নাভালনির মৃত্যুর ঘটনায় রাশিয়ার রাষ্ট্রদূতকে তলব জার্মানির



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রাশিয়ার বিশিষ্ট বিরোধী নেতা আলেক্সি নাভালনির মৃত্যুর ঘটনায় রাশিয়ার ওপর ইউরোপীয় ইউনিয়নের আরও নিষেধাজ্ঞার আহ্বান জানিয়েছেন জার্মানি। দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী আনালেনা বেয়ারবক সোমবার বলেছেন, ‘নাভালনির অনাকাঙ্খিত মৃতু্রর জন্য মস্কোকে জবাবদিহি করতে হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘নাভালনির মৃত্যুর ঘটনায় রাশিয়ায় সকল রাজনৈতিক বন্দির মুক্তি স্পষ্টভাবে দাবি করেছে জার্মানি।’

এদিকে, জার্মানির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) নাভালনির মৃত্যুর বিষয়ে জার্মানিতে নিযুক্ত রাশিয়ার রাষ্ট্রদূতকে তলব করেছে।

জার্মানির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন মুখপাত্র বিষয়টি রয়টার্সকে নিশ্চিত করেছেন।

মুখপাত্র একটি নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘রুশ রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে সোমবার বার্লিনে একটি এ বিষয়ে বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।’

ওই মুখপাত্র বলেছেন, ‘এটি মর্মাহত যে, রাশিয়ায় আলেক্সি নাভালনির মৃত্যুর পর তার সম্মানে ফুল দেওয়ার জন্য সমবেত লোকেদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে।’

অন্যদিকে, আলেক্সি নাভালনির মৃত্যুতে বিশ্বব্যাপী নিন্দার ঝড় উঠেছে। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এন্টনি ব্লিঙ্কেন বলেছেন, ‘প্রথমে আমাদের হৃদয় তার স্ত্রী এবং তার পরিবারের প্রতি ব্যথিত। রাশিয়ার কারাগারে নাভালনির মৃত্যু রাশিয়ার শাসন ব্যবস্থার পচনকে নির্দেশ করে। পুতিন যে ব্যবস্থা গড়ে তুলেছেন, তার জন্য সামগ্রিকভাবে দায়ী মস্কো। আমরা আলেক্সি নাভালনি সম্পর্কে উদ্বিগ্ন অন্যান্য দেশের সাথে কথা বলব।’

হোয়াইট হাউস ন্যাশনাল সিকিউরিটি অ্যাডভাইজার জ্যাক সুলিভান এনপিআরে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, ‘যদি নাভালনির মৃত্যুর খবর নিশ্চিত হয়, তবে এটি একটি ভয়ানক ট্র্যাজেডি।।’

জার্মানির পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যানালেনা বারবক বলেছেন, ‘আলেক্সি নাভালনি ছিলেন একটি মুক্ত ও গণতান্ত্রিক রাশিয়ার প্রতীক। ঠিক এই কারণেই তাকে মৃত্যুবরণ করতে হলো। নাভালনি একটি গণতান্ত্রিক রাশিয়ার জন্য লড়াই করেছিলেন। এর জন্য পুতিন তাকে নির্যাতন করে হত্যা করেছেন।’

ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক বলেছেন, ‘এটি একটি ভয়ঙ্কর খবর। রাশিয়ার গণতন্ত্রের প্রহরী হিসাবে নাভালনি তার সারাজীবন অবিশ্বাস্য সাহস প্রদর্শন করেছেন।’

ফরাসি পররাষ্ট্রমন্ত্রী স্টেফেন সেজর্ন বলেছেন, ‘অ্যালেক্সি নাভালনি একটি নিপীড়নের ব্যবস্থার বিরুদ্ধে প্রতিরোধের মূল্য তার জীবন দিয়ে প্রদান করেছেন। শাস্তিমূলক উপনিবেশে তার মৃত্যু আমাদের ভ্লাদিমির পুতিনের শাসনের বাস্তবতার কথা মনে করিয়ে দেয়। তার পরিবার, তার প্রিয়জন এবং রাশিয়ার জনগণের প্রতি সমবেদনা জানাচ্ছে ফ্রান্স।’

সুইডিশ প্রধানমন্ত্রী উলফ ক্রিস্টারসন বলেছেন, ‘আলেক্সি নাভালনির মৃত্যুর খবর ভয়ঙ্কর। নাভালনির বেঁচে থাকার জন্য রাশিয়ান কর্তৃপক্ষ এবং প্রেসিডেন্ট পুতিন ব্যক্তিগতভাবে দায়ী।’

