২০ লাখ টাকা ছিনতাই: দুই পুলিশসহ ৫ জন কারাগারে



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ব্যাংকে ঢুকে ২০ লাখ টাকা ছিনতাইয়ের অভিযোগের মামলায় ২ পুলিশ সদস্যসহ ৫ জনকে রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।

মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তা পল্টন মডেল থানার উপপরিদর্শক সুমিত কুমার সাহা দুই দিনের রিমান্ড শেষে আসামিদের আদালতে হাজির করে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন।

রোববার (২৪ সেপ্টেম্বর) বিকেলে শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সাইফুল ইসলামের আদালত তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

আসামিরা হলেন, ডেমরা পুলিশ লাইনসের দুই কনস্টেবল মাহাবুব আলী ও আসিফ ইকবাল এবং তাদের তিন সহযোগী শাজাহান, হৃদয় ও রাসেল।

এর আগে গত ২২ সেপ্টেম্বর ৫ আসামির দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছিলেন আদালত।

গত ২১ সেপ্টেম্বর ব্যবসায়ী আবদুল্লাহ আল মামুনের এক কর্মচারী ব্যাগে ২০ লাখ টাকা নিয়ে আইএফআইসি ব্যাংকের পল্টন শাখায় জমা দিতে যান। সেখানে দুই পুলিশ সদস্য ‘ওয়ারেন্ট’ আছে বলে তাকে ব্যাংকের বাইরে এনে ব্যাগটি নিয়ে নেন।

এরপর তাকে একটি মোটরসাইকেলে বসিয়ে মুগদা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সামনে নামিয়ে দেন। ব্যবসায়ী মামুন ঘটনাটি পুলিশকে জানালে সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে ছিনতাইকারী হৃদয়কে গ্রেফতার করা হয়। তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশ সদস্য মাহবুব ও আসিফকে ১০ লাখ টাকাসহ গ্রেফতার করা হয়। পরে বাসাবো থেকে শাহজাহান ও রাসেলকে গ্রেফতার করা হয়। রাসেলের বাসা থেকে বাকি ১০ লাখ টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। ছিনতাইয়ে ব্যবহৃত মোটরসাইকেলটিও জব্দ করা হয়।

ওই ঘটনায় ব্যবসায়ী আবদুল্লাহ আল মামুন বাদী হয়ে পল্টন মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন।

   

গৃহপরিচারিকার মৃত্যু: দম্পতির যাবজ্জীবন



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানী ঢাকার মতিঝিল থানা এলাকায় শিল্পী বেগম নামে এক গৃহপরিচারিকার মৃত্যুর ঘটনায় দায়ের করা মামলায় এক দম্পতির যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের রায় ঘোষণা করেছেন আদালত।

এ দণ্ডের পাশাপাশি ২০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরো ৬ মাসের কারাদণ্ডের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আসামিরা হলেন, নজরুল ইসলাম ও তার স্ত্রী রাবেয়া আক্তার।

মঙ্গলবার (১৪ মে) ঢাকার ৫ নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মো. ইকবাল হোসেন এ রায় ঘোষণা করেন।

রায় ঘোষণার সময় আসামিরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন। রায় ঘোষণা শেষে তাদের জামিন বাতিল করে সাজা পরোয়ানা দিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। সংশ্লিষ্ট আদালত বেঞ্চ সহকারী আরিফুল ইসলাম রায় ঘোষণার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, ভিকটিম শিল্পী বেগম উত্তর কমলাপুর কবি জসিম উদদীন রোডে মতিঝিল থানা এলাকার আসামি নজরুল ইসলামের বাসায় গৃহপরিচারিকার কাজ করতেন। ২০০৬ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি ভিকটিমের মা অজ্ঞাতপরিচয়ের ফোনকলের মাধ্যমে জানতে পারেন, তার মেয়ে গুরুতর অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। সংবাদ পাওয়ার পর তিনি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গিয়ে দেখতে পান, তার মেয়ে গুরুতর যখম অবস্থায় ভর্তি রয়েছে।

