হজ ব্যবস্থাপনায় আমূল পরিবর্তন আসছে: ধর্মসচিব



জাহিদুর রহমান, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ধর্মসচিব মো. আনিসুর রহমান, ছবি: বার্তা২৪

ধর্মসচিব মো. আনিসুর রহমান, ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

মক্কা মোকাররমা ( সৌদি আরব) থেকে: আমরা হজ ব্যবস্থাপনায় আমূল পরিবর্তন আনতে যাচ্ছি। করতে যাচ্ছি হজ আইন। দেশে গিয়েই আশা করছি, কেবিনেটে নতুন আইনটা তুলতে পারবো। আর সেটা হলে, হজ ব্যবস্থাপনায় আরো গতি আসবে। হজযাত্রীদের অধিকারে সুরক্ষা যেমন বাড়বে, তেমনি নতুন আইনি কাঠামোর কারণে হাজী সাহেবদের অনেক দূর্ভোগও কমে যাবে। আরেকটি বিষয় জানাতে চাই, মন্ত্রণালয় নয়- হজযাত্রী নিয়ে পূর্ণাঙ্গভাবে কাজ করবে হজ অফিস।

সেই অফিসের কাঠামোও পরিবর্তন আনবো। নতুন প্রশাসনিক কাঠামোতে হজ অফিস বর্তমানে পরিচালক থেকে চলে যাবে মহাপরিচালকের দায়িত্বে। অতিরিক্ত বা যুগ্ম সচিব মর্যাদায় শতাধিক জনবলের মাধ্যমে তখন পরিচালিত হবে হজ অফিস।

সৌদি আরবের পবিত্র নগরী মক্কায় বাংলাদেশ হজ মিশনের দপ্তরে বসে একান্ত সাক্ষাতকারে বার্তা২৪.কমকে এমনটাই বলছিলেন ধর্মসচিব মো. আনিসুর রহমান।

চলতি হজ মৌসুমে ব্যবস্থাপনা সদস্যসহ বাংলাদেশ থেকে আসা হজযাত্রীর সংখ্যা ১ লাখ ২৭ হাজার ২৯৮ জন। এরই মধ্যে ৭১ জন চলে গেছেন না ফেরার দেশে। সোয়া লাখের বেশি হজযাত্রীর সুযোগ-সুবিধা দেখতে হজের পূর্ব মূহুর্ত থেকে মক্কায় অবস্থান করছেন বিসিএস (প্রশাসন) ১৯৮৫ ব্যাচের কর্মকর্তা আনিসুর রহমান।

সচিব হিসেবে ২০১৭ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর থেকে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে শরিয়তপুর জেলার সন্তান আনিসুর রহমান। এর আগে একই মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিবের দায়িত্ব পালন করেছেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল বিভাগ থেকে সম্মান ও মাস্টার্স ডিগ্রি অর্জন করা মেধাবী সরকারি এই কর্মকর্তা স্থানীয় সরকার বিভাগ, অর্থ বিভাগ, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন পর্যায়ে দায়িত্ব পালন করেছেন।

এবারের হজ মৌসুমের সার্বিক চিত্রটা কেমন দেখছেন?

এখন পর্যন্ত সন্তোষজনক। সৌদি ধর্ম মন্ত্রণালয় পর্যন্ত আমাদের ব্যবস্থাপনার প্রশংসা করেছে। আমি এখানে আমাদের কর্মকর্তাদের সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠক করেছি। আমাদের লক্ষ্য, হাজীদের সেবার মান যাতে কোথাও কমতি না হয়। তারা আল্লাহর মেহমান। তাদের যেন কোথাও কষ্ট না হয়।

তবে মিনা থেকে হাজী সাহেবরা হজের আনুষ্ঠানিকতা শেষ করে মক্কায় ফিরে আসার পর পরিস্থিতিটা আর বিশদভাবে বোঝা যাবে।

