ই-মেইলে বোমার হুমকি, দিল্লির ১০০ স্কুল বন্ধ



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ই-মেইলের মাধ্যমে বোমার হুমকি পাওয়ায় ভারতের রাজধানী দিল্লি ও পার্শ্ববর্তী নয়ডা শহরের প্রায় ১০০ স্কুল খালি করে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। এরপরই পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে তল্লাশি শুরু করেছে। তবে এখন পর্যন্ত সন্দেহজনক কিছু পাওয়া যায়নি।

বুধবার (১ মে) ভারতীয় গণমাধ্যম এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

দেশটির বিভিন্ন টেলিভিশনে প্রচারিত ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, সন্তানদের বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার জন্য দিল্লি ও নয়ডাজুড়ে স্কুলগুলোর সামনে দাঁড়িয়ে অপক্ষো করছেন অভিভাবকরা। স্কুলগুলোতে পুলিশের বিশেষ দল, ডগ স্কোয়াড ও বোমা নিষ্ক্রিয়করণ ইউনিট তল্লাশি পরিচালনা করেছে।

দিল্লি পুলিশের মুখপাত্র সুমন নালওয়া এনডিটিভিকে বলেন, যেসব স্কুলে বোমা হামলার হুমকি দেওয়া হয়েছে সেখানে আমরা পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েছি। আমি অভিভাবকদের আতঙ্কিত না হওয়ার জন্য অনুরোধ করছি। এখন পর্যন্ত সন্দেহজনক কিছু পাওয়া যায়নি।

আরেক পুলিশ অফিসার বলেন, এটা ভুয়া বলে মনে হচ্ছে। আতঙ্ক ছড়াতে এত বড় পরিসরে সব স্কুলে মেল পাঠানো হয়েছে।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া এক বার্তায় দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, নিরাপত্তা সংস্থাগুলো সব ধরনের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করছে। দিল্লির শিক্ষামন্ত্রী অতিশী লোকজনকে আতঙ্কিত না হওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, স্কুল কর্তৃপক্ষ প্রয়োজন অনুযায়ী অভিভাবকদের সাথে যোগাযোগ করবে।

দিল্লির লেফটেন্যান্ট গভর্নর ভি কে সাক্সেনা বলেন, পুলিশ বোমার হুমকি ই-মেলের উত্স খুঁজে পেয়েছে। এটি একটি প্রতারণা বলে মনে হচ্ছে। আমি দিল্লির নাগরিকদের আশ্বস্ত করছি এই বিষয়ে পুলিশ সতর্ক রয়েছে এবং এর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

দিল্লি ও নয়ডার স্কুলে বোমার হুমকি দিয়ে করা ই-মেইলের উৎস রাশিয়া বলে জানিয়েছেন দিল্লির এক কর্মকর্তা। ওই কর্মকর্তা বলেছেন, ভিপিএন ব্যবহার করে রাশিয়া থেকে ই-মেইল করা হয়েছে। এই ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের আইনের মুখোমুখি করা হবে বলে জানিয়েছে দিল্লি পুলিশ। 

 

   

১৬০টিরও বেশি ভূমিকম্পে কাঁপল ইতালির নেপলস



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ইতালির দক্ষিণাঞ্চলীয় নেপলসে ১৬০টিরও বেশি ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। স্থানীয় সময় সোমবার সন্ধ্যায় ও রাতে এ ভূমিকম্প রেকর্ড করা হয়।

এদিকে ভূমিকম্পের পর ব্যাপক আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে। নেপলসের আশপাশের এলাকায় অনেকগুলো বাড়িঘর খালি করা হয়েছে এবং অনেক স্কুল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার (২১ মে) রাতে বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশিত হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, দক্ষিণ ইতালির নেপলসের আশপাশের এলাকায় একের পর এক ভূমিকম্পের পর বাড়িঘর খালি করা হয়েছে এবং অনেক স্কুল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। গত সোমবার সন্ধ্যায় এবং রাতে সেখানে ১৬০ টিরও বেশি ভূমিকম্প রেকর্ড করা হয়েছে।