তিনি জানতে পারেন, আসামিরা ঘরের দরজা আটকে ভিকটিমকে লোহার রড ও লাথি দিয়ে মাথায় গুরুতর আঘাত করেছে। ইতোপূর্বে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন অজুহাতে এই দম্পতি ভিকটিমকে আঘাত করতো বলে মামলার অভিযোগ উল্লেখ করা হয়।

এরপর চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঘটনার তিন দিন পর ভিকটিম শিল্পী বেগম মারা যায়।

এই ঘটনায় ভিকটিমের বাবা সিরাজুল ইসলাম মতিঝিল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তা (আইও) মতিঝিল থানার এসআই গাজী মোহাম্মদ ইব্রাহিম একই বছরের ৩০ এপ্রিল আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। পরের বছরের ২৬ এপ্রিল আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত।

মামলাটির বিচার চলাকালীন ২২ জন সাক্ষীর মধ্যে ৬ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেন আদালত।

;

নাইকো মামলায় বাপেক্সের সাবেক এমডির সাক্ষ্যগ্রহণ



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার নাইকো দুর্নীতির মামলায় বাপেক্সের সাবেক এমডি মো. আব্দুল বাকী সাক্ষ্য দিয়েছেন।

মঙ্গলবার (১৪ মে) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৯ এর বিচারক শেখ হাফিজুর রহমানের আদালতে তিনি সাক্ষ্য দেন। তবে এদিন তার সাক্ষ্য শেষ না হওয়ায় আগামী ১১ জুন বাকী সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য ধার্য করেছেন আদালত।

ঢাকার কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগারে স্থাপিত অস্থায়ী আদালতে এ মামলার বিচার চলছে।

খালেদা জিয়া অসুস্থতার কারণে আদালতে হাজির হতে পারেননি। তারপক্ষে আইনজীবী হাজিরা দেন।

খালেদা জিয়ার আইনজীবী আব্দুল হান্নান ভূইয়া এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।

মামলার অপর আসামিরা হলেন, তৎকালীন মুখ্য সচিব কামাল উদ্দীন সিদ্দিকী, বাপেক্সের সাবেক মহাব্যবস্থাপক মীর ময়নুল হক, নাইকোর দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক ভাইস প্রেসিডেন্ট কাশেম শরীফ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব খন্দকার শহীদুল ইসলাম, সাবেক সিনিয়র সহকারী সচিব সিএম ইউসুফ হোসাইন, ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুন ও বাগেরহাটের সাবেক সংসদ সদস্য এমএএইচ সেলিম। এদের মধ্য প্রথম তিনজন পলাতক রয়েছেন।

ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, একেএম মোশাররফ হোসেন ও বাপেক্সের সাবেক সচিব মো. শফিউর রহমান তিন জন মারা গেছেন। তাদের মামলা থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়।

কানাডার কোম্পানি নাইকোর সঙ্গে অস্বচ্ছ চুক্তির মাধ্যমে রাষ্ট্রের আর্থিক ক্ষতি ও দুর্নীতির অভিযোগে খালেদা জিয়াসহ পাঁচ জনের বিরুদ্ধে ২০০৭ সালে তেজগাঁও থানায় মামলাটি দায়ের করে দুদক। পরের বছরের ৫ মে ওই মামলায় খালেদা জিয়াসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন দুদকের সহকারী পরিচালক এস এম সাহেদুর রহমান। অভিযোগপত্রে প্রায় ১৩ হাজার ৭৭৭ কোটি টাকার রাষ্ট্রীয় ক্ষতির অভিযোগ আনা হয়।

;

৫ কোম্পানির ইলেক্ট্রোলাইট ড্রিংকস নিষিদ্ধ চেয়ে মামলা, গ্রেফতারি পরোয়ানা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

বাজারে বিক্রি হওয়া ইলেক্ট্রালাইট ড্রিংকস এসএমসি প্লাস, এক্টিভ, ব্রুভানা, রিচার্জ ও টারবোর অনুমোদন না থাকায় এসব কোম্পনির মালিকদের গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।

মঙ্গলবার (১৪ মে) বিশুদ্ধ খাদ্য আদালতের বিচারক আলাউল কবীরের আদালত এ আদেশ দেন।

এর আগে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের ক্ষমতাপ্রাপ্ত নিরাপদ খাদ্য পরিদর্শক মো. কামরুল হোসেন এ মামলা দায়ের করেন। এ সময় নিরাপদ খাদ্য পরিদর্শক বলেন, এগুলোর একটিরও অনুমোদন নেই।

