমতা নিশ্চিত করতে পারে।


কারও ব্যবহৃত স্যানিটারি ন্যাপকিন যদি ভালো শোষণক্ষমতা সম্পন্ন হয়, তবে হেভি ফ্লো-এর সময়ও কোনোরকম জটিলতা ছাড়াই ১০-১২ ঘন্টা পরে থাকা সম্ভব। তাই শুধুমাত্র গৎবাঁধা ধারণার উপর নির্ভর না করে, হেভি ফ্লো-এর কঠিন এই সময়টা স্বস্তি ও সুরক্ষার সাথে কাটাতে এমন স্যানিটারি ন্যাপকিন ব্যবহার করা উচিত, যা সর্বাধিক সময় ধরে সর্বোচ্চ সুরক্ষা নিশ্চিত করতে পারে। পাশাপাশি ইনফেকশন এড়াতে পরিষ্কার অন্তর্বাস ব্যবহার করতে হবে, প্রয়োজনে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।

;

স্বাস্থ্য সচেতনতা

গরমে লাচ্ছির নানান উপকারিতা



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রচণ্ড গরমে হাঁসফাঁস অবস্থা! পানির পাশাপাশি দুপুরের গরম থেকে বাঁচতে অনেকেই নানান রকমের পানীয় পান করে থাকেন। কারো কারো পছন্দের শীর্ষে থাকে লাচ্ছি বা ঘোলের মতো দুগ্ধজাতীয় পানীয়।

এই ধরনের পানীয় শরীর ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করে। শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়তা করার কারণে সতেজতার অনুভূতি দেয় লাচ্ছি বা দুগ্ধজাতীয় পানীয়। গরমে পানির চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি হাইড্রেশন নিশ্চিত করে এ পানীয়। এছাড়াও ঘামের মাধ্যমে বের হয়ে যাওয়া পটাসিয়াম এবং সোডিয়ামের মতো ইলেক্ট্রোলাইটের অভাবও পূরণ করে এ পানীয়।

ত্রুপ্তি পাধী একজন ভারতীয় ডায়েটিশিয়ান এবং ডায়বেটিস শিক্ষাবিদ। গরমে প্রতিদিন এক বা দুই গ্লাস করে লাচ্ছি বা দুগ্ধ জাতীয় পানীয় খাওয়ার উপকারিতা ব্যাখ্যা করেছেন তিনি। তিনি বলেন, গরমে শরীরকে সুস্থ, স্বাভাবিক রাখতে কিছু নিয়ম মেনে চলার দরকার। এর মধ্যে অন্যতম হলো- লাচ্ছি। লাচ্ছির উপকারিতা সম্পর্কে ত্রুপ্তি পাধী যে বিষয়গুলো তুলে ধরেন, সেগুলি হচ্ছে-

পানিশূন্যতা: লাচ্ছি বা ঘোল এমন সুস্বাদু তরল পানীয়, যা আমাদের দেশের অধিকাংশ মানুষ পছন্দ করেন। তাছাড়া সারাদিন ভালোভাবে হাইড্রেটেড রাখতে সক্ষম এ ধরনের পানীয়। বিশেষ করে গরম আবহাওয়ার সময় স্বস্তি দেয় এ পানীয়।

হজম: এই ধরনের পানীয়গুলোতে থাকা প্রোবায়োটিক উপাদান হজমে সহায়তা করে। গ্যাস্ট্রিকের ব্যথা এবং পেট ফোলার সমস্যা দূর করতে পারে।

হৃদক্রিয়া: নিয়মিত বেশি করে লাচ্ছি খেলে উচ্চ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। তাছাড়া রক্তচাপও নিয়ন্ত্রণ করে। এতে রোগের ঝুঁকি কমে হার্ট সুস্থ থাকতে সহায়তা করে।

এনার্জি বুস্টার: লাচ্ছি, ছাস বা ঘোল প্রাকৃতিকভাবে শরীরের শক্তি বৃদ্ধি করে। শরীরে সামগ্রিক পুষ্টির পরিমাণও বাড়ায়। তাছাড়া রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতেও সাহায্য করে৷

মজবুত হাড় এবং দাঁত: দুগ্ধজাত হওয়ায় এই পানীয়গুলিতে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম উপাদান থাকে। ফলে, শরীরে ক্যালসিয়ামের অভাব পূরণ হয়। তার সঙ্গে হাড় এবং দাঁতকে শক্তিশালী করতে অবদান রাখে।

ওজন ও অন্ত্র: এই ধরনের পানীয় অন্ত্র সুস্থ রাখতে সহায়তা করে। এতে তৃপ্তি অনুভূতি হয় এবং খাবার ভালোভাবে হজম হয়। ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য খুব উপকারী লাচ্ছি।

তথ্যসূত্র: দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস

;

গরমে লাচ্ছি খেলে হবে নানান উপকার



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রচন্ড গরমে হাঁসফাঁস অবস্থা! পানির পাশাপাশি দুপুরের গরম থেকে বাঁচতে অনেকেই নানা রকমের পানীয় পান করে থাকেন। কারো কারো পছন্দের শীর্ষে থাকে লাচ্ছি বা ঘোলের মতো দুগ্ধজাতীয় পানীয়। 

