মসজিদে শিশুদের প্রবেশ প্রসঙ্গে ইসলাম কী বলে?



ইসলাম ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
মসজিদে শিশুদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা ইসলাম সমর্থন করে না, ছবি: সংগৃহীত

মসজিদে শিশুদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা ইসলাম সমর্থন করে না, ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সম্প্রতি রাজধানী উত্তরা ১০ নম্বর সেক্টর কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে লাল ব্যানারে শিশু কিংবা বাচ্চাদের নিয়ে মসজিদে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা আরোপের বিষয়টি নিয়ে সোস্যাল মিডিয়া থেকে শুরু করে সর্বত্র প্রচুর আলোচনা-সমালোচনা হচ্ছে।

মসজিদ কমিটির পক্ষ থেকে লাগিয়ে রাখা এ নোটিশটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে পড়েছে। বেশিরভাগ লোকজনই এ সিদ্ধান্তের কড়া প্রতিবাদ করেছেন। তারা বলছেন, এমন সিদ্ধান্ত প্রকাশের পূর্বে ‘মসজিদে বাচ্চাদের প্রবেশ বা বাচ্চাদের নিয়ে মসজিদে যাওয়ার ব্যাপারে ইসলামের বিধান’ সম্পর্কে জেনে নেওয়া উচিত ছিলো বলে মতামত দিচ্ছেন।

বিশিষ্ট আলেম ও শিক্ষাবিদ ড. আফম খালিদ হোসাইন সম্প্রতি মালয়েশিয়া সফর করে এসেছেন। মালয়েশিয়া সফরে তিনি দেশটির বিভিন্ন ঐতিহাসিক স্থান পরিদর্শন করেন। মালয়েশিয়া সফরের টুকরো অভিজ্ঞতা তিনি ফেসবুকে শেয়ার করেছেন।

সে প্রেক্ষিতে তিনি মালয়েশিয়ার মসজিদে শিশু-বাচ্চাদের প্রবেশ বিষয়ে সেখানকার মুসলমানদের দৃষ্টিভঙ্গী শেয়ার করেছেন ফেসবুকে।

তিনি লিখেছেন, ‘মালয়েশিয়ার আন্তর্জাতিক ইসলামি বিশ্বিবদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদের দেয়ালে দেয়ালে পোস্টার সাঁটানো আছে। যেখানে লেখা আছে, সম্মানিত মা-বাবা ও অভিভাবকবৃন্দ! মসজিদের জামাতে শরিক করানোর ক্ষেত্রে বাচ্চাদের প্রশিক্ষণ দিয়ে প্রস্তুত করুন। ইসলাম এটাকে উৎসাহ জুগিয়েছে। নামাজের ওয়াক্ত ও অন্যান্য সময় একে অপরকে সম্মান করার এবং সৌজন্য বজায় রাখার শিক্ষা ইসলাম আমাদের প্রদান করে। অতএব আমাদের প্রত্যাশা মসজিদে আপনার শিশুর আচরণ পর্যবেক্ষণে আপনি সচেতন থাকবেন। একান্ত সহযোগিতার জন্য আমরা শোকরিয়া আদায় করি।’

এবার আলোচনা করা যাক মসজিদে শিশুদের প্রবেশ প্রসঙ্গে। মুসনাদে আহমাদের হাদিস। একবার হজরত রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জামাতের একটা সিজদা খুব দীর্ঘায়িত করলেন। এতোই দীর্ঘায়িত করলেন যে, সাহাবারা (রা.) ভাবলেন হয়তো আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কোনো সমস্যা হয়েছে, অথবা তার উপর অহি নাজিল হচ্ছে। তাই তিনি সিজদা থেকে উঠতে পারছেন না।

নামাজ শেষে সাহাবারা দীর্ঘ নামাজের বিষযে প্রশ্ন করতে লাগলেন। কেউ বললেন, ‘হে আল্লাহর রাসূল! আপনার কি তখন কোনো সমস্যা হচ্ছিল?”

আবার কেউ বললো, 'জিবরাঈল কি তখন আপনার ওপর অহি নিয়ে এসেছিলো?’