তিনি আরও বলেন, ওষুধ প্রশাসনও বলতে পারেনা এগুলো ওষুধ না ড্রিংকস। এর মধ্যে এসএমসি প্লাসের মডেল হয়ে পণ্যর প্রসারে প্রচারণা করছেন ক্রিকেটার তামিম ইকবাল। নিরাপদ খাদ্য আইন অনুযায়ী এটি অপরাধ। আমরা বিজ্ঞাপন প্রচার বন্ধ করতে বলেছি, শোনেনি কোনো কোম্পানি। কাজেই এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হোক।

;

কনডেম সেল নিয়ে আদালতের রায়ে আপিল করবে সরকার



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

চূড়ান্ত রায়ের আগে কোনো ফাঁসির আসামিকে কনডেম সেলে নেওয়া যাবে না বলে হাইকোর্টের দেওয়া রায়ের বিরুদ্ধে আপিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।

মঙ্গলবার (১৪ মে) অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেন, হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ আপিল বিভাগে আবেদন করবে।
এর আগে সোমবার (১৩ মে) মৃত্যুদণ্ডাদেশ চূড়ান্ত হওয়ার আগে আসামিদের কনডেম সেলে বন্দি রাখা অবৈধ ও বেআইনি ঘোষণা করেন হাইকোর্ট।

এ বিষয়ে জারি করা রুল নিষ্পত্তি বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি মো. বজলুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন। দীর্ঘ সাড়ে তিন ঘণ্টাব্যাপী রায় ঘোষণা করা হয়।

রায়ে বলা হয়, মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামির আপিল, রিভিউ, রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা প্রার্থনার ধাপগুলো নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত আসামিকে কনডেম সেলে রাখা যাবে না। বর্তমানে মৃত্যুদণ্ডাদেশ চূড়ান্ত হওয়ার আগে সারা দেশে যত আসামিকে কনডেম সেলে রাখা হয়েছে তাদের দুই বছরের মধ্যে ক্রমান্বয়ে সাধারণ সেলে রাখার কথা বলা হয়েছে রায়ে। তবে, বিশেষ কারণে (স্বাস্থ্যগত কারণ, সংক্রামক রোগ) কোনো ব্যক্তিকে নির্জন কক্ষে রাখতে পারবে কারা কর্তৃপক্ষ। সেক্ষেত্রে ওই ব্যক্তির উপস্থিতিতে শুনানি হতে হবে।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির। সঙ্গে ছিলেন অ্যাডভোকেট আসাদ উদ্দিন। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত তালুকদার। সঙ্গে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল এমএমজি সারোয়ার পায়েল, নাসিম ইসলাম রাজু।

আইনজীবীরা বলেছেন, এটি একটি ঐতিহাসিক রায়। তবে এবার এ রায়ের বিপক্ষে আপিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।

উল্লেখ্য, ২০২১ সালের ২ সেপ্টেম্বর মৃত্যুদণ্ডাদেশ চূড়ান্ত হওয়ার আগে আসামিদের কনডেম সেলে রাখার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করেন তিন কয়েদি। ওই রিট শুনানি করে ২০২২ সালের ৫ এপ্রিল রুল জারি করেন হাইকোর্ট।

এরপর গত বছরের ৫ এপ্রিল মৃত্যুদণ্ডাদেশ চূড়ান্ত হওয়ার আগে আসামিদের কনডেম সেলে বন্দি রাখা কেন বেআইনি হবে না এবং কেন জেলকোডের ৯৮০ বিধি অসাংবিধানিক ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট। ওই বছরের ১২ ডিসেম্বর এই মর্মে জারি করা রুলের শুনানি শেষ হয়।

রিট আবেদনকারী হলেন চট্টগ্রাম কারাগারের কনডেম সেলে থাকা সাতকানিয়ার জিল্লুর রহমান, সিলেট কারাগারে থাকা সুনামগঞ্জের আব্দুর বশির ও কুমিল্লা কারাগারে থাকা খাগড়াছড়ির শাহ আলম।

;