কোনো নেক আমলই ছোট নয়



মাওলানা আহমাদ হুসাইন ইউশা, অতিথি লেখক, ইসলাম
‘যে অণু পরিমাণও নেক আমল করবে, সে তা দেখতে পাবে’   

‘যে অণু পরিমাণও নেক আমল করবে, সে তা দেখতে পাবে’  

  • Font increase
  • Font Decrease

কোরআনে কারিমে ইরশাদ হয়েছে, ‘যে অণু পরিমাণও নেক আমল করবে, সে তা দেখতে পাবে। আর যে অণু পরিমাণও মন্দ কাজ করবে সেও তা দেখতে পাবে।’ -সুরা যিলযাল : ৭-৮

জীবনের প্রতিটি মুহূর্ত যেমন দামী, তেমনই জীবনের ছোট-বড় প্রতিটি আমলই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও মূল্যবান। একটি গোনাহ যেমন অনেক বড় বিপদের কারণ হতে পারে, তেমনি একটি বাহ্যত ছোট নেকিও জান্নাত লাভের কারণ হতে পারে। বান্দার অন্তর যদি সমর্পিত হয়, আর আল্লাহর সন্তুষ্টির পথে চলতে সচেষ্ট থাকে, তাহলে ছোট আমলের বিনিময়েও আল্লাহ অনেক বড় সওয়াব দান করেন। পক্ষান্তরে অন্তর যদি উদাসীন হয়, তাহলে ছোট গোনাহও ধ্বংসের কারণ হতে পারে।

আল্লাহতায়ালা বান্দার প্রতি বিন্দুমাত্র জুলুম করেন না। কোনো কাজ যত ক্ষুদ্রই হোক, আল্লাহর জন্য করা হলে তা আল্লাহর কাছে পৌঁছে যায়। আল্লাহ অবশ্যই বান্দাকে তার বিনিময় দান করেন। আর আল্লাহ এমন ‘দাতা’ যে, ক্ষুদ্র বান্দা তার জন্য কিছু করবে, আর তিনি বান্দাকে কিছু দেবেন না; কোনো বিনিময় দেবেন না- আল্লাহর দরবারে এমনটি কখনও হতে পারে না। এ কথাই ওপরের আয়াতে ইরশাদ হয়েছে।

আসলে আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য বান্দার ‘কিছু করা’- এ কথাটির পরিধি কত যে বিস্তৃত হতে পারে, তা যেমন মানুষের ধারণায় নেই, ঠিক তেমনি সামান্য বিষয়ের বিনিময়ে আল্লাহর পক্ষ থেকে বান্দাকে যে প্রতিদান দেওয়া হয় সে সম্পর্কেও ধারণা নেই। সেইসঙ্গে এটাও সত্য যে, যতটুকু ধারণা আছে, তার অনুশীলন নেই।

মহান আল্লাহ ‘শাকির’ তথা বান্দার আমলের মূল্যায়ন করেন। কী পরিমাণ ছোট ও ক্ষুদ্র বিষয়ের প্রতিদানও আল্লাহ দান করেন, তার একটি নমুনা হিসেবে নিম্নোক্ত হাদিসটি লক্ষ্য করতে পারি।

ইরশাদ হয়েছে, হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন, ‘ঘোড়ার মালিক তিন প্রকার। একজনের জন্য ঘোড়া সওয়াবের কারণ। আরেকজনের জন্য বৈধ আবরণ। আর কারও জন্য গোনাহের কারণ।