মালয়েশিয়ার আন্তর্জাতিক ইসলামি বিশ্বিবদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদের দেয়ালে দেয়ালে পোস্টার সাঁটানো আছে
মালয়েশিয়া আন্তর্জাতিক ইসলামি বিশ্বিবদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদের দেয়ালে দেয়ালে সাঁটানো আছে, ছবি: সংগৃহীত

হজরত রাসূলুল্লাহ সাল্লাললাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, ‘এরকম কিছুই হয়নি আমার। আসলে, আমি যখন সিজদায় ছিলাম তখন আমার নাতী হাসান আমার কাঁধে চেপে বসেছিলো। ওর মনের আশা পূরণ হওয়ার আগে ওকে ঘাঁড় থেকে নামাতে মন চাইছিলো না আমার।’

নবী করিম (সা.) যখন নামাজ পড়ছিলেন, তখন তার দৌহিত্র হাসান গিয়ে ঘাঁড়ে চেপে বসলো। এতে করে কিন্তু নবী করিম সাল্লাললাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মোটেও বিরক্ত হননি। নামাজ শেষ করে হাসানকে ধমক দেননি। হাসানের পিতা হজরত আলী (রা.) কে শাসিয়ে দেননি তাকে মসজিদে আনার জন্য। এমনকি, হাসান ঘাঁড়ে চেপে বসায় রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নামাজেও মনোযোগে বিঘ্ন ঘটেনি। তিনি পরেরদিন মসজিদের লিখে দেননি, ‘মসজিদে বাচ্চা নিয়ে প্রবেশ নিষেধ।’

অধুনা আমাদের দেশে একদল মুরব্বি মুসল্লির আবির্ভাব ঘটেছে। তারা মসজিদে বাচ্চাদের একেবারে সহ্যই করতে পারেন না। মসজিদে বাচ্চা দেখলেই তারা রেগে অগ্নিশর্মা হয়ে যান। এই যে, উত্তরার মসজিদে তো ব্যানার-ফেস্টুন টানিয়ে বলা হলো, মসজিদে বাচ্চা নিয়ে আসবেন না।

মসজিদে বাচ্চা এলে তাদের নামাজের ডিস্টার্ব হয়। এরা নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের চাইতেও বড় নামাজি কিনা!!

ভাবতে অবাক লাগে, কোন মানসিকতা নিয়ে তারা মসজিদ কমিটির সদস্য হয়? যারা মসজিদের আবেদন সম্পর্কে কিছুই জানে না। যারা মসজিদের কাউকে প্রবেশে বাঁধা দেয় তাদের সম্পর্কে কোরআনে কঠোর হুমকি এসেছে। সেই প্রেক্ষাপট আর এই প্রেক্ষাপট হয়তো এক না, কিন্তু বিষয়টা কোনোভাবেই ইসলাম সম্মত নয়।

আমাদের তরুণ প্রজন্ম এমনিতেই রসাতলে যাচ্ছে দিন দিন। চারদিকের ফেতনার জালে বন্দী হয়ে তারা দূরে সরে যাচ্ছে দ্বীন থেকে। সেখানে ভষিব্যৎ প্রজন্মকে মসজিদে আনা নিষেধ করা নিতান্তই বোকামি, মূর্খতা।

আমদের সমাজের অনেকেই শিশুদের মসজিদে নিয়ে যাই। গ্রামবাংলার ঐতিহ্যের এটি একটি চোখ জুড়ানো দৃশ্য। প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার আগে শিশুদের আল্লাহর ঘরের সঙ্গে পরিচয় করানো ও নামাজের জন্য অভ্যস্ত বানানো একটি প্রশংসনীয় উদ্যোগ। কেননা শিশুকালে যে জিনিসে অভ্যাস হয়, পরে তা করা সহজ হয়, নচেৎ তা কঠিন হয়ে দাঁড়ায়। এ জন্যই হাদিস শরিফে এসেছে, ‘তোমরা তোমাদের বাচ্চাদের সাত বছর বয়স থেকেই নামাজের নির্দেশ দাও। আর যখন ১০ বছর বয়সে উপনীত হবে, তখন তাদের নামাজে অবহেলায় শাস্তি প্রদান করো।’ -আবু দাউদ: ৪৯৫