ইইউ কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট চার্লস মিশেল বলেন, ‘আলেক্সি নাভালনি স্বাধীনতা ও গণতন্ত্রের মূল্যবোধের জন্য লড়াই করেছেন। তার আদর্শের জন্য তিনি চূড়ান্ত ত্যাগ স্বীকার করেছেন। ইউরোপীয় ইউনিয়ন এই মর্মান্তিক মৃত্যুর জন্য একমাত্র রাশিয়া সরকারকে দায়ী করছে।’

ইউরোপিয়ান কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন ডের লেয়েন তার শোকবার্তায় বলেছেন, ‘অ্যালেক্সি নাভালনির মৃত্যুর খবরে আমি গভীরভাবে উদ্বিগ্ন ও ব্যথিত। পুতিন তার নিজের জনগণের থেকে ভিন্নমত ছাড়া অন্য কিছুকে ভয় পান না। পুতিন এবং তার শাসনামল কী তা নিয়ে একটি ভয়াবহ অনুস্মারক। আসুন স্বাধীনতা ও নিরাপত্তা রক্ষার জন্য আমাদের লড়াইয়ে ঐক্যবদ্ধ হই।’

ন্যাটো সেক্রেটারি-জেনারেল জেন্স স্টলটেনবার্গ বলেছেন, ‘ভালনির মৃত্যুর খবরে আমি গভীরভাবে দুঃখিত ও বিচলিত। রাশিয়াকে তার মৃত্যু সম্পর্কে সমস্ত গুরুতর প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে।’

   

ইউক্রেনের চেয়েও বেশি ধ্বংসস্তূপ রয়েছে গাজায়: জাতিসংঘ



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইউক্রেনের চেয়েও বেশি ধ্বংসস্তূপ রয়েছে। বুধবার (১ মে) গাজার ধ্বংসস্তূপের এ পরিমাণ উল্লেখ করেছে ইউনাইটেড নেশনস মাইন অ্যাকশন সার্ভিস (ইউএনএমএএস)। আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশিত হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনের ছয় মাস পরে, জাতিসংঘের মাইন অ্যাকশন সার্ভিস (ইউএনএমএএস) ফিলিস্তিনি ছিটমহলে এপ্রিলের মাঝামাঝি ৩৭ মিলিয়ন টন বা প্রতি বর্গমিটারে ৩০০ কিলোগ্রাম ধ্বংসাবশেষের পরিমাণ অনুমান করেছে। এরই প্রেক্ষিতে জাতিসংঘ ইউক্রেনের চেয়ে গাজায় ধ্বংসস্তূপের পরিমাণ বেশি রয়েছে বলে উল্লেখ করেছে।

ফিলিস্তিনি অঞ্চলে ইউএনএমএএস প্রোগ্রামের প্রধান মুঙ্গো বার্চ বলেন, গাজায় ইউক্রেনের চেয়ে বেশি ধ্বংসস্তূপ রয়েছে। সেই পরিপ্রেক্ষিতে বলতে গেলে, ইউক্রেনের ফ্রন্ট লাইন ৬শ মাইল আর গাজার মাত্র ২৫ মাইল।

বার্চ আরও বলেন, গাজার ধ্বংসাবশেষ পরিষ্কার করা ব্যয়বহুল ও বিপজ্জনক হয়ে ওঠেছে। এপ্রিলের মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত ৩৭০ লাখ টন বা প্রতি বর্গমিটারে ৩শ' কেজি ধ্বংসাবশেষের পরিমাণ অনুমান করা হয়েছে।

তিনি বলেন, তবে ধ্বংসস্তূপের পরিমাণই একমাত্র সমস্যা নয়। এ ধ্বংসস্তূপে সম্ভবত ইউএক্সওর (অবিস্ফোরিত অস্ত্র) দূষিত উপাদান রয়েছে। এগুলো পরিষ্কার করা জটিল হবে। কারণ, অস্ত্রের ১০ থেকে ১৫ শতাংশ বিস্ফোরিত হয় না। তাই সাধারণ মানুষের জন্য এটি বিপদ হয়ে দাঁড়াতে পারে। শুধুমাত্র গাজার ধ্বংসস্তূপেই আট লাখ টন অ্যাসবেস্টস রয়েছে বলে অনুমান করা হয়েছে। নির্মাণ কাজে ব্যবহৃত ক্যান্সার সৃষ্টিকারী খনিজগুলো অপসারণের সময় বিশেষ সতর্কতা প্রয়োজন বলেও জানান তিনি।

