ফের ক্রুজ মিসাইল নিক্ষেপ, কিম কি যুদ্ধ চান?



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

উত্তর কোরিয়া তাদের পূর্ব উপকূলের দিকে ফের একাধিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে। গত কয়েক মাস ধরে পারমাণবিক শক্তিধর এই দেশটি টানা ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা করে যাচ্ছে। এর ফলে এই অঞ্চলে উত্তেজনা বেড়েই চলেছে।

রোববার (২৮ জানুয়ারি) মিসাইল নিক্ষেপ করা হয়, সিনপো বন্দরের কাছে। তবে সেগুলো ঠিক কতটি এবং কী ধরনের মিসাইল, তা এখনো পরিষ্কার নয়। এর আগে উত্তর কোরিয়া পুলওয়াসাল-৩-৩১ নামের একটি নতুন কৌশলগত ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে বলে জানায় দক্ষিণ কোরিয়ার ইয়োনহাপ নিউজ এজেন্সি।

জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞা লঙ্ঘন করে গত দুই বছর ধরে প্রায় প্রতি মাসে মিসাইল নিক্ষেপ ও অস্ত্র পরীক্ষা করে আসছে উত্তর কোরিয়া। এছাড়া দেশটির শীর্ষ নেতা কিম জং উনের বার্তা এবং নীতি নির্ধারণেও অনেক বেশি আক্রমণাত্মক হয়ে উঠেছেন। শান্তি বজায় রাখাসহ সামরিক কর্মকাণ্ডের ব্যাপারে বেশ কিছু চুক্তিও লঙ্ঘন করেছেন তিনি।

পিয়ংইয়ং দাবি করে আসছে, তারা জানুয়ারি মাসের শুরু থেকেই পুরোপুরি জ্বালানি নির্ভর মিসাইল ও পানির নিচে ড্রোন দিয়ে আক্রমণের সফল পরীক্ষা করে আসছে, যার মাধ্যমে পারমাণবিক অস্ত্রও বহন করা সম্ভব হতে পারে।

এই মাসের শুরুর দিকে কিম জং উন ঘোষণা দেন যে, দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে পুনর্মিলনের সব সম্ভাবনা শেষ হয়ে গেছে। তার বর্ণনায় দক্ষিণ কোরিয়াই এখন তাদের ‘প্রধান শত্রু’। তার এমন বক্তব্য উত্তর কোরিয়া যুদ্ধের প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে উদ্বেগ বাড়িয়েছে।

দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইয়ন সুক ইয়ল এই বক্তবের প্রতিউত্তরে এ মাসে কেবিনেটে বলেন, যদি উত্তর থেকে কোনো ধরনের প্ররোচনা আসে, তাহলে দক্ষিণ সেটা 'হাজারগুণ শক্তিতে প্রতিরোধ করবে'।

সিআইএ'র সাবেক বিশেষজ্ঞ রবার্ট এল কার্লিন ও পরমাণু বিজ্ঞানী সিগফ্রাইড এস হেকার জানিয়েছেন, তিনি বেশ কয়েকবার উত্তর কোরিয়া ভ্রমণ করেছেন। থার্টি এইট নর্থ ওয়েবসাইটে এক প্রতিবেদনে লিখেছেন, 'আমাদের বিশ্বাস, ১৯৫০ সালে তার দাদার মতো, কিম জং আনও যুদ্ধের একটা কৌশলগত সিদ্ধান্ত নিয়েছেন'।

তবে এশিয়া, ইউরোপ ও উত্তর আমেরিকার বিশেষজ্ঞ ও বিশ্লেষকরা যুদ্ধের এই ধারণার সাথে একমত হননি। তারা এ বিষয়ে একমত যে, কিমের ক্রমশ আক্রমণাত্মক আচরণ এখন আর অগ্রাহ্য করার উপায় নেই এবং তার প্রশাসন দিনদিন আরও বিপজ্জনক হয়ে উঠছে। যদিও বেশিরভাগই কোনো যুদ্ধ শুরু হওয়ার ব্যাপারে নিশ্চিত নন। তবে কারো কারো শঙ্কা, সীমিত আকারে হলেও আক্রমণের সম্ভাবনা দেখা যেতে পারে।

সিউলের কুকমিন বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনিয়র রিসার্চার পিটার ওয়ার্ড বিবিসিকে বলেন, 'একটা যুদ্ধ হলে দক্ষিণে হয়ত অনেক মানুষ মারা যাবে, কিন্তু সেটা কিম জং আন ও তার শাসনেরও ইতি ঘটাবে'।

তবে এই গবেষকও অন্যদের মতো সতর্ক করে দিয়ে বলেন, পরিস্থিতি ছোটখাটো সংঘর্ষের দিকে এগুচ্ছে। তবে কারো কারো মতে কিম জং আন আসলে দেশের অভ্যন্তরে তার গ্রহণযোগ্যতা বাড়াতেই এসব করছেন।