এখানে ফেতরা পদ্ধতির কারণে এক বাড়িকে ৫ থেকে ৬ বার ভাড়া দেওয়া হয়। এটা এখানে স্বীকৃত, কিন্তু কষ্টটা হয় হাজীদের। যেমন ধরেন, হজে আসার আগে আপনাকে বলা হলো, কাবা শরিফের কাছে জমজম টাওয়ার বা হিলটনের মতো হোটেলে রাখা হবে।

তারা সেটা রাখবে ঠিকই, তার আগে বা পরে আপনাকে দূরে কোনো হোটেলে রাখবে। এসব বিষয়ে আগে অনেক অভিযোগ ছিলো। আমাদের মনিটরিংয়ের কারণে এখন কমে এসেছে। হজ এজেন্সিজ অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (হাব) নেতাদের বলেছি, দেশে যেভাবে আমাদের সহায়তা করেছেন, এখানেও সেটা বজায় রাখুন। যারা হাজীদের দূর্ভোগ সৃষ্টি করবে তাদের আগেভাগেই সর্তক করে দিন।

আরেকটি বিষয়, জেদ্দা বিমানবন্দর থেকেই কিন্তু হাজীদের ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব স্থানীয় মোয়াল্লেমদের। যারা আবার মোয়াচ্ছাসাদের নিয়ন্ত্রণে। হাজীদের মক্কায় যেমন যাতায়াতের দায়িত্বে ইউনাইটেড কার এজেন্সি তেমনি মদিনায় দায়িত্বে আদিল্লা নামের সংস্থার।

২০১৬ সালে আমি যখন হজে আসি তখন কিন্তু আমাকে অতিরিক্ত দুই ঘন্টা গাড়িতে ঘুরতে হয়েছিলো। কারণ অতিরিক্ত আয়ের জন্যে হজ মৌসুমে মিসর থেকে অনেক চালক আসেন। যারা এখানকার পথ বা হোটেল ঠিকমতো চেনেন না।

এ ধরনের ব্যবস্থাপনায় কিন্তু আমাদের কোনো এজেন্সির নিয়ন্ত্রণ নেই।

এবার মিনায় গতবারের তুলনায় আমাদের ৩০ ভাগ কম জায়গা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। অথচ হাজীর সংখ্যা কিন্তু বেড়েছে। যদিও সে তুলনায় বাড়েনি মিনার জায়গার পরিধি। এবার তাঁবুতে হাজী প্রতি ১৮ ইঞ্চির বদলে ১৬ ইঞ্চি জায়গা বরাদ্দ পাওয়া গেছে। সৌদি কর্তৃপক্ষ স্থান সংকুলানের জন্যে মিনায় দোতলা, তিন তলা খাটের ব্যবস্থার কথা বলেছিলো।

আমরা তাতে সাড়া দেইনি। আমরা বলেছি, এটা আমাদের সংস্কৃতির সঙ্গে সঙ্গতিহীন। এক জনের ওপর আরেকজন শোয়া কেউ পছন্দ করবে না। তবে পরিস্থিতি যেমন দাঁড়িয়েছে তাতে ভবিষ্যতে দুই বা তিনস্তর বিশিষ্ট খাটের বিকল্পও নেই।

মিনা, আরাফা আর মুজদালিফায় যে ধরণের খাবার সরবরাহ করা হয়, তা আমাদের দেশের মানুষ খেতে পারেন না। আমরা বলেছি, বাংলাদেশিরা পছন্দ করে- এমন খাবার যাতে পরিবেশন করা হয়।

আমরা হজ নীতিতে পরিবর্তন আনছি। আইনি কাঠামো নিশ্চিত করতে হজ আইন প্রণয়ণ করতে যাচ্ছি। এখন সব কিছুই করা হয় নির্বাহী আদেশে। আমরা ধরেই নেই, আইন না থাকার দূর্বলতার সুযোগ নিয়ে আমাদের নেওয়া পদক্ষেপের বিরুদ্ধে অনেকে আদালতে যাবে।নীতি দিয়ে কাউকে ধরা বাঁধা কঠিন। তবে আইনের অবস্থান সবার ওপরে। আইন থাকলে এজেন্সির প্রতারণাগুলো যেমন কমে আসবে আবার আইনগত বাধ্যবাধকতার কারণে অনিয়ম দূর হবে।