তবে শিশুদের মসজিদে নেওয়ার বিষয়ে শরিয়ত কর্তৃক কিছু নিয়ম-নীতি রয়েছে, সেগুলো রক্ষার মাধ্যমে এ বিষয়ে কিছু অনিয়ম থেকে আমরা রক্ষা পেতে পারি। যেমন একেবারে অবুঝ শিশুকে মসজিদে আনা নিষেধ। যারা মসজিদের সম্মান ও নামাজের গুরুত্বের জ্ঞান রাখে না, তাদের মসজিদে আনার অনুমতি নেই। কেননা এতে সাধারণত মুসল্লিদের নামাজে বিঘ্ন ঘটে।

বুঝ হয়েছে, এমন নাবালেগ শিশুদের ব্যাপারে বিধান হলো, যদি শিশু একজন হয়, তাহলে তাকে বড়দের কাতারেই সমানভাবে দাঁড় করাবে। এ ক্ষেত্রে বড়দের নামাজের কোনো অসুবিধা হবে না। একাধিক শিশু হলে সাবালকদের পেছনে পৃথক কাতারে দাঁড় করানো সুন্নত। তবে হারিয়ে যাওয়া বা দুষ্টুমি করার আশঙ্কা হলে, বড়দের কাতারেও দাঁড়াতে পারবে।

অনেকের এ ধারণা রয়েছে যে নাবালেগ শিশুদের বড়দের কাতারের মধ্যে দাঁড় করালে পেছনের মুসল্লিদের নামাজ হয় না বা নামাজ ত্রুটিযুক্ত হয়, আসলে ব্যাপারটি সে ধরনের নয়। বরং যদিও জামাতের কাতারের সাধারণ নিয়ম ও সুন্নত হলো- প্রাপ্তবয়স্করা সামনে দাঁড়াবে ও অপ্রাপ্তবয়স্করা পেছনে থাকবে। কিন্তু এর ব্যতিক্রম হলে নামাজ অশুদ্ধ হওয়ার কোনো কারণ নেই। এ জন্য শিশু একা হলে বা পেছনে দুষ্টুমির শঙ্কা হলে বড়দের কাতারে সমানভাবে দাঁড় করানোই উত্তম।

   

উমরা ভিসায় হজ নয়, না মানলে কঠোর শাস্তি



ইসলাম ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
উমরা ভিসায় হজ নয়, না মানলে কঠোর শাস্তি, ছবি: সংগৃহীত

উমরা ভিসায় হজ নয়, না মানলে কঠোর শাস্তি, ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

উমরার পারমিট বা ভিসা দিয়ে হজপালন করা যাবে না বলে জানিয়েছে সৌদি আরবের হজ ও উমরা বিষয়ক মন্ত্রণালয়। এ বিষয়ে আগামী ২৪ মে (১৬ জিলকদ) থেকে ২৬ জুন (২০ জিলহজ) পর্যন্ত হজের স্থানগুলোতে দেশটি কঠোর বিধি-নিষেধ আরোপ করেছে। এ সময়ে শুধুমাত্র হজের অনুমোদন নিয়েই কেবল হজ করা যাবে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে আগত হজযাত্রীদের শৃঙ্খলা নিশ্চিত করতে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়। গত ১৯ মে সৌদি গেজেটের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় হজ পারমিট ছাড়া মক্কায় প্রবেশে স্থানীয় নাগরিক, দর্শনার্থী ও প্রবাসীদের বিধি-নিষেধ আরোপ করা হয়। পবিত্র মক্কা শহর, সেন্ট্রাল হারাম এলাকা, মিনার, আরাফাত, মুজদালিফা, রুসাইফার হারামাইন ট্রেন স্টেশন, নিরাপত্তা নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্র এবং হজযাত্রীদের গ্রুপে হজের অনুমতি ছাড়া ধরা পড়লে জরিমানা করা হবে। আর নির্দেশনা লঙ্ঘন করে মক্কায় প্রবেশ করলে ১০ হাজার রিয়াল জরিমানা করা হবে।

