কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভকারীদের বহিষ্কার, চলছে ধরপাকড়



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে কয়েকদিন ধরে চলমান শিক্ষার্থীদের আন্দোলন ঠেকাতে হ্যামিল্টন হলে প্রবেশ করে অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ। একইসাথে নির্বিচারে গ্রেফতার করছে বিক্ষোভকারী শিক্ষার্থীদের।

বুধবার (১ মে) ওয়াশিংটনের পোস্টের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশিত হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, মঙ্গলবার কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করার আদেশ জারি করার পর নিউইয়র্ক পুলিশ হ্যামিল্টন হলে প্রবেশ করে অভিযান চালায়। নিউইয়র্ক পুলিশের একজন মুখপাত্র বলেছেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিলিস্তিনপন্থী বিক্ষোভকারীদের মধ্যে একাধিক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। হ্যামিল্টন হল খালি করার চেষ্টা করা হচ্ছে।

ওই প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে পুলিশি তৎপরতা শুরু হয়। পুলিশ হ্যামিল্টন হলে ঢুকে পড়ে। তারা বিক্ষোভকারীদের ধাক্কা দেয়, আঘাত করে।

পুলিশকে ঠেকাতে বিক্ষোভকারীদের অনেকে দরজার বাইরে মানবঢাল তৈরি করেন। এছাড়াও টেলিভিশনে সম্প্রচারিত ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, ক্রেনের মতো দেখতে বড় ভ্রাম্যমাণ মই বেয়ে পুলিশ ভবনটিতে প্রবেশ করছে।

এদিকে কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বিক্ষোভকারী শিক্ষার্থীদের সাময়িক বহিষ্কার করতে শুরু করেছে। গতকাল কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের মুখপাত্র বেন চাং বলেছেন, ক্যাম্পাসের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পরবর্তী ধাপের প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে শিক্ষার্থীদের সাময়িক বহিষ্কারের পদক্ষেপ নিতে শুরু করেছে কর্তৃপক্ষ।

তবে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের দাবি, বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে গাজায় ইসরায়েলি হামলায় সমর্থন দেওয়া ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করতে হবে। একইসাথে গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির দাবিও জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। পাশাপাশি আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা না নেওয়ার দাবি তোলা হয়েছে।

উল্লেখ্য, গত দুই সপ্তাহ আগে গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনবিরোধী বিক্ষোভ শুরু হয়। পরে এই বিক্ষোভ যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ছড়িয়ে পড়ে। ক্যাম্পাসগুলোয় তাঁবু খাটিয়ে চলছে বিক্ষোভ।

 

   

কিমের প্রশংসা করা গান নিষিদ্ধ করলো দক্ষিণ কোরিয়া



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উনকে ‘বন্ধুত্বপূর্ণ পিতা’ এবং ‘মহান নেতা’ বলে প্রশংসা করে উত্তর কোরিয়ার প্রচারিত একটি মিউজিক ভিডিও নিষিদ্ধ করছে দক্ষিণ কোরিয়া।

বিবিসি জানিয়েছে, ওই গানের ক্লিপ ভাইরাল হয়েছে এবং গত এপ্রিলে গানটি প্রকাশের পর থেকে টিকটকে ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে।

‘ফ্রেন্ডলি ফাদার’ শিরোনামের গানটি দারুণ সুরের একটি পপ গান বলে জানা গেছে। এই গানের কথার লাইনগুলো হলো, ‘চলো আমরা কিম জং উনের গান করি, তিনি মহান নেতা, আসুন আমাদের বন্ধুত্বপূর্ণ পিতা কিম জং উনকে নিয়ে বড়াই করি।’

এই কথাগুলোতেই আপত্তি দক্ষিণ কোরিয়ার। যে কারণে ন্যাশনাল সিকিউরিটি অ্যাক্টের অধীরে উত্তর কোরিয়ার মিডিয়া এবং অফিসিয়াল ওয়েবসাইটগুলোতে প্রবেশাধিকার ব্লক করেছে দেশটি।