হজ প্রশাসনিক বা সহায়ক দলে কে বা কারা থাকবে তা নির্ধারিত হবে এই আইনে। যার অধীনে শক্তিশালী প্রশাসনিক কাঠামো থাকবে হজ অফিসের। মন্ত্রণালয় নীতি প্রণয়ণ করবে, হজ অফিস তা বাস্তবায়ন করবে। আমাদের ইচ্ছে, হজ সহায়ক কর্মী ভবিষ্যতে সৌদি আরবের প্রবাসীদের মাঝ থেকে নেওয়া। এতে করে হাজীদের সুবিধা আরো বাড়বে।

এবার হজে প্রশাসনিক দলের সদস্য হয়ে যারা এসেছেন, তারা আগে থাকতেন মিশনে। এবার সরকারিভাবে আসা হাজীদের হোটেলে তাদের অবস্থান বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। যে কারণে হাজীদের যেকোনো ধরনের সুবিধা-অসুবিধা তারা যেমন তাৎক্ষনিক জানতে পারছে, তেমনি সমাধানটাও করতে পারছে দ্রুত।

এভাবেই হজ ব্যবস্থাপনায় আমাদের পরিবর্তনটা আজ সৌদি কর্তৃপক্ষের কাছেও প্রশংসিত।

   

হজযাত্রীর কাছে নুসুক কার্ড না পেলেই আটক



ইসলাম ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
নুসুক কার্ড, ছবি: সংগৃহীত

নুসুক কার্ড, ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

চলতি বছর নুসুক কার্ড ছাড়া কেউ হজ করতে পারবেন না। সৌদি সরকারের হজ ও উমরা মন্ত্রণালয়ের অনুমতি ছাড়া হজযাত্রী প্রতিরোধ করতে এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

শনিবার (২৫ মে) ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে এ সংক্রান্ত একটি চিঠি হজ এজেন্সির মালিকদের কাছে পাঠানো হয়েছে।

চিঠিতে বলা হয়েছে, জেদ্দা হজ অফিস থেকে এ সংক্রান্ত প্রাপ্ত পত্রের ছায়ালিপি পাওয়ার পর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশ দিয়েছে ধর্ম মন্ত্রণালয়।

জেদ্দা হজ অফিস থেকে পাঠানো চিঠিতে বলা হয়েছে, মাশায়ের (মিনা, আরাফাত ও মুজদালিফ) এলাকাসহ মক্কা নগরীর গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলোতে মক্কায় প্রবেশের তাসরিহ বা নুসুক কার্ড ছাড়া কাউকে পাওয়া গেলে প্রথমবার ১০ হাজার সৌদি রিয়াল অর্থদণ্ড এবং পুনরায় অপরাধে দ্বিগুণ জরিমানা ও কারাদণ্ডের বিধান করা হয়েছে। হজের অনুমতি নেই, এমন কোনো ব্যক্তিকে পরিবহন করা হলে পরিবহনকারীকে ছয় মাসের কারাদণ্ড এবং ৫০ হাজার সৌদি রিয়াল জরিমানা করা হবে।

এ ছাড়া মিনা ও আরাফাতে হাজির তাঁবুতে নুসুক কার্ড ছাড়া কাউকে পাওয়া গেলে তাকে অর্থদণ্ড আরোপ এবং দেশে প্রত্যাবর্তনের মতো শাস্তি প্রদানের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। এরূপ কর্মের সহযোগিতাকারীকেও শাস্তির আওতায় নিয়ে আসা হবে।

