৫০ বছর পর বোমা হামলায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার আসামির



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

জাপানের রাজধানী টোকিওতে ১৯৭২ থেকে ১৯৭৫ সাল পর্যন্ত সিরিজ বোমা বিস্ফোরণ ঘটিয়েছিল ইস্ট এশিয়া এন্টি-জাপান আর্মড ফ্রন্ট (ইএএজেএফ) নামের এক সংগঠন। বেশ কিছু জাপানিজ কোম্পানিতে চালানো এই হামলার ঘটনায় সংগঠনটির বেশ কয়েকজন গ্রেপ্তারও হয়েছেন।

এসব ঘটনার প্রায় ৫০ বছর পর ওই হামলার সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন সাতোশি কিরিশিমা নামে এক ব্যক্তি। ওই ব্যক্তি নিজেকে পুলিশের ‘মোস্ট ওয়ানটেড’ তালিকায় থাকা সিরিজ হামলাকারী বলে দাবি করেছেন বলে শনিবার (২৭ জানুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।

বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, বৃহস্পতিবার (২৫ জানুয়ারি) হাসপাতালের কর্মকর্তাদের কাছে নিজের আসল নাম সাতোশি কিরিশিমা বলে জানান। এছাড়া ৫০ বছর আগের সিরিজ হামলাকারী বলে স্বীকার করেন ৭০ বছর বয়সি সাতোশি।

টোকিওর দক্ষিণে কানাগাওয়ার কামাকুরা শহরের একটি হাসপাতালে ছদ্মনামে ভর্তি থাকা অবস্থায় তিনি এ স্বীকারোক্তি করেন। তবে ডিএনএ টেস্টের ফলাফল না পাওয়া পর্যন্ত তাকে আটক করতে পারছে না দেশটির পুলিশ।

প্রায় পাঁচ দশক ধরে তিনি টার্মিনাল ক্যান্সারে আক্রান্ত। তাই জীবনের শেষ মুহূর্তে আসল নাম ব্যবহার করতে চেয়েছিলেন। সে কারণে নিজের পরিচয় ফাঁস করেছেন বলেও জানান সাতোশি। ক্যান্সারের কারণে তার বেঁচে থাকার জন্য মাত্র কয়েক মাস বাকি আছে বলে জানিয়েছে বিবিসি।

সাতোশি কিরিশিমা ইস্ট এশিয়া এন্টি-জাপান আর্মড ফ্রন্টের (ইএএজেএফ) নামে এক সংগঠনের সদস্য ছিলেন। ইএএজেএফ একটি উগ্রবামপন্থি সংগঠন, যা জাপানি রাষ্ট্র, কর্পোরেশন এবং জাপানি সাম্রাজ্যবাদের বিরুদ্ধে বিপ্লবের মতাদর্শকে সমর্থন করেছিল।

১৯৭২ থেকে ১৯৭৫ সালের মধ্যে এই সংগঠনটি জাপানের রাজধানীতে বেশ কিছু জাপানিজ কোম্পানির বিরুদ্ধে সিরিজ বোমা বিস্ফোরণ ঘটিয়েছিল; যে সিরিজ বোমা হামলার অভিযোগে সাতোশিকে ‘মোস্ট ওয়ান্টেড’ আসামি হিসেবে অভিযুক্ত করা হয়। দলটির অন্তত আরো দুই সন্দেহভাজন জাপান থেকে পালিয়ে গেছেন।

   

কেনিয়ায় ভারী বৃষ্টিতে নিহত ৪২



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

কেনিয়ার রাজধানী নাইরোবির উত্তরাঞ্চলে ভারী বৃষ্টিপাতে বাঁধ ভেঙে অন্তত ৪২ জনের মৃত্যু হয়েছে। সোমবার (২৯ এপ্রিল) নাকুরু কাউন্টির গভর্নর সুসান কিহিকা এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

ফরাসি বার্তাসংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, সুসান কিহিকা বলেন, ‘বাঁধ ভেঙে পানি বিভিন্ন এলাকায় ঢুকে পড়েছে। এতে অন্তত ৪২ জনের প্রাণহানি ঘটেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। কাদায় এখনও আরও অনেকে আটকা পড়েছেন। আমরা তাদের উদ্ধারের কাজ করছি।’

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, মাই মাহিউর শহরের রিফ্ট ভ্যালির কাছের একটি বাঁধ পানির প্রবল চাপের কারণে হঠাৎ করেই ভেঙে যায়। এতে অনেক ঘরবাড়ি ও যানবাহন ভেসে গেছে। ওই এলাকায় চলাচলের একটি রাস্তাও ভেঙে গেছে। এতে শহরটির সাথে যান চলাচল বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।

বর্তমানে ভারী বৃষ্টিপাত এবং বন্যায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে কেনিয়া। গত কয়েক দিন ধরে দেশটিতে ব্যাপক বৃষ্টিপাত চলছে। বৃষ্টির কারণে সৃষ্ট বন্যায় অনেক অঞ্চল পানির নিচে তলিয়ে গেছে। 