ঘোড়া তার জন্য সওয়াবের কারণ, যে ঘোড়াকে আল্লাহর রাস্তার জন্য নিয়োজিত রেখেছে। এমনকি ঘোড়ার মালিক সেই ঘোড়াকে কোনো চারণভূমিতে বেঁধে এসেছে। এই ঘোড়া সেখানে যা কিছু খায় তার জন্য ঘোড়ার মালিক নেকি লাভ করে। ঘোড়াটি যদি দড়ি ছিঁড়ে এক দুই টিলা অতিক্রম করে (কোথাও) মল-মূত্র ত্যাগ করে, তাহলে এই মল-মূত্রও ঘোড়ার মালিকের নেকির কারণ হয়। ঘোড়াটি যদি কোনো নদী অতিক্রম করার সময় পানি পান করে- যদিও মালিকের পানি পান করানোর ইচ্ছা ছিল না- তবুও ঘোড়ার মালিক নেকি লাভ করে। আর যদি কোনো ব্যক্তি স্বচ্ছলতা, বৈধতা ও নির্মুখাপেক্ষিতা অর্জনের উদ্দেশ্যে ঘোড়ার মালিক হয় এবং ঘোড়ার গর্দান ও পিঠ (অর্থাৎ ঘোড়া সংশ্লিষ্ট সার্বিক বিষয়ে) আল্লাহর হক আদায় করতে না ভোলে, তার জন্য ঘোড়া বৈধ উপকরণ। পক্ষান্তরে ঘোড়ার মালিকের উদ্দেশ্য যদি হয় গর্ব ও লৌকিকতা এবং অপর মুসলমান থেকে দূরত্ব বজায় রাখা, তাহলে এই ঘোড়া হবে গোনাহের কারণ।

অতঃপর নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কাছে কেউ জানতে চাইল গাধা সম্পর্কে। হজরত রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, এ সম্পর্কে নির্দিষ্ট কোনো বিধান আমার প্রতি অবতীর্ণ হয়নি। তবে আমার কাছে রয়েছে এমন একটি আয়াত, যা এ ব্যাপারে অত্যন্ত ব্যাপক ও অনন্য। তা হলো, ‘যে অণু পরিমাণও নেক আমল করবে, সে তা দেখতে পাবে। আর যে অণু পরিমাণও মন্দ কাজ করবে সেও তা দেখতে পাবে’ (সুরা যিলযাল : ৭-৮)। -সহিহ বোখারি : ৩৬৪৬

হাদিসটি গভীরভাবে লক্ষ্য করলে উপলব্ধি করা যায়, যে কাজ আল্লাহর জন্য করা হয়; আল্লাহ তা কতখানি ব্যাপ্তি দান করেন এবং তার খুঁটিনাটি বিষয়ের নেকি ও বিনিময় দান করেন। এই হাদিসে ঘোড়ার মালিককে তার ঘোড়ার খাদ্য, পানি এমনকি মল-মূত্র- সবকিছুর জন্য আলাদাভাবে নেকি দান করা হয়েছে। হাদিসের শেষ অংশ থেকে একথা অনুভূত হয়, এমন ব্যাপকভাবে নেকি প্রদান শুধু ঘোড়ার সঙ্গেই সীমাবদ্ধ নয়, বরং যেকোনো পশু পালন; বরং যেকোনো কাজ, তা যদি সত্যিকারভাবে আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য করা হয়, অন্তরে যদি থাকে সঠিক বোধ ও উপলব্ধি, তাহলে নিশ্চিতভাবেই সব কাজে মুমিনের জীবন হবে উদ্দেশ্যমুখী। আর এই চিন্তা-পদ্ধতি প্রয়োগ করে, জীবনের দৈনন্দিন কাজগুলোতেও সে আল্লাহর সন্তুষ্টি অন্বেষণ করতে পারবে। ফলে তার জীবনের স্বাভাবিক কাজগুলো নেক আমলে পরিণত হবে।