এর মধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালী ৪.৪ মাত্রার কম্পনটি পোজুলি শহরের কাছে স্থানীয় সময় রাত ৮টার কাছাকাছি হয়। ইতালির ভূপদার্থবিদ্যা ও আগ্নেয়গিরির জাতীয় ইনস্টিটিউট আইএনজিভি বলেছে, গত ৪০ বছরের মধ্যে এটি এ অঞ্চলে সবচেয়ে শক্তিশালী ভূমিকম্প।

নেপলসের মেয়র গাইতানো মানফ্রেদি স্বীকার করেছেন, একের পর এক কম্পনে বাসিন্দারা আতঙ্কিত হতে পারেন। তবে তিনি বলেছেন, কর্মকর্তারা তাদের বিষয়ে দেখছেন।

ভূমিকম্পের পর পোজুলিতে শতাধিক তাঁবু তৈরি করা হয় এবং কিছু বাসিন্দা রাতের অধিকাংশ সময় রাস্তায় কাটায়। কেউ কেউ আবার অন্যত্র আত্মীয়দের কাছে চলে যায়।

এছাড়া স্থানীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, গত কয়েক মাসে যে নিম্নস্তরের ভূমিকম্প হয়েছে তার কারণে বেশ কয়েকটি পরিবার পুরোপুরি এলাকা ছেড়ে যাওয়ার কথা ভাবছে। 

;

গাজায় সাহায্য কর্মীর মৃত্যুর ঘটনা তদন্তে সমর্থন রাশিয়ার



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

গাজা উপত্যকায় সকল সাহায্য কর্মীর মৃত্যুর ঘটনা তদন্তে জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের আহ্বানের প্রতি সমর্থন জানিয়েছে রাশিয়া।

এ তথ্য রয়টার্সকে নিশ্চিত করেছেন জাতিসংঘে রাশিয়ার দূত ভ্যাসিলি নেবেনজিয়া।

কেবলমাত্র রাফাহ শহরের পরিস্থিতি নিয়ে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের এক বৈঠকে নেবেনজিয়া বলেন, ‘আমরা ইসরায়েলের প্রতি আন্তর্জাতিক মানবিক আইনের বিধানগুলো কঠোরভাবে মেনে চলার দাবি জানাই এবং ওই এলাকায় কর্মরত জাতিসংঘের এবং সাহায্য কর্মীদের ওপর ইসরায়েলের হামলার নিন্দা জানাই। একই সঙ্গে বেঁচে থাকা ফিলিস্তিনিদের সহায়তায় এগিয়ে আসা সকল সাহায্য কর্মীর মৃত্যুর ঘটনার আন্তর্জাতিক ও স্বাধীন তদন্তের মহাসচিবের আহ্বানকে সমর্থন করি।’

ওই কূটনীতিক বলেন, ‘এই ছিটমহলে মানবিক সহায়তা প্রবেশের কোনো স্থিতিশীল চ্যানেল নেই। গত দুই সপ্তাহ ধরে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী রাফাহ এবং কেরেম শালোম চেকপয়েন্ট দিয়ে ছিটমহলের বাসিন্দাদের জন্য মানবিক সাহায্য নিয়ে আসা ৩ হাজার ট্রাকের প্রবেশ ঠেকিয়ে দিয়েছে।’

তিনি আরো বলেন, ‘গাজা উপত্যকার দক্ষিণ এবং মধ্যাঞ্চলের বিভিন্ন লক্ষ্যবস্তুতে ইসরায়েলের বিমান হামলা অব্যাহত রয়েছে।’

তিনি আবারো ছিটমহলে ফিলিস্তিনিদের সাতটি গণকবর আবিষ্কারের বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।

রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘আমরা একটি স্বাধীন তদন্তের ফলাফলের অপেক্ষায় রয়েছি। এই ব্যাপারে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ তাদের এক বিবৃতিতে এমন তদন্তের দাবি করেছিল।’

;

নাইজেরিয়ায় বন্দুকধারীদের হামলায় নিহত ৪০



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

উত্তর-মধ্য নাইজেরিয়ার খনি শ্রমিকদের উপর হামলা চালিয়ে প্রায় ৪০ জনকে হত্যা করেছে অজ্ঞাত বন্দুকধারীরা।

