অভিষেক ভাষণে কী বলবেন বাইডেন?

  মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন


আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আগামীকাল বুধবার দুপুরে শপথ গ্রহণ করবেন আমেরিকার নতুন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। এসময় তিনি প্রেসিডেন্ট হিসেবে অভিষেক ভাষণও দেবেন। কিন্তু তিনি ভাষণে কী বলবেন তা নিয়ে বিশ্বজুড়ে চলছে নানান জল্পনা-কল্পনা। কারণ জো বাইডেন গত চার দশকে ক্যাপিটল হিলের ভেতরে আইনপ্রণেতা, প্রশাসনিক কর্মকর্তা বা ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে বহুবার বক্তব্য দিয়েছেন। কিন্তু এবার তাকে প্রেসিডেন্ট হিসেবে বক্তব্য দিতে হবে। আর তাই এই ভাষণের গুরুত্ব একেবারে আলাদা।

অনেকেই ধারণা করছেন, গত ৭ নভেম্বর বিজয় নিশ্চিত হওয়ার পর দেওয়া বাইডেনের বক্তব্যের যে মূল সুর ছিল, তা-ই এখানে মুখ্য হয়ে উঠবে। তার ভাষণের মূল বক্তব্য হবে ঐক্য।

মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন’র এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছ, মার্কিন প্রেসিডেন্টদের অভিষেক বক্তৃতায় যুক্তরাষ্ট্রের ভাবি পররাষ্ট্রনীতি, অর্থনৈতিক পরিকল্পনা থেকে শুরু করে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়াদি সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যায়। দীর্ঘ দিনের অভিজ্ঞতা থেকে বাইডেন এই বিষয়টি সম্পর্কে খুব ভালোভাবেই ওয়াকিবহাল। ফলে নির্বাচনে বিজয় নিশ্চিত হওয়ার পর থেকেই একটু একটু করে তিনি তার অভিষেক ভাষণটি লেখার কাজ করছেন। তবে ডোনাল্ড ট্রাম্পের কারণে বাইডেন এ কাজ নিরবচ্ছিন্নভাবে করতে পারছেন না। নির্বাচনে পরাজয়ের পর থেকেই ফল না মেনে ভুয়া ‘ভোট জালিয়াতির’ অভিযোগ তুলে একের পর এক ঝামেলা পাকাচ্ছেন তিনি।

সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ফ্রাঙ্কলিন ডি রুজভেল্টের পর সবচেয়ে চ্যালেঞ্জিং সময়ে যুক্তরাষ্ট্রের দায়িত্ব নিচ্ছেন জো বাইডেন। গত শতকের তিরিশের দশকের মহামন্দার সময় দায়িত্ব নিয়েছিলেন রুজভেল্ট। আর এবার বাইডেন নিচ্ছেন প্রায় কাছাকাছি মাত্রার অর্থনৈতিক সংকটের সময়ই শুধু নয়, এ সময় মহামারি ও ডোনাল্ড ট্রাম্পের ছড়ানো জাতিবিভেদ ও সহিংসতার বিষেও আক্রান্ত যুক্তরাষ্ট্র। তাই, এবারের অভিষেক ভাষণটি বিশেষ গুরুত্ব বহন করছে। এই ভাষণ লেখার কাজে সহায়তা করছেন বাইডেনের বহু দিনের উপদেষ্টা এবং ওয়েস্ট উইংয়ে বাইডেনের সঙ্গে যোগ দিতে যাওয়া মাইক ডোনিলন। বক্তৃতাটিকে আকার দিতে সহায়তা করছেন ইতিহাসবিদ ও প্রেসিডেনশিয়াল জীবনীকার জন মিচ্যাম।

বাইডেনের উপদেষ্টাদের বরাত দিয়ে সিএনএন’র ওই প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ আছে, বাইডেন চান অভিষেক বক্তব্যটি একটি চমক হয়ে সামনে আসুক। আবার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কারণে ভাষণে এতবার পরিবর্তন আনতে হচ্ছে যে, আগে থেকে এই ভাষণ সম্পর্কে ধারণা পাওয়া কঠিন হয়ে পড়েছে। তবে একেবারে ধারণা পাওয়া যাচ্ছে না, এমন নয়।