এ জন্যই নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উম্মতকে ছোট ছোট নেকির ব্যাপারে সতর্ক করেছেন, উদ্বুদ্ধ করেছেন। মুসনাদে আহমাদে বর্ণিত দীর্ঘ এক হাদিসের অংশ এমন, ‘সাহাবি বলেন, আমি নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কাছে নেক কাজ সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলাম। তিনি ইরশাদ করলেন, কোনো নেক কাজ তুচ্ছ মনে করো না। এমনকি যদি এক পাক দড়ি কিংবা জুতোর ফিতা কাউকে দেওয়ার সুযোগ হয়। অথবা এমন যে, তোমার বালতি থেকে অপরকে পানি ঢেলে দিলে, মানুষ চলাচলের পথ থেকে কোনো কষ্টদায়ক বস্তু সরিয়ে দিলে, অথবা হয়তো তোমার ভাইয়ের সঙ্গে মিলিত হলে আনন্দিত চেহারায়। কারও সঙ্গে হয়ত সাক্ষাৎ করলে সালাম বিনিময়ের উদ্দেশ্যে। এমনকি জমিনের বুকে দুঃখ ভারাক্রান্ত কোনো ব্যক্তিকে সান্তনা দেওয়া...। -মুসনাদে আহমাদ : ১৫৯৫৫

এই হাদিসে মোট সাতটি আমলের কথা বলা হয়েছে। আমলগুলো আলাদাভাবে বিশেষ কোনো নেক আমল নয়; বরং শুধু সালামের উল্লেখ ছাড়া অপরাপর আমলগুলো খুবই সাধারণ এবং যাপিত জীবনের অংশ। অথচ তারপরও নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম প্রিয় সাহাবিকে সম্বোধন করে উম্মতকে সতর্ক করেছেন- ‘কোনো নেক আমলকে মোটেই তুচ্ছ মনে করবে না।’

   

উমরা ভিসায় হজ নয়, না মানলে কঠোর শাস্তি



ইসলাম ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
উমরা ভিসায় হজ নয়, না মানলে কঠোর শাস্তি, ছবি: সংগৃহীত

উমরা ভিসায় হজ নয়, না মানলে কঠোর শাস্তি, ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

উমরার পারমিট বা ভিসা দিয়ে হজপালন করা যাবে না বলে জানিয়েছে সৌদি আরবের হজ ও উমরা বিষয়ক মন্ত্রণালয়। এ বিষয়ে আগামী ২৪ মে (১৬ জিলকদ) থেকে ২৬ জুন (২০ জিলহজ) পর্যন্ত হজের স্থানগুলোতে দেশটি কঠোর বিধি-নিষেধ আরোপ করেছে। এ সময়ে শুধুমাত্র হজের অনুমোদন নিয়েই কেবল হজ করা যাবে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে আগত হজযাত্রীদের শৃঙ্খলা নিশ্চিত করতে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়। গত ১৯ মে সৌদি গেজেটের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় হজ পারমিট ছাড়া মক্কায় প্রবেশে স্থানীয় নাগরিক, দর্শনার্থী ও প্রবাসীদের বিধি-নিষেধ আরোপ করা হয়। পবিত্র মক্কা শহর, সেন্ট্রাল হারাম এলাকা, মিনার, আরাফাত, মুজদালিফা, রুসাইফার হারামাইন ট্রেন স্টেশন, নিরাপত্তা নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্র এবং হজযাত্রীদের গ্রুপে হজের অনুমতি ছাড়া ধরা পড়লে জরিমানা করা হবে। আর নির্দেশনা লঙ্ঘন করে মক্কায় প্রবেশ করলে ১০ হাজার রিয়াল জরিমানা করা হবে।

আগামী ২ জুন (২৫ জিলকদ) থেকে ২০ জুন (১৪ জিলহজ) পর্যন্ত এ নির্দেশনা থাকবে। এ সময়ে নিয়ম লঙ্ঘনকারী বাসিন্দাদের তাদের দেশে পাঠিয়ে দেওয়া হবে এবং সৌদি আরবে পুনরায় প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হবে। তা ছাড়া এ নির্দেশনা বারবার লঙ্ঘন করলে পুনরায় ১০ হাজার সৌদি রিয়াল (২ লাখ ৯২ হাজার ৭৯৪ টাকা) জরিমানা করা হবে।