হজের অনুমতি নেই কিংবা নুসুক কার্ডবিহীন কাউকে মাশায়েরে পরিবহন করলে গাড়িচালকসহ উভয়েই শাস্তির আওতায় আসবেন। ই-হজ সিস্টেমে ভাড়াকৃত বাড়ি বা হোটেলে হাজি আবাসন না করে অন্যত্র হাজি আবাসন করা হলে অথবা সিস্টেমে এক হোটেল এন্ট্রি দিয়ে অন্য হোটেলে হাজি ওঠানো হলে এজেন্সি বা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে শাস্তির আওতায় নিয়ে আসা হবে।

ধর্ম মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, ডিজিটাল এই নুসুক কার্ডে সংশ্লিষ্ট হজযাত্রীর প্রয়োজনীয় সব তথ্য মজুদ থাকবে এবং হজের জন্য পবিত্র কাবার প্রাঙ্গণে প্রবেশ করতে চাইলে এই কার্ড অবশ্যই প্রদর্শন করতে হবে। হজের অন্যান্য আনুষ্ঠানিকতা পালনেও বিভিন্ন জায়গায় কার্ডটি দেখাতে হবে।

;

মক্কায় প্রতিবন্ধীদের জন্য বিশেষ রাস্তা ও ইবাদতের স্থান



ইসলাম ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
প্রতিবন্ধীদের জন্য নির্ধারিত মসজিদে হারামের ৯১ নম্বর গেট, ছবি: সংগৃহীত

প্রতিবন্ধীদের জন্য নির্ধারিত মসজিদে হারামের ৯১ নম্বর গেট, ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আগে থেকে ব্যবস্থা থাকলেও চলতি হজ মৌসুমে মক্কার মসজিদে হারামে অসুস্থ, বয়স্ক ও বিশেষভাবে অক্ষম প্রতিবন্ধীদের জন্য বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করেছে হারামাইন পরিচালনা পরিষদ। তাদের দেখাশোনা, রাস্তা দেখানো ও যেকোনো ধরনের সাহায্যের জন্য বিশেষভাবে প্রশিক্ষিত ২ শতাধিক গাইড নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

এবার মসজিদে হারামের কয়েকটি স্থান বিভিন্ন শ্রেণির প্রতিবন্ধীদের জন্য সংরক্ষিত করা হয়েছে, যাতে তাদের ইবাদত-বন্দেগি ও চলাচলে কোনো অসুবিধায় পড়তে না হয়।

সৌদি আরবের সরকারি বার্তা সংস্থা এসপিএ জানিয়েছে, মসজিদে হারামে চলাচলে অক্ষম প্রতিবন্ধীদের হুইলচেয়ারের জন্য বিশেষ পথ তৈরি করা হয়েছে। সেই সঙ্গে যেখানে তাদের বসার স্থান নির্ধারণ করা হয়েছে, সেখানে পানিসহ অন্যান্য সুবিধা দেওয়া হয়েছে।

পুরুষ ও নারী প্রতিবন্ধীদের জন্য মসজিদে হারামে পৃথক তিনটি স্থান সংরক্ষিত রয়েছে, যা প্রধান ফটকের কাছে। ফলে তাদের যাতায়াতের ক্ষেত্রে কোনো সমস্যা হবে না। জায়গাগুলো হলো- মসজিদে হারামের ৯১ নম্বর গেট এবং আল শাবাকা ব্রিজের কাছে ৬৮ নম্বর গেট (নিচতলায়)।

মসজিদে হারামে প্রতিবন্ধীদের চলাচলে রয়েছে আলাদা ব্যবস্থা, ছবি: সংগৃহীত

আর নারীদের হুইলচেয়ার ব্যবহার করার জন্য বাদশাহ ফাহাদ এক্সটেনশনের গেট নম্বর ৮৮ এবং নিচতলার গেট নম্বর ৬৫ ছাড়াও মাতাফের (কাবা চত্বর) সামনে নামাজের জন্য একটি স্থান (মুসাল্লা নম্বর ১৫) সংরক্ষিত ঘোষণা করা হয়েছে, যেখানে হুইলচেয়ারসহ নারীরা আরামে বসতে পারেন৷

