মণিপুরে ইন্টারনেট বন্ধের সময়সীমা বাড়লো, গ্রেপ্তার ৪



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ইম্ফলসহ কিছু জায়গায় এর আগে কারফিউ জারি করা হয়। ছবি : সংগৃহীত

ইম্ফলসহ কিছু জায়গায় এর আগে কারফিউ জারি করা হয়। ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ভারতের রাজ্য মণিপুরে দুই ছাত্র হত্যার ঘটনায় ৪ অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে সিবিআই। এ ছাড়াও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আরও দুজনকে আটক করা হয়েছে। তারপর থেকে মণিপুরে আবার উত্তেজনা ছড়িয়েছে।

ইন্ডিয়া টুডে জানিয়েছে, পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে ইন্টারনেট পরিষেবা ৬ অক্টোবর সন্ধ্যা ৭টা ৪৫ মিনিট পর্যন্ত বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে মণিপুর সরকার। নির্দেশিকায় জানানো হয়, হোয়াটসঅ্যাপ, ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, টুইটারের মাধ্যমে নানা রকম অসত্য বার্তা ছড়িয়ে যেতে পারে।
তাই ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধের সময়সীমা বৃদ্ধি করা হয়েছে।

প্রায় দুই মাস বন্ধ থাকার পর গত ২৫ জুলাই আংশিকভাবে মণিপুরে ইন্টারনেট পরিষেবা চালু করা হয়েছিল। প্রাথমিকভাবে যাদের স্থায়ী ব্রডব্র্যান্ড সংযোগ রয়েছে, তাদেরই কেবল ইন্টারনেট ব্যবহারের সুযোগ দেওয়া হয়েছিল। সেই সঙ্গে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের ভার্চুয়াল প্রাইভেট নেটওয়ার্ক (ভিপিএন) সফ্‌টওয়্যার কম্পিউটার থেকে আনইনস্টল করে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়।

মণিপুর হাইকোর্টের নির্দেশ মেনেই ইন্টারনেট ব্যবহারে ছাড়পত্র দিয়েছিল মণিপুরের ক্ষমতাসীন বিজেপি সরকার। পরবর্তী সময়ে পরিষেবা অনেকটা স্বাভাবিকও হয়েছিল। কিন্তু, কয়েকটি এলাকায় উত্তেজনা ছড়ানোর গুজব ছড়িয়ে পড়া ঠেকাতেই নতুন করে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়।

পূর্বে জারি করা নির্দেশিকায় বলা হয়েছিলো, মণিপুরে মোবাইলে ইন্টারনেট ডেটা পরিষেবার উপর সাময়িক বিধিনিষেধ ১ অক্টোবর সন্ধ্যা ৭টা ৪৫ মিনিট পর্যন্ত বহাল থাকার কথা ছিল। নির্দেশিকায় এটাও জানানো হয়েছিল যে, পরিষেবা স্তব্ধ করার বিষয়টি পর্যালোচনা করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত ঘোষণা করা হবে।

প্রসঙ্গত, দুই ছাত্রকে অপহরণ ও হত্যার ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিক্ষোভ ও সহিংসতায় কয়েক ডজন ছাত্র আহত হওয়ার পর ভারতের অশান্ত রাজ্য মণিপুরের রাজধানী ইম্ফলসহ কিছু জায়গায় এর আগে কারফিউ জারি করা হয়।

মণিপুরের রাজধানী ইম্ফলের একজন সিনিয়র পুলিশ কর্মকর্তা এল কাইলুন বৃহস্পতিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) বলেছেন, ‘ইম্ফল এবং অন্যান্য কয়েকটি জেলায় অনির্দিষ্টকালের জন্য কারফিউ জারি করা হয়েছে।’

এদিকে নাম প্রকাশ না করার শর্তে আরেক পুলিশ কর্মকর্তা বলেছেন, ‘বুধবারের সংঘর্ষে ৮০ জনেরও বেশি শিক্ষার্থী আহত হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘সশস্ত্র জনতা গভর্নিং পার্টির একটি অফিস ভাঙচুর করার পরে পুলিশের প্রতি পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ করে। তাই পরিস্থিতি অত্যন্ত উত্তেজনাপূর্ণ ছিল।’