এই ধরনের পানীয় শরীর শীতল করতে পারে। শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করার বৈশিষ্ট্যের কারণে সতেজতার অনুভূতি দেয়৷ গরমে পানির উচ্চ চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি হাইড্রেশন নিশ্চিত করে। এছাড়াও ঘামের মাধ্যমে বের হয়ে যাওয়া পটাসিয়াম এবং সোডিয়ামের মতো ইলেক্ট্রোলাইটের অভাবও পূরণ করে। ত্রুপ্তি পাধী একজন ভারতীয় ডায়েটিশিয়ান এবং ডায়বেটিকস শিক্ষাবিদ। গরমে প্রতিদিন এক বা দুই গ্লাস করে লাচ্ছি খাওয়ার উপকারিতা ব্যাখ্যা করেছেন তিনি:

পানিশূন্যতা

লাচ্ছি বা ঘোল এমন সুস্বাদু তরল পানীয়, যা আমাদের দেশের অধিকাংশ মানুষ পছন্দ করেন৷ তাছাড়া সারাদিন ভালোভাবে হাইড্রেটেড রাখতে সক্ষম। বিশেষ করে গরম আবহাওয়ার সময় স্বস্তি প্রদানে গুরুত্বপূর্ণ।

হজম

এইধরনের পানীয়গুলোতে থাকা প্রোবায়োটিক উপাদান হজমে সহায়তা করে। গ্যাস্ট্রিকের ব্যথা এবং পেট ফোলার সমস্যা দূর করতে পারে।


হৃদক্রিয়া

নিয়মিত বেশি করে লাচ্ছি খেলে উচ্চ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করতে পারে। তাছাড়া রক্তচাপও নিয়ন্ত্রণ করে৷ এতে রোগের ঝুঁকি কমে হৃদয় সুস্থ থাকতে পারে।

এনার্জি বুস্টার

লাচ্ছি, ছাস বা ঘোল প্রাকৃতিকভাবে শরীরের শক্তি বৃদ্ধি করে। শরীরে সামগ্রিক পুষ্টির পরিমাণও বাড়ায়। তাছাড়া রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতেও সাহায্য করে। 

মজবুত হাড় এবং দাঁত

দুগ্ধজাত হওয়ায় এই পানীয়গুলিতে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম উপাদান থাকে৷ ফলে শরীরে ক্যালসিয়ামের অভাব পূরণ হয়৷ তার সাথে হাড় এবং দাঁতকে শক্তিশালী করতে অবদান রাখে।

ওজন ও অন্ত্র

এই ধরনের পানীয় অন্ত্রের স্বাস্থ্য সুস্থ রাখতে সহায়তা করে৷ এতে তৃপ্তির অনুভূতি হয় এবং খাবার ভালোভাবে হজম হয়৷ এতে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখার প্রচেষ্টার ক্ষেত্রে উপকারী প্রভাব পড়তে পারে।


তথ্যসূত্র: দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস

;

এই গরমে নিয়মিত কাচা আম খেলে মিলবে ৫ উপকার



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

গরমের দাবদাহে স্বস্তি দিতে পারে কাচা আমপোড়া সরবত, কিংবা কাচা আমের চাটনি। আম দিয়ে ডাল, আমের সরবত, আম পান্না, আচার-বাঙালি রসনায় সর্বত্র হিট আম।

তবে, জানেন কি কাচা আম (Raw Mango) কেবল রসনা মেটায় না। গরমের তাপপ্রবাহ থেকে রেহাই পেতে সাহায্য করে এই আম। বিশেষজ্ঞদের মতে, কাচা আম বা আমের রসে পটাশিয়াম থাকায় গরমে শরীর ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করে। কাচা আমের গুণ বলতে পুষ্টিবিদেরা বলেন, ১০০ গ্রাম কাচা আমে পটাশিয়াম থাকে ৪৪ ক্যালরি। এ ছাড়া ৫৪ মিলিগ্রাম ভিটামিন সি ও ২৭ মিলিগ্রাম ম্যাগনেশিয়াম থাকে। কাচা আমের আরও কিছু গুণের কথা জেনে নিন।

গরম থেকে বাঁচতে

প্রখর তাপের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে দেহকে রক্ষা করতে বেশ কার্যকর কাচা আম। কাচা আম সান স্ট্রোকের ঝুঁকি কমায়। দেহে সোডিয়াম ক্লোরাইড ও আয়রনের ঘাটতি পূরণ করতেও দারুণ উপযোগী কাচা আম।

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে

কাচা আমে ভিটামিন সি, ভিটামিন ই ও একাধিক অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট থাকে। এই উপাদানগুলি শ্বেত রক্তকণিকার কার্যকারিতা বৃদ্ধি করতে ও দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে।

পেটের গোলযোগ কমাতে

অ্যাসিডিটি, কোষ্ঠকাঠিন্য ও বদ হজমের সমস্যা কমাতে বেশ উপযোগী কাচা আম। গ্রাম বাংলায় অ্যাসিডিটির সমস্যা কমাতে কাচা আম চিবিয়ে খাওয়ার প্রচলন রয়েছে।

চোখের সমস্যায়

কাচা আমে থাকে লুটেইন ও জিয়াজ্যান্থিন। চোখের রেটিনার স্বাস্থ্য রক্ষায় এই দু’টি অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট খুবই উপযোগী। পাশাপাশি, কাচা আমে থাকে ভিটামিন এ। চোখের স্বাস্থ্য রক্ষায় ভিটামিন এ খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

মুখের সমস্যায়

যেহেতু কাচা আমে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন সি থাকে, তাই এটি মুখের নানা রকম ক্ষত নিরময়ে সহায়তা করতে পারে। স্কার্ভি ও মাড়ি থেকে রক্তপাতের মতো সমস্যায় কাজে আসতে পারে কাঁচা আম।

সূত্র : আনন্দ বাজার

;