সমস্ত পাপাচারের মূল হলো সামাজিক পাপাচার



মো. নাহিদ হোসেন নাঈম, অতিথি লেখক, ইসলাম
ইসলাম গোনাহ থেকে বেঁচে থাকার প্রতি গুরুত্বারোপ করে

ইসলাম গোনাহ থেকে বেঁচে থাকার প্রতি গুরুত্বারোপ করে

  • Font increase
  • Font Decrease

ইসলাম একটি পরিপূর্ণ জীবন ব্যবস্থার নাম। মানুষের জীবন ধারণের প্রয়োজনীয় সব নির্দেশনা এখানে বিদ্যমান। এমন কোনো সমস্যা নেই, যার কল্যাণমূলক সমাধান ইসলাম দেয়নি। তেমনি সামাজিক নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠায় ইসলামের সুস্পষ্ট নির্দেশনা রয়েছে। মোটাদাগে বলা যায়, সামাজিক নিরাপত্তার যে বিষয়গুলো সব থেকে বেশি ভূলুণ্ঠিত; সেগুলো হলো- অন্যের সম্পদ অবৈধভাবে জবরদখল করা, নারীর অনিরাপত্তা, মানুষের প্রাণে সংশয়, সম্পদ চুরি ও নৈতিক অবক্ষয় ইত্যাদি।

ইসলাম সামাজিক নিরাপত্তার ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় সব বিষয়ের সুন্দর সমাধান দিয়েছে। পবিত্র কোরআনে অন্যের সম্পদ অবৈধভাবে দখলের বিষয়ে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলা হয়েছে, ‘হে মুমিনগণ! তোমরা অন্যায়ভাবে পরস্পরের ধন-সম্পদ গ্রাস করো না; কেবল পরস্পর সম্মতিক্রমে যে ব্যবসা করো তা বৈধ।’ -সুরা আন নিসা : ২৯

সম্পদ যেন কোনোভাবেই অবৈধ পন্থায় উপার্জিত না হয় এবং তা যেন শোষণের হাতিয়ার না হয়, সেদিকে লক্ষ্য করে বর্ণিত হয়েছে, ‘আল্লাহতায়ালা ব্যবসাকে করেছেন হালাল, আর সুদকে করেছেন হারাম।’ -সুরা আল বাকারা : ২৭৫

মহানবী হজরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের জন্মের পূর্ববর্তী সময়কে আইয়্যামে জাহেলিয়া তথা অন্ধকারাচ্ছন্ন যুগ বলা হয়। ওই সময়ের সামাজিক অনাচারের বিষয়গুলো তুলে ধরে ইতিহাস ইসলামপূর্ব আরবের মানুষদের বর্বর বলে আখ্যা দিয়েছে। বিশেষ করে নারী নির্যাতন, নারীকে পণ্য বিবেচনা করে ভোগ এবং মেয়েশিশুকে জীবন্ত কবর দিয়ে হত্যার ঘটনার কথা বর্বরতার প্রকাশের উদাহরণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়।

বর্তমান সময়ের সামাজিক অনাচারের ফিরিস্তি তুলে ধরলে আইয়্যামে জাহেলিয়ার সময়কার সামাজিক অনাচারের সঙ্গে অনেক খুঁজে পাওয়া যাবে। বিশেষ করে নারীর প্রতি সহিংসতার ধরন দেখে এ কথা বলা বেশি হবে না। নারীর প্রতি সহিংসতার ঘটনা উল্লেখ করলে এমনটাই দেখা যাবে। এটা অবশ্য ভিন্ন প্রসঙ্গ।

আমরা জানি, জীবনের নিরাপত্তা বিধান এবং জীবিকা নির্বাহের তাগিদে প্রাচীন যুগ থেকে সমাজব্যবস্থা চালু হলেও কালক্রমে সমাজের প্রয়োজনীয়তা দিন দিন বেড়েই চলছে। তাই মানুষ এখন একটি সুন্দর সমাজ ও রাষ্ট্র চায়। মুসলিম, হিন্দু, খ্রিস্টান, বৌদ্ধ নির্বিশেষে সমাজের সব মানুষ একটি সুখী-সমৃদ্ধ সমাজ প্রত্যাশী। কিন্তু শান্তিপূর্ণ সমাজ চাইলেই তো আর হবে না, এ জন্য সমাজে বসবাসরত সবাইকে কিছু নিয়ম-কানুন মেনে চলতে হবে। এটাই ইসলামে বিধান ও শরিয়তের হুকুম।