এ ছাড়া বয়স্কদের জন্য ডিজিটাল কোরআন এবং অন্ধদের জন্য ব্রেইল সংস্করণ ছাড়াও শ্রবণ ও বাক প্রতিবন্ধীদের জন্য সাংকেতিক ভাষায় জুমার খুতবার শোনার বিশেষ ব্যবস্থা করা হয়েছে।

;

সোমবার ছায়াশূন্য কাবার দেখা মিলবে



ইসলাম ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
সোমবার ছায়াশূন্য কাবার দেখা মিলবে, ছবি: সংগৃহীত

সোমবার ছায়াশূন্য কাবার দেখা মিলবে, ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সোমবার পবিত্র কাবা ঘরের ঠিক ওপরে উঠে আসবে সূর্য। ওই সময়ে ছায়াশূন্য পবিত্র কাবার দেখা মিলবে।

জ্যোতির্বিদরা জানিয়েছেন, সোমবার (২৭ মে) স্থানীয় সময় দুপুর ১২টা ১৮ মিনিটে পবিত্র কাবার ঘরের ঠিক ওপর সূর্য থাকবে। বছরের দুইবার এমন ঘটনা ঘটলেও চলতি বছরে প্রথমবারের মতো এ ঘটনা ঘটতে যাচ্ছে।

আল আরাবিয়া নিউজকে জেদ্দা অ্যাস্ট্রোনোমিক্যাল সোসাইটির প্রধান মাজেদ আবু জাহরা জানিয়েছেন, সোমবার দুপুর নাগাদ মক্কার পবিত্র কাবা ঘরের সঙ্গে সূর্য একই লাইনে অবস্থান করবে। এ সময় সূর্যের কেন্দ্রবিন্দুটি কাবার ঠিক ওপরে উঠে আসবে।

জ্যোতির্বিদরা জানিয়েছেন, সূর্যের এই অবস্থানকে ‘ছায়াশূন্য’ (জিরো শ্যাডো) অবস্থা বলেই চিহ্নিত করেন মহাকাশ বিজ্ঞানীরা। বছরে অন্তত দুইবার পবিত্র মক্কা নগরীর ক্ষেত্রে এই ঘটনা ঘটে। প্রতিবছর ২৭ বা ২৮ মে ছাড়াও ১৫ বা ১৬ জুলাই তারিখে একই ঘটনা ঘটে থাকে। পবিত্র কাবাঘরটি বিষুবরেখা ও কর্কটক্রান্তির মাঝে অবস্থিত হওয়ার কারণেই এমনটা ঘটে।

তারা আরও জানান, মক্কায় সোমবার ভোর ৫টা ৩৮ মিনিটে সূর্যোদয় হবে। উত্তরপূর্ব দিকটি থেকে সূর্য ধীরে ধীরে ওপরে উঠতে শুরু করবে। সে কারণে সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্য হলেও পবিত্র এই মসজিদ ঘরের কোনো দিকে কোনো ছায়া থাকবে না।

পৃথিবীর অক্ষরেখায় সূর্য ২৩.৫ ডিগ্রি কৌণিক অবস্থান নিয়ে বিষুব রেখার উত্তর ও দক্ষিণ দিকে ঘুরতে থাকে।

এভাবে একবার উত্তর গোলার্ধে একবার দক্ষিণ গোলার্ধে যায়। আর এই আসা যাওয়ার পথে বছরে দুইবার সরাসরি ওপরে অবস্থান নিয়ে পবিত্র কাবাকে ছায়াশূন্য করে দেয়।

জ্যোতির্বিদ আবু জাহরা আরও জানান, কাঠের কোনো কাঠি মাটিতে লম্বালম্বী করে মানুষ কাবার সঠিক দিক নির্ধারণ করতে পারবে। এর মাধ্যমে কিবলার দিকটি কাঠির ছায়ার ঠিক বিপরীতে দেখতে পাবে।

;

হজযাত্রীদের জন্য ২ শতাধিক বিশেষ গাইড, সাড়ে ৩ হাজার বাস



ইসলাম ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
শায়খ সুদাইস এক হজযাত্রীকে উপহার দিচ্ছেন, ছবি: সংগৃহীত

