আমেরিকার ভবিষ্যৎ: পতন না পুনরুত্থান? 

  মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন


ড. মাহফুজ পারভেজ, অ্যাসোসিয়েট এডিটর, বার্তা২৪.কম
আমেরিকার ভবিষ্যতে পতন না পুনরুত্থান লুক্কায়িত রয়েছে? ছবি: সংগৃহীত

আমেরিকার ভবিষ্যতে পতন না পুনরুত্থান লুক্কায়িত রয়েছে? ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

একদিকে সংঘাত পেরিয়ে যখন নতুন প্রেসিডেন্ট বাইডেন ক্ষমতা গ্রহণ করছেন, তখন অন্যদিকে পণ্ডিতদের কপালে আমেরিকার ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তার রেখা দেখা যাচ্ছে। কেউ কেউ বলছেন, সোভিয়েত ইউনিয়নের মতো ধসে পড়বে মহা শক্তিধর আমেরিকা।

'আমেরিকার ভবিতব্য' বিষয়ক বিশ্লেষণের দিক থেকে সবার আগে আছেন জাপানি পণ্ডিতগণ। তারা দাবি করেছেন, আগামী ১০ বছরের মধ্যে আমেরিকার পতন হবে। ঠিক সেভাবেই, যে রূপ পতন হয়েছিল সোভিয়েত ইউনিয়নের।

জাপানের নাগুয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর কোবায়াসি কোইচি এমন মন্তব্য করেছেন। তার মতে, আগামী ১০ বছরের মধ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পতন হবে। যেভাবে পতন হয়েছিল সোভিয়েত ইউনিয়নের। এই পতনকে বিশ্ববাসী নিজের চোখে দেখতে পারবেন বলেই মনে করছেন এই প্রফেসর।

বিশ্বসভ্যতা ইতিহাসে কোনো সাম্রাজ্যের উত্থান-পতন নতুন কোনো বিষয় নয়। অতীতে বহু অজেয় এবং পরাক্রমশালী রাষ্ট্র ও সাম্রাজ্যের পতন হয়েছে তাসের ঘরের মতো।

ইতিহাসে দেখা গেছে, ক্রমান্বয় একটি সভ্যতা বিকশিত হয়ে এক পর্যায়ে চূড়ান্ত সীমায় পৌঁছলে তারপর সভ্যতার অধঃপতন শুরু হয়। অর্থাৎ চরম শিখরে উপনীত হবার মধ্য দিয়ে সভ্যতা লালনকারী জনগোষ্ঠী তাদের বুদ্ধিমত্তা, উদ্ভাবনী ক্ষমতা তথা যাবতীয় কর্ম প্রচেষ্টা প্রয়োগের মাধ্যমে নিঃশেষিত হয়ে যায়। এমন অবস্থায় তাদের পক্ষে সভ্যতাটিকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার কোনো উপায় থাকে না। তখনই সভ্যতার পতন অনিবার্য হয়ে ওঠে।

তেমন পরিস্থিতিতে সভ্যতার বহিরঙ্গ ও অভ্যন্তরের শক্তির অবক্ষয়ের মধ্য দিয়ে সার্বিক শ্রীহীনতা স্পষ্ট হয়ে ওঠে। দেখা দেয় বিভিন্ন ধরনের অন্তঃদেশীয় ও আন্তঃদেশীয় সমস্যা ও কোন্দল, যা রাষ্ট্রীয় কাঠামো মোকাবিলা করতে  ব্যর্থ হয়।

এমন ক্ষয়িষ্ণ পরিস্থিতি কিছু দিন থাকার পরই শুরু হয় শীর্ষস্থানীয় সভ্যতার পতন। অবশ্যই প্রাকৃতিক বিপর্যয়, আবহাওয়া-জলবায়ুতে মারাত্মক পরিবর্তন, নদ-নদীর গতি প্রবাহে পরিবর্তন, বহিঃ আক্রমণ প্রভৃতি কারণেও সভ্যতার পতন ঘটতে পারে। যেমন ঘটে মানবিক বিপর্যয় ও সংঘাতের কারণেও।