সৌদি বার্তা সংস্থা আরও জানায়, আর বিনা অনুমতিতে হজ করে হজবিষয়ক নির্দেশনা লঙ্ঘনকারীদের পরিবহন করে ধরা পড়লে ছয় মাস পর্যন্ত কারাদণ্ডসহ ৫০ হাজার সৌদি রিয়াল (১৪ লাখ ৬৩ হাজার ৯৭২ টাকা) জরিমানা করা হবে এবং ব্যবহৃত গাড়ি বাজেয়াপ্ত করা হবে।

তা ছাড়া পরিবহন করা মানুষের সংখ্যার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে জরিমানার পরিমাণ আরো বাড়বে। আর নির্দেশনা লঙ্ঘনকারী প্রবাসী হলে সাজাভোগের পর তাকে দেশে পাঠিয়ে দেওয়া হবে।

চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ১৬ জুন পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হবে। এ বছর ২০ লাখের বেশি মানুষ হজপালন করবে বলে আশা করা হচ্ছে।

;

হাজিদের সচেতনতায় বিশেষ প্রচারণা



ইসলাম ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
হাজিদের সচেতনতায় বিশেষ প্রচারণা, ছবি: সংগৃহীত

হাজিদের সচেতনতায় বিশেষ প্রচারণা, ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সৌদি আরবের হজ ও উমরা মন্ত্রণালয় হজসংক্রান্ত নিয়ম-কানুন মেনে চলা এবং বৈধ অনুমতি বা ভিসাব্যতীত হজপালন করা থেকে বিরত থাকার ব্যাপারে বার্তা পৌঁছে দেওয়ার জন্য বিশ্বের বহুল ব্যবহৃত ও প্রচলিত ১৫টি ভাষায় একটি আন্তর্জাতিক সচেতনতা ও শিক্ষামূলক প্রচারণা শুরু করেছে।

এ বছর হজপালনে আগ্রহী সবার কাছে সচেতনতামূলক বার্তা পৌঁছে দেওয়ার জন্য ২০টি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, বিভিন্ন ইসলামি কেন্দ্র ও ব্যক্তিদের সঙ্গে সমন্বয় করে ডিজিটাল ও প্রচলিত মিডিয়ার মাধ্যমে হজসংক্রান্ত নির্দেশনাবলী ও বিধিবিধানের প্রচার-প্রসারই এই প্রচারাভিযানের লক্ষ্য।

হজযাত্রীরা পবিত্র ভূমিতে যাত্রাপথে বিমানে বসেই নিজ নিজ ভাষায় হজসংক্রান্ত বিষয়ে ধারণা পাওয়ার জন্য মন্ত্রণালয় সৌদি এয়ারলাইন্সের ফ্লাইটগুলোতে হজ ও উমরা চ্যানেল চালু করেছে।

সৌদি এয়ারলাইন্সের ফ্লাইটে হজ ও উমরার চ্যানেলে রয়েছে, ২৩টি শিক্ষামূলক ক্লিপ, ১৪টি ভাষায় ১৩টি সচেতনতামূলক নির্দেশিকা, ৯ ভাষায় ১টি ডকুমেন্টারি, ৭ ভাষায় ৬টি ফিল্ম, ৭ ভাষায় ইহরাম পরার ১টি ভিডিও। ভাষাগুলো হলো- সিংহলি, মালয়েশিয়ান, আরবি, ইংরেজি, বাংলা, ফ্রেঞ্চ, হাউসাবিয়া, ফারসি, ইন্দোনেশিয়ান, তুর্কি, স্প্যানিশ, উর্দু, আমহারিক ও রুশ।

এছাড়া দেশটির হজ ও উমরা মন্ত্রণালয় তার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের পেজে ধারাবাহিক পোস্টে বলেছে, হজে যাওয়ার পথে, বিধিবদ্ধ সচেতনতা নির্দেশিকা পড়ুন, আপনার ঈমানি সফরে আপনার অধিকার ও বাধ্যবাধকতা সম্পর্কে জানুন। হজ-উমরা চ্যানেলের বিষয়বস্তু অনুসরণ করে যথাযথ প্রস্তুতি নিয়ে আপনার যাত্রা শুরু করুন।