সামাজিক মূল্যবোধ প্রতিষ্ঠায় পারস্পরিক মানবিক দায়িত্ব পালন, পরস্পরে সম্মান প্রদান গুরুত্বপূর্ণ বিধান। এ প্রসঙ্গে নবী করিম (সা.) বলেছেন, ‘যারা বড়দের সম্মান ও ছোটদের স্নেহ করে না, তারা আমার উম্মতের অন্তর্ভুক্ত নয়।’ একটি সুন্দর সমাজ গঠনে এ গুণটি সবার মেনে চলা উচিত।

মূলতঃ পাপের কারণে মানুষের অন্তরাত্মা অন্ধকারে নিমজ্জিত হয়, তার আত্মা ঢেকে যায় অন্ধকারাচ্ছন্নতার চাদরে। সে তখন নানা বিপদ-আপদে আক্রান্ত হয়ে ভালো কাজের শক্তি-সামর্থ্য হারিয়ে ফেলে। এ কারণে আল্লাহতায়ালা কোরআনে কারিমে বারবার এ সম্পর্কে সাবধানবাণী উচ্চারণ করেছেন, পাপ থেকে দূরে অবস্থানের নির্দেশ দিয়েছেন এবং পাপের কারণে অতীত জাতিগুলোর ওপর যেসব আজাব-গজব নেমে এসেছিল, তার বিবরণ তুলে ধরে সবিস্তারে সাবধান হওয়ার পাশাপাশি এগুলো থেকে শিক্ষাগ্রহণের কথা বলেছেন। ইরশাদ হয়েছে, ‘যদি তারা মুখ ফিরিয়ে নেয়, তবে জেনে রাখো, তাদের কিছু পাপের কারণে আল্লাহ তাদের শাস্তি দিতে চান।’ -সুরা আল মায়িদা : ৪৯

ব্যক্তির পাশাপাশি সমাজের ওপরও পাপ এবং পাপাচারের নেতিবাচক নানা প্রভাব পড়ে। যা ক্রমেই সমাজকে পাপের খেলায় মত্ত করে তোলে, ধ্বংসের বীজ ছড়িয়ে দেয়। সমাজে পাপাচার ও তার ক্ষতিকর প্রভাব বিভিন্নভাবে ছড়িয়ে পড়ে। পাপাচারের কারণে বিভিন্ন রোগ-ব্যাধির বিস্তার ঘটে, দূষিত হয় পরিবেশ। দেখা দেয় নিরাপত্তার অভাব, বিঘ্ন ঘটে শান্তি-শৃঙ্খলার, ভয়-ভীতি ছড়িয়ে পড়ে ভয়াবহভাবে। কখনও অনাবৃষ্টি, কখনও অতিবৃষ্টি, ভূমিকম্প, ঝড়-তুফানসহ দেখা দেয় বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগ। মানববিধ্বংসী যুদ্ধ, আগ্রাসন ইত্যাদি অস্বাভাবিকতা মানুষের পাপাচারেরই ফসল।

তাই ইসলাম সব পাপ ও অন্যায়-অনাচার থেকে বাঁচার জন্য সমষ্টিগত ব্যবস্থাপনার নির্দেশনা দিয়েছে। নেকি হলো টনিকের মতো। আর গোনাহের উদাহরণ হলো- বিষের মতো। মানুষের সাধারণ অভ্যাস হলো, তারা অনেক নেক কাজ করে, অনেক অনেক নফল নামাজ পড়ে, প্রচুর জিকির-আজকার করে। কিন্তু গোনাহ থেকে বাঁচার ব্যাপারে সতর্ক হয় না, গুরুত্বারোপ করে না। অথচ গোনাহ থেকে বেঁচে থাকার গুরুত্ব বেশি।

তাই ইসলামি স্কলারদের অভিমত হলো, ফরজ-ওয়াজিব আদায়কে যেভাবে গুরুত্ব দেওয়া হয়; সেভাবে গুরুত্ব দিয়ে গোনাহ থেকে বেঁচে থাকতে হবে।

   

উমরা ভিসায় হজ নয়, না মানলে কঠোর শাস্তি



ইসলাম ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
উমরা ভিসায় হজ নয়, না মানলে কঠোর শাস্তি, ছবি: সংগৃহীত

উমরা ভিসায় হজ নয়, না মানলে কঠোর শাস্তি, ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