এর আগে ক্ষতিগ্রস্ত ভবনগুলোর ধ্বংসাবশেষসহ পুরো ধ্বংসস্তূপ পরিষ্কার করতে ১৪ বছরের মতো সময় লাগতে পারে বলে উল্লেখ করা হয়েছিল। তবে মুঙ্গো বার্চ আশা করেন, ইউএনএমএএস সব ধরনের বিস্ফোরক অস্ত্রের কারণে সৃষ্ট হুমকি এড়িয়ে কাজ করতে পারবে।

;

ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্নের ঘোষণা দিল কলম্বিয়া



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ইসরায়েলের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করা হবে বলে ঘোষণা দিয়েছেন কলম্বিয়ার প্রেসিডেন্ট গুস্তাভো পেত্রো। ফিলিস্তিনের গাজায় হামলার কারণে গত বুধবার (১ মে) এ ঘোষণা দেন তিনি।

দ্য ওয়াশিংটন পোষ্টের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশিত হয়। 

প্রতিবেদনে বলা হয়, আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস উপলক্ষে এক সমাবেশে উপস্থিত হয়ে পেত্রো বলেন, তার দেশ আগামীকালই (বৃহস্পতিবার) ইসরায়েলের সঙ্গে সব ধরনের কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করতে যাচ্ছে। এসময় তিনি নেতানিয়াহুকে ‘গণহত্যাকারী’ বলে আখ্যা দেন।

তিনি আরও বলেন, গাজার এমন পরিস্থিতিতে বিশ্বের কোনো দেশ নিষ্ক্রিয় থাকতে পারে না।

এদিকে,কলম্বিয়ার প্রেসিডেন্টের এমন ঘোষণায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছে ইসরায়েল। দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসরায়েল কাটজ অভিযোগ করে বলেছেন, পেত্রোর এই ঘোষণা ইহুদিবিদ্বেষী ও ঘৃণায় পরিপূর্ণ। তার এই পদক্ষেপ হামাসের জন্য পুরস্কার।

প্রসঙ্গত, গত বছরের ৭ অক্টোবরে গাজায় হামলার পরপরই ইসরায়েলের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করে দক্ষিণ আমেরিকার আরেক দেশ বলিভিয়া। সেসময় কলম্বিয়া, চিলি ও হন্ডুরাসসহ দক্ষিণ আমেরিকার আরও কয়েকটি দেশ ইসরায়েল থেকে তাদের রাষ্ট্রদূতদের প্রত্যাহার করে নিয়েছিল। এবার তারই প্রেক্ষিতে ইসরায়েলের সাথে সব ধরনের কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করল কলম্বিয়া।

 

 

;

চাঁদে যাচ্ছে পাকিস্তান



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ভারতের পর এবার চাঁদে যাচ্ছে পাকিস্তান। সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী শুক্রবার যাত্রা শুরু হবে তাদের। এর মাধ্যমে চীনের সহায়তায় দেশটির পতাকাখচিত প্রথম কোনো মহাকাশযান চাঁদে অবতরণ করবে। চীনের সহায়তায় দেশটির প্রথম মহাকাশযানটি চাঁদের পথে পাড়ি দিচ্ছে।

পাকিস্তানের মহাকাশ গবেষণা প্রতিষ্ঠান ইনস্টিটিউট অব স্পেস টেকনোলজি (আইএসটি) জানিয়েছে, শুক্রবার দেশটির ঐতিহাসিক চন্দ্র মিশন শুরু হবে।

জানা গেছে, এই প্রকল্পটি সম্পন্ন হচ্ছে চীনের সহায়তায়। চীনের মাটি থেকেই চাঁদের উদ্দেশে রওনা দেবে পাকিস্তানের চন্দ্রযান।

খবরে বলা হয়েছে, পাকিস্তানের মহাকাশ গবেষণা প্রতিষ্ঠান ইনস্টিটিউট অব স্পেস টেকনোলজি (আইএসটি) জানিয়েছে, পাকিস্তানের ঐতিহাসিক চন্দ্র মিশন আগামী শুক্রবার স্থানীয় দুপুর ১২টা ৫০ মিনিটে চাঁদের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করবে। চীনের তৈরি চ্যাং ওঁ-৬ চন্দ্রযানে করে দেশটির হাইনান প্রদেশের উৎক্ষেপণকেন্দ্র থেকে রওনা হবে। পাকিস্তানের এই চন্দ্র মিশনের নাম দেওয়া হয়েছে আইকিউব-কিউ।

চীনের এ মিশনটি পাকিস্তানের জন্য অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ কারণ এটি পাকিস্তানের নিজস্ব প্রযুক্তিতে তৈরি কিউবস্যাট স্যাটেলাইট আইকিউব-কিউ বহন করছে। কিউবস্যাট হল ক্ষুদ্রাকৃতির উপগ্রহ যা সাধারণত ছোট আকার এবং মানসম্পন্ন নকশায় তৈরি করা হয়।

