কটিয়াদীতে ২ বছরে ৫০ পুকুর ভরাট, পরিবেশে বিরূপ প্রভাব



ছাইদুর রহমান নাঈম, উপজেলা করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কটিয়াদী (কিশোরগঞ্জ)
ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

কয়েক বছর আগেও কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী উপজেলার পৌর এলাকায় ছিল ২৫টির বেশি পুকুর। বর্তমানে সেখানে চার থেকে পাঁচটি পুকুর টিকে আছে। এর মধ্যে দুটি অর্ধেক ভরাটের পথে। সবগুলো পুকুরের বয়স শতবর্ষ ছুঁইছুঁই!

এছাড়াও উপজেলা জুড়ে সেই একই অবস্থা। দুই বছরে প্রায় ৫০টি পুকুর ভরাট হয়ে গেছে। পুকুর কমতে থাকায় পরিবেশ ও প্রকৃতির ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে। এর বিরূপ প্রভাব পড়েছে প্রকৃতি ও জীববৈচিত্র্যের ওপর। এ কারণে পানি সংকটে পড়েছে প্রাণীকুল।

অপরদিকে, গুরুত্বপূর্ণ জনবহুল এ বাজার ও আবাসিক এলাকায় আগুন লাগলে পানির সমস্যা তীব্র আকার ধারণ করে। ফলে, ক্রমশই সমস্যার গভীরতা বাড়ছে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, আইন অমান্য করে অবাধে একের পর এক পুকুর ভরাট করে সেখনে বাণিজ্যিক প্লট ও বহুতল আবাসিক ভবন গড়ে তোলা হচ্ছে।
গত দুই বছরে পৌর এলাকায় কম করে হলেও ১০টি পুকুর ভরাট হয়েছে। জমির মালিকেরা কখনো গোপনে, কখনো প্রকাশ্যে এসব পুকুর ভরাট করছেন। এ বিষয়ে পরিবেশ অধিদফতর ও পৌরসভার তেমন কোনো তৎপরতা চোখে পড়েনি।

প্রাকৃতিক জলাধার সংরক্ষণ আইন-২০০০ অনুযায়ী, কোনো পুকুর, জলাশয়, নদী, খাল ইত্যাদি ভরাট করা বেআইনি। প্রাকৃতিক জলাধার হিসেবে চিহ্নিত জায়গার শ্রেণি পরিবর্তন বা অন্য কোনোভাবে ব্যবহার, ভাড়া, ইজারা বা হস্তান্তর বেআইনি।

কোনো ব্যক্তি এ বিধান লঙ্ঘন করলে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড বা অনধিক ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন। একই সঙ্গে পরিবেশ সংরক্ষণ আইন (২০১০ সালের সংশোধিত) অনুযায়ী, যেকোনো ধরনের জলাশয় ভরাট করা নিষিদ্ধ।

এলাকাবাসী সূত্রে ও অনুসন্ধানে জানা যায়, যে পুকুরগুলো ভরাট হয়েছে বা হচ্ছে, সেগুলির মধ্যে রয়েছে কটিয়াদীর পৌর এলাকার ভোগপাড়া কুড়িবাড়ি, পশ্চিমপাড়া মেতির বাড়ি, কান্তিবাবুর বাড়ি সংলগ্ন, লোকনাথ মন্দির সংলগ্ন (ভরাট চলমান), ত্রিরত্ন মন্দির সংলগ্ন, বাসট্যান্ড পুকুর, লালিবাড়ি, রাধানাথ সাহা বাড়ি মোড়, বীরনোয়াকান্দি মসজিদ সংলগ্ন এলাকায় দুটি পুকুর, পশ্চিম পাড়া দুটি), বীরু সাহার পুকুর (ভরাট চলমান)।

এছাড়াও অর্ধশত ছোট জলাশয় ভরাট হয়ে গেছে। পৌর এলাকার বিভিন্ন ওয়ার্ডে আরো অনেক পুকুর ভরাট হয়েছে ও হচ্ছে। তাদের কোনো ধরনের বাধার মুখে পড়তে হচ্ছে না। সংশ্লিষ্ট দফতরেও নেই সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্য।

উপজেলার সবকটি ইউনিয়নগুলোর চিত্র সেই একই রকম। প্রতিনিয়ত অনেক পুরনো পুকুর ভরাট হচ্ছে। জালালপুর কুটির বিল, দুর্গা বিলসহ আরো অনেক বিল প্রতিদিন বেদখল হচ্ছে।