উমরার পারমিট বা ভিসা দিয়ে হজপালন করা যাবে না বলে জানিয়েছে সৌদি আরবের হজ ও উমরা বিষয়ক মন্ত্রণালয়। এ বিষয়ে আগামী ২৪ মে (১৬ জিলকদ) থেকে ২৬ জুন (২০ জিলহজ) পর্যন্ত হজের স্থানগুলোতে দেশটি কঠোর বিধি-নিষেধ আরোপ করেছে। এ সময়ে শুধুমাত্র হজের অনুমোদন নিয়েই কেবল হজ করা যাবে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে আগত হজযাত্রীদের শৃঙ্খলা নিশ্চিত করতে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়। গত ১৯ মে সৌদি গেজেটের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় হজ পারমিট ছাড়া মক্কায় প্রবেশে স্থানীয় নাগরিক, দর্শনার্থী ও প্রবাসীদের বিধি-নিষেধ আরোপ করা হয়। পবিত্র মক্কা শহর, সেন্ট্রাল হারাম এলাকা, মিনার, আরাফাত, মুজদালিফা, রুসাইফার হারামাইন ট্রেন স্টেশন, নিরাপত্তা নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্র এবং হজযাত্রীদের গ্রুপে হজের অনুমতি ছাড়া ধরা পড়লে জরিমানা করা হবে। আর নির্দেশনা লঙ্ঘন করে মক্কায় প্রবেশ করলে ১০ হাজার রিয়াল জরিমানা করা হবে।

আগামী ২ জুন (২৫ জিলকদ) থেকে ২০ জুন (১৪ জিলহজ) পর্যন্ত এ নির্দেশনা থাকবে। এ সময়ে নিয়ম লঙ্ঘনকারী বাসিন্দাদের তাদের দেশে পাঠিয়ে দেওয়া হবে এবং সৌদি আরবে পুনরায় প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হবে। তা ছাড়া এ নির্দেশনা বারবার লঙ্ঘন করলে পুনরায় ১০ হাজার সৌদি রিয়াল (২ লাখ ৯২ হাজার ৭৯৪ টাকা) জরিমানা করা হবে।

সৌদি বার্তা সংস্থা আরও জানায়, আর বিনা অনুমতিতে হজ করে হজবিষয়ক নির্দেশনা লঙ্ঘনকারীদের পরিবহন করে ধরা পড়লে ছয় মাস পর্যন্ত কারাদণ্ডসহ ৫০ হাজার সৌদি রিয়াল (১৪ লাখ ৬৩ হাজার ৯৭২ টাকা) জরিমানা করা হবে এবং ব্যবহৃত গাড়ি বাজেয়াপ্ত করা হবে।

তা ছাড়া পরিবহন করা মানুষের সংখ্যার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে জরিমানার পরিমাণ আরো বাড়বে। আর নির্দেশনা লঙ্ঘনকারী প্রবাসী হলে সাজাভোগের পর তাকে দেশে পাঠিয়ে দেওয়া হবে।

চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ১৬ জুন পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হবে। এ বছর ২০ লাখের বেশি মানুষ হজপালন করবে বলে আশা করা হচ্ছে।

;

হাজিদের সচেতনতায় বিশেষ প্রচারণা



ইসলাম ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
হাজিদের সচেতনতায় বিশেষ প্রচারণা, ছবি: সংগৃহীত

হাজিদের সচেতনতায় বিশেষ প্রচারণা, ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সৌদি আরবের হজ ও উমরা মন্ত্রণালয় হজসংক্রান্ত নিয়ম-কানুন মেনে চলা এবং বৈধ অনুমতি বা ভিসাব্যতীত হজপালন করা থেকে বিরত থাকার ব্যাপারে বার্তা পৌঁছে দেওয়ার জন্য বিশ্বের বহুল ব্যবহৃত ও প্রচলিত ১৫টি ভাষায় একটি আন্তর্জাতিক সচেতনতা ও শিক্ষামূলক প্রচারণা শুরু করেছে।

এ বছর হজপালনে আগ্রহী সবার কাছে সচেতনতামূলক বার্তা পৌঁছে দেওয়ার জন্য ২০টি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, বিভিন্ন ইসলামি কেন্দ্র ও ব্যক্তিদের সঙ্গে সমন্বয় করে ডিজিটাল ও প্রচলিত মিডিয়ার মাধ্যমে হজসংক্রান্ত নির্দেশনাবলী ও বিধিবিধানের প্রচার-প্রসারই এই প্রচারাভিযানের লক্ষ্য।

হজযাত্রীরা পবিত্র ভূমিতে যাত্রাপথে বিমানে বসেই নিজ নিজ ভাষায় হজসংক্রান্ত বিষয়ে ধারণা পাওয়ার জন্য মন্ত্রণালয় সৌদি এয়ারলাইন্সের ফ্লাইটগুলোতে হজ ও উমরা চ্যানেল চালু করেছে।