   

নিউ ইয়র্কে দুই বাংলাদেশি হত্যায় সন্দেহভাজন যুবক গ্রেফতার



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কের বাফেলোতে দুই বাংলাদেশি বাবুল মিয়া এবং আবু ইউসুফকে গুলি করে হত্যায় জড়িত থাকার সন্দেহে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। রোববার (২৮ এপ্রিল) তাকে গ্রেফতার করে বাফেলো পুলিশ।

পুলিশের বরাত দিয়ে স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলো এ খবর জানিয়েছে।

জানা গেছে, শনিবার (২৭ এপ্রিল) ভরদুপুরে গুলি করে হত্যা করে এক বন্দুকধারী। যে বাড়িতে বাবুল মিয়া ও আবু ইউসুফকে গুলি করা হয়, তার  পাশের একটি সিসিটিভি ফুটেজ থেকে ওই যুবককে শনাক্ত হয়। অবশ্য এখন পর্যন্ত গ্রেফতারকৃত যুবকের নাম-পরিচয় জানা যায়নি।

এদিকে দুই বাংলাদেশিকে হত্যার প্রতিবাদে রবিবার জোহরের নামাজের পর বাফেলো মুসলিম সেন্টারের সামনে এক বিক্ষোভ-সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সেখান থেকে অবিলম্বে দুর্বৃত্তকে গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানানো হয়। দলমত নির্বিশেষে সর্বস্তরের প্রবাসী এই বিক্ষোভ-সমাবেশে অংশ নেন।

এতে উপস্থিত ছিলেন বাফেলো সিটি মেয়র বাইরেন ডাব্লিউ ব্রাউন, বাফেলো পুলিশ কমিশনার জোসেফ গ্রেমাগলিয়াসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। তারা এসেছিলেন কমিউনিটির সংকটে সংহতি প্রকাশ করতে। 

বিক্ষোভের দুই ঘণ্টা পরই সন্দেহভাজন দুর্বৃত্তকে সিটির ইস্ট ডেলাভান এবং নর্থ ফর্ক এলাকায় দাঁড়িয়ে থাকা একটি গাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয়।

জোড়া খুনের সংবাদ জানার পরপরই নিউ ইয়র্কে বাংলাদেশের কনসাল জেনারেল মো. নাজমুল হুদা নিহতদের স্বজন এবং বাফেলো কমিউনিটির মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ করেন।

;

কেনিয়ায় ভারী বৃষ্টিতে নিহত ৪২



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

কেনিয়ার রাজধানী নাইরোবির উত্তরাঞ্চলে ভারী বৃষ্টিপাতে বাঁধ ভেঙে অন্তত ৪২ জনের মৃত্যু হয়েছে। সোমবার (২৯ এপ্রিল) নাকুরু কাউন্টির গভর্নর সুসান কিহিকা এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

ফরাসি বার্তাসংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, সুসান কিহিকা বলেন, ‘বাঁধ ভেঙে পানি বিভিন্ন এলাকায় ঢুকে পড়েছে। এতে অন্তত ৪২ জনের প্রাণহানি ঘটেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। কাদায় এখনও আরও অনেকে আটকা পড়েছেন। আমরা তাদের উদ্ধারের কাজ করছি।’

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, মাই মাহিউর শহরের রিফ্ট ভ্যালির কাছের একটি বাঁধ পানির প্রবল চাপের কারণে হঠাৎ করেই ভেঙে যায়। এতে অনেক ঘরবাড়ি ও যানবাহন ভেসে গেছে। ওই এলাকায় চলাচলের একটি রাস্তাও ভেঙে গেছে। এতে শহরটির সাথে যান চলাচল বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।

বর্তমানে ভারী বৃষ্টিপাত এবং বন্যায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে কেনিয়া। গত কয়েক দিন ধরে দেশটিতে ব্যাপক বৃষ্টিপাত চলছে। বৃষ্টির কারণে সৃষ্ট বন্যায় অনেক অঞ্চল পানির নিচে তলিয়ে গেছে। 

এর আগে, দেশটির কর্মকর্তারা বরেছেন, এল নিনো ধাঁচের আবহাওয়ার কারণে পূর্ব আফ্রিকার এই দেশটিতে স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় বেশি বৃষ্টিপাত হচ্ছে। গত মার্চ থেকে কেনিয়ায় ভারী বৃষ্টিপাত এবং বন্যায় অন্তত ৭৬ জন নিহত হয়েছেন।

২০১৮ সালের মে মাসে প্রবল বর্ষণ ও বন্যায় নাকুরু কাউন্টির সোলাই এলাকার একটি বাঁধ ভেঙে কয়েক ডজন মানুষের প্রাণহানি ঘটে।



;

