আত্মসমর্পণ করে জামিন পেলেন নাহিদ সুলতানা যুথী



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
নাহিদ সুলতানা যুথী

নাহিদ সুলতানা যুথী

  • Font increase
  • Font Decrease

সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সমিতির নির্বাচনের ভোট গণনাকে কেন্দ্র করে সংঘটিত মারামারির সময়ে হত্যাচেষ্টার মামলায় আত্মসমর্পণ করে জামিন পেয়েছেন অ্যাডভোকেট নাহিদ সুলতানা যুথী।

রোববার (১২ মে) বিকেলে ঢাকার মেট্রোপলিটন মাহবুব আহমেদ আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন তিনি।

শুনানি শেষে আদালত তার জামিন মঞ্জুর করেন। যুথীর পক্ষের আইনজীবী এহসানুল হক সমাজী জামিনের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে গত ২০ মার্চ বিচারপতি আবু তাহের মো. সাইফুর রহমান ও বিচারপতি এস এম মাসুদ হোসেন দোলনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ তার আট সপ্তাহের আগাম জামিন দেন।

প্রসঙ্গত, নাহিদ সুলতানা যুথী যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশের স্ত্রী। গত ৮ মার্চ রাতে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির ২০২৪-২৫ সালের নির্বাচনে ভোট গণনাকে কেন্দ্র করে হট্টগোল, হাতাহাতি ও মারামারির ঘটনায় রাজধানীর শাহবাগ থানায় মামলা দায়ের করা হয়। মামলায় স্বতন্ত্র থেকে সম্পাদক প্রার্থী অ্যাডভোকেট নাহিদ সুলতানা যুথী, বিএনপির প্যানেলের সম্পাদক প্রার্থী ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজলসহ ২০ জনকে আসামি করা হয়।

সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল সাইফুর রহমান চৌধুরী সাইফ তাকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে বাদি হয়ে এ মামলা দায়ের করেন।

অভিযোগ থেকে জানা যায়, আসামিরা মামলার এক নম্বর আসামি অ্যাডভোকেট নাহিদ সুলতানা যুথীর নির্দেশে এবং প্রত্যক্ষ নেতৃত্বে বাকি আসামিরা সুপ্রিম কোর্ট বার সমিতির নিচ তলার শহীদ শফিউর রহমান মিলনায়তনের দরজা খুলে অস্ত্র হাতে জোর করে প্রবেশ করেন। এসময় তারা অকথ্য ভাষায় বাদিসহ নির্বাচন সাব-কমিটির অন্যান্য সদস্যদের গালিগালাজ করে।

আসামিদের হাতে থাকা লোহার রড দিয়ে বাদিকে হত্যার উদ্দেশ্যে মাথার মাঝ বরাবর আঘাত করলে বাধা দিতে গিয়ে আহত হন। অন্যান্য আসামিরা কাঠের লাঠি, কাঠের ও প্লাস্টিকের চেয়ার দিয়ে অতর্কিতভাবে মারপিট করে ও পা দিয়ে আঘাত করে আমার শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম করে এবং আমার পরিহিত কাপড় ছিঁড়ে ফেলে।

   

এএসআই স্বামীর বিরুদ্ধে কনস্টেবল স্ত্রীর মামলা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

মারধর ও যৌতুক দাবির অভিযোগে আবু নাঈম নামে পুলিশের এক সহকারী উপপরিদর্শকের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেছেন কনস্টেবল স্ত্রী। আবু নাঈম চট্টগ্রাম নগরের পতেঙ্গা থানায় কর্মরত।

মঙ্গলবার (৪ জুন) চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রোমানা আক্তারের আদালতে নালিশি মামলাটি দায়ের করেছেন শিরিন আক্তার। তিনি সিএমপির সহকারী পুলিশ কমিশনার (বায়োজিদ জোন) কার্যালয়ে কনস্টেবল হিসেবে কর্মরত।

মামলা সূত্রে জানা যায়, শিরিন আক্তার ও তার স্বামী উভয়ই পুলিশ বাহিনীতে কর্মরত। স্বামী বর্তমানে চট্টগ্রামের পতেঙ্গা থানায় এএসআই হিসেবে কর্মরত আছে। তাদের ৬ বছরের একটি বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশু সন্তান রয়েছে। বিয়ের পর ২০১১ সালে হতে ২০১৭ সাল পর্যন্ত দফায় দফায় তিন লাখ টাকা যৌতুক আদায় করে। পরবর্তীতে আবু নাঈম তার স্ত্রীকে না জানিয়ে গোপনে পাখি বেগম নামে অপর এক মহিলাকে বিয়ে করেন।