রাজ্যটির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ‘পাঁচ দিনের জন্য রাজ্যে মোবাইল ইন্টারনেট পরিষেবা স্থগিত করা হয়েছে।’

অন্যদিকে, গত ৩ মে প্রথম সহিংসতা শুরু হওয়ার পর থেকে মণিপুরে এ পর্যন্ত ১৮০ জনেরও বেশি নিহত হয়েছে এবং প্রায় ৫০ হাজার মানুষ তাদের বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়েছে।

রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিং, যিনি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) একজন নেতা, কথিত হত্যাকাণ্ডের নিন্দা করেছেন এবং দোষীদের সর্বোচ্চ শাস্তির প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।

কুকি-জো সিভিল সোসাইটি গ্রুপের একজন মুখপাত্র বলেছেন, সর্বশেষ হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে তাদের কাছে তাত্ক্ষণিক মন্তব্য নেই।

বিরোধী কংগ্রেস দলের নেতারা মোদি সরকারকে তার হিন্দু জাতীয়তাবাদী দল শাসিত ওই রাজ্যে সহিংসতা নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থতার অভিযোগ করেছেন।

প্রসঙ্গত, প্রায় স্বাভাবিক হয়ে আসা মণিপুরের পরিস্থিতি সেখানকার দুই ছাত্রের হত্যাকাণ্ডকে ঘিরে নতুন করে ফের উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে।
ওই দুই ছাত্রকে অপহরণ করে খুনের ঘটনার তদন্ত করতে বুধবার (২৭ সেপ্টেম্বর) মণিপুর পৌঁছেছে সিবিআই।

কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার স্পেশাল ডিরেক্টর অজয় ভাটনগরের নেতৃত্বাধীন দল বিশেষ বিমানে করে বুধবার ইম্ফল পৌঁছেছেন জানা গেছে। এই ঘটনার তদন্তভার আগেই সিবিআইয়ের হাতে তুলে দিয়েছে রাজ্যটির মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিংয়ের সরকার।

কুকি এবং মেইতেই সম্প্রদায়ের মধ্যে সংঘর্ষে গত কয়েক মাস ধরেই অশান্তির চাদরে ঢাকা পড়েছে ভারতের উত্তর-পূর্বের এই রাজ্য।

গত সোমবার নিহত দুই ছাত্রের মৃতদেহের ছবি ছড়িয়ে পড়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। তারপর থেকেই নতুন করে উত্তেজনা ছড়ায় মণিপুরে।

সূত্রের খবর, গত ৬ জুলাই থেকে ওই দুই ছাত্র নিখোঁজ ছিল। ছবিতে দেখা গেছে, দুই সশস্ত্র আততায়ীর সঙ্গে বসে রয়েছে ওই দুই ছাত্র। অন্য একটি ছবিতে দেখা গেছে, তাদের মৃতদেহ পড়ে রয়েছে।

এনডিটিভি জানিয়েছে, ওই দুই ছাত্রের মৃতদেহ এখনও উদ্ধার করা হয়নি। ওই দুই ছাত্রকে শেষবার দেখা গিয়েছিল বিষ্ণুপুর জেলায়। অভিযোগ, ওই দুই ছাত্রকে অপহরণ করে খুন করা হয়েছে।

এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পরেই নড়েচড়ে বসেছে মণিপুর সরকার। এক্স হ্যান্ডলে (টুইটার) মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী লিখেছেন, ‘রাজ্যবাসীকে আশ্বস্ত করতে চাই যে, অপরাধীদের ধরতে রাজ্য এবং কেন্দ্রীয় সরকার দ্রুত পদক্ষেপ নিচ্ছে।’

কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে তিনি নিয়মিত যোগাযোগ রাখছেন বলেও জানান বীরেন সিং।

   