সৌদি এয়ারলাইন্সের ফ্লাইটে হজ ও উমরার চ্যানেলে রয়েছে, ২৩টি শিক্ষামূলক ক্লিপ, ১৪টি ভাষায় ১৩টি সচেতনতামূলক নির্দেশিকা, ৯ ভাষায় ১টি ডকুমেন্টারি, ৭ ভাষায় ৬টি ফিল্ম, ৭ ভাষায় ইহরাম পরার ১টি ভিডিও। ভাষাগুলো হলো- সিংহলি, মালয়েশিয়ান, আরবি, ইংরেজি, বাংলা, ফ্রেঞ্চ, হাউসাবিয়া, ফারসি, ইন্দোনেশিয়ান, তুর্কি, স্প্যানিশ, উর্দু, আমহারিক ও রুশ।

এছাড়া দেশটির হজ ও উমরা মন্ত্রণালয় তার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের পেজে ধারাবাহিক পোস্টে বলেছে, হজে যাওয়ার পথে, বিধিবদ্ধ সচেতনতা নির্দেশিকা পড়ুন, আপনার ঈমানি সফরে আপনার অধিকার ও বাধ্যবাধকতা সম্পর্কে জানুন। হজ-উমরা চ্যানেলের বিষয়বস্তু অনুসরণ করে যথাযথ প্রস্তুতি নিয়ে আপনার যাত্রা শুরু করুন।

হজ বিষয়ক সচেতনতার বিষয়গুলো বিস্তারিত জানার জন্য মন্ত্রণালয় নিম্নের লিঙ্কে https://www.haj.gov.sa/Guides আল্লাহর মেহমানদের প্রবেশ করার সুযোগ প্রদান করেছে। যাতে হজযাত্রী অতি সহজে হজপালন, বিভিন্ন পদক্ষেপ, সময়সূচি ও পদ্ধতি সম্পর্কে জানতে পারেন।

হজ ও উমরা মন্ত্রণালয় তার প্ল্যাটফর্মের ওয়েব প্যানেলের মাধ্যমে বেশ কয়েকটি ব্যাখ্যামূলক নির্দেশিকা প্রদান করেছে, যার মধ্যে রয়েছে- মসজিদে হারাম গাইড, মসজিদে নববি গাইড এবং মসজিদে নববি পরিষেবা গাইড।

;

সৌদি পৌঁছেছেন বিভিন্ন দেশের প্রায় ৩ লাখ হজযাত্রী



ইসলাম ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
সৌদি পৌঁছেছেন বিভিন্ন দেশের প্রায় ৩ লাখ হজযাত্রী, ছবি: সংগৃহীত

সৌদি পৌঁছেছেন বিভিন্ন দেশের প্রায় ৩ লাখ হজযাত্রী, ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

হজফ্লাইট শুরুর পর বিভিন্ন দেশ থেকে প্রায় ৩ লাখ হজযাত্রী সৌদি আরব পৌঁছেছেন। হজযাত্রীরা মক্কা এবং মদিনায় অবস্থান করছেন। এসব হজযাত্রীর মধ্যে ৩২ হাজারের বেশি বাংলাদেশি হজযাত্রী রয়েছে।

মঙ্গলবার (২১ মে) সৌদি প্রেস এজেন্সির সূত্রে মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আরব নিউজ এ তথ্য জানিয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সৌদি আরবের ডিরেক্টর জেনারেল অফ পাসপোর্ট অফিসের দেওয়া তথ্যমতে, এ পর্যন্ত বিমান, স্থল এবং সমুদ্রপথে সৌদি আরব পৌঁছেছেন ২ লাখ ৯৭ হাজার ৬৫৭ জন হজযাত্রী।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দেশটির পাসপোর্ট অধিদপ্তর জানিয়েছে, হজযাত্রীদের প্রবেশের পর প্রাপ্ত তথ্য থেকে এ সংখ্যা নিশ্চিত হওয়া গেছে। এ সংখ্যা ঘণ্টায় ঘণ্টায় বাড়ছে।

খবরে আরও বলা হয়, হজযাত্রীদের সর্বাধুনিক প্রযুক্তিগত সুবিধা দেওয়া হচ্ছে। প্রবেশ পথগুলোতে সম্পূর্ণ প্রশিক্ষিত ও বিভিন্ন ভাষায় দক্ষ কর্মীরা তাদের স্বাগত জানাচ্ছেন।

জিলহজ মাসের চাঁদ দেখা সাপেক্ষে চলতি বছর হজের আনুষ্ঠানিকতা ১৪ জুন শুরু হয়ে ১৯ জুন শেষ হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