অনেকে বলছেন, বিজয় নিশ্চিত হওয়ার পর তার বক্তব্যের মূল কথা ছিল, ‘চলুন আমরা পরস্পরকে আরেকটি সুযোগ দিই।’ সে সময় বাইডেন বলেছিলেন, ‘নিষ্ঠুর আচরণ থেকে দূরে সরে উত্তেজনা কমিয়ে পরস্পরের দিকে তাকানোর সময় এটি। চলুন আরেকবার আমরা পরস্পরের কথা শুনি। এগিয়ে যেতে হলে আমাদের প্রতিদ্বন্দ্বীদের শত্রু হিসেবে গণ্য করাটা থামাতে হবে। তারা আমাদের শত্রু নয়, তারাও আমেরিকান।’

কিন্তু বাইডেনের এই ভাষাকে ডোনাল্ড ট্রাম্প সমর্থকেরা শুধু নন, ডোনাল্ড ট্রাম্প নিজেও পাঠ করতে পারেননি। পাঠ করলে গত ৬ জানুয়ারি ক্যাপিটল হিল হামলার ঘটনা ঘটতো না। বাইডেনের বিজয় প্রত্যয়ন মুহূর্তটিকে ঘিরে এমন উত্তেজনার জন্ম দিতেন না ট্রাম্প। কিন্তু এসবই ঘটেছে। কংগ্রেসে দ্বিতীয়বার অভিশংসিত হয়েছেন ট্রাম্প, যার পূর্ণাঙ্গ মীমাংসাটি আসবে বাইডেন প্রশাসনের শুরুর সপ্তাহগুলোয়। এই বাস্তবতার মধ্যেই আগামীকাল বুধবার ক্যাপিটল হিলে আবার বক্তব্য দিতে দাঁড়াবেন বাইডেন।

গত চার দশকে বহুবার এই একই জায়গা থেকে বক্তব্য রেখেছেন বাইডেন। টানা ৩৬ বছর গুরুত্বপূর্ণ সিনেটর হিসেবে বক্তব্য দিয়েছেন। আর টানা আট বছর বক্তব্য দিয়েছেন ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে। কিন্তু এবারের বক্তব্যটি ধারে ও ভারে এবং প্রভাবে একেবারেই আলাদা। গোটা যুক্তরাষ্ট্রই শুধু নয়, গোটা বিশ্বই তার এই বক্তব্য শোনার জন্য উদ্‌গ্রীব হয়ে আছে।

এ বিষয়ে বাইডেনের এক উপদেষ্টা সিএনএনকে জানান, এত কিছু ঘটার পরও, এই দেশ এত পীড়নের মধ্য দিয়ে যাওয়ার পরও এই জাতির আত্মার পুনরুজ্জীবনের বার্তা দিতে তিনি কখনো দ্বিধা করেননি।

বাইডেনের সম্ভাব্য ভাষণ সম্পর্কে সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার মুখ্য বক্তৃতা লেখক জন ফ্যাব্রিউ সিএনএনকে জানান, বাইডেনের ভাষণ তৈরি তুলনামূলক সহজ হবে। তিনি যা এবং তিনি যার স্থলাভিষিক্ত হচ্ছেন—এ দুই কারণেই এটি সহজ হবে। আমরা এক জাতীয় সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছি, যা এই দেশ সম্পর্কিত যাবতীয় শুভবোধের ওপর আমাদের আস্থাকে পরীক্ষার সামনে ফেলেছে। আর যে মানুষটির দায়িত্ব ছিল আমাদের সহায়তা করার, তিনিই এই সংকটকে ভয়াবহ মাত্রায় নিয়ে গেছেন। যত ভালোভাবেই লেখা হোক বা দেওয়া হোক না কেন এই সামষ্টিক ক্ষতের শুশ্রূষা করতে পারে এমন কোনো অভিষেক ভাষণ নেই। কিন্তু জো বাইডেন এমন একজন যিনি এই সময়েও আস্থা রেখেছেন ইতিবাচকতায়। এই জাতীয় সংকটকে আরও বাড়তে না দিয়ে একে ইতিবাচক দিকে ফেরানোর চেষ্টা করেছেন। ফলে তার পক্ষেই জনগণকে তার পথ অনুসরণ করার আহ্বান জানিয়ে সবচেয়ে ভালো ভাষণটি দেওয়া সম্ভব।