ইউক্রেনের চেয়েও বেশি ধ্বংসস্তূপ রয়েছে গাজায়: জাতিসংঘ



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইউক্রেনের চেয়েও বেশি ধ্বংসস্তূপ রয়েছে। বুধবার (১ মে) গাজার ধ্বংসস্তূপের এ পরিমাণ উল্লেখ করেছে ইউনাইটেড নেশনস মাইন অ্যাকশন সার্ভিস (ইউএনএমএএস)। আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশিত হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনের ছয় মাস পরে, জাতিসংঘের মাইন অ্যাকশন সার্ভিস (ইউএনএমএএস) ফিলিস্তিনি ছিটমহলে এপ্রিলের মাঝামাঝি ৩৭ মিলিয়ন টন বা প্রতি বর্গমিটারে ৩০০ কিলোগ্রাম ধ্বংসাবশেষের পরিমাণ অনুমান করেছে। এরই প্রেক্ষিতে জাতিসংঘ ইউক্রেনের চেয়ে গাজায় ধ্বংসস্তূপের পরিমাণ বেশি রয়েছে বলে উল্লেখ করেছে।

ফিলিস্তিনি অঞ্চলে ইউএনএমএএস প্রোগ্রামের প্রধান মুঙ্গো বার্চ বলেন, গাজায় ইউক্রেনের চেয়ে বেশি ধ্বংসস্তূপ রয়েছে। সেই পরিপ্রেক্ষিতে বলতে গেলে, ইউক্রেনের ফ্রন্ট লাইন ৬শ মাইল আর গাজার মাত্র ২৫ মাইল।

বার্চ আরও বলেন, গাজার ধ্বংসাবশেষ পরিষ্কার করা ব্যয়বহুল ও বিপজ্জনক হয়ে ওঠেছে। এপ্রিলের মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত ৩৭০ লাখ টন বা প্রতি বর্গমিটারে ৩শ' কেজি ধ্বংসাবশেষের পরিমাণ অনুমান করা হয়েছে।

তিনি বলেন, তবে ধ্বংসস্তূপের পরিমাণই একমাত্র সমস্যা নয়। এ ধ্বংসস্তূপে সম্ভবত ইউএক্সওর (অবিস্ফোরিত অস্ত্র) দূষিত উপাদান রয়েছে। এগুলো পরিষ্কার করা জটিল হবে। কারণ, অস্ত্রের ১০ থেকে ১৫ শতাংশ বিস্ফোরিত হয় না। তাই সাধারণ মানুষের জন্য এটি বিপদ হয়ে দাঁড়াতে পারে। শুধুমাত্র গাজার ধ্বংসস্তূপেই আট লাখ টন অ্যাসবেস্টস রয়েছে বলে অনুমান করা হয়েছে। নির্মাণ কাজে ব্যবহৃত ক্যান্সার সৃষ্টিকারী খনিজগুলো অপসারণের সময় বিশেষ সতর্কতা প্রয়োজন বলেও জানান তিনি।

এর আগে ক্ষতিগ্রস্ত ভবনগুলোর ধ্বংসাবশেষসহ পুরো ধ্বংসস্তূপ পরিষ্কার করতে ১৪ বছরের মতো সময় লাগতে পারে বলে উল্লেখ করা হয়েছিল। তবে মুঙ্গো বার্চ আশা করেন, ইউএনএমএএস সব ধরনের বিস্ফোরক অস্ত্রের কারণে সৃষ্ট হুমকি এড়িয়ে কাজ করতে পারবে।

;

ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্নের ঘোষণা দিল কলম্বিয়া



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ইসরায়েলের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করা হবে বলে ঘোষণা দিয়েছেন কলম্বিয়ার প্রেসিডেন্ট গুস্তাভো পেত্রো। ফিলিস্তিনের গাজায় হামলার কারণে গত বুধবার (১ মে) এ ঘোষণা দেন তিনি।

দ্য ওয়াশিংটন পোষ্টের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশিত হয়। 

প্রতিবেদনে বলা হয়, আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস উপলক্ষে এক সমাবেশে উপস্থিত হয়ে পেত্রো বলেন, তার দেশ আগামীকালই (বৃহস্পতিবার) ইসরায়েলের সঙ্গে সব ধরনের কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করতে যাচ্ছে। এসময় তিনি নেতানিয়াহুকে ‘গণহত্যাকারী’ বলে আখ্যা দেন।