বিশ্বসভ্যতার উত্থান-পতনকে কেন্দ্র করে যেসব মতবাদ বা তত্ত্ব সমাজবিজ্ঞানের চর্চায় প্রচলিত রয়েছে, পাঁচটি প্রধান। তবে সবচেয়ে আলোচিত ও গ্রহণযোগ্য তত্ত্বের জনক বিশ্ববিশ্রুত পণ্ডিত ইবনে খালদুন।

ইবনে খালদুন রাষ্ট্রের উৎপত্তি, বিকাশ, উত্থান-পতন, অবক্ষয় প্রভৃতিকে কালিক ক্রমিকতার সমাজতাত্ত্বিক দৃষ্টিতে বিশ্লেষণ করেছেন। তিনি রাষ্ট্রের আয়ুস্কাল ১২০ বছর নির্ধারণ করে একে ৪০ বছর ব্যাপি তিনটি পর্বে বিভক্ত করেন। প্রথম পর্বে মানুষ ঐক্যবদ্ধভাবে শাসকের প্রতি অনুগত থাকে। দ্বিতীয় পর্বে সূচিত হয় সভ্যতা। এ পর্বে শিথিল হয় আদিম ঐক্যর প্রেরণা। এবং শাসকের কর্তৃত্বের প্রতি আনুগত্যেরও দেখা যায় ফাটল। তৃতীয় পর্বে এসে সম্পূর্ণ বিলুপ্ত হয়ে যায় আদিম ঐক্যবোধ। এবং অনিবার্য হয়ে পড়ে রাষ্ট্রের মৃত্যু তথা সভ্যতার পতন।

সভ্যতার উত্থান-পতন চক্রের পর্যালোচনায় আমেরিকার পরিস্থিতিকে পতনের পথে বলার মতো কারণ দেখা দিয়েছে। বিশেষত, দেশটিতে সাম্প্রতিককালে ঘটে যাওয়া ঘটনাগুলোর আলোকে পতন ও অবক্ষয়ের আমেরিকার দুর্গতি বিশ্ববাসীর সামনে সুস্পষ্টভাবে প্রতিভাত হয়েছে।

এমনই পটভূমিতে জাপানি পণ্ডিত প্রফেসর কোবায়াসি কোইচি আমেরিকার পতন সম্পর্কে যে মন্তব্য করেছেন, তা বিশেষভাবে প্রণিধানযোগ্য। তার মতে, তিনটি প্রধান কারণ রয়েছে আমেরিকার পতনের। সেগুলো হলো: ১) আমেরিকার বিদেশনীতি, ২) আমেরিকার নাগরিকদের স্বাধীনতা, এবং ৩) আমেরিকায় যন্ত্রের প্রয়োগে আধিক্য।

জাপানি প্রফেসর তার বিশ্লেষণে বলেছেন, আমেরিকায় কিছুদিন আগেই এক কৃষ্ণাঙ্গের ওপর হামলা করে একদল উগ্র শ্বেতাঙ্গ বর্ণবাদী। পরবর্তীকালে কৃষ্ণাঙ্গরাও মার্কিন নাগরিকদের ওপর হামলা করে সেই ঘটনার বদলা নেন। ঘটনাটি নিয়ে বেশ শোরগোল পড়েছিল মার্কিন মুলুকে। এই ধরনের দাঙ্গা এর আগেও আমেরিকায় হয়েছে। তবে আগামী দিনে এই ঘটনা আরও বাড়বে। প্রশাসন কার দিকে তাদের সমর্থনের হাত বাড়িয়ে দেবে তার ওপর নির্ভর করবে সেই সময়ের পরিস্থিতি। বিদায়ী প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সমর্থকরা যেভাবে বিদ্রোহ করেছিলেন তা এই ঘটনার নতুন একটি দিক সামনে আনে। বিদ্রোহীদের হাতে যে ধরনের অস্ত্রের হদিস মিলেছে তা অতি উন্নত, বিপজ্জনক এবং রাষ্ট্রীয়, সামাজিক ও নাগরিক নিরাপত্তার জন্য চরম হুমকি স্বরূপ।

বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কার পাশাপাশি আমেরিকার সাম্প্রতিক পরিস্থিতি নিয়ে পরিচালিত একাধিক সামাজিক সমীক্ষায় দেখা গেছে, বিগত বেশ কয়েক বছর ধরেই মার্কিন দেশে মার্কিনীদের সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে কমছে। সেদিক থেকে দেখা যায়, কৃষ্ণাঙ্গদের পাশাপাশি অন্য দেশ থেকে আসা বিদেশিরা তাদের আধিক্য বাড়িয়ে চলেছে। এই ধারা চলতে থাকলে আগামী দিনে মার্কিন নাগরিকরা যথেষ্ট চাপের সামনে পড়বেন। তাদেরকে ছাপিয়ে যাবে বিদেশীরা। ফলে মার্কিন রাজনীতি যথেষ্ট পরিমাণে পরিবর্তন‍ হবে। সাদা এবং কালোর এই লড়াইতে শেষ হাসি কে হাসবে সেকথা এখনই বলা না গেলেও অনুমান করা যায়, এই অবস্থা ভয়ঙ্কর রূপ নেবে।

অথচ আমেরিকার প্রকৃত চিত্রটি ছিল ভিন্ন। দেশটি ছিল বিশ্বের সকল দেশ থেকে আগত অভিবাসীদের স্বাগত জানাতে উন্মুখ। তখন পরিস্থিতি এমন ছিল যে, বিশ্বের যেকোনও দেশের নাগরিকরা আমেরিকায় গিয়ে কাজ করতে বা থাকতে পছন্দ করতেন। যা ছিল আমেরিকার শক্তি, ঐক্য ও সমৃদ্ধির মূল চাবিকাঠি।

কিন্তু ক্রমশ এই ধারার বদল ঘটেছে। খোদ মার্কিন নাগরিকরা এবার বিশ্বের অন্য দেশে গিয়ে নিজেদের জীবন অতিবাহিত করতে চাইছেন। সম্প্রদায় ও জাতিগত হিংসার বিষবাষ্প প্রায়ই নাগরিক ও সমাজ জীবনকে রক্তাক্ত করছে। উপরন্তু  আমেরিকার বিদেশনীতি আক্রমণাত্মক, যুদ্ধবাজ ও অমানবিক রূপে সমালোচিত হচ্ছে। দেশের ভেতরে ও বাইরে আমেরিকার এহেন অবক্ষয়ের চিত্র দেশটির দুর্বলতা ও পতনের পদচিহ্ন বলে মনে করছেন পণ্ডিতগণ।

ফলে প্রশ্ন ও বিতর্ক উঠেছে এই বলে যে, আগামী ১০ বছরেই কি ভেঙে যাবে আমেরিকা? এটা অনেকটা অবিশ্বাস্য ও অকল্পনীয় প্রশ্ন বলে মনে হলেও অসম্ভব নয়। আসিরিয়া, ব্যাবিলন, মায়া, ইনকা, অ্যাজটেক, গ্রিক, রোমান প্রভৃতি মহা পরাক্রমশালী সভ্যতার মতোই নিকট-অতীতে ভেঙে পড়েছিল সোভিয়েত ইউনিয়ন। টাইটানিক জাহাজের যেমন নিমজ্জিত হওয়ার কথা না থাকলেও সেটি ডুবে গিয়েছিল, তেমনিভাবে মহাশক্তিধর রাষ্ট্র বা সাম্রাজ্যের পতন অভাবণীয় মনে হলেও মোটেই অসম্ভব নয়।