এ বিষয়ে ইতিহাসবিদ ও প্রিন্সটন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক জুলিয়ান জেলিজার জানান, যখন সবাই একই সমতলে থাকে এবং সবাই আপনার কথা শোনে, তখন ঐক্যের ডাক দেওয়া বা মানুষকে উদ্দীপ্ত করাটা এক বিষয়। কিন্তু যখন সবাই বিভাজিত, মেরুকরণ চরম, তখন এমন বার্তা পৌঁছানো ভীষণ কঠিন একটি বিষয়।’

 

   

রাইসির উদ্ধারকার্যে যুক্তরাষ্ট্রের সাহায্য চেয়েছিল ইরান



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

কুয়াশাচ্ছন্ন আবহাওয়ায় হেলিকপ্টার দুর্ঘটনার পর যখন ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসির সন্ধান পাওয়া যাচ্ছিল না, তখন চিরশত্রু যুক্তরাষ্ট্রের কাছে সহায়তা চেয়েছিল ইরান।

তবে যুক্তরাষ্ট্র ‘কোনও কারণে’ ইরানের আহ্বানে সাড়া দিয়ে সেই সহায়তা করতে পারেনি বলে জানিয়েছেন স্টেট ডিপার্টমেন্টের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার।

মঙ্গলবার (২১ মে) বার্তাসংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ম্যাথিউ মিলার সাংবাদিকদের বলেন, ‘রাইসির হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হওয়ার পর ইরান সরকার আমাদের কাছে সাহায্য চেয়েছিল। আমরা বলেছিলাম- আমরা সহায়তা করতে ইচ্ছুক। এটি আসলে এমন কিছু যা আমরা এই পরিস্থিতিতে যেকোনো সরকারের ক্ষেত্রেই করব। তবে শেষ পর্যন্ত মূলত লজিস্টিক্যাল কিছু কারণে, আমরা ইরানকে সেই সহায়তা প্রদান করতে পারিনি।’

তবে এই বিষয়ে আরও বিস্তারিতভাবে তথ্য প্রকাশ করেননি তিনি। দুই দেশের মধ্যে কীভাবে যোগাযোগ হয়েছিল তার কোনো বর্ণনাও করেননি ম্যাথিউ মিলার। কিন্তু তিনি ইঙ্গিত দিয়েছেন, দুর্ঘটনার মুখে পড়ার পর অবিলম্বে রাইসির হেলিকপ্টার খুঁজে পেতে সাহায্য চেয়েছিল ইরান।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, দীর্ঘ তল্লাশি অভিযান শেষে পাহাড়ি ও তুষারাবৃত এলাকা থেকে রাইসিসহ সবার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। রাইসিকে বহনকারী হেলিকপ্টার দুর্ঘটনার মুখে পড়ার পর প্রধান শত্রু ইরান তাদের কাছে সহায়তা চেয়েছিল বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। তবে ‘ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও’ সেই সহায়তা করতে পারেনি দেশটি।

১৯৭৯ সালের ইসলামী বিপ্লবের পর থেকে ওয়াশিংটনের সাথে তেহরানের কোনও কূটনৈতিক সম্পর্ক নেই। মর্মান্তিক এই দুর্ঘটনা এমন এক সময়ে ঘটল যখন ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে খোলামেলা সংঘর্ষের পর স্থিতিশীলতা আরও বাড়ানোর লক্ষ্যে যুক্তরাষ্ট্র এবং ইরান ওমানে বেশ গোপনেই তাদের সর্বশেষ আলোচনা সম্পন্ন করেছে।

এদিকে প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসির মৃত্যুতে ‘আনুষ্ঠানিক শোক’ জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্ট এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘ইরান নতুন প্রেসিডেন্ট বেছে নেওয়ার সাথে সাথে আমরা ইরানের জনগণ এবং মানবাধিকার ও মৌলিক স্বাধীনতার জন্য তাদের সংগ্রামের প্রতি আমাদের সমর্থন পুনর্নিশ্চিত করছি।’