তিনি আরও বলেন, গাজার এমন পরিস্থিতিতে বিশ্বের কোনো দেশ নিষ্ক্রিয় থাকতে পারে না।

এদিকে,কলম্বিয়ার প্রেসিডেন্টের এমন ঘোষণায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছে ইসরায়েল। দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসরায়েল কাটজ অভিযোগ করে বলেছেন, পেত্রোর এই ঘোষণা ইহুদিবিদ্বেষী ও ঘৃণায় পরিপূর্ণ। তার এই পদক্ষেপ হামাসের জন্য পুরস্কার।

প্রসঙ্গত, গত বছরের ৭ অক্টোবরে গাজায় হামলার পরপরই ইসরায়েলের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করে দক্ষিণ আমেরিকার আরেক দেশ বলিভিয়া। সেসময় কলম্বিয়া, চিলি ও হন্ডুরাসসহ দক্ষিণ আমেরিকার আরও কয়েকটি দেশ ইসরায়েল থেকে তাদের রাষ্ট্রদূতদের প্রত্যাহার করে নিয়েছিল। এবার তারই প্রেক্ষিতে ইসরায়েলের সাথে সব ধরনের কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করল কলম্বিয়া।

 

 

;

চাঁদে যাচ্ছে পাকিস্তান



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ভারতের পর এবার চাঁদে যাচ্ছে পাকিস্তান। সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী শুক্রবার যাত্রা শুরু হবে তাদের। এর মাধ্যমে চীনের সহায়তায় দেশটির পতাকাখচিত প্রথম কোনো মহাকাশযান চাঁদে অবতরণ করবে। চীনের সহায়তায় দেশটির প্রথম মহাকাশযানটি চাঁদের পথে পাড়ি দিচ্ছে।

পাকিস্তানের মহাকাশ গবেষণা প্রতিষ্ঠান ইনস্টিটিউট অব স্পেস টেকনোলজি (আইএসটি) জানিয়েছে, শুক্রবার দেশটির ঐতিহাসিক চন্দ্র মিশন শুরু হবে।

জানা গেছে, এই প্রকল্পটি সম্পন্ন হচ্ছে চীনের সহায়তায়। চীনের মাটি থেকেই চাঁদের উদ্দেশে রওনা দেবে পাকিস্তানের চন্দ্রযান।

খবরে বলা হয়েছে, পাকিস্তানের মহাকাশ গবেষণা প্রতিষ্ঠান ইনস্টিটিউট অব স্পেস টেকনোলজি (আইএসটি) জানিয়েছে, পাকিস্তানের ঐতিহাসিক চন্দ্র মিশন আগামী শুক্রবার স্থানীয় দুপুর ১২টা ৫০ মিনিটে চাঁদের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করবে। চীনের তৈরি চ্যাং ওঁ-৬ চন্দ্রযানে করে দেশটির হাইনান প্রদেশের উৎক্ষেপণকেন্দ্র থেকে রওনা হবে। পাকিস্তানের এই চন্দ্র মিশনের নাম দেওয়া হয়েছে আইকিউব-কিউ।

চীনের এ মিশনটি পাকিস্তানের জন্য অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ কারণ এটি পাকিস্তানের নিজস্ব প্রযুক্তিতে তৈরি কিউবস্যাট স্যাটেলাইট আইকিউব-কিউ বহন করছে। কিউবস্যাট হল ক্ষুদ্রাকৃতির উপগ্রহ যা সাধারণত ছোট আকার এবং মানসম্পন্ন নকশায় তৈরি করা হয়।

চ্যাংয়ে-৬ মিশনের মাধ্যমে চাঁদের অন্ধকার দিক থেকে ধূলা ও পাথরের নমুনা পৃথিবীতে ফেরত আনতে চায় চীন।

বিশ্বের চতুর্থ দেশ হিসাবে চাঁদের মাটিতে নিয়ন্ত্রিত অবতরণ করে ভারত। ভারতীয় মহাকাশসংস্থা ইসরোর বিজ্ঞানীদের নিরলস চেষ্টায় এটি সম্পন্ন হয়।