কটিয়াদীর (কিশোরগঞ্জ) পৌর এলাকায় চলছে পুকুর ভরাটের কাজ, ছবি- বার্তা২৪.কম

এমন কী পৌর এলাকার ভেতর দিয়ে প্রবাহিত আড়িয়াল খাঁ নদের চড়িয়াকোনা অংশে মাটির বাঁধ দিয়ে ও স্থাপনা করে দখল করে রাখা হয়েছে। আইনের তোয়াক্কা না করে এবং সংশ্লিষ্টদের তদারকির গাফিলতি ও অদক্ষতার সুযোগে এভাবেই জায়গার শ্রেণি পরিবর্তন হয়ে যাচ্ছে।

পৌরসভার পশ্চিম পাড়ার বাসিন্দা সুজিৎ ঘোষ ও আব্দুর রহিম বলেন, এলাকায় কয়েকটি পুকুর ছিল। কিন্তু রাতারাতি সেগুলো ভরাট করে চড়া দামে জমি বিক্রি করে দিয়েছেন মালিকেরা। তাদের কোনো বাধার মুখে পড়তে হয়নি। একটু বৃষ্টি হলেই রাস্তা পানিতে তলিয়ে যায়।

কটিয়াদী সরকারি ডিগ্রি কলেজের উদ্ভিদবিদ্যা বিভাগের প্রভাষক শাহ্ আলম বার্তা২৪.কমকে বলেন, 'পানি ও প্রকৃতি একে অপরের সঙ্গে মিলেমিশে প্রকৃতির ভারসাম্য রক্ষা করে চলে। জলাধার না থাকলে প্রাণীকুল ও প্রকৃতির ওপর বিরূপ প্রভাব সৃষ্টি করবে। আবহাওয়া উত্তপ্ত হয়ে যাবে। এছাড়াও আগুন লাগলে পানির অভাবে বড় সমস্যার কারণ হবে। প্রশাসনসহ এ বিষয়ে জনগণকে সচেতন থাকতে হবে। পুকুর-জলাশয়গুলো বাঁচিয়ে রাখতে হবে।’

কটিয়াদী ফায়ার সার্ভিস স্টেশন অফিসার আতিকুল আলম বলেন, ‘পুকুর ভরাটের খবরটি আসলেই দুঃখজনক! পানির অভাবে আগুন নেভাতে গিয়ে আমাদের সমস্যায় পড়তে হয়। আমাদের যে গাড়ি, তাতে ১৮শ লিটার পানি ধারণ করা সম্ভব। এটা দিয়ে ২০ মিনিট পানি দিতে পারবো। বাকি পানির জন্য পুকুর বা জলাশয়ের প্রয়োজন পড়বে। স্থাপনা করার সময় ফায়ার সেফটি বিষয়ে সবাইকে খেয়াল রাখা জরুরি’।

কিশোরগঞ্জ জেলা পরিবেশ অধিদফতরের সহকারী পরিচালক আব্দুল্লাহ আল মতিন জানান, অধিকাংশ ক্ষেত্রে তারা পুকুর ভরাটের কথা জানতে পারেন না। জেলা শহরে কয়েকটি পুকুর ভরাট বন্ধ করে দিয়েছেন।

তিনি জানান, কটিয়াদীর বিষয়টি খোঁজ নিয়ে শিগগিরই ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পরিবেশ-প্রকৃতি ধ্বংস করে এভাবে ভরাট করতে দেওয়া হবে না।

তবে তিনি এটাও জানান যে, লোকবল সংকটের কারণে তাদের রুটিন তদারকি করা সম্ভব হয় না। কিন্তু ঘটনা জানতে পারলে তারা ব্যবস্থা নিয়ে থাকেন বলে জানান এই পরিচালক।

 

 

সুস্থ পরিবেশ-স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে পরিবেশ সংরক্ষণ জরুরি: পরিবেশমন্ত্রী



স্টাফ করেস্পন্ডেন্ট, বার্তা২৪. কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪, বিশ্ব পরিবেশ দিবস ও পরিবেশ মেলা-২০২৪’-এর সমাপনী অনুষ্ঠানে পরিবেশমন্ত্রী

ছবি: বার্তা২৪, বিশ্ব পরিবেশ দিবস ও পরিবেশ মেলা-২০২৪’-এর সমাপনী অনুষ্ঠানে পরিবেশমন্ত্রী