আগামী ২ জুন (২৫ জিলকদ) থেকে ২০ জুন (১৪ জিলহজ) পর্যন্ত এ নির্দেশনা থাকবে। এ সময়ে নিয়ম লঙ্ঘনকারী বাসিন্দাদের তাদের দেশে পাঠিয়ে দেওয়া হবে এবং সৌদি আরবে পুনরায় প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হবে। তা ছাড়া এ নির্দেশনা বারবার লঙ্ঘন করলে পুনরায় ১০ হাজার সৌদি রিয়াল (২ লাখ ৯২ হাজার ৭৯৪ টাকা) জরিমানা করা হবে।

সৌদি বার্তা সংস্থা আরও জানায়, আর বিনা অনুমতিতে হজ করে হজবিষয়ক নির্দেশনা লঙ্ঘনকারীদের পরিবহন করে ধরা পড়লে ছয় মাস পর্যন্ত কারাদণ্ডসহ ৫০ হাজার সৌদি রিয়াল (১৪ লাখ ৬৩ হাজার ৯৭২ টাকা) জরিমানা করা হবে এবং ব্যবহৃত গাড়ি বাজেয়াপ্ত করা হবে।

তা ছাড়া পরিবহন করা মানুষের সংখ্যার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে জরিমানার পরিমাণ আরো বাড়বে। আর নির্দেশনা লঙ্ঘনকারী প্রবাসী হলে সাজাভোগের পর তাকে দেশে পাঠিয়ে দেওয়া হবে।

চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ১৬ জুন পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হবে। এ বছর ২০ লাখের বেশি মানুষ হজপালন করবে বলে আশা করা হচ্ছে।

;

হাজিদের সচেতনতায় বিশেষ প্রচারণা



ইসলাম ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
হাজিদের সচেতনতায় বিশেষ প্রচারণা, ছবি: সংগৃহীত

হাজিদের সচেতনতায় বিশেষ প্রচারণা, ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সৌদি আরবের হজ ও উমরা মন্ত্রণালয় হজসংক্রান্ত নিয়ম-কানুন মেনে চলা এবং বৈধ অনুমতি বা ভিসাব্যতীত হজপালন করা থেকে বিরত থাকার ব্যাপারে বার্তা পৌঁছে দেওয়ার জন্য বিশ্বের বহুল ব্যবহৃত ও প্রচলিত ১৫টি ভাষায় একটি আন্তর্জাতিক সচেতনতা ও শিক্ষামূলক প্রচারণা শুরু করেছে।

এ বছর হজপালনে আগ্রহী সবার কাছে সচেতনতামূলক বার্তা পৌঁছে দেওয়ার জন্য ২০টি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, বিভিন্ন ইসলামি কেন্দ্র ও ব্যক্তিদের সঙ্গে সমন্বয় করে ডিজিটাল ও প্রচলিত মিডিয়ার মাধ্যমে হজসংক্রান্ত নির্দেশনাবলী ও বিধিবিধানের প্রচার-প্রসারই এই প্রচারাভিযানের লক্ষ্য।

হজযাত্রীরা পবিত্র ভূমিতে যাত্রাপথে বিমানে বসেই নিজ নিজ ভাষায় হজসংক্রান্ত বিষয়ে ধারণা পাওয়ার জন্য মন্ত্রণালয় সৌদি এয়ারলাইন্সের ফ্লাইটগুলোতে হজ ও উমরা চ্যানেল চালু করেছে।

সৌদি এয়ারলাইন্সের ফ্লাইটে হজ ও উমরার চ্যানেলে রয়েছে, ২৩টি শিক্ষামূলক ক্লিপ, ১৪টি ভাষায় ১৩টি সচেতনতামূলক নির্দেশিকা, ৯ ভাষায় ১টি ডকুমেন্টারি, ৭ ভাষায় ৬টি ফিল্ম, ৭ ভাষায় ইহরাম পরার ১টি ভিডিও। ভাষাগুলো হলো- সিংহলি, মালয়েশিয়ান, আরবি, ইংরেজি, বাংলা, ফ্রেঞ্চ, হাউসাবিয়া, ফারসি, ইন্দোনেশিয়ান, তুর্কি, স্প্যানিশ, উর্দু, আমহারিক ও রুশ।