আমেরিকার ক্ষেত্রে চিত্রটি কেমন হবে, তার উত্তর একমাত্র ভবিষ্যতের গর্ভেই লুকিয়ে আছে। আমেরিকার ভবিষ্যতে পতন নাকি পুনরুত্থান লুক্কায়িত রয়েছে, সেটাই এখন বিশ্ববাসীর দেখার বিষয়।

   

জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে রাইসির স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমিরাব্দুল্লাহিয়ানের মৃত্যুতে এক মিনিট নীরবতা পালন করেছে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ।

সোমবার (২০ মে) জাতিসংঘের সর্বোচ্চ এ পরিষদের অধিবেশনে রাইসি ও তার সঙ্গীদের স্মরণে এ নীরবতা পালন করা হয়।

বার্তাসংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়,  এক প্রতিবেদনে বার্তাসংস্থা ইরনা জানায়, জাতিসংঘে নিযুক্ত মোজাম্বিকের রাষ্ট্রদূত পেদ্রো কমিসারিও আফনসো মে মাসের জন্য নিরাপত্তা পরিষদের সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন। সোমবার সকালে জাতিসংঘের সদর দপ্তরে নিরাপত্তা পরিষদের অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়।

অধিবেশনের শুরুতে হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় নিহত ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসির স্মরণে নিরাপত্তা পরিষদের সদস্যদের দাঁড়িয়ে এক মিনিট নীরবতা পালনের আহ্বান জানান পেদ্রো কমিসারিও।

রোববার (১৯ মে) আজারবাইজানের প্রেসিডেন্ট ইলহাম আলিয়েভের সঙ্গে ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি দু’দেশের যৌথভাবে নির্মিত একটি বাঁধ উদ্বোধন করেছিলেন। সেখান থেকে তিনটি হেলিকপ্টারের বহর নিয়ে ইরানের পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশের রাজধানী তাবরিজে ফিরছিলেন রাইসি ও তার সঙ্গে থাকা অন্য কর্মকর্তারা।

পথে পূর্ব আজারবাইজানের জোলফা এলাকার কাছে দুর্গম পাহাড়ে রাইসিকে বহনকারী বেল-২১২ মডেলের হেলিকপ্টারটি বিধ্বস্ত হয়। এতে রাইসিসহ ওই হেলিকপ্টারের সব যাত্রী নিহত হন। অবশ্য অন্য দুটি হেলিকপ্টার নিরাপদে গন্তব্যে পৌঁছায়।

  মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন

;

গাজায় যা ঘটছে তা গণহত্যা নয়: বাইডেন



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন জোরালোভাবে ইসরায়েলের পক্ষ নিয়ে কথা বলেছেন। ফিলিস্তিনপন্থি প্রতিবাদকারীদের সমালোচনা প্রত্যাখ্যান করে তিনি বলেছেন, গাজায় হামাসের ‘জঙ্গিদের’ বিরুদ্ধে সামরিক অভিযানে ইসরায়েলি বাহিনী গণহত্যা সংঘটিত করছে না।

সোমবার (২০ মে) হোয়াইট হাউজে ‘ইহুদি আমেরিকান হেরিটেজ মাস’ অনুষ্ঠানে বাইডেন বলেন, গাজায় যা ঘটছে তা গণহত্যা নয়। আমরা তা প্রত্যাখ্যান করছি।

যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে তার বিভিন্ন অনুষ্ঠানে বাইডেন নিয়মিত ফিলিস্তিনপন্থি বক্তাদের প্রতিবাদের মুখোমুখি হচ্ছেন। ইসরায়েলের পক্ষে তার অবিচল সমর্থনের জন্য এসব প্রতিবাদকারীরা বাইডেনকে ‘গণহত্যা জো’ তকমা দিয়েছে বলে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে।

