মার্কিন প্রেসিডেন্ট ২০ জানুয়ারি কেন শপথ নেন!

  মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন


আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
আমেরিকার প্রথম প্রেসিডেন্ট জর্জ ওয়াশিংটনের শপথ অনুষ্ঠান

আমেরিকার প্রথম প্রেসিডেন্ট জর্জ ওয়াশিংটনের শপথ অনুষ্ঠান

  • Font increase
  • Font Decrease

‘আমি...., একনিষ্ঠভাবে শপথ করছি যে আমি বিশ্বস্তভাবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের পদ কার্যকর করব এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধানকে সংরক্ষণ, সুরক্ষা এবং রক্ষার জন্য আমার যথাসাধ্য চেষ্টা করব।’

অভিষেক অনুষ্ঠানে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির কাছে যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধানে সংশোধিত এবং আমেরিকার প্রেসিডেন্টের শপথ এটিই। এছাড়া শপথ গ্রহণের অন্যান্য আনুষ্ঠানিকতাগুলোও ঐহিত্য অনুসারে ২০ জানুয়ারিতে সম্পন্ন হয়।

যুক্তরাষ্ট্রের মতো এমন সুনির্দিষ্ট নিয়ম পৃথিবীর আর কোনো দেশেই নেই। আমেরিকার সাধারণ নির্বাচন থেকে শুরু করে নতুন প্রেসিডেন্টের শপথ গ্রহণসহ প্রতিটি ধাপই সুনির্দিষ্ট। মার্কিন সংবিধানে ২০ জানুয়ারি তারিখটি নির্ধারণ করা হয়েছে শপথ গ্রহণের জন্য ।

তবে ১৯৩৭ সালের আগে মার্কিন প্রেসিডেন্টের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানটি ৪ মার্চ অনুষ্ঠিত হত। ১৯৩৭ সালের ২০ জানুয়ারি প্রথম কোনো মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেন ফ্রাঙ্কলিন ডি রুজভেল্ট। সেটা ছিল রুজভেল্টের দ্বিতীয় মেয়াদ। প্রথম মেয়াদে ১৯৩৩ সালে রুজভেল্ট শপথ নিয়েছিলেন ৪ মার্চ। ১৭৮৯ সালের সংবিধানের ধারাবাহিকতা মেনে সব মার্কিন প্রেসিডেন্টই ৪ মার্চ তারিখে শপথ নিয়েছেন।

২০ তম সংবিধান অনুসারে, নভেম্বরে নির্বাচনের পর নতুন প্রেসিডেন্টের শপথ নেওয়ার পর্যন্ত সোয়া দুই মাসের বিরতির রাখা হয়।

এর আগে নির্বাচনের পর ক্ষমতা হস্তান্তর প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে শপথ গ্রহণের জন্য চার মাসের একটা সময় রাখা হতো। কিন্তু সমস্যা হয় ১৮৬১ সালে। সে বছর মার্চে আব্রাহাম লিঙ্কন ক্ষমতা গ্রহণ করতে করতে চলমান গৃহযুদ্ধে মার্কিন পক্ষের পরাজয় প্রায় নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল। এই একই অবস্থার মুখোমুখি হতে হয়েছিল সাত দশক পর ১৯৩৩ সালেও। মহামন্দার সেই সময়ে সাবেক প্রেসিডেন্ট হার্বার্ট হুভারের কাছ থেকে ক্ষমতা নেন রুজভেল্ট। অবস্থা এতটাই খারাপ ছিল যে, মানুষ উদগ্রীব হয়ে শুধু ক্ষমতা হস্তান্তরের অপেক্ষা করছিল। সেই বছরই প্রথম এই দীর্ঘ বিরতি একটা বড় সমস্যা হিসেবে সামনে হাজির হয়।

এসব কারণে নির্বাচনের পর ক্ষমতা হস্তান্তরের সময় কমিয়ে এনে আনা হয় সংবিধানের ২০তম সংশোধনী। যেখানে নতুন প্রেসিডেন্টের অভিষেকের দিন হিসেবে ২০ জানুয়ারির কথা বলা হয়। সংশোধনী অনুযায়ী, ৩ নভেম্বরের নির্বাচনের পরের বছরের ২০ জানুয়ারি দুপুরে নতুন প্রেসিডেন্ট শপথ নেবেন। আর এর মধ্য দিয়ে রাষ্ট্রের নির্বাহী প্রধান হিসেবে অভিষিক্ত হবেন তিনি। অর্থাৎ, ঐদিন বেলা ১১টা ৫৯ মিনিট ৫৯ সেকেন্ড পর্যন্ত ক্ষমতায় থাকবেন বিদায়ী প্রেসিডেন্ট। সেই সময় থেকে কংগ্রেসের নতুন অধিবেশনও মার্চের পরিবর্তে ৩ জানুয়ারি শুরু হয়।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ৪৬ তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে ডেমোক্যাট নেতা জো বাইডেন আজ বুধবার ২০ জানুয়ারি শপথ নেবেন।