এছাড়া দেশটির হজ ও উমরা মন্ত্রণালয় তার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের পেজে ধারাবাহিক পোস্টে বলেছে, হজে যাওয়ার পথে, বিধিবদ্ধ সচেতনতা নির্দেশিকা পড়ুন, আপনার ঈমানি সফরে আপনার অধিকার ও বাধ্যবাধকতা সম্পর্কে জানুন। হজ-উমরা চ্যানেলের বিষয়বস্তু অনুসরণ করে যথাযথ প্রস্তুতি নিয়ে আপনার যাত্রা শুরু করুন।

হজ বিষয়ক সচেতনতার বিষয়গুলো বিস্তারিত জানার জন্য মন্ত্রণালয় নিম্নের লিঙ্কে https://www.haj.gov.sa/Guides আল্লাহর মেহমানদের প্রবেশ করার সুযোগ প্রদান করেছে। যাতে হজযাত্রী অতি সহজে হজপালন, বিভিন্ন পদক্ষেপ, সময়সূচি ও পদ্ধতি সম্পর্কে জানতে পারেন।

হজ ও উমরা মন্ত্রণালয় তার প্ল্যাটফর্মের ওয়েব প্যানেলের মাধ্যমে বেশ কয়েকটি ব্যাখ্যামূলক নির্দেশিকা প্রদান করেছে, যার মধ্যে রয়েছে- মসজিদে হারাম গাইড, মসজিদে নববি গাইড এবং মসজিদে নববি পরিষেবা গাইড।

;

সৌদি পৌঁছেছেন বিভিন্ন দেশের প্রায় ৩ লাখ হজযাত্রী



ইসলাম ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
সৌদি পৌঁছেছেন বিভিন্ন দেশের প্রায় ৩ লাখ হজযাত্রী, ছবি: সংগৃহীত

সৌদি পৌঁছেছেন বিভিন্ন দেশের প্রায় ৩ লাখ হজযাত্রী, ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

হজফ্লাইট শুরুর পর বিভিন্ন দেশ থেকে প্রায় ৩ লাখ হজযাত্রী সৌদি আরব পৌঁছেছেন। হজযাত্রীরা মক্কা এবং মদিনায় অবস্থান করছেন। এসব হজযাত্রীর মধ্যে ৩২ হাজারের বেশি বাংলাদেশি হজযাত্রী রয়েছে।

মঙ্গলবার (২১ মে) সৌদি প্রেস এজেন্সির সূত্রে মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আরব নিউজ এ তথ্য জানিয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সৌদি আরবের ডিরেক্টর জেনারেল অফ পাসপোর্ট অফিসের দেওয়া তথ্যমতে, এ পর্যন্ত বিমান, স্থল এবং সমুদ্রপথে সৌদি আরব পৌঁছেছেন ২ লাখ ৯৭ হাজার ৬৫৭ জন হজযাত্রী।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দেশটির পাসপোর্ট অধিদপ্তর জানিয়েছে, হজযাত্রীদের প্রবেশের পর প্রাপ্ত তথ্য থেকে এ সংখ্যা নিশ্চিত হওয়া গেছে। এ সংখ্যা ঘণ্টায় ঘণ্টায় বাড়ছে।

খবরে আরও বলা হয়, হজযাত্রীদের সর্বাধুনিক প্রযুক্তিগত সুবিধা দেওয়া হচ্ছে। প্রবেশ পথগুলোতে সম্পূর্ণ প্রশিক্ষিত ও বিভিন্ন ভাষায় দক্ষ কর্মীরা তাদের স্বাগত জানাচ্ছেন।

জিলহজ মাসের চাঁদ দেখা সাপেক্ষে চলতি বছর হজের আনুষ্ঠানিকতা ১৪ জুন শুরু হয়ে ১৯ জুন শেষ হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