বাইডেন বলেন, ইসরায়েলের নিজেই হামাস ‘জঙ্গিদের’ হামলার ভুক্তভোগী। ৭ অক্টোবর ইসরায়েল দক্ষিণাঞ্চলে হামাস ‘জঙ্গিরা’ হামলা চালিয়ে ১২০০ জনকে হত্যা আর কয়েকশ জনকে জিম্মি করে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, ইসরায়েলের নিরাপত্তা ও সুরক্ষার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন ‘লৌহদৃঢ়’।

সিনওয়ার ও হামাসের বাকি কসাইদের অপসারণ করতে ইসরায়েলের পাশে আছি আমরা। আমরা হামাসের পরাজয় চাই। এটি করার জন্য ইসরায়েলের সঙ্গে কাজ করছি আমরা, বলেন তিনি।

গাজায় হামাসের হাতে বন্দি ইসরায়েলি জিম্মিদের মধ্যে যারা অসুস্থ, বয়স্ক ও আহত তাদের মুক্তির জন্য ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে চলা আলোচনা স্থবির হয়ে আছে, কিন্তু বাইডেন তাদের মুক্তির চেষ্টায় ক্ষান্ত না দেওয়ার অঙ্গীকার করেছেন।

তিনি বলেন, যত কঠিনই হোক না কেন আমরা তাদের বাড়িতে ফিরিয়ে আনতে যাচ্ছি, বাড়িতে ফিরিয়ে আনতে যাচ্ছি। বাইডেন গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতিরও আহ্বান জানিয়েছেন।

  মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন

;

মিয়ানমার সংঘাত

দক্ষিণে ব্যাপক সংঘর্ষ, সরকারি কর্মীদের সরাচ্ছে জান্তা



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

মিয়ানমারে আরাকান আর্মি ও বিদ্রোহী গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘাত তীব্র থেকে তীব্রতর হচ্ছে। এ পরস্থিতিতে দক্ষিণাঞ্চলের শহরগুলো থেকে সরকারি কর্মীদের সরিয়ে নিচ্ছে জান্তা সরকার।

সোমবার (২০ মে) সংবাদ মাধ্যম ইরাবতীর এক প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশিত হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, কাচিন রাজ্যে জান্তা সেনাদের ঘাঁটি টার্গেট করে হামলা চালাচ্ছে কাচিন ইন্ডিপেন্ডেন্স আর্মি। ব্যাপক সহিংসতার কারণে গত সপ্তাহ ধরে থান্ডওয়ে থেকে সরকারি কর্মকর্তা- কর্মচারীদের সরিয়ে নিচ্ছে মিয়ানমার জান্তা সরকার। বাসিন্দারা জানান, বড় বড় ট্রাকে করে সরকারি সব অফিস থেকে আসাবপত্র সরিয়ে নেয়া হচ্ছে।

থান্ডওয়ের একজন বাসিন্দা বলেছেন, 'জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের যন্ত্রপাতি এবং সরকারি কর্মীদের ওই এলাকার একটি ধর্মীয় হলে রাখা হয়েছিল। তাদের সরানো হচ্ছে। আমি তাদের ইয়াঙ্গুনে গাড়ি চালাতে দেখেছি। আমি এখন পর্যন্ত ৪৮টি ভারী যন্ত্রপাতির ইউনিট এখানে এসেছে।'

এর আগে গত ১৩ এপ্রিল টাউনশিপে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে থান্ডওয়েতে সরকার এবং আরাকান আর্মির মধ্যে কমপক্ষে ১০ বার সংঘর্ষ হয়েছে। গত বছরের নভেম্বরে রাখাইন রাজ্যে শুরু হওয়া সংঘর্ষে দেশটিতে বেসামরিক হতাহতের সংখ্যা ক্রমাগত বেড়েই চলেছে। বিদ্রোহীদের হামলার মুখে একের পর এক ঘাঁটি হাতছাড়া হচ্ছে সেনাদের। রাখাইন, কাচিন রাজ্য, বাগো অঞ্চলে বিদ্রোহীদের সঙ্গে জান্তা বাহিনীর ব্যাপক সংঘর্ষের খবর পাওয়া গেছে।