বাইডেনের বিপক্ষে ৭১% নাগরিক, জনপ্রিয়তায় এগিয়ে ট্রাম্প



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সম্প্রতি এক জরিপে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে জনপ্রিয়তায় পেছনে ফেলেছেন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। বাইডেনের জনপ্রিয়তায় ধসের পেছনে তার গাজানীতি দায়ী বলে মনে করে মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন।

সিএনএন জানিয়েছে, নতুন এক জরিপে ৬০ শতাংশ মার্কিনি বাইডেনের নীতিমালা ও কার্যক্রমকে ‘ডিস–অ্যাপ্রুভাল’ বা অসম্মতি জানিয়েছেন। অন্যদিকে ৪০ শতাংশ মনে করেন, বাইডেনের কার্যক্রম সঠিক পথেই রয়েছে।

এ ছাড়া ৭১ শতাংশ মার্কিনি মনে করেন, ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধে বাইডেন যে নীতি অবলম্বন করেছেন, তা ভুল ছিল। এর বিপরীতে ২৮ শতাংশ মার্কিনি বাইডেনের নীতিকে সমর্থন জানিয়েছেন।

জরিপে অংগ্রহণকারীরা বাইডেনের অন্যান্য নীতিরও সমালোচনা করেছেন। যেমন বাইডেনের স্বাস্থ্য ও শিক্ষানীতির প্রতি সমর্থন জানিয়েছেন মাত্র ৪৫ ও ৪৪ শতাংশ মানুষ। এ ছাড়া অর্থনীতি বিষয়ে বাইডেনের নীতিকে সমর্থন করেছেন ৩৪ শতাংশ এবং মুল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে বাইডেনের নীতিকে সমর্থন করেছেন ২৯ শাতাংশ মার্কিনি।

বেশির ভাগ মার্কিন নাগরিক মনে করেন, ট্রাম্পের শাসনামলের চার বছর ভালো ছিল। তিনি বাইডেনের তুলনায় সফল প্রেসিডেন্ট ছিলেন। ৫৫ শতাংশ মার্কিনি বলেছেন, ট্রাম্প সফল ছিলেন। অন্যদিকে ৪৪ শতাংশ বলেছেন, তিনি ব্যর্থ ছিলেন।

বর্তমান মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের ব্যাপারে ৬১ অংশগ্রহণকারীরা বলেছেন, তিনি দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হয়েছেন। আর মাত্র ৩৯ শতাংশ বলেছেন, তিনি সফল। 

সিএনএন জানিয়েছে, ১৭ শতাংশ মার্কিনির মতে, বাইডেন-ট্রাম্প উভয়েই ব্যর্থ। তাই পরও ভোট দিতে হলে ৪৩ শতাংশ ট্রাম্পকে ভোট দেওয়ার ইচ্ছা পোষণ করেছেন, আর ৩১ শতাংশ বাইডেনকে ভোট দেওয়ার কথা জানিয়েছেন।

গত ১৮ থেকে ২৩ এপ্রিল পর্যন্ত সিএনএন এই জরিপ চালিয়েছে। এই জরিপে অংশ নিয়েছিল ১ হাজার ২১২ জন প্রাপ্ত বয়স্ক মার্কিন নাগরিক। অনলাইন ও টেলিফোনের মাধ্যমে এ জরিপ পরিচালনা করেছে এসএসআরএস।

;

পাকিস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রী হলেন ইসহাক দার



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

পাকিস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার। রোববার (২৮ এপ্রিল) পাকিস্তানের মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ এক বার্তায় তাকে নিয়োগের বিষয়টি জানিয়েছে। 

ইসহাক দারকে উপপ্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দেওয়ায় প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে পাকিস্তান তেহেরিক-ই ইনসাফ (পিটিআই)। দলটির নেতারা বলছেন, শাহবাজ শরীফ এখন জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ পোস্টে পরিবারের লোকদের বসাচ্ছে। 

গত ৮ ফেব্রুয়ারির নির্বাচনের পর পাকিস্তানে পিএমএল–এনের নেতৃত্বে জোট সরকার গঠিত হলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হন ৭৩ বছর বয়সী ইসহাক দার। 

পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম জিও নিউজের প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ জানিয়েছে, ‘কেন্দ্রীয় সরকারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ ইসহাক দারকে উপপ্রধানমন্ত্রী পদে নিয়োগ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরীফ। অবিলম্বে এ নিয়োগ কার্যকর হবে।’ 

ইসহাক দার পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও পাকিস্তান মুসলিম লিগ–নওয়াজের (পিএমএল–এন) নেতা নওয়াজ শরিফের মেয়ে আসমা নওয়াজের শ্বশুর।

ইসহাক দার একজন চার্টার্ড অ্যাকাউনট্যান্ট। নওয়াজ শরিফের নিকটাত্মীয় হওয়ার পাশাপাশি তার ঘনিষ্ঠ একজন মিত্র ইসহাক দার। এর আগে তিনি চারবার দেশটির অর্থমন্ত্রী ছিলেন।

 

;