চ্যাংয়ে-৬ মিশনের মাধ্যমে চাঁদের অন্ধকার দিক থেকে ধূলা ও পাথরের নমুনা পৃথিবীতে ফেরত আনতে চায় চীন।

বিশ্বের চতুর্থ দেশ হিসাবে চাঁদের মাটিতে নিয়ন্ত্রিত অবতরণ করে ভারত। ভারতীয় মহাকাশসংস্থা ইসরোর বিজ্ঞানীদের নিরলস চেষ্টায় এটি সম্পন্ন হয়।

;

ভারতীয় গুপ্তচর বহিষ্কার করেছিল অস্ট্রেলিয়া



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রতিরক্ষা প্রকল্প, বিমানবন্দরের নিরাপত্তা ও বাণিজ্য সম্পর্ক বিষয়ক নথি চুরির চেষ্টা করায় ২০২০ সালে একাধিক ভারতীয় গুপ্তচর বহিষ্কার করেছিল অস্ট্রেলিয়া। চলতি সপ্তাহে এক প্রতিবেদনে এ খবর প্রকাশ করেছে অস্ট্রেলিয়ান ব্রডকাস্টিং কর্পোরেশন।

ভারতীয় গুপ্তচর বহিষ্কারের বিষয়টি ২০২১ সালে অস্ট্রেলিয়ার গোয়েন্দা সংস্থা অস্ট্রেলিয়ান সিকিউরিটি ইনটেলিজেন্স অর্গানাইজেশন (এএসআইও) প্রধান মাইক বুরগিসের বার্ষিক প্রতিবেদনেও উল্লেখ করা হয়েছিল বলেও খবরে বলা হয়েছে।

ঠিক কতজন গুপ্তচর বহিষ্কার করা হয়েছিল, তা অস্ট্রেলিয়ান ব্রডকাস্টিং কর্পোরেশনের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়নি। তবে গত সোমবার (২৯ এপ্রিল) ওয়াশিংটন পোস্টে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২০ সালে ভারতীয় দুজন গুপ্তরচরকে বহিষ্কার করেছিল অস্ট্রেলিয়া। যদিও ওই ঘটনার পরও দিল্লির সঙ্গে ঘনিষ্ঠ দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের কথা বলে আসছে ক্যানবেরা।

অ্যানুয়াল থ্রেট অ্যাসেসমেন্ট নামে ওই বার্ষিক প্রতিবেদনে অস্ট্রেলিয়ার গোয়েন্দাপ্রধান জানিয়েছিলেন, দুই বিদেশি গুপ্তচর কয়েক বছর ধরে অস্ট্রেলিয়ায় অবস্থান করে গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহের কাজ করছিলেন। তবে সেই সময় তিনি দুই গুপ্তচরের জাতীয়তা প্রকাশ করেননি।

বুরগিস আরও বলেছিলেন, ২০২০ সালে বিদেশি গুপ্তচরেরা বর্তমান ও সাবেক কয়েকজন রাজনীতিবিদ, একটি বিদেশি দূতাবাস এবং রাজ্য পর্যায়ের পুলিশ পরিষেবাকে লক্ষ্যবস্তু বানিয়ে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক তৈরি করেছিল। এছাড়া তারা নিজ দেশের প্রবাসীদের ওপরও নজর রাখছিল।

ওয়াশিংটন পোস্টের সাম্প্রতিক প্রতিবেদনের পর অনেক সংবাদমাধ্যম এ নিয়ে খবর প্রকাশ করেছে। এসব প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ওই দুজন ভারতীয় গুপ্তচর ছিলেন।

অস্ট্রেলিয়া সরকার বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের এমন দাবি স্বীকার কিংবা অস্বীকার কোনোটাই করেনি। তবে বলা হয়েছে, অস্ট্রেলিয়া সরকার বিদেশি হস্তক্ষেপ প্রতিরোধ করতে আগ্রহী। বুধবার (১ মে) এক সংবাদ সম্মেলনে অস্ট্রেলিয়ার অর্থমন্ত্রী জিম চালমার্স বলেন,  আমি এসব গালগল্পে ঢোকার কথা কখনোই বলব না।

ভারতের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের বিষয়ে জিম আরও বলেন, ভারতের সঙ্গে আমাদের বেশ ভালো সম্পর্ক রয়েছে। এটা গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক সম্পর্ক। সাম্প্রতিক বছরগুলোয় উভয় পক্ষের প্রচেষ্টার ফলে দুই দেশ অনেকটা কাছাকাছি এসেছে।

 

;