হজ বিষয়ক সচেতনতার বিষয়গুলো বিস্তারিত জানার জন্য মন্ত্রণালয় নিম্নের লিঙ্কে https://www.haj.gov.sa/Guides আল্লাহর মেহমানদের প্রবেশ করার সুযোগ প্রদান করেছে। যাতে হজযাত্রী অতি সহজে হজপালন, বিভিন্ন পদক্ষেপ, সময়সূচি ও পদ্ধতি সম্পর্কে জানতে পারেন।

হজ ও উমরা মন্ত্রণালয় তার প্ল্যাটফর্মের ওয়েব প্যানেলের মাধ্যমে বেশ কয়েকটি ব্যাখ্যামূলক নির্দেশিকা প্রদান করেছে, যার মধ্যে রয়েছে- মসজিদে হারাম গাইড, মসজিদে নববি গাইড এবং মসজিদে নববি পরিষেবা গাইড।

;

সৌদি পৌঁছেছেন বিভিন্ন দেশের প্রায় ৩ লাখ হজযাত্রী



ইসলাম ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
সৌদি পৌঁছেছেন বিভিন্ন দেশের প্রায় ৩ লাখ হজযাত্রী, ছবি: সংগৃহীত

সৌদি পৌঁছেছেন বিভিন্ন দেশের প্রায় ৩ লাখ হজযাত্রী, ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

হজফ্লাইট শুরুর পর বিভিন্ন দেশ থেকে প্রায় ৩ লাখ হজযাত্রী সৌদি আরব পৌঁছেছেন। হজযাত্রীরা মক্কা এবং মদিনায় অবস্থান করছেন। এসব হজযাত্রীর মধ্যে ৩২ হাজারের বেশি বাংলাদেশি হজযাত্রী রয়েছে।

মঙ্গলবার (২১ মে) সৌদি প্রেস এজেন্সির সূত্রে মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আরব নিউজ এ তথ্য জানিয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সৌদি আরবের ডিরেক্টর জেনারেল অফ পাসপোর্ট অফিসের দেওয়া তথ্যমতে, এ পর্যন্ত বিমান, স্থল এবং সমুদ্রপথে সৌদি আরব পৌঁছেছেন ২ লাখ ৯৭ হাজার ৬৫৭ জন হজযাত্রী।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দেশটির পাসপোর্ট অধিদপ্তর জানিয়েছে, হজযাত্রীদের প্রবেশের পর প্রাপ্ত তথ্য থেকে এ সংখ্যা নিশ্চিত হওয়া গেছে। এ সংখ্যা ঘণ্টায় ঘণ্টায় বাড়ছে।

খবরে আরও বলা হয়, হজযাত্রীদের সর্বাধুনিক প্রযুক্তিগত সুবিধা দেওয়া হচ্ছে। প্রবেশ পথগুলোতে সম্পূর্ণ প্রশিক্ষিত ও বিভিন্ন ভাষায় দক্ষ কর্মীরা তাদের স্বাগত জানাচ্ছেন।

জিলহজ মাসের চাঁদ দেখা সাপেক্ষে চলতি বছর হজের আনুষ্ঠানিকতা ১৪ জুন শুরু হয়ে ১৯ জুন শেষ হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

হজযাত্রীদের বহনকারী ফ্লাইট ৯ মে থেকে সৌদি আরব আসা শুরু করে। তখন থেকে ২১ মে মধ্যরাত পর্যন্ত ৩২ হাজার ৭১৯ জন হজযাত্রী সৌদি আরবে পৌঁছেছেন বলে হজ ব্যবস্থাপনা পোর্টালের সবশেষ বুলেটিনে জানানো হয়। এছাড়া এখন পর্যন্ত হজে গিয়ে দুইজন বাংলাদেশি নাগরিকের মৃত্যু হয়েছে। বাংলাদেশ থেকে ৮২টি ফ্লাইটে এসব হজযাত্রী সৌদি পৌঁছেছেন।

