‘যুক্তরাষ্ট্র কোথাও নিরপরাধ বেসামরিকদের হত্যা দেখতে চায় না’



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ইসরায়েলে প্রথম দফা মার্কিন সামরিক সহায়তা পাঠানো হচ্ছে। ছবি : সংগৃহীত

ইসরায়েলে প্রথম দফা মার্কিন সামরিক সহায়তা পাঠানো হচ্ছে। ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

যুক্তরাষ্ট্র গাজা এবং ইসরায়েলসহ কোথাও নিরপরাধ বেসামরিকদের হত্যা দেখতে চায় না-বলে মন্তব্য করেছেন হোয়াইট হাউসের জাতীয় নিরাপত্তা মুখপাত্র জন কিরবি।

মার্কিন নিরাপত্তা সহায়তার প্রথম দফা ইসরায়েলে পাঠানোর সময় মঙ্গলবার (১০ অক্টোবর) তিনি ওই মন্তব্য করেন।

সিএনএনের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘আমরা যে বিষয়ে মনোযোগ দিচ্ছি তা হলো, ইসরায়েলের আত্মরক্ষার জন্য যা যা প্রয়োজন তা নিশ্চিত করা এবং হামাসের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সামরিক সহায়তার প্রথম দফা ইসরায়েলে পাঠানোর সময় আমরা এই কথা বলছি।’

যুক্তরাষ্ট্র বেসামরিক হতাহতের বিষয়ে ইসরায়েলকে কোনও সতর্কতা জারি করেছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমরা বিশ্বের কোথাও কোনো নিরপরাধ বেসামরিক নাগরিককে হত্যা দেখতে চাই না এবং এখানে অবশ্যই গাজা এবং ইসরায়েল অন্তর্ভুক্ত।’

তিনি আরও বলেন, ‘দক্ষিণ ইসরায়েলে গত শনিবার হামলা শুরু হওয়ার পর থেকে হামাসের হাতে অনেক নিরীহ বেসামরিক লোক নিহত হয়েছে।’

কিরবি বলেন, ‘একটি প্রাণবন্ত গণতান্ত্রিক দেশ হিসাবে ইসরায়েল আমাদের অনেক মূল্যবোধ এবং স্বার্থ বহন করে এবং অবশ্যই সেই মূল্যবোধগুলোর মধ্যে একটি হলো জীবনের প্রতি সম্মান।’

কিরবি সিএনএন এবং এমএসএনবিসিকে আরও বলেছেন, ‘অতিরিক্ত মার্কিন সামরিক সহায়তার প্রথম দফা ইসরায়েলে যাওয়ার পথে রয়েছে।’

এনডিটিভি জানিয়েছে, কিরবি সোমবার বলেছিলেন, ‘হোয়াইট হাউস ইসরায়েলের কাছ থেকে অতিরিক্ত নিরাপত্তার অনুরোধ আশা করছে এবং যত দ্রুত সম্ভব সেই চাহিদাগুলো পূরণ করার চেষ্টা করবে।’

এদিকে, হামাসের কাছে জিম্মি দেড় শতাধিক ইসরায়েল ও অন্যান্য দেশের নাগরিকদের মুক্তি দিতে হামাসের হাইকমান্ডের সঙ্গে আলোচনা শুরু করেছে কাতার।

দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কূটনীতিকদের একটি দল হামাসকে ইসরায়েলের কারাগারে বন্দি ফিলিস্তিনিদেরও মুক্তির বিনিময়ে জিম্মিদের মুক্তি দেওয়ার প্রস্তাব করেছে। একই প্রস্তাব নিয়ে ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষের সঙ্গেও আলোচনা শুরু করেছে দলটি।

বার্তাসংস্থা রয়টার্সের মঙ্গলবার (১০ অক্টোবর) প্রকাশিত প্রতিবেদনে এই তথ্য জানা যায়।

কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, শনিবার (৭ অক্টোবর) হামলার প্রথম দিন থেকেই হামাস ও ইসরায়েলের উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা শুরু করেছে হামাস। এই আলোচনার উদ্দেশ্যে সহিংসতার মাত্রা কমিয়ে আনা এবং দুই ভূখণ্ডের জিম্মি ও বন্দি বিনিময় করা।

দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মাজেদ আল আনসারি রয়টার্সকে বলেন, আলোচনার গতি ও এখন পর্যন্ত প্রাপ্ত ফলাফল বেশ ইতিবাচক। এই মুহূর্তে সব পক্ষের সঙ্গেই সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রক্ষা করছেন বলেও জানান তিনি।

তিনি আরও বলেন, আমাদের প্রধান লক্ষ্য হলো সহিংসতার মাত্রা হ্রাস করা, বন্দি ও জিম্মি বিনিময় এবং এই সংঘাত যেন মধ্যপ্রাচ্যের অন্যান্য অংশেও ছড়িয়ে পড়তে না পারে তা নিশ্চিত করা।

শনিবার ইসরায়েলে নিহত হয়েছিলেন ৫ শতাধিক মানুষ। বর্তমানে এই সংখ্যা ছাড়িয়েছে ১ হাজার ৬০০। এই নিহতদের মধ্যে অন্তত ৯০০ জন ইসরায়েল ও অন্যান্য দেশের নাগরিক, বাকিরা ফিলিস্তিনি।

কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা রয়টার্সকে জানিয়েছেন, শনিবার ইসরায়েল-হামাস সংঘাত শুরুর দিনই কাতারের প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মেদ বিন আবদুল রহমান বিন জসিম আল থানিকে টেলিফোন করেছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেন।

ওই ফোনালাপে ব্লিনকেন কাতারের প্রধানমন্ত্রীকে এই সংকটে মধ্যস্থতার ভূমিকা নেওয়ার আহ্বান জানান এবং প্রধানমন্ত্রীও তাতে দায়িত্বের সঙ্গে সাড়া দেন।

উল্লেখ্য টানা ৪ দিনের হামলায় বেশ কয়েকজন নারী, পুরুষ, শিশু ও বয়স্ক ইসরায়েলি নাগরিককে জিম্মি হিসেবে গাজায় নিয়ে যায়। জিম্মি বিনিময়ের মাধ্যমে সংকট সমাধানে কাজ করছে কাতার প্রশাসন।

   

চীনে মহাসড়কে ধস, নিহত অন্তত ১৯



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: আল জাজিরা

ছবি: আল জাজিরা

  • Font increase
  • Font Decrease

চীনের দক্ষিণাঞ্চলীয় গুয়াংডং প্রদেশে গভীর রাতে একটি মহাসড়কের একাংশ ধসে অন্তত ১৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। এতে আহত হয়েছেন আরও অনেকেই।

বুধবার (১ মে) আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশিত হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, বুধবার স্থানীয় সময় রাত ২টা ১০ মিনিটের দিকে মেইঝো শহর এবং ডাবু কাউন্টির মধ্যে সংযোগ স্থাপনকারী এস১২ হাইওয়ের ১৭.৯ মিটার (৫৮.৭ ফুট) প্রসারিত অংশ ধসে পড়ে। এতে ১৮টি গাড়িতে কয়েক ডজন লোক সেখানে আটকা পড়ে।

ওই প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, স্থানীয় সময় বেলা ১১টা ৪৫ মিনিট পর্যন্ত ১৯ জনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে এবং ৩০ জনকে হাসপাতালে জরুরি সেবা দেয়া হচ্ছে। তবে হাসপাতালে যারা চিকিৎসা নিচ্ছেন তাদের জীবন বর্তমানে ঝুঁকির মধ্যে নেই।

এদিকে দেশটির রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম সিসিটিভি জানিয়েছে, ঘটনার পরপরই উদ্ধার অভিযানে সহায়তার জন্য কর্তৃপক্ষ প্রায় ৫০০ জনকে ঘটনাস্থলে পাঠিয়েছে। তবে ঠিক কী কারণে মহাসড়কটি ধসে পড়েছে তা এখনো স্পষ্ট না।

;

কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভকারীদের বহিষ্কার, চলছে ধরপাকড়



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে কয়েকদিন ধরে চলমান শিক্ষার্থীদের আন্দোলন ঠেকাতে হ্যামিল্টন হলে প্রবেশ করে অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ। একইসাথে নির্বিচারে গ্রেফতার করছে বিক্ষোভকারী শিক্ষার্থীদের।