এছাড়াও, ভারত সীমান্তবর্তী আরও দুটি শহরের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে বিদ্রোহীরা। সোমবার ইরাবতি জানায়, চীন রাজ্যের উত্তরাঞ্চলের সিখা ও টনজ্যং শহরের নিয়ন্ত্রণ নেয় বিদ্রোহী গোষ্ঠী চীন ন্যাশনাল আর্মি। অঞ্চলটিতে গেলো কয়েকদিন ধরে জান্তা সেনাদের সঙ্গে বিদ্রোহীদের ব্যাপক সংঘর্ষের খবর পাওয়া গেছে।

  মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন

;

তাবরিজ শহরে রাইসির মরদেহ, দাফন হবে মাশাহাদে



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম ইসিসহ নিহত সবার মরদেহ সোমবার থেকে ইরানের উত্তর–পশ্চিমাঞ্চলের তাবরিজ শহরেই রাখা হয়েছে। সেখানে প্রথম জানাজা শেষে রাইসির মরদেহ নেওয়া হবে রাজধানী শহর তেহরানে।

ইরানের ইসলামিক প্রোপাগেশন অর্গানাইজেশনের তাবরিজ দপ্তরের পরিচালক হোজ্জাতোলেসলাম মাহমুদ হোসেইনি জানিয়েছেন, তাবরিজের কবরস্থানে প্রেসিডেন্ট রাইসিসহ বাকিদের মরদেহ রাখা হবে। মঙ্গলবার (২১ মে) সেখানে জানাজা হবে। এরপর তাবরিজের মানুষ প্রয়াত প্রেসিডেন্টকে শেষবিদায় জানাবেন। 

এই কর্মকর্তা আরও জানান, বুধবার (২২ মে) তেহরানে রাইসির জানাজা হওয়ার কথা রয়েছে। সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লা আলী খামেনি তাতে অংশ নেবেন। এর একদিন পর জন্মশহর মাশাহাদে রাইসিকে দাফন করা হতে পারে। 

এদিকে তেহরানের শহরতলিতে রাইসির স্মরণে একটি আয়োজন চলছে। সেখানে অনেক মানুষ জড়ো হয়ে প্রয়াত প্রেসিডেন্টকে স্মরণ করছেন, শোক জানাচ্ছেন।

রোববার আজারবাইজানের সীমান্তবর্তী এলাকায় গত দুই দেশের যৌথভাবে নির্মিত একটি বাঁধ উদ্বোধন করতে গিয়েছিলেন প্রেসিডেন্ট রাইসি। সেখানে আজারবাইজানের প্রেসিডেন্ট ইলহাম আলিয়েভও ছিলেন। তিনটি হেলিকপ্টারের বহর নিয়ে ইরানের পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশের রাজধানী তাবরিজে ফিরছিলেন রাইসি, পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির আব্দোল্লাহিয়ানসহ অন্য কর্মকর্তারা। পথে পূর্ব আজারবাইজানের জোলফা এলাকার কাছে দুর্গম পাহাড়ে প্রেসিডেন্ট ও পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে বহনকারী বেল-২১২ মডেলের হেলিকপ্টারটি বিধ্বস্ত হয়। অন্য দুটি হেলিকপ্টার নিরাপদে গন্তব্যে পৌঁছায়।

প্রায় ১৬ ঘণ্টা পর সোমবার ইরানের আধা সরকারি বার্তা সংস্থা মেহর নিউজের খবরে বলা হয়, ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি দেশটির জনগণের জন্য তার দায়িত্ব পালন করার সময় একটি দুর্ঘটনার শিকার হয়েছেন। তিনি শহীদ হয়েছেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির আব্দোল্লাহিয়ানসহ বাকিরাও নিহত হয়েছেন।

  মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন

;