আইন অনুযায়ী, ন্যাশনাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট লঙ্ঘন করলে সাত বছর পর্যন্ত জেল হতে পারে।

সিউলের কোরিয়া কমিউনিকেশন স্ট্যান্ডার্ড কমিশন একটি বিবৃতিতে বলেছে, ‘মিউজিক ভিডিওটি দক্ষিণ কোরিয়ার বিরুদ্ধে মনস্তাত্ত্বিক যুদ্ধের সঙ্গে যুক্ত। এটি একটি চ্যানেলে পোস্ট করা হয়েছে বহির্বিশ্বে ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য।’

কমিশনটি আরও বলেছে, ‘ফ্রেন্ডলি ফাদার মিউজিক ভিডিওটির ২৯টি ভিন্ন সংস্করণ রয়েছে। সেগুলোও ব্লক করা হবে। ন্যাশনাল ইন্টেলিজেন্স সার্ভিসের অনুরোধের আমরা ব্লক করার কাজ হাতে নিয়েছি।’

অন্যদিকে, সিউলের নিষেধাজ্ঞার ফলে ভিডিওটির প্রতি দক্ষিণ কোরিয়ানদের আগ্রহ বেড়েছে। নিষেধাজ্ঞার ঘোষণার পর থেকে অনেকেই ভিডিওটি দেখেছেন লুকিয়ে।

;

মহাকাশে অস্ত্র স্থাপন করতে চায় যুক্তরাষ্ট্র : রাশিয়া



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

যুক্তরাষ্ট্র মহাকাশে অস্ত্র স্থাপনের চেষ্টা করছে বলে মঙ্গলবার (২১ মে) অভিযোগ করেছে রাশিয়া।

মহাকাশে অস্ত্রের বিস্তারে নিষেধাজ্ঞা জারি করতে জাতিসংঘে মস্কোর আনীত প্রস্তাবে ওয়াশিংটন ভেটো দেওয়ার পরে রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মারিয়া জাখারোভা এই অভিযোগ করেন।

মারিয়া জাখারোভা বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র আবারও প্রমাণ করেছে যে, মহাকাশের ক্ষেত্রে তাদের প্রকৃত উদ্দেশ্য মহাকাশকে অস্ত্র মুক্ত রাখা নয়, বরং মহাকাশে অস্ত্র স্থাপন করা এবং এটিকে সামরিক সংঘর্ষের আখড়ায় পরিণত করা।’

এনডিটিভি জানিয়েছে, এই দুই পরাশক্তি সাম্প্রতিক মাসগুলোতে মহাকাশে অস্ত্র স্থাপনের জন্য একে অপরের বিরুদ্ধে বেশ কয়েকবার অভিযোগ করেছে।

গত ফেব্রুয়ারীতে ওয়াশিংটন বলেছিল যে, তারা রাশিয়ার তৈরি করা একটি স্যাটেলাইট-বিরোধী ব্যবস্থা নিয়ে উদ্বিগ্ন। তখন মার্কিন মিডিয়াগুলো জানিয়েছিল যে, মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থাগুলো তাদের মিত্রদের সতর্ক করেছে যে, রাশিয়া মহাকাশের কক্ষপথে পারমাণবিক অস্ত্র স্থাপন করতে পারে।

জবাবে মস্কো এই অভিযোগগুলোকে মিথ্যা এবং ভিত্তিহীন বলে দাবি করে বলেছিল যে, তাদের কেনো স্যাটেলাইটে এই ধরনের কোনো সিস্টেম নেই।

এরপর যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে একই অভিযোগ আনলো রাশিয়া। মস্কো বলেছে, ওয়াশিংটন মহাকাশে অস্ত্রের উপর সম্পূর্ণ নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে গুরুত্ব সহকারে আগ্রহী নয়।