বুধবার (১ মে) ওয়াশিংটনের পোস্টের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশিত হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, মঙ্গলবার কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করার আদেশ জারি করার পর নিউইয়র্ক পুলিশ হ্যামিল্টন হলে প্রবেশ করে অভিযান চালায়। নিউইয়র্ক পুলিশের একজন মুখপাত্র বলেছেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিলিস্তিনপন্থী বিক্ষোভকারীদের মধ্যে একাধিক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। হ্যামিল্টন হল খালি করার চেষ্টা করা হচ্ছে।

ওই প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে পুলিশি তৎপরতা শুরু হয়। পুলিশ হ্যামিল্টন হলে ঢুকে পড়ে। তারা বিক্ষোভকারীদের ধাক্কা দেয়, আঘাত করে।

পুলিশকে ঠেকাতে বিক্ষোভকারীদের অনেকে দরজার বাইরে মানবঢাল তৈরি করেন। এছাড়াও টেলিভিশনে সম্প্রচারিত ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, ক্রেনের মতো দেখতে বড় ভ্রাম্যমাণ মই বেয়ে পুলিশ ভবনটিতে প্রবেশ করছে।

এদিকে কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বিক্ষোভকারী শিক্ষার্থীদের সাময়িক বহিষ্কার করতে শুরু করেছে। গতকাল কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের মুখপাত্র বেন চাং বলেছেন, ক্যাম্পাসের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পরবর্তী ধাপের প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে শিক্ষার্থীদের সাময়িক বহিষ্কারের পদক্ষেপ নিতে শুরু করেছে কর্তৃপক্ষ।

তবে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের দাবি, বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে গাজায় ইসরায়েলি হামলায় সমর্থন দেওয়া ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করতে হবে। একইসাথে গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির দাবিও জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। পাশাপাশি আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা না নেওয়ার দাবি তোলা হয়েছে।

উল্লেখ্য, গত দুই সপ্তাহ আগে গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনবিরোধী বিক্ষোভ শুরু হয়। পরে এই বিক্ষোভ যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ছড়িয়ে পড়ে। ক্যাম্পাসগুলোয় তাঁবু খাটিয়ে চলছে বিক্ষোভ।

 

;

‘এ সপ্তাহে নেতানিয়াহুর গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করতে পারে আইসিসি’



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

গাজা উপত্যকায় যুদ্ধাপরাধ পরিচালনা ও মানবিকতাবিরোধী অপরাধের নির্দেশ দেওয়ার অভিযোগে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু, প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োয়াভ গ্যালান্ত এবং ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে চলতি সপ্তাহেই গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করতে পারে নেদার‌ল্যান্ডসের হেগ শহরে অবস্থিত আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি)।

ইসরায়েলের সরকারি কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম এনবিসি।

সম্ভাব্য সেই পরোয়ানা এড়াতে কূটনৈতিক চ্যানেলের মাধ্যমে ইসরায়েলের যুদ্ধকালীন মন্ত্রিসভা এরই মধ্যে ব্যাপক তৎপরতা শুরু করেছে বলেও জানান ওই সরকারি কর্মকর্তা।

সত্যিই চলতি সপ্তাহে নেতানিয়াহু, গ্যালান্ত ও অন্যান্য ইসরায়েলি সামরিক কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে চলতি সপ্তাহেই গ্রেফতারি পরোয়ানা ইস্যু করা হচ্ছে কিনা প্রসঙ্গে আইসিসির কাছে জানতে চাইলে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের এক মুখপাত্র বলেন, ‘আমরা ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের পরিস্থিতি নিয়ে একটি মুক্ত ও অবাধ তদন্ত পরিচালনা করছি। এই কাজের সুবিধার্থে যে কোনো পদক্ষেপ আমাদের নিতে হতে পারে; কিন্তু যেহেতু এটি তদন্তাধীন বিষয়, তাই এ প্রসঙ্গে এখনই বিস্তারিত কিছু বলার সুযোগ নেই।’

২০১৪ সালে হামাস-ইসরায়েল যুদ্ধের পর ২০১৭ সালে তার তদন্ত শুরু করেছিল আইসিসি। পরে করোনা মহামারির কারণে তদন্তে বাধা পড়ে। মহামারির ধাক্কা কেটে যাওয়ার পরও তা আর শুরু হয়নি।