অবশ্য প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসন এই শোক ও সমবেদনা প্রকাশকে রাইসির প্রতি সমর্থন হিসেবে নয় বরং বৈশিষ্ট্যসূচক মানদণ্ড হিসেবে বর্ণনা করেছে। ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিলের মুখপাত্র জন কিরবি সাংবাদিকদের বলেন, ‘রাইসি এমন একজন লোক ছিলেন যার হাতে প্রচুর রক্তের দাগ ​​ছিল’।

  মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন

;

জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে রাইসির স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমিরাব্দুল্লাহিয়ানের মৃত্যুতে এক মিনিট নীরবতা পালন করেছে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ।

সোমবার (২০ মে) জাতিসংঘের সর্বোচ্চ এ পরিষদের অধিবেশনে রাইসি ও তার সঙ্গীদের স্মরণে এ নীরবতা পালন করা হয়।

বার্তাসংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়,  এক প্রতিবেদনে বার্তাসংস্থা ইরনা জানায়, জাতিসংঘে নিযুক্ত মোজাম্বিকের রাষ্ট্রদূত পেদ্রো কমিসারিও আফনসো মে মাসের জন্য নিরাপত্তা পরিষদের সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন। সোমবার সকালে জাতিসংঘের সদর দপ্তরে নিরাপত্তা পরিষদের অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়।

অধিবেশনের শুরুতে হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় নিহত ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসির স্মরণে নিরাপত্তা পরিষদের সদস্যদের দাঁড়িয়ে এক মিনিট নীরবতা পালনের আহ্বান জানান পেদ্রো কমিসারিও।

রোববার (১৯ মে) আজারবাইজানের প্রেসিডেন্ট ইলহাম আলিয়েভের সঙ্গে ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি দু’দেশের যৌথভাবে নির্মিত একটি বাঁধ উদ্বোধন করেছিলেন। সেখান থেকে তিনটি হেলিকপ্টারের বহর নিয়ে ইরানের পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশের রাজধানী তাবরিজে ফিরছিলেন রাইসি ও তার সঙ্গে থাকা অন্য কর্মকর্তারা।

পথে পূর্ব আজারবাইজানের জোলফা এলাকার কাছে দুর্গম পাহাড়ে রাইসিকে বহনকারী বেল-২১২ মডেলের হেলিকপ্টারটি বিধ্বস্ত হয়। এতে রাইসিসহ ওই হেলিকপ্টারের সব যাত্রী নিহত হন। অবশ্য অন্য দুটি হেলিকপ্টার নিরাপদে গন্তব্যে পৌঁছায়।

  মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন

;

গাজায় যা ঘটছে তা গণহত্যা নয়: বাইডেন



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন জোরালোভাবে ইসরায়েলের পক্ষ নিয়ে কথা বলেছেন। ফিলিস্তিনপন্থি প্রতিবাদকারীদের সমালোচনা প্রত্যাখ্যান করে তিনি বলেছেন, গাজায় হামাসের ‘জঙ্গিদের’ বিরুদ্ধে সামরিক অভিযানে ইসরায়েলি বাহিনী গণহত্যা সংঘটিত করছে না।

সোমবার (২০ মে) হোয়াইট হাউজে ‘ইহুদি আমেরিকান হেরিটেজ মাস’ অনুষ্ঠানে বাইডেন বলেন, গাজায় যা ঘটছে তা গণহত্যা নয়। আমরা তা প্রত্যাখ্যান করছি।

যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে তার বিভিন্ন অনুষ্ঠানে বাইডেন নিয়মিত ফিলিস্তিনপন্থি বক্তাদের প্রতিবাদের মুখোমুখি হচ্ছেন। ইসরায়েলের পক্ষে তার অবিচল সমর্থনের জন্য এসব প্রতিবাদকারীরা বাইডেনকে ‘গণহত্যা জো’ তকমা দিয়েছে বলে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে।

বাইডেন বলেন, ইসরায়েলের নিজেই হামাস ‘জঙ্গিদের’ হামলার ভুক্তভোগী। ৭ অক্টোবর ইসরায়েল দক্ষিণাঞ্চলে হামাস ‘জঙ্গিরা’ হামলা চালিয়ে ১২০০ জনকে হত্যা আর কয়েকশ জনকে জিম্মি করে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, ইসরায়েলের নিরাপত্তা ও সুরক্ষার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন ‘লৌহদৃঢ়’।