নাইজেরিয়ার স্থানীয় সরকার মঙ্গলবার (২১ মে) জানিয়েছে, মোটরসাইকেলে চড়ে আসা বন্দুকধারীরা খনি শ্রমিকদের এলাকার বাসিন্দাদের উপর গুলি চালায় এবং বাড়িঘরে আগুন দেয়।

প্লেটিউ রাজ্যের ওয়াসে জেলায় সোমবার (২০ মে) এই হামলা সংঘটিত হয়েছে বলে জানা গেছে। এই এলাকাটি দীর্ঘদিন ধরেই সম্পদ নিয়ে বিরোধ এবং আন্তঃসাম্প্রদায়িক সংঘর্ষের জন্য আলোচনায় রয়েছে।

প্লেটিউ রাজ্যের তথ্য কমিশনার মুসা ইব্রাহিম আশোমস টেলিফোনে এএফপিকে বলেছেন, ‘সশস্ত্র ব্যক্তিরা জুরাক সম্প্রদায়ের উপর আক্রমণ করেছে। বন্দুকধারীরা বিক্ষিপ্তভাবে গুলি করেছে এবং বাড়িঘরে আগুন দিয়েছে।’

তিনি আরো বলেন, ‘প্রায় ৪০ জনের মৃত্যু নিশ্চিত করা হয়েছে।’ তবে স্থানীয় যুবনেতা শাফি সাম্বোও বলেন, ‘হামলায় অন্তত ৪২ জন নিহত হয়েছে।’

ওয়েসে জিঙ্ক এবং সীসার খনি রয়েছে এবং এই প্লেটিউ রাজ্য টিনের খনি শিল্পের জন্য সুপরিচিত।

প্রসঙ্গত, উত্তর-পশ্চিম এবং উত্তর-মধ্য নাইজেরিয়ার অংশগুলোতে সশস্ত্র অপরাধী চক্র রয়েছে, যারা মুক্তিপণের জন্য ব্যাপক অপহরণ এবং লুটপাট করার জন্য গ্রামগুলোতে হামলা চালায়।

গত জানুয়ারিতে প্লেটিউ রাজ্যের মাঙ্গু শহরে মুসলিম এবং ক্রিস্টানদের মধ্যে আন্তঃসাম্প্রদায়িক সংঘর্ষ শুরু হয়। যার ফলে অনেক গির্জা ও মসজিদ পুড়ে যায়। ওই সংঘর্ষে ৫০ জনেরও বেশি নিহত হয় এবং হাজার হাজার মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়।

;

গাজায় ইসরায়েলের হামলায় ৩০ জনের বেশি নিহত



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের সেনাবাহিনীর হামলায় ৩০ জনেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে আল জাজিরা।

কাতারের আল জাজিরা টিভির খবরে বলা হয়েছে, ফিলিস্তিনি ভূ-খন্ডের উত্তরে জাবালিয়া এবং বেইত লাহিয়া শহরে বিমান হামলায় কমপক্ষে ২১ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরো অনেক।

আল জাজিরা আরও জানিয়েছে, গাজা শহরের আবাসিক ভবনগুলোতে ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর গোলাবর্ষণে ১২ বেসামরিক লোক মারা গেছে এবং বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন।

জেরুজালেমের ওল্ড সিটির টেম্পল মাউন্টে আল-আকসা মসজিদের বিরুদ্ধে ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষের আগ্রাসী কর্মকান্ডের প্রতিক্রিয়ায় হামাস সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামলা চালায় হামাস।

এরপর প্রতিশোধ মূলক হামলা শুরু ইসরায়েল। গাজা উপত্যকা সম্পূর্ণ অবরোধ করে ভয়াবহ বিমান হামলা ও স্থল অভিযান শুরু করে তারা।

এতে পুরো গাজা উপত্যকা ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়েছে। চলমান যুদ্ধে ৩৫ হাজারের বেশী নিরীহ বেসামরিক ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে, যাদের বেশীর ভাগই নারী ও শিশু।

;