এদিকে মার্কিন রাষ্ট্রদূত রবার্ট উড বলেছেন, ‘রাশিয়ার প্রস্তাব, যা সমস্ত দেশকে বাহ্যিক দৃষ্টিতে মহাকাশে সর্বদা অস্ত্র স্থাপন রোধে জরুরি ব্যবস্থা গ্রহণ করার আহ্বান জানায়, সেটি আসলে একটি বিভ্রান্তি।’

জাখারোভা মঙ্গলবার বলেন, ‘বাহ্যিক মহাকাশকে যেকোনো ধরণের অস্ত্র মুক্ত রাখতে এবং এটিকে উত্তেজনা ও সশস্ত্র সংঘর্ষের আরেকটি ক্ষেত্র হয়ে উঠতে বাধা দেওয়ার জন্য চলমান প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখবে রাশিয়া।’

উল্লেখ্য, মহাকাশই হলো একমাত্র স্থান যেখানে পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞা এবং ইউক্রেনের উপর রাশিয়ার আক্রমণের মধ্যে মস্কো ও ওয়াশিংটনের মধ্যে এখনও সহযোগিতার সম্পর্ক রয়েছে।

উভয় দেশ একে অপরের ক্রু সদস্যদেরকে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন (আইএসএস) থেকে নিয়ে যায় এবং সেখানে তাদের মহাকাশচারীরা যৌথভাবে অবস্থান করে।

;

সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে ‘যান্ত্রিক ত্রুটি’, নিহত ১



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

লন্ডন থেকে সিঙ্গাপুরগামী সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইট ‘যান্ত্রিক ত্রুটি’র কারণে জরুরি অবতরণ করতে গিয়ে এক যাত্রী নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় আরও ৩০ জনেরও বেশি আহত হয়েছেন।

মঙ্গলবার (২১ মে) সংবাদমাধ্যম বিবিসি ও আল-জাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।

এতে বলা হয়, সিঙ্গাপুরগামী বোয়িং ৭৭৭ এর একটি ফ্লাইট ‘যান্ত্রিক ত্রুটির’ কারণে ব্যাংককে জরুরি অবতরণ করে। এসময় একজন যাত্রী প্রাণ হারান, আহত হন আরও ৩০ জন। ফ্লাইটটিতে ২১১ জন যাত্রী এবং ১৮ জন কেবিন ক্রু ছিল।

এ ঘটনায় সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্স কর্তৃপক্ষ এক বিবৃতিতে নিহতের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছে।

;

পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি হামলায় ৭ ফিলিস্তিনি নিহত



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীরের জেনিন শহরের একটি শরণার্থীশিবিরে ইসরায়েলি হামলায় অন্তত সাতজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছে্ন আরও অন্তত ১২ জন।

মঙ্গলবার (২১ মে) আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশিত হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, পশ্চিম তীরের জেনিন শহরে ইসরায়েলি অভিযানে এক শিক্ষক ও ডাক্তারসহ অন্তত সাতজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও অন্তত ১২ জন। এ ছাড়া আহতদের মধ্যেও বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী আছে। ইসরায়েলি অভিযানের কারণে শরণার্থীশিবিরটির একটি বিদ্যালয় থেকে সব শিক্ষক-শিক্ষার্থীকে বের করে দেওয়া হয়।

এদিকে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী বা আইডিএফের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, জেনিন শহরটি ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর দুর্ভেদ্য ঘাঁটি হয়ে উঠেছিল। আর সেখান থেকে তাদের সরানোর লক্ষ্যেই মঙ্গলবার সকালে এই অভিযান শুরু করা হয়েছে বলে দাবি করেছে ইসরায়েলি দখলদার বাহিনী।

উল্লেখ্য, গত ৭ অক্টোবর থেকে চলমান সহিংসতায় গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী হামাসের বিরুদ্ধে ইসরায়েলের প্রতিশোধমূলক আক্রমণে গাজায় কমপক্ষে ৩৪ হাজার ৬৫৪ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন। এদের বেশিরভাগই নারী এবং শিশু। 

;