এর আগে, দেশটির কর্মকর্তারা বরেছেন, এল নিনো ধাঁচের আবহাওয়ার কারণে পূর্ব আফ্রিকার এই দেশটিতে স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় বেশি বৃষ্টিপাত হচ্ছে। গত মার্চ থেকে কেনিয়ায় ভারী বৃষ্টিপাত এবং বন্যায় অন্তত ৭৬ জন নিহত হয়েছেন।

২০১৮ সালের মে মাসে প্রবল বর্ষণ ও বন্যায় নাকুরু কাউন্টির সোলাই এলাকার একটি বাঁধ ভেঙে কয়েক ডজন মানুষের প্রাণহানি ঘটে।



;

বাইডেনের বিপক্ষে ৭১% নাগরিক, জনপ্রিয়তায় এগিয়ে ট্রাম্প



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সম্প্রতি এক জরিপে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে জনপ্রিয়তায় পেছনে ফেলেছেন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। বাইডেনের জনপ্রিয়তায় ধসের পেছনে তার গাজানীতি দায়ী বলে মনে করে মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন।

সিএনএন জানিয়েছে, নতুন এক জরিপে ৬০ শতাংশ মার্কিনি বাইডেনের নীতিমালা ও কার্যক্রমকে ‘ডিস–অ্যাপ্রুভাল’ বা অসম্মতি জানিয়েছেন। অন্যদিকে ৪০ শতাংশ মনে করেন, বাইডেনের কার্যক্রম সঠিক পথেই রয়েছে।

এ ছাড়া ৭১ শতাংশ মার্কিনি মনে করেন, ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধে বাইডেন যে নীতি অবলম্বন করেছেন, তা ভুল ছিল। এর বিপরীতে ২৮ শতাংশ মার্কিনি বাইডেনের নীতিকে সমর্থন জানিয়েছেন।

জরিপে অংগ্রহণকারীরা বাইডেনের অন্যান্য নীতিরও সমালোচনা করেছেন। যেমন বাইডেনের স্বাস্থ্য ও শিক্ষানীতির প্রতি সমর্থন জানিয়েছেন মাত্র ৪৫ ও ৪৪ শতাংশ মানুষ। এ ছাড়া অর্থনীতি বিষয়ে বাইডেনের নীতিকে সমর্থন করেছেন ৩৪ শতাংশ এবং মুল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে বাইডেনের নীতিকে সমর্থন করেছেন ২৯ শাতাংশ মার্কিনি।

বেশির ভাগ মার্কিন নাগরিক মনে করেন, ট্রাম্পের শাসনামলের চার বছর ভালো ছিল। তিনি বাইডেনের তুলনায় সফল প্রেসিডেন্ট ছিলেন। ৫৫ শতাংশ মার্কিনি বলেছেন, ট্রাম্প সফল ছিলেন। অন্যদিকে ৪৪ শতাংশ বলেছেন, তিনি ব্যর্থ ছিলেন।

বর্তমান মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের ব্যাপারে ৬১ অংশগ্রহণকারীরা বলেছেন, তিনি দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হয়েছেন। আর মাত্র ৩৯ শতাংশ বলেছেন, তিনি সফল। 

সিএনএন জানিয়েছে, ১৭ শতাংশ মার্কিনির মতে, বাইডেন-ট্রাম্প উভয়েই ব্যর্থ। তাই পরও ভোট দিতে হলে ৪৩ শতাংশ ট্রাম্পকে ভোট দেওয়ার ইচ্ছা পোষণ করেছেন, আর ৩১ শতাংশ বাইডেনকে ভোট দেওয়ার কথা জানিয়েছেন।

গত ১৮ থেকে ২৩ এপ্রিল পর্যন্ত সিএনএন এই জরিপ চালিয়েছে। এই জরিপে অংশ নিয়েছিল ১ হাজার ২১২ জন প্রাপ্ত বয়স্ক মার্কিন নাগরিক। অনলাইন ও টেলিফোনের মাধ্যমে এ জরিপ পরিচালনা করেছে এসএসআরএস।

;

পাকিস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রী হলেন ইসহাক দার



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

পাকিস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার। রোববার (২৮ এপ্রিল) পাকিস্তানের মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ এক বার্তায় তাকে নিয়োগের বিষয়টি জানিয়েছে। 

ইসহাক দারকে উপপ্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দেওয়ায় প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে পাকিস্তান তেহেরিক-ই ইনসাফ (পিটিআই)। দলটির নেতারা বলছেন, শাহবাজ শরীফ এখন জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ পোস্টে পরিবারের লোকদের বসাচ্ছে। 

গত ৮ ফেব্রুয়ারির নির্বাচনের পর পাকিস্তানে পিএমএল–এনের নেতৃত্বে জোট সরকার গঠিত হলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হন ৭৩ বছর বয়সী ইসহাক দার। 

পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম জিও নিউজের প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ জানিয়েছে, ‘কেন্দ্রীয় সরকারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ ইসহাক দারকে উপপ্রধানমন্ত্রী পদে নিয়োগ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরীফ। অবিলম্বে এ নিয়োগ কার্যকর হবে।’ 

ইসহাক দার পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও পাকিস্তান মুসলিম লিগ–নওয়াজের (পিএমএল–এন) নেতা নওয়াজ শরিফের মেয়ে আসমা নওয়াজের শ্বশুর।

ইসহাক দার একজন চার্টার্ড অ্যাকাউনট্যান্ট। নওয়াজ শরিফের নিকটাত্মীয় হওয়ার পাশাপাশি তার ঘনিষ্ঠ একজন মিত্র ইসহাক দার। এর আগে তিনি চারবার দেশটির অর্থমন্ত্রী ছিলেন।

 

;

করোনার টিকার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার কথা স্বীকার করল অ্যাস্ট্রাজেনেকা



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

করোনার টিকার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার কথা অবশেষে স্বীকার করলো ব্রিটিশ-সুইস ওষুধ নির্মাতা কোম্পানি অ্যাস্ট্রাজেনেকা। বিশ্লেষকেরা বলছেন, এই স্বীকারোক্তির ফলে প্রতিষ্ঠানটিকে বিপুল পরিমাণ জরিমানা গুনতে হতে পারে।

রোববার (২৭ এপ্রিল) ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম টেলিগ্রাফের এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে। 

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইংল্যান্ডের অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটির গবেষকদের তৈরি কোভিড-১৯ এর টিকার কারণে বহু গুরুতর অসুস্থতা ও মৃত্যুর ঘটনার কথা উল্লেখ করে অ্যাস্ট্রাজেনেকার বিরুদ্ধে ৫১টি মামলা দায়ের করা হয়েছে।

২০২৩ সালে অ্যাস্ট্রাজেনেকার বিরুদ্ধে প্রথম মামলাটি দায়ের করেছিলেন দুই সন্তানের জনক জেমি স্কট। ২০২১ সালের এপ্রিলে ভ্যাকসিন নেওয়ার পরে তার মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ হয় ও তা জমাট বেঁধে যায়। এর ফলে তার মস্তিষ্কে স্থায়ী ক্ষত তৈরি হয়। স্বাভাবিক কার্যক্ষমতাও কমে গেছে জেমি স্কটের। 

অ্যাস্ট্রাজেনেকা গত ফেব্রুয়ারিতে আদালতে জমা দেওয়া একটি নথিতে স্বীকার করেছে যে, তাদের তৈরি কোভিড ভ্যাকসিনের কারণে ‘খুব বিরল টিটিএস’ এর ঘটনা ঘটতে পারে। টিটিএসের পূর্ণ রূপ হলো থ্রম্বোসিস উইথ থ্রম্বোসাইটোপেনিয়া সিনড্রোম। এর ফলে মানুষের রক্তে প্লেটলেট কমে যায় এবং রক্ত জমাট বেঁধে যায়।

এর আগে, ২০২৩ সালের মে মাসে স্কটের আইনজীবীর কাছে পাঠানো এক মেইলে অ্যাস্ট্রাজেনেকা বলেছিল, ‘জেনেরিক লেভেলে এই টিকার কারণে টিটিএস-এর ঘটনা ঘটেছে বলে আমরা স্বীকার করি না।’

কিন্তু চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে হাইকোর্টে জমা দেওয়া নথিতে অ্যাস্ট্রাজেনেকা বলে, ‘আমরা এটি স্বীকার করছি যে, অ্যাস্ট্রাজেনেকা টিকার কারণে খুব বিরল ক্ষেত্রে টিটিএস-এর মতো ঘটনা ঘটাতে পারে।’ 

অ্যাস্ট্রাজেনেকা নথিতে আরও উল্লেখ করে, ‘এ ছাড়া, অ্যাস্ট্রাজেনেকা টিকা (বা যেকোনো টিকা) না দিলেও থ্রম্বোসিস উইথ থ্রম্বোসাইটোপেনিয়া সিনড্রোমের ঘটনা ঘটতে পারে। কোনো ব্যক্তির ক্ষেত্রে এমনটা ঘটার কারণ জানার বিষয়টি বিশেষজ্ঞদের বিবেচনার দাবি রাখে।’

সব মিলিয়ে অ্যাস্ট্রাজেনেকার বিরুদ্ধে ব্রিটিশ হাইকোর্টে ৫১টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এসব মামলায় ভুক্তভোগী ও তাদের স্বজনেরা ক্ষতিপূরণ হিসেবে মোট ১০০ মিলিয়ন পাউন্ড ক্ষতিপূরণ দাবি করেছেন। আইনজীবীরা বলছেন, সংখ্যা ছোট হলেও এই টিকা ভুক্তভোগীদের পরিবারের ওপর ভয়াবহ প্রভাব ফেলেছে।

 

;