মামলার বাদী বিবাদী উভয়েই পুলিশ বাহিনীতে কর্মরত হওয়ায় প্রাথমিকভাবে পুলিশ ডিপার্টমেন্টে লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়। পরবর্তীতে গ্রামের বাড়ির স্থানীয় ব্যক্তিদের মাধ্যমে আপোষ করা হয়। ফলে পুলিশ ডিপার্টমেন্টে অভিযোগটি প্রত্যাহার করে নেন শিরিন আক্তার।

অভিযোগ প্রত্যাহারের পর স্বামী আবু নাঈম আরও বেপরোয়া হয়ে উঠেন। তখন নারী, মদ ও জুয়ার পেছনে টাকা উড়িয়ে উচ্ছৃঙ্খল জীবন যাপনে লিপ্ত থাকে। পরবর্তীতে জুয়া খেলায় তিন লাখ টাকা ঋণগ্রস্ত হয়ে যায়। ঋণের টাকা পরিশোধ করার জন্য স্ত্রীর নিকট ৩ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করে। যৌতুকের টাকা দিতে অস্বীকার করায় স্ত্রী শিরিন আক্তারকে মারধর করেন।

অভিযোগ প্রসঙ্গে পতেঙ্গা থানার সহকারী উপপরিদর্শক মো. আবু নাঈম বলেন, আমরা পারিবারিকভাবে বসে বিষয়টি সমাধান করেছি।

আদালতের বেঞ্চ সহকারী বখতিয়ার হোসেন বলেন, যৌতুক দাবির অভিযোগে পুলিশের এএসআই আবু নাঈম বিরুদ্ধে স্ত্রী পুলিশের কনস্টেবল শিরিন আক্তার মামলার আবেদন করেন। আদালত শিরিন আক্তারের বক্তব্য গ্রহণ করেন। অভিযুক্ত আবু নাঈমকে আদালতে হাজির হতে সমন জারি করেছেন।

;

স্বামীকে হত্যার দায়ে স্ত্রীর যাবজ্জীবন, প্রেমিকসহ ৩ জনের মৃত্যুদণ্ড



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম,বগুড়া
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

বগুড়ায় পরকীয়ার জেরে অটোরিকশা চালক আশিক হত্যা মামলায় তিনজনের মৃত্যুদণ্ড এবং একজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে তাদের প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (০৪ জুন) বিকেলে বগুড়ার ১ম অতিরিক্ত দায়রা জজ আদালতের বিচারক হাবিবা মণ্ডল এই রায় ঘোষণা করেন।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- সারিয়াকান্দি উপজেলার কুটিবাড়ী এলাকার ছফু খাঁর ছেলে শিবলু ওরফে ফকির, রামনগর এলাকার সিরাজুল ইসলাম তরফদারের ছেলে শান্ত মিয়া ওরফে সিয়াম তরফদার এবং আমতলী এলাকার তরিকুল মণ্ডলের ছেলে নাইম মণ্ডল। এছাড়া নিহত আশিকের স্ত্রী মিনা বেগমকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রদান করা হয়েছে।

আদালতের সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) আব্দুর রাজ্জাক খান এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

এপিপি রাজ্জাক জানান, পরকীয়ার জেরে মিনা বেগমের সঙ্গে আশিক মিয়ার দীর্ঘদিন ধরে দ্বন্দ্ব চলে আসছিল। একপর্যায়ে মিনা বেগম তার প্রেমিক শিবলু ফকিরের সঙ্গে আশিককে হত্যার পরিকল্পনা করে। সেই মোতাবেক শিবলু ফকির তার দুই সহযোগী নয়ন ও নাইম ইসলামকে সঙ্গে নেয়।

এপিপি জানান, ২০২০ সালের ২ অক্টোবর বিকেলে আশিক অটোরিকশা নিয়ে বাড়ি থেকে বের হন। এরপর নিখোঁজ ছিলেন। দু’দিন পর ৪ অক্টোবর সকালে উপজেলার ছাগলধরা গ্রামে বাঙালি নদীতে তার মুখ ঝলসানো মরদেহ পাওয়া যায়।

ওই ঘটনায় নিহতের ভাই আনিস উদ্দিন সারিয়াকান্দি থানায় মিনা বেগমসহ চারজনের নাম উল্লেখ করে হত্যা মামলা করেন। পরে পুলিশ চারজনকে গ্রেফতার করে। দীর্ঘ শুনানি শেষে মঙ্গলবার আদালত রায় ঘোষণা করেন।