সিনওয়ার ও হামাসের বাকি কসাইদের অপসারণ করতে ইসরায়েলের পাশে আছি আমরা। আমরা হামাসের পরাজয় চাই। এটি করার জন্য ইসরায়েলের সঙ্গে কাজ করছি আমরা, বলেন তিনি।

গাজায় হামাসের হাতে বন্দি ইসরায়েলি জিম্মিদের মধ্যে যারা অসুস্থ, বয়স্ক ও আহত তাদের মুক্তির জন্য ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে চলা আলোচনা স্থবির হয়ে আছে, কিন্তু বাইডেন তাদের মুক্তির চেষ্টায় ক্ষান্ত না দেওয়ার অঙ্গীকার করেছেন।

তিনি বলেন, যত কঠিনই হোক না কেন আমরা তাদের বাড়িতে ফিরিয়ে আনতে যাচ্ছি, বাড়িতে ফিরিয়ে আনতে যাচ্ছি। বাইডেন গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতিরও আহ্বান জানিয়েছেন।

  মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন

;

মিয়ানমার সংঘাত

দক্ষিণে ব্যাপক সংঘর্ষ, সরকারি কর্মীদের সরাচ্ছে জান্তা



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

মিয়ানমারে আরাকান আর্মি ও বিদ্রোহী গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘাত তীব্র থেকে তীব্রতর হচ্ছে। এ পরস্থিতিতে দক্ষিণাঞ্চলের শহরগুলো থেকে সরকারি কর্মীদের সরিয়ে নিচ্ছে জান্তা সরকার।

সোমবার (২০ মে) সংবাদ মাধ্যম ইরাবতীর এক প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশিত হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, কাচিন রাজ্যে জান্তা সেনাদের ঘাঁটি টার্গেট করে হামলা চালাচ্ছে কাচিন ইন্ডিপেন্ডেন্স আর্মি। ব্যাপক সহিংসতার কারণে গত সপ্তাহ ধরে থান্ডওয়ে থেকে সরকারি কর্মকর্তা- কর্মচারীদের সরিয়ে নিচ্ছে মিয়ানমার জান্তা সরকার। বাসিন্দারা জানান, বড় বড় ট্রাকে করে সরকারি সব অফিস থেকে আসাবপত্র সরিয়ে নেয়া হচ্ছে।

থান্ডওয়ের একজন বাসিন্দা বলেছেন, 'জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের যন্ত্রপাতি এবং সরকারি কর্মীদের ওই এলাকার একটি ধর্মীয় হলে রাখা হয়েছিল। তাদের সরানো হচ্ছে। আমি তাদের ইয়াঙ্গুনে গাড়ি চালাতে দেখেছি। আমি এখন পর্যন্ত ৪৮টি ভারী যন্ত্রপাতির ইউনিট এখানে এসেছে।'

এর আগে গত ১৩ এপ্রিল টাউনশিপে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে থান্ডওয়েতে সরকার এবং আরাকান আর্মির মধ্যে কমপক্ষে ১০ বার সংঘর্ষ হয়েছে। গত বছরের নভেম্বরে রাখাইন রাজ্যে শুরু হওয়া সংঘর্ষে দেশটিতে বেসামরিক হতাহতের সংখ্যা ক্রমাগত বেড়েই চলেছে। বিদ্রোহীদের হামলার মুখে একের পর এক ঘাঁটি হাতছাড়া হচ্ছে সেনাদের। রাখাইন, কাচিন রাজ্য, বাগো অঞ্চলে বিদ্রোহীদের সঙ্গে জান্তা বাহিনীর ব্যাপক সংঘর্ষের খবর পাওয়া গেছে।

এছাড়াও, ভারত সীমান্তবর্তী আরও দুটি শহরের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে বিদ্রোহীরা। সোমবার ইরাবতি জানায়, চীন রাজ্যের উত্তরাঞ্চলের সিখা ও টনজ্যং শহরের নিয়ন্ত্রণ নেয় বিদ্রোহী গোষ্ঠী চীন ন্যাশনাল আর্মি। অঞ্চলটিতে গেলো কয়েকদিন ধরে জান্তা সেনাদের সঙ্গে বিদ্রোহীদের ব্যাপক সংঘর্ষের খবর পাওয়া গেছে।

  মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন

;