সেলফি তুলেই বকশিস চায় কাঙালিনী সুফিয়া



এস এম জামাল, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
সেলফি তুলেই বকশিস চায় কাঙালিনী সুফিয়া। ছবি: বার্তা২৪.কম

সেলফি তুলেই বকশিস চায় কাঙালিনী সুফিয়া। ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

১৯৬১-তে জন্ম নেওয়া এ মানুষটির মুখে এখনো লেগে আছে মায়ামাখা হাসি। কিন্তু এই সহজ-সরল মানুষটির পথ চলা তেমন মসৃণ ছিল না। একজন টুনি হালদার থেকে কাঙালিনী সুফিয়া হয়ে ওঠার গল্পটা অনেক কষ্টের। এসব নিয়েই কথা হয়েছে তার সঙ্গে।

বৃহস্পতিবার (১১ অক্টোবর) কুষ্টিয়া স্টেডিয়ামে ছিল উন্নয়ন কনসার্ট। সেই কনসার্টে মমতাজ, বাপ্পা মজুমদার, শফি মণ্ডলসহ নামীদামি তারকার সঙ্গে কাঙালিনী সুফিয়ারও গান করার কথা ছিল। কিন্তু বিধিবাম, বৈরী আবহাওয়ার কারণে স্থগিত করে দেওয়া হয় অনুষ্ঠান। আয়োজক কমিটি ঘোষণা দেয় অনুষ্ঠান স্থগিত। পরবর্তীতে এর তারিখ জানিয়ে দেওয়া হবে।

অনুষ্ঠানস্থলে আসা দর্শকদের ফিরিয়ে দিচ্ছিল আয়োজক কমিটি। এ সময় বাউল শিল্পী কাঙালিনী সুফিয়া মানুষকে ধরে ধরে বলছে ‘তোরা ছবি তোল, আর বকশিস দে আমাকে’।

‘পরানের বান্ধব রে, বুড়ি হইলাম তোর কারণে’ গানটি এক সময় মানুষের মুখে মুখে ঘুরত। দরাজ গলায় সেই গানটি গাওয়ার শিল্পী কাঙালিনী সুফিয়ার ছবিটা ভেসে উঠত মনের অজান্তে। এরপর সময় পেরিয়ে গেছে বহু বছর। কাঙালিনীর বয়স বেড়েছে, গায়ের তেজটাও নেই আগের মতো। এরপরও গাইছেন। কিন্তু সেটা যতটা মন থেকে, তার চেয়ে বেশি জীবনের প্রয়োজনে।

এদিকে অনুষ্ঠানস্থলে বার্তা২৪.কমের সঙ্গে কথা হয় কাঙালিনী সুফিয়ার। তিনি বলেন, ‘এখানে আইসা দেখি বৃষ্টির কারণে গানের অনুষ্ঠান বাতিল। অনেকেই আমার সঙ্গে ছবি তুলছে। তাই মানুষদের বলছিলাম অনুষ্ঠান না করলে ট্যাকা পামু না। ছবি তোল আর বকশিস দে।’

কাঙালীনি সুফিয়া তার কষ্টের কথা বলতে গেলে মুহূর্তেই মুখটা মলিন হয়ে যায়। নারী পুরুষের এই সমাজে এখনো বৈষম্য রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমি যখন ‘পরানের বান্ধব রে, বুড়ি হইলাম তোর কারণে’ গানটি গাই তখন আক্ষেপ করেই কিছু কথা বলে ফেলি। আমরা মেয়েছেলে (নারী) কতোই না কষ্ট করি। এখনো আমাদের সমাজের নারীরা পুরুষদের চোখে অবহেলিত। বেতনসহ আরও কতো বৈষম্যই না রয়েছে।’ এসব বলেই শুরু হয়, তার গান। ‘কত কষ্ট কইরা আমি, কামাই রোজগার করি, তবুও বুড়োর মন পাইলাম না, ‘পরানের বান্ধবরে, বুড়ি হইলাম তোর কারণে।’

আবার সুখের কথাতেও আনন্দে উদ্বেলিত হয়ে পড়েন এই শিল্পী।

১৯৬১ সালে রাজবাড়ী জেলার বালিয়াকান্দির রামদিয়া গ্রামে জন্ম কাঙালিনীর। তবে তার নাম টুনি হালদার। এই টুনি হালদার থেকে কাঙালিনী সুফিয়া হয়ে ওঠার অনেক গল্প আছে।

তার বাবা খোকন হালদার আর মা টুলু হালদার। তাদের ইচ্ছায় সুধীর হালদার নামের এক বাউলের সঙ্গে বিয়ে হয় তার। বিয়ের পর কোল জুড়ে এক কন্যা সন্তান আসে। নাম রাখা হয় পুষ্প।

তবে স্বামীর নির্যাতনে অতিষ্ঠ হয়ে একমাত্র মেয়ে পুষ্পকে কোলে নিয়ে ঘর ছাড়েন কাঙালিনী। প্রথমে ভেবেছিলেন বাবার বাড়িতে যাবেন। কিন্তু অভিমান করে সেখানেও যাননি। বেছে নেন ভবঘুরে জীবন। এ সময় পরিচয় হয় বেলগাছির লালন সাধক দেবেন ক্ষ্যাপার সঙ্গে।

দেবেনের কাছেই গানের প্রথম তালিম নেন সুফিয়া। এটা ছিল অন্য রকম জীবনযুদ্ধ। তারপরই শুরু হয় মুক্তিযুদ্ধ।

স্বাধীনতা যুদ্ধে সীমান্ত পাড়ি দিয়ে ভারতের রানাঘাটের লালগুলা ক্যাম্পে আশ্রয় নেন সুফিয়া। স্বাধীনতার পর দেশে ফিরে এলেও কপাল ফেরেনি তার। তাই বাধ্য হয়ে ঢাকায় পাড়ি জমান।

প্রথমে হাইকোর্ট আর শাহ আলীর মাজারই ছিল তার ঘরবাড়ি। এখানে ওখানে গান গাওয়ার ডাক এলে ছুটে যেতেন। একদিন শিল্পকলা একাডেমির একটি অনুষ্ঠানে গান গাইতে যান। সেখানে গিয়েই সুফিয়া হয়ে যান কাঙালিনী সুফিয়া।

কীভাবে এটা সম্ভব হল এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘তখন শিল্পকলা একাডেমির ডিজি (মহাপরিচালক) ছিলেন মুস্তাফা মনোয়ার। তিনি আমার গান শুনে নাম দেন ‘কাঙালিনী’। সেই থেকে আমার নামের আগে কাঙালিনী যোগ হয়। কয়েক দিনের মধ্যেই দেশ-বিদেশ থেকে গান গাওয়ার ডাক আসতে থাকে।’

প্রথমদিকে অল্প কিছু সম্মানীর বিনিময়ে গান করলেও কাঙালিনী সুফিয়ার খ্যাতি চারদিকে ছড়িয়ে পড়লে সব কিছু পাল্টে যায়। কাঙালিনী সুফিয়ার ভাষায়, ‘শুরুর দিকে তিনশ টাকার জন্য সারা রাত গান গাইছি। তারপর অবস্থার একটু উন্নতি ঘটল, তখন কেউ পাঁচশ, কেউ এক হাজার টাকা দিত। আর এখন তো গান গাইতে গেলে অনেক টাকা দেয