শায়খ সুদাইস এক হজযাত্রীকে উপহার দিচ্ছেন, ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আসন্ন হজে মসজিদ হারাম এবং মসজিদে নববিতে আগত বয়স্ক, প্রতিবন্ধী এবং অসুস্থদের বিশেষ যত্ন ও সেবার লক্ষে বিশেষ দল নিয়োগ করা হয়েছে।

হারামাইন প্রেসিডেন্সির উদ্যোগে চলতি হজ মৌসুমে ‘ইনসানিয়্যুন’ মানবিক উদ্যোগ শিরোনামে এই কর্মসূচি পারিচালিত হবে। এর মাধ্যমে হজযাত্রীদের অভিজ্ঞতা সমৃদ্ধ হবে। যারা অসুস্থ, বয়স্ক এবং প্রতিবন্ধী- তারা নির্বিঘ্নে ও আরামের সঙ্গে গ্র্যান্ড মসজিদ এবং মসজিদে নববি পরিদর্শন, জিয়ারত ও ইবাদত-বন্দেগি পালন করতে পারবেন।

মসজিদে হারাম এবং নববির ধর্ম বিষয়ক প্রধান শায়খ আবদুর রহমান আস-সুদাইস এই কর্মসূচি উদ্বোধন করে বলেন, ‘মানবতাবাদী উদ্যোগের লক্ষ্য হলো- আচরণ উন্নত করা এবং প্রেসিডেন্সি কর্তৃক প্রদত্ত পরিষেবাগুলোকে বিভিন্ন সেক্টর এবং বিভাগজুড়ে বিস্তৃতি করা। আমরা সব ধরনের হজযাত্রীদের জন্য একটি উপযুক্ত উপাসনার পরিবেশ উপহার দিতে চাই। আমাদের উদ্দেশ্য, মুসলমানদের উদার মনোভাব বাড়ানো এবং বিভিন্ন ক্ষেত্রে সেবার মান উন্নত করা।’

এই উদ্যোগের জন্য বিশেষভাবে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ২ শ গাইড নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। যারা এই শ্রেণির হজযাত্রীদের ধর্মীয় চাহিদা মেটাতে প্রযুক্তি, মেধা ব্যবহার করবে। তারা অসুস্থ, বয়স্ক ও প্রতিবন্ধী হজযাত্রীদের ধর্মীয়ভাবে সচেতনতা বৃদ্ধি ও দিকনির্দেশনার জন্য নিবিঢ়ভাবে কাজ করবে।

এ সময় তিনি বলেন, হজপালনকারীদের সেবা দিতে ধর্মীয় বিষয়ক সংস্থার পক্ষ থেকে কোনো অবহেলা সহ্য করা হবে না।

তিনি আরও বলেন, হারামাইনের ধর্মবিষয়ক অধিদপ্তর হজ মৌসুমে বিভিন্ন দেশ থেকে আগত হজযাত্রীদের জন্য বিভিন্ন ভাষায় বিষয়ভিত্তিক ধর্মীয় পুস্তিকা তৈরি করেছে, যা হজযাত্রীদের দেওয়া হবে।

মিনা-আরাফাতের জন্য সাড়ে ৩ হাজার বাস : সৌদি আরবে হজ ব্যবস্থাপনায় সেন্ট্রাল ট্রান্সপোর্ট অথরিটি চলতি হজের পরিকল্পনা ঘোষণা করেছে। ঘোষণায় বলা হয়, হাজিদের পরিবহনের জন্য ৩ হাজার ৫০০টি বাস প্রস্তুত। এসব বাস চলতি হজ মৌসুমে মসজিদে হারামের চারপাশে অবস্থিত ৯টি স্টেশন থেকে চলাচল করবে। বাসগুলো হজযাত্রীদের মিনা ও আরাফাতে আনা-নেওয়া করবে। এ জন্য ১২টি রুট নির্ধারণ করা হয়েছে।

;