কিন্তু গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলি ভূখণ্ডে হামাসের হামলা ও তার জেরে গাজায় অভিযান শুরুর পর সেই তদন্ত ফের পুনরুজ্জীবিত করে আইসিসি। গত ডিসেম্বরে গাজা-ইসরায়েল সীমান্ত ঘুরে গেছেন আইসিসির শীর্ষ প্রসিকিউটর করিম খান। সেই সফরে পুরনো সেই তদন্ত ফের শুরুর তথ্য জানিয়ে সাংবাদিকদের তিনি বলেছিলেন, ‘এবারের তদন্ত হবে গতিশীল, কঠোর এবং পুরোপুরি সাক্ষ্যপ্রমাণ নির্ভর।’

ইসরায়েল কিংবা যুক্তরাষ্ট্র- দুই দেশের কোনোটিই আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের সিদ্ধান্তকে স্বীকৃতি দেয় না। আইসিসি যদি সত্যিই গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে, তাহলে ইসরায়েল বা যুক্তরাষ্ট্রে নেতানিয়াহু কিংবা ইয়োয়াভ গ্যালান্তের গ্রেফতার হওয়ার কোনো আশঙ্কা নেই।

তবে ইউরোপের দেশগুলোর জোট ইউরোপীয় ইউনিয়ন আইসিসিকে স্বীকৃতি দেয়। তাই পরোয়ানা জারি হলে নেতানিয়াহু, গ্যালান্ত ও আইডিএফের সামরিক কর্মকর্তাদের ইউরোপের দেশগুলোসহ বিশ্বের অনেক দেশেই সফর বন্ধ করতে হবে। কারণ পরোয়ানা বাতিল হওয়ার আগ পর্যন্ত সেসব দেশে গেলে গ্রেফতার হওয়ার সমূহ আশঙ্কা রয়েছে।

;

আফগানিস্তানে শিয়া মসজিদে বন্দুকধারীর গুলিতে নিহত ৬



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত, ফাইল ছবি

ছবি: সংগৃহীত, ফাইল ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

আফগানিস্তানের হেরাত প্রদেশের একটি শিয়া মসজিদে অজানা বন্দুকধারীর গুলিতে অন্তত ছয়জন নিহত এবং একজন আহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে মসজিদের ইমামও রয়েছেন। তবে এ হামলার দায় এখন পর্যন্ত কেউ স্বীকার করেননি।

সোমবার (২৯ এপ্রিল) রাতে হেরাত প্রদেশের গুজারা জেলার আন্দিশা এলাকার ইমাম জামান মসজিদে এ হামলার ঘটনা ঘটে বলে মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) কাতারভিত্তিক টেলিভিশন চ্যানেল আলজাজিরা ও আফগানিস্তানভিত্তিক আমু টিভি এ খবর জানায়।

আলজাজিরা ও আমুটিভি জানিয়েছে, সোমবার রাত নয়টার দিকে শিয়া মুসলিমরা নামাজ পড়ার সময় অজানা বন্দুকধারী স্বয়ংক্রিয় কালাশনিকভ রাইফেল থেকে গুলি ছোড়েন। এতে ছয়জন নিহত এবং একজন আহত হন। নিহতদের মধ্যে মসজিদের ইমামও রয়েছেন।

কাবুলের ইরানের দূতাবাস এ হামলার নিন্দা জানিয়েছে।

এ হামলার দায় এখন পর্যন্ত কেউ স্বীকার না করলেও ধারণা করা হয়, আইএস (ইসলামিক স্টেট) এ হামলার জন্য দায়ী। ২০২১ সালে তালেবান আফগানিস্তানের ক্ষমতা দখলের পর অনেকবারই আইএস (ইসলামিক স্টেট) শিয়াদের মসজিদে হামলা করেছে। তালেবান সরকার যদিও বলে এসেছে, আফগানিস্তানের সংখ্যালঘু শিয়া মুসলিমদের রক্ষায় যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। কিন্তু বাস্তবে তা একটা চোখে পড়েনি বলে সংবাদমাধ্যমগুলো জানায়।

;