হজযাত্রীদের বহনকারী ফ্লাইট ৯ মে থেকে সৌদি আরব আসা শুরু করে। তখন থেকে ২১ মে মধ্যরাত পর্যন্ত ৩২ হাজার ৭১৯ জন হজযাত্রী সৌদি আরবে পৌঁছেছেন বলে হজ ব্যবস্থাপনা পোর্টালের সবশেষ বুলেটিনে জানানো হয়। এছাড়া এখন পর্যন্ত হজে গিয়ে দুইজন বাংলাদেশি নাগরিকের মৃত্যু হয়েছে। বাংলাদেশ থেকে ৮২টি ফ্লাইটে এসব হজযাত্রী সৌদি পৌঁছেছেন।

এর আগে, গত ৯ মে বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের প্রথম ডেডিকেটেড ফ্লাইট ৪১৫ জন হজযাত্রী নিয়ে সৌদি আরবের উদ্দেশ্যে যাত্রা করে। এর মাধ্যমে চলতি বছর হজের আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয়। শেষ হবে ১০ জুন।

চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ১৫ জুন পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। হজযাত্রীদের প্রথম ফিরতি ফ্লাইট শুরু হবে ২০ জুন এবং শেষ হবে ২২ জুলাই।

;

হজযাত্রীদের জন্য বিশেষ ছাতা



ইসলাম ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
হজযাত্রীদের জন্য বিশেষ ছাতা, ছবি: সংগৃহীত

হজযাত্রীদের জন্য বিশেষ ছাতা, ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

হজযাত্রীদের জন্য বিশেষ ছাতার ব্যবস্থা করেছে সৌদি আরবের হজ ও উমরা মন্ত্রণালয়। মঙ্গলবার (২১ মে) ইসলামিক ইনফরমেশনের এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিশেষভাবে ডিজাইন করা ছাতাগুলো হজযাত্রীদের সূর্যের আলো থেকে বিশেষ সুরক্ষা প্রদান করবে। যেহেতু ২০২৪ সালে হজের সময় প্রচণ্ড গরম থাকবে, তাই বিশেষ এই ছাতার প্রবর্তন করা হয়েছে। এতে হজযাত্রীদের জন্য হজের আমলগুলো করা সহজ হয়ে যাবে।

বিশেষ এই ছাতাগুলোর বৈশিষ্ট্য হলো, এটি পরে দীর্ঘসময় সূর্যের নিচে থাকলেও আলো থেকে তা সুরক্ষা প্রদান করবে। এ ছাড়া প্রতিটি ছাতার মধ্যে একটি পকেট রয়েছে। এতে হজযাত্রীরা নিজেদের প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র সঙ্গে রাখতে পারবেন। বিশেষ করে পানির বোতল ও জায়নামাজ বহন করতে পারবেন- যা হজযাত্রীদের ইবাদত-বন্দেগির জন্য সহায়ক হবে।

ছাতাগুলোর আরেকটি বিশেষ বৈশিষ্ট্য হলো, এগুলোকে এমনভাবে ডিজাইন করা হয়েছে, যেন তা মাথায় থাকা অবস্থায়ও মুসল্লি সেজদা করতে পারে। সহজের চলাচল করতে পারবে। বাতাসে তা উড়ে যাবে না।

হজযাত্রীরা ছাতাগুলো মক্কা, মিনা ও আরাফাতের বিভিন্ন পয়েন্ট থেকে সংগ্রহ করতে পারবেন।

উল্লেখ্য যে, আগামী মাসে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া হজের সময় সৌদি আরবের তাপমাত্রা অনেক বেশি থাকতে পারে। এ বিষয়ে সতর্ক করেছেন সৌদি ন্যাশনাল সেন্টার অব মেটিওরোলজির প্রধান আয়মান গোলাম।

আসন্ন হজে উচ্চ তাপমাত্রার জন্য সতর্ক করে প্রস্তুতি গ্রহণের পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। আয়মান গোলাম বলেছেন যে, এ বছর হজের মৌসুম চলবে জুনের মাঝামাঝিতে। হজের মৌসুম সৌদি আরবে বছরের সবচেয়ে গরম সময়ের সঙ্গে মিলে গেছে।

বছরের এই সময়ে সাধারণত সৌদি আরবে তাপমাত্রা এবং বাতাসের আর্দ্রতা দুটোই অনেক বেশি থাকে। ফলে হজে অংশগ্রহণকারীদের সতর্ক থাকতে অবহিত করা হয়েছে।

;