হজযাত্রীদের বহনকারী ফ্লাইট ৯ মে থেকে সৌদি আরব আসা শুরু করে। তখন থেকে ২১ মে মধ্যরাত পর্যন্ত ৩২ হাজার ৭১৯ জন হজযাত্রী সৌদি আরবে পৌঁছেছেন বলে হজ ব্যবস্থাপনা পোর্টালের সবশেষ বুলেটিনে জানানো হয়। এছাড়া এখন পর্যন্ত হজে গিয়ে দুইজন বাংলাদেশি নাগরিকের মৃত্যু হয়েছে। বাংলাদেশ থেকে ৮২টি ফ্লাইটে এসব হজযাত্রী সৌদি পৌঁছেছেন।

এর আগে, গত ৯ মে বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের প্রথম ডেডিকেটেড ফ্লাইট ৪১৫ জন হজযাত্রী নিয়ে সৌদি আরবের উদ্দেশ্যে যাত্রা করে। এর মাধ্যমে চলতি বছর হজের আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয়। শেষ হবে ১০ জুন।

চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ১৫ জুন পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। হজযাত্রীদের প্রথম ফিরতি ফ্লাইট শুরু হবে ২০ জুন এবং শেষ হবে ২২ জুলাই।

;

হজযাত্রীদের জন্য বিশেষ ছাতা



ইসলাম ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
হজযাত্রীদের জন্য বিশেষ ছাতা, ছবি: সংগৃহীত

হজযাত্রীদের জন্য বিশেষ ছাতা, ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

হজযাত্রীদের জন্য বিশেষ ছাতার ব্যবস্থা করেছে সৌদি আরবের হজ ও উমরা মন্ত্রণালয়। মঙ্গলবার (২১ মে) ইসলামিক ইনফরমেশনের এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিশেষভাবে ডিজাইন করা ছাতাগুলো হজযাত্রীদের সূর্যের আলো থেকে বিশেষ সুরক্ষা প্রদান করবে। যেহেতু ২০২৪ সালে হজের সময় প্রচণ্ড গরম থাকবে, তাই বিশেষ এই ছাতার প্রবর্তন করা হয়েছে। এতে হজযাত্রীদের জন্য হজের আমলগুলো করা সহজ হয়ে যাবে।

বিশেষ এই ছাতাগুলোর বৈশিষ্ট্য হলো, এটি পরে দীর্ঘসময় সূর্যের নিচে থাকলেও আলো থেকে তা সুরক্ষা প্রদান করবে। এ ছাড়া প্রতিটি ছাতার মধ্যে একটি পকেট রয়েছে। এতে হজযাত্রীরা নিজেদের প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র সঙ্গে রাখতে পারবেন। বিশেষ করে পানির বোতল ও জায়নামাজ বহন করতে পারবেন- যা হজযাত্রীদের ইবাদত-বন্দেগির জন্য সহায়ক হবে।

ছাতাগুলোর আরেকটি বিশেষ বৈশিষ্ট্য হলো, এগুলোকে এমনভাবে ডিজাইন করা হয়েছে, যেন তা মাথায় থাকা অবস্থায়ও মুসল্লি সেজদা করতে পারে। সহজের চলাচল করতে পারবে। বাতাসে তা উড়ে যাবে না।

হজযাত্রীরা ছাতাগুলো মক্কা, মিনা ও আরাফাতের বিভিন্ন পয়েন্ট থেকে সংগ্রহ করতে পারবেন।

উল্লেখ্য যে, আগামী মাসে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া হজের সময় সৌদি আরবের তাপমাত্রা অনেক বেশি থাকতে পারে। এ বিষয়ে সতর্ক করেছেন সৌদি ন্যাশনাল সেন্টার অব মেটিওরোলজির প্রধান আয়মান গোলাম।

আসন্ন হজে উচ্চ তাপমাত্রার জন্য সতর্ক করে প্রস্তুতি গ্রহণের পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। আয়মান গোলাম বলেছেন যে, এ বছর হজের মৌসুম চলবে জুনের মাঝামাঝিতে। হজের মৌসুম সৌদি আরবে বছরের সবচেয়ে গরম সময়ের সঙ্গে মিলে গেছে।

বছরের এই সময়ে সাধারণত সৌদি আরবে তাপমাত্রা এবং বাতাসের আর্দ্রতা দুটোই অনেক বেশি থাকে। ফলে হজে অংশগ্রহণকারীদের সতর্ক থাকতে অবহিত করা হয়েছে।

;