;

ভারতীয় গুপ্তচর বহিষ্কার করেছিল অস্ট্রেলিয়া



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রতিরক্ষা প্রকল্প, বিমানবন্দরের নিরাপত্তা ও বাণিজ্য সম্পর্ক বিষয়ক নথি চুরির চেষ্টা করায় ২০২০ সালে একাধিক ভারতীয় গুপ্তচর বহিষ্কার করেছিল অস্ট্রেলিয়া। চলতি সপ্তাহে এক প্রতিবেদনে এ খবর প্রকাশ করেছে অস্ট্রেলিয়ান ব্রডকাস্টিং কর্পোরেশন।

ভারতীয় গুপ্তচর বহিষ্কারের বিষয়টি ২০২১ সালে অস্ট্রেলিয়ার গোয়েন্দা সংস্থা অস্ট্রেলিয়ান সিকিউরিটি ইনটেলিজেন্স অর্গানাইজেশন (এএসআইও) প্রধান মাইক বুরগিসের বার্ষিক প্রতিবেদনেও উল্লেখ করা হয়েছিল বলেও খবরে বলা হয়েছে।

ঠিক কতজন গুপ্তচর বহিষ্কার করা হয়েছিল, তা অস্ট্রেলিয়ান ব্রডকাস্টিং কর্পোরেশনের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়নি। তবে গত সোমবার (২৯ এপ্রিল) ওয়াশিংটন পোস্টে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২০ সালে ভারতীয় দুজন গুপ্তরচরকে বহিষ্কার করেছিল অস্ট্রেলিয়া। যদিও ওই ঘটনার পরও দিল্লির সঙ্গে ঘনিষ্ঠ দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের কথা বলে আসছে ক্যানবেরা।

অ্যানুয়াল থ্রেট অ্যাসেসমেন্ট নামে ওই বার্ষিক প্রতিবেদনে অস্ট্রেলিয়ার গোয়েন্দাপ্রধান জানিয়েছিলেন, দুই বিদেশি গুপ্তচর কয়েক বছর ধরে অস্ট্রেলিয়ায় অবস্থান করে গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহের কাজ করছিলেন। তবে সেই সময় তিনি দুই গুপ্তচরের জাতীয়তা প্রকাশ করেননি।

বুরগিস আরও বলেছিলেন, ২০২০ সালে বিদেশি গুপ্তচরেরা বর্তমান ও সাবেক কয়েকজন রাজনীতিবিদ, একটি বিদেশি দূতাবাস এবং রাজ্য পর্যায়ের পুলিশ পরিষেবাকে লক্ষ্যবস্তু বানিয়ে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক তৈরি করেছিল। এছাড়া তারা নিজ দেশের প্রবাসীদের ওপরও নজর রাখছিল।

ওয়াশিংটন পোস্টের সাম্প্রতিক প্রতিবেদনের পর অনেক সংবাদমাধ্যম এ নিয়ে খবর প্রকাশ করেছে। এসব প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ওই দুজন ভারতীয় গুপ্তচর ছিলেন।

অস্ট্রেলিয়া সরকার বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের এমন দাবি স্বীকার কিংবা অস্বীকার কোনোটাই করেনি। তবে বলা হয়েছে, অস্ট্রেলিয়া সরকার বিদেশি হস্তক্ষেপ প্রতিরোধ করতে আগ্রহী। বুধবার (১ মে) এক সংবাদ সম্মেলনে অস্ট্রেলিয়ার অর্থমন্ত্রী জিম চালমার্স বলেন,  আমি এসব গালগল্পে ঢোকার কথা কখনোই বলব না।

ভারতের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের বিষয়ে জিম আরও বলেন, ভারতের সঙ্গে আমাদের বেশ ভালো সম্পর্ক রয়েছে। এটা গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক সম্পর্ক। সাম্প্রতিক বছরগুলোয় উভয় পক্ষের প্রচেষ্টার ফলে দুই দেশ অনেকটা কাছাকাছি এসেছে।

 

;