   

ইরানের প্রেসিডেন্টের মৃত্যু ‘বড় ক্ষতি’: শি



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং

চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং

  • Font increase
  • Font Decrease

ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি’র মর্মান্তিক মৃত্যুকে ইরানের জনগণের জন্য একটি ‘বড় ক্ষতি’ অভিহিত করে তাঁর প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। খবর এএফপি’র।

চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ওয়াং ওয়েনবিন এক প্রেস ব্রিফিং-এ বলেন, শি ইরানের প্রথম ভাইস প্রেসিডেন্টের কাছে তার ‘আন্তরিক সমবেদনা’ পাঠিয়েছেন।

শি বলেছেন, 'রাইসির মর্মান্তিক মৃত্যু ইরানের জনগণের জন্য একটি বড় ক্ষতি এবং চীনা জনগণ একজন ভাল বন্ধুকে হারিয়েছে। চীন ইরানের ঘনিষ্ঠ ও বৃহত্তম বাণিজ্য অংশীদার এবং তার অনুমোদিত তেলের শীর্ষ ক্রেতা।'

প্রেসিডেন্ট রাইসি ইরানের নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে, জাতীয় উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির প্রচারে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন এবং চীন-ইরান ব্যাপক কৌশলগত অংশীদারিত্বকে সুসংহত ও বিকাশের জন্য সক্রিয় প্রচেষ্টা চালিয়েছেন।

তিনি বলেন, চীন ইরান সরকার ও জনগণকে সমস্ত প্রয়োজনীয় সমর্থন ও সহায়তা দিবে এবং তাদের স্বাধীনতা, স্থিতিশীলতা ও উন্নয়ন রক্ষায় সমর্থন অব্যাহত রাখবে।

ওয়াং বলেন, হেলিকপ্টারে থাকা ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির-আব্দুল্লাহিয়ানের মৃত্যুতেও চীন ‘গভীর দুঃখ’ প্রকাশ করেছে।

  মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন

;

জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে রাইসির স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় নিহত রাইসি ও তার সফরসঙ্গীদের স্মরণে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের সদস্যরা এক মিনিট নীরবতা পালন করেছেন।

রোববার (২০ মে) জাতিসংঘের সর্বোচ্চ এই পরিষদের অধিবেশনে রাইসি ও তার সঙ্গীদের স্বরণে নীরবতা পালন করা হয়। খবর আল জাজিরার।

মোজাম্বিকের রাষ্ট্রদূত পেদ্রো কমিসারিও আফনসো, যিনি মে মাসের জন্য নিরাপত্তা পরিষদের সভাপতির দায়িত্বে রয়েছেন। তিনি অধিবেশনের শুরুতে হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় নিহত ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসির স্মরণে নিরাপত্তা পরিষদের সদস্যদের দাঁড়িয়ে এক মিনিটের জন্য নীরবতা পালনের আহ্বান জানান। তার আহ্বানে সাড়া দিয়ে সদস্যরা দাঁড়িয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করেন।

উল্লেখ্য, রোববার (১৯ মে) ইরানের পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশের জোলফা এলাকার কাছে হেলিকপ্টারটি বিধ্বস্ত হয়। হেলিকপ্টারে ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি, পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির আব্দোল্লাহিয়ানসহ দেশটির কয়েকজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা ছিলেন। এ ঘটনায় ইরানের প্রেসিডেন্ট, পররাষ্ট্রমন্ত্রীসহ সব আরোহী নিহত হয়েছেন।

  মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন

;

রাইসির মৃত্যু গুরুতর ঘটনা, তবে দেশ এগিয়ে যাবে: মোখবার



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হয়ে ইব্রাহিম রাইসির মৃত্যুকে গুরুতর ঘটনা বলে মন্তব্য করে ইরানের নতুন অন্তবর্তী প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মোখবার বলেছেন, তার মৃত্যুতে আমাদের কাজে কোন ব্যাঘাত ঘটবে না। দেশ এগিয়ে যাবে।