  • Font increase
  • Font Decrease

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী বলেছেন, সুস্থ পরিবেশ ও স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে পরিবেশ সংরক্ষণ জরুরি। শুধু দেশের জিডিপির হার বৃদ্ধি করে উন্নয়ন করলে পরিবেশের দিকে নজর না দিলে কিছুই স্থায়ী হবে না।

বুধবার (৩ জুলাই) পরিবেশ অধিদফতরে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের আয়োজনে ‘বিশ্ব পরিবেশ দিবস ও পরিবেশ মেলা-২০২৪’ সমাপনী ও পুরষ্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন পরিবেশমন্ত্রী।

মন্ত্রী বলেন, যুবকদের পরিবেশ রক্ষা ও উন্নয়ন কাজে সংশ্লিষ্ট হতে হবে। জাতির জনকের পরিবেশ নিয়ে দূরদর্শী চিন্তা ছিল। স্বাধীনতা যুদ্ধের পরপরই বৃক্ষরোপন কর্মসূচি করেন তিনি।

এছাড়া পরিবেশ রক্ষায় জাতীয় সংসদে প্লাস্টিক ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হবে বলেও জানান তিনি।

পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. আব্দুল হামিদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে আরো উপস্থিত ছিলেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ।

ফারহিনা আহমেদ বলেন, পরিবেশ রক্ষায় নাগরিকদের নিজের জায়গা থেকে সচেতন হতে হবে। এককভাবে সরকারের পক্ষে পরিবেশের সমস্যা সমাধান করা কঠিন। নাগরিকেরা দায়িত্ববান হলে সবাই মিলে সুন্দর ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তোলা সম্ভব।

ফারহিনা আহমেদ আরো বলেন, ২০২৩ সালে আমরা প্লাস্টিকের দূষণ রোধে এবং সচেতনতায় কাজ করেছি। এ বছর মরুময়তা রোধ, জমির উর্বরতা নষ্ট রোধ, ভূমি পুনরুদ্ধার ও ভূমি রক্ষায় কাজ করছি।

বক্তব্য শেষে প্রধান অতিথি প্রতিযোগিতায় বিজয়ী ও অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে পুরষ্কার বিতরণ করেন।

;

মানসম্মত শিক্ষার পাশাপাশি পরিবেশ উন্নয়নে সবুজায়ন প্রকল্প



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী

ছবি: সংগৃহীত, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী

  • Font increase
  • Font Decrease

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী বলেছেন, দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে মানসম্মত শিক্ষার পাশাপাশি পরিবেশের সার্বিক উন্নয়নের লক্ষ্যে সবুজায়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হবে।

সরকার শিক্ষা, স্বাস্থ্যখাত এবং পরিবেশের উন্নয়নে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়েছে। ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ বিনির্মাণের অংশ হিসেবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো যাতে ‘স্মার্ট নাগরিক’ গড়তে পারে, সে লক্ষ্যে কাজ করা হচ্ছে।

শনিবার (২৯ জুন) রাজধানীর খিলগাঁও মডেল বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ মিলনায়তনে আয়োজিত বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা, আন্তঃবিভাগীয় বিতর্ক প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ ও নবীন বরণ অনুষ্ঠান-২০২৪-এ প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, শিক্ষার্থীদের মানসিক ও শারীরিক উন্নয়নের জন্য ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতার আয়োজন করতে হবে। এ ধরনের প্রতিযোগিতার মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা নেতৃত্বের গুণাবলি বিকশিত করে সব ক্ষেত্রে জয়ী হতে নিজেকে প্রস্তুত করবে।

এ সময় তিনি সব ধরনের অনিয়ম থেকে দূরে থেকে যথাযথভাবে পাঠদানের জন্য শিক্ষকদের আহ্বান জানান তিনি

পরিবেশমন্ত্রী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটিতে নতুন বিভাগ খোলা, নতুন ভবন নির্মাণ, দরিদ্র শিক্ষার্থীদের সুবিধা প্রদানসহ শিক্ষার উন্নয়নে প্রয়োজনীয় সব ধরনের উদ্যোগ গ্রহণেরও আশ্বাস দেন।

প্রতিষ্ঠানটির অধ্যক্ষ প্রফেসর মো. ইমাম জাফরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে গভর্নিং বডির সভাপতি মো. আবদুর রউফ, স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ, শিক্ষকমণ্ডলি, অভিভাবক ও শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।