;

আনার হত্যায় জবানবন্দি দিচ্ছেন আসামি তানভীর



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
আনার হত্যায় জবানবন্দি দিচ্ছেন আসামি তানভীর

আনার হত্যায় জবানবন্দি দিচ্ছেন আসামি তানভীর

  • Font increase
  • Font Decrease

ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) আনোয়ারুল আজীম আনারকে খুনের উদ্দেশ্যে অপহরণ মামলায় আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিচ্ছেন আসামি তানভীর ভূঁইয়া।

মঙ্গলবার (৪ জুন) তানভীর স্বেচ্ছা স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে সম্মত হওয়ায় তাকে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করে তা রেকর্ড করার আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) সহকারী কমিশনার মাহফুজুর রহমান।

ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তোফাজ্জল হোসেনের আদালত আসামির জবানবন্দি রেকর্ড করেছেন। একই আদালতে সোমবার আসামি শিলাস্তি রহমান স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেন।

এর আগে দুই দফায় ১৩ দিনের রিমান্ডে ছিলেন আসামি তানভীর।

গত ২২ মে রাজধানীর শেরেবাংলা নগর থানায় অপহরণের অভিযোগে মামলাটি দায়ের করেন এমপি আনারের মেয়ে মুমতারিন ফেরদৌস ডরিন।

গত ১৩ মে কলকাতার একটি ফ্ল্যাটে খুন হন ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনার। তদন্ত-সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, খুনের পর দেহ খণ্ড খণ্ড করে তা গুম করতে সরাসরি ভূমিকা রাখেন নেপালে আটক ভোলার বোরহানউদ্দিনের সিয়াম হোসেন। তার সঙ্গে ছিলেন কলকাতায় আটক ‘কসাই’ জিহাদ হাওলাদার। জিহাদের দেওয়া তথ্যে মরদেহের সন্ধানে কলকাতার ভাঙড়ের বাগজোলা খালে তল্লাশি চালানো হয়। কিন্তু সেখানে মরদেহের খণ্ডাংশ না পাওয়ায় সিয়ামকে খুঁজছিলেন বাংলাদেশ ও ভারতের গোয়েন্দারা।

এর মধ্যে বৃহস্পতিবার নেপালে আটক হন সিয়াম। সংসদ সদস্য খুনের ঘটনায় সিয়ামের কাছ থেকে আরও তথ্য সংগ্রহ করতে ডিবিপ্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশীদের নেতৃত্বে তিন সদস্যদের একটি দল নেপাল সফরে যান। এদিকে সিয়ামের বিরুদ্ধে সোমবার গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন ঢাকার আদালত।

সংসদ সদস্য খুনের ঘটনায় ঢাকার শেরেবাংলা নগর থানায় মামলা হয়েছে। এ মামলার সূত্র ধরে নেপাল থেকে সিয়ামকে ফেরাতে আন্তর্জাতিক পুলিশ সংস্থা ইন্টারপোলকে চিঠি দিয়েছে পুলিশ সদর দপ্তরের ন্যাশনাল সেন্ট্রাল ব্যুরো (এনসিবি)।

;

বিচারপতি জাহাঙ্গীর ও বিচারপতি শাহিনুর অবকাশকালীন জজ মনোনীত



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টে অবকাশ চলাকালীন আপিল বিভাগের মামলা সংক্রান্ত জরুরি বিষয়াদি নিষ্পত্তির জন্য বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন ও বিচারপতি মো. শাহিনুর ইসলামকে মনোনীত করেছে সুপ্রিম কোর্ট।

সুপ্রিম কোর্টে আগামী ১৩ জুন অবকাশ শুরু হয়ে ২৯ জুন পর্যন্ত চলবে।

সোমবার (৩ জুন) সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার মোহাম্মদ সাইফুর রহমান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সুপ্রিম কোর্টে অবকাশ চলাকালীন বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেনকে ১৩-১৯ জুন এবং বিচারপতি মো. শাহিনুর ইসলামকে ২০-২৯ জুন তারিখ পর্যন্ত অবকাশকালীন বিচারপতি মনোনীত করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন আগামী ১৩ ও ১৯ জুন এবং বিচারপতি মো. শাহিনুর ইসলাম আগামী ২৪ জুন ও ২৬ জুন অবকাশকালীন জজ হিসাবে সকাল ১১টা হতে শারীরিক উপস্থিতির মাধ্যমে আপিল বিভাগের চেম্বার কোর্টে শুনানি গ্রহণ করবেন।

;