প্রেসিডেন্ট রাইসির মৃত্যুর পর সোমবার (২০ মে) প্রথম মন্ত্রিসভার বৈঠকে তিনি এ কথা বলেন।

বার্তা সংস্থা রয়টার্সে প্রকাশিত একটি ভিডিও ফুটেজে দেখা যাচ্ছে, ইরানের নব-নিযুক্ত অন্তর্বর্তী প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মোখবার মন্ত্রিসভার সদস্যদের উদ্দেশে ভাষণ দিচ্ছেন।

হেলিকপ্টার বিধ্বস্তকে একটি গুরুতর ঘটনা হিসেবে বর্ণনা করে তিনি বলেন, প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসির মৃত্যু সত্ত্বেও দেশ এগিয়ে যাবে। এজন্য প্রত্যেকেরই তাদের কাজ চালিয়ে যাওয়া উচিত। এই মর্মান্তিক ঘটনা কোনোভাবেই আমাদের দেশের সরকার পরিচালনায় ব্যাঘাত সৃষ্টি করবে না।

রাইসির মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং, তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ।

ইরানের সংবাদমাধ্যম তাসনিম জানিয়েছে, ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসির জানাজা মঙ্গলবার (২১ মে) তাবরিজে অনুষ্ঠিত হবে। ইরানের পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশের কর্মকর্তাদের উদ্ধৃত করে তাসনিম আরও জানিয়েছে, প্রেসিডেন্টের পাশাপাশি নিহত সফরসঙ্গীদেরও জানাজা হবে সেখানে। তার আগে, মরদেহগুলো তাবরিজের ফরেনসিক বিভাগে রাখা হবে।

উল্লেখ্য, রোববার (১৯ মে) ইরানের পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশের জোলফা এলাকার কাছে হেলিকপ্টারটি বিধ্বস্ত হয়। হেলিকপ্টারে ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি, পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির আব্দোল্লাহিয়ানসহ দেশটির কয়েকজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা ছিলেন। এ ঘটনায় ইরানের প্রেসিডেন্ট, পররাষ্ট্রমন্ত্রীসহ সব আরোহী নিহত হয়েছেন।

  মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন

;

রাইসির মৃত্যুতে খামেনির কান্না, বললেন দেশ একজন সেবককে হারাল



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি দেশটির প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসির মৃত্যুতে গভীর দুঃখ ও শোক প্রকাশ করেছেন ।

ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে দেওয়া এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, আমরা আল্লাহর কাছ থেকে এসেছি এবং তার কাছেই ফিরে যাব। দেশ একজন আন্তরিক ও মূল্যবান সেবককে হারাল। খবর রয়টার্সের।

খামেনি বলেন, অত্যন্ত দুঃখ ও পরিতাপের সাথে জানাচ্ছি, আমাদের একনিষ্ঠ (ধর্মীয়) আলেম, জনপ্রিয় প্রেসিডেন্ট, ইমাম রেজা (আঃ)-এর সেবক ইব্রাহিম রাইসি ও তার সঙ্গীদের শাহাদাতের তিক্ত সংবাদ পেলাম। আল্লাহ তাদের আশীর্বাদ করুন এবং শান্তি দান করুন।

তিনি বলেন, এই দুর্ভাগ্যজনক ঘটনাটি ঘটল তখন তিনি জাতির সেবক হিসেবে কাজ করছিলেন। রাইসি ছিলেন একজন মহৎ ব্যক্তি যিনি প্রেসিডেন্ট হিসেবে তার স্বল্প সময়ে জনগণ, দেশ ও ইসলামের সেবায় তার সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে গিয়েছেন। তার কাছে জনগণের কল্যাণ ও সন্তুষ্টি সবকিছুর ওপরে ছিল।

উল্লেখ্য, রোববার (১৯ মে) ইরানের পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশের জোলফা এলাকার কাছে হেলিকপ্টারটি বিধ্বস্ত হয়। হেলিকপ্টারে ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি, পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির আব্দোল্লাহিয়ানসহ দেশটির কয়েকজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা ছিলেন। এ ঘটনায় ইরানের প্রেসিডেন্ট, পররাষ্ট্রমন্ত্রীসহ সব আরোহী নিহত হয়েছেন।

  মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন

;