এর আগে, গত ৯ মে বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের প্রথম ডেডিকেটেড ফ্লাইট ৪১৫ জন হজযাত্রী নিয়ে সৌদি আরবের উদ্দেশ্যে যাত্রা করে। এর মাধ্যমে চলতি বছর হজের আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয়। শেষ হবে ১০ জুন।

চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ১৫ জুন পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। হজযাত্রীদের প্রথম ফিরতি ফ্লাইট শুরু হবে ২০ জুন এবং শেষ হবে ২২ জুলাই।

;

হজযাত্রীদের জন্য বিশেষ ছাতা



ইসলাম ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
হজযাত্রীদের জন্য বিশেষ ছাতা, ছবি: সংগৃহীত

হজযাত্রীদের জন্য বিশেষ ছাতা, ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

হজযাত্রীদের জন্য বিশেষ ছাতার ব্যবস্থা করেছে সৌদি আরবের হজ ও উমরা মন্ত্রণালয়। মঙ্গলবার (২১ মে) ইসলামিক ইনফরমেশনের এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিশেষভাবে ডিজাইন করা ছাতাগুলো হজযাত্রীদের সূর্যের আলো থেকে বিশেষ সুরক্ষা প্রদান করবে। যেহেতু ২০২৪ সালে হজের সময় প্রচণ্ড গরম থাকবে, তাই বিশেষ এই ছাতার প্রবর্তন করা হয়েছে। এতে হজযাত্রীদের জন্য হজের আমলগুলো করা সহজ হয়ে যাবে।

বিশেষ এই ছাতাগুলোর বৈশিষ্ট্য হলো, এটি পরে দীর্ঘসময় সূর্যের নিচে থাকলেও আলো থেকে তা সুরক্ষা প্রদান করবে। এ ছাড়া প্রতিটি ছাতার মধ্যে একটি পকেট রয়েছে। এতে হজযাত্রীরা নিজেদের প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র সঙ্গে রাখতে পারবেন। বিশেষ করে পানির বোতল ও জায়নামাজ বহন করতে পারবেন- যা হজযাত্রীদের ইবাদত-বন্দেগির জন্য সহায়ক হবে।

ছাতাগুলোর আরেকটি বিশেষ বৈশিষ্ট্য হলো, এগুলোকে এমনভাবে ডিজাইন করা হয়েছে, যেন তা মাথায় থাকা অবস্থায়ও মুসল্লি সেজদা করতে পারে। সহজের চলাচল করতে পারবে। বাতাসে তা উড়ে যাবে না।

হজযাত্রীরা ছাতাগুলো মক্কা, মিনা ও আরাফাতের বিভিন্ন পয়েন্ট থেকে সংগ্রহ করতে পারবেন।

উল্লেখ্য যে, আগামী মাসে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া হজের সময় সৌদি আরবের তাপমাত্রা অনেক বেশি থাকতে পারে। এ বিষয়ে সতর্ক করেছেন সৌদি ন্যাশনাল সেন্টার অব মেটিওরোলজির প্রধান আয়মান গোলাম।

আসন্ন হজে উচ্চ তাপমাত্রার জন্য সতর্ক করে প্রস্তুতি গ্রহণের পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। আয়মান গোলাম বলেছেন যে, এ বছর হজের মৌসুম চলবে জুনের মাঝামাঝিতে। হজের মৌসুম সৌদি আরবে বছরের সবচেয়ে গরম সময়ের সঙ্গে মিলে গেছে।

বছরের এই সময়ে সাধারণত সৌদি আরবে তাপমাত্রা এবং বাতাসের আর্দ্রতা দুটোই অনেক বেশি থাকে। ফলে হজে অংশগ্রহণকারীদের সতর্ক থাকতে অবহিত করা হয়েছে।

;