পরিবেশমন্ত্রী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটিতে গাছের চারা রোপন করেন এবং বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ ও নবীন শিক্ষার্থীদের বরণ করে নেন।

;

গাছেদের পরিচর্যায় অ্যাম্বুলেন্স সেবা



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

গাছ, আরো গাছ। এখন যেভাবে উষ্ণ হচ্ছে পৃথিবী, তাতে প্রকৃতিতে ধস নামার জন্য হাতে আর খুব বেশি সময়ও নেই বলে জানিয়েছেন পরিবেশবিদেরা। এই সময়ে শুধু নতুন গাছ লাগানোই নয়, পুরনো গাছেদের যত্ন এবং পরিচর্যাও সমান প্রয়োজন। পরিবেশ রক্ষার জন্য একটি ছোট্ট পদক্ষেপকেও স্বাগত জানাচ্ছে বিশ্ব। ঠিক এমনই এক সময়ে সম্প্রতি পার হয়ে যাওয়া ‘বিশ্ব জীববৈচিত্র্য দিবস’ উপলক্ষে ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে চালু হয়েছে গাছেদের অ্যাম্বুলেন্স সেবা!

জানা যায়, নানা সময়ে প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে উপড়ে যায় বহু গাছ। কখনো আবার নির্মাণের কাজে বাধা তৈরির ‘অপরাধে’ নির্বিচারে কেটে ফেলা হয় তাদের। এই অ্যাম্বুলেন্স সেবায় তাদেরই তুলে নিয়ে গিয়ে নতুন করে মাটিতে লাগিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

ধারণাটি প্রথম মাথায় এসেছিল পরিবেশ নিয়ে আন্দোলনকারী ডা. কে আবদুল ঘানির মাথায়। ভারতের সবুজ মানুষ, ‘গ্রিন ম্যান অব ইন্ডিয়া’ বলে পরিচিত ডা. আবদুল ঘানি ইতোমধ্যে ৫০ লাখ গাছ লাগিয়েছেন।

একটি বেসরকারি সংস্থার কাছে তিনি এ প্রস্তাব রাখলে, সংস্থাটি তার চিন্তাভাবনা নিয়ে কাজ শুরু করতে রাজি হয়।

কীভাবে কাজ করে গাছেদের অ্যাম্বুলেন্স
জানা গেছে, উপড়ে যাওয়া গাছকে নিয়ে গিয়ে অন্য জায়গায় লাগানোর পাশাপাশি এই অ্যাম্বুলেন্স বিভিন্ন জায়গায় বয়ে নিয়ে যায় নানান গাছের বীজও। শহরের মানুষদের মধ্যে গাছ লাগানো-সংক্রান্ত সমস্ত রকম সচেতনতা ও সাহায্য করেন তারা। কোনো গাছ মারা গেলে, তার অংশগুলো ঠিক জায়গায় পৌঁছেও দেন তারা।

এই অ্যাম্বুলেন্সেই থাকেন দক্ষ মালী ও গাছকর্মীরা। তাদের সঙ্গে থাকে বাগান করার নানান জিনিসপত্র- সার, পানি, ঝারি, খুরপি ইত্যাদি।

এই প্রকল্পে বিশেষভাবে সহায়তাকারী বেসরকারি সংস্থা ‘সাসা'-এর কর্মকর্তা সুরেশ কুমার যাদব বলেন, একইসঙ্গে যেমন পরিবেশ দূষণ বাড়ছে, সেইসঙ্গে গাছের সংখ্যাও কমছে। এই অবস্থায় বড় বড় প্রাপ্তবয়স্ক গাছগুলির মৃত্যু বোধহয় আমাদের পক্ষে মেনে নেওয়া কষ্টকর! সে জন্যই কোনো গাছ যাতে প্রাকৃতিক বা বিশেষ কারণে মরে না যায়, সে কারণে সেগুলিকে রক্ষা করার এই উদ্যোগ এই সময়ে অত্যন্ত জরুরি বলে মনে হয়েছে আমাদের। এ জন্য যেসব যন্ত্রপাতি বা ওষুধপত্র দরকার, তা সবই আমরা রেখেছি অ্যাম্বুলেন্সে। কোথাও থেকে গাছ তুলে এনে অন্য জায়গায় লাগানোর জন্যও অত্যাধুনিক পদ্ধতি প্রয়োগ করা হচ্ছে।

ভারতের এই 'সবুজ মানুষ' ডা. আবদুল ঘানি ইতোমধ্যে ৫০ লাখ গাছ লাগিয়ে ফেলেছেন, ছবি- সংগৃহীত

অ্যাম্বুলেন্স প্রকল্পের উদ্যোক্তা ডা. আবদুল ঘানি বলেন, কত গাছ ঝড়ে উপড়ে যায়। পড়ে পড়ে মারা যায়। সেগুলো নতুন করে আর লাগানোর ব্যবস্থা করাই হয় না। এই অ্যাম্বুলেন্স আর তা হতে দেবে না। হেল্পলাইনে ফোন করা মাত্রই আমরা অ্যাম্বুলেন্স নিয়ে পৌঁছে যাবো এবং বিনামূল্যে গাছটিকে সরিয়ে আনবো।

আবদুল ঘানি আরো বলেন, শুধু প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে উপড়ে যাওয়াই নয়, অনেক সময়েই দেখা যায়, গাছের কারণে সমস্যায় পড়ছেন পথচারী বা শহরবাসী। সেগুলি কেটে ফেলতে বাধ্য হচ্ছেন তারা। আমাদের জানালে আর এভাবে মারতে হবে না গাছগুলিকে। যত্ন করে তাদের সরিয়ে অন্যখানে লাগিয়ে দেবো আমরা।

;

জলবায়ু মোকাবিলা-পানি ব্যবস্থাপনায় পদক্ষেপ গ্রহণ জরুরি: পরিবেশমন্ত্রী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী বলেছেন, জলবায়ু মোকাবিলা ও পানি ব্যবস্থাপনা বিষয়ে প্রতিশ্রুতির চেয়ে বাস্তব প্রদক্ষেপ গ্রহণ করা জরুরি।

তিনি বলেন, পানি ব্যবস্থাপনা, জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলা ও ক্রায়োস্ফিয়ার সংরক্ষণ বিষয়ে কথার ফুলঝুরি ও প্রতিশ্রুতি প্রদানের চেয়ে বাস্তব পদক্ষেপের প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করতে হবে।

মন্ত্রী এ চ্যালেঞ্জগুলির গুরুত্ব তুলে ধরে প্রয়োজনীয় পরিবর্তন আনতে সক্ষম বৈশ্বিক সংহতি ও রাজনৈতিক নেতৃত্বের দৃঢ় অবস্থানের আহ্বান জানান।

তাজিকিস্তানের দুশানবেতে ‘টেকসই উন্নয়নের জন্য পানি’ বিষয়ে আন্তর্জাতিক সম্মেলনের সাধারণ অধিবেশনে মঙ্গলবার (১১ জুন) কান্ট্রি স্টেটমেন্ট বিষয়ে বক্তব্য রাখার সময় পরিবেশমন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী এসব কথা বলেন।

এ অধিবেশনে বৈশ্বিক নেতা ও স্টেকহোল্ডাররা পানি, জলবায়ু এবং ক্রায়োস্ফিয়ার সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।

পরিবেশমন্ত্রী বলেন, আমাদের কথা এবং প্রতিশ্রুতির চেয়ে পানি, জলবায়ু এবং ক্রায়োস্ফিয়ার বিষয়ে বাস্তব পদক্ষেপ এবং কর্মকাণ্ড বৃদ্ধি করতে হবে। আমাদের সম্মিলিত লক্ষ্য অর্জন এবং একটি স্থায়ী ভবিষ্যত নিশ্চিত করতে বৈশ্বিক সংহতি, রাজনৈতিক প্রতিজ্ঞা এবং নেতৃত্ব অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

এ সময় মন্ত্রী আরো বলেন, আন্তর্জাতিক দশক ‘টেকসই উন্নয়নের জন্য পানি’ উদ্যোগের ৩য় হাই লেভেল আন্তর্জাতিক সম্মেলন দেশগুলির মধ্যে সহযোগিতা এবং টেকসই পানি ব্যবস্থাপনা ও জলবায়ু একটি সম্পর্কিত বিভিন্ন প্রচেষ্টার সমন্বয় ঘটাতে গুরুত্বপূর্ণ প্ল্যাটফর্ম হিসেবে কাজ করে।

তার বক্তব্যে পরিবেশমন্ত্রী বাংলাদেশে এ বৈশ্বিক উদ্যোগগুলির প্রতি অঙ্গীকার এবং পরিবেশগত চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সম্মিলিত উদ্যোগের গুরুত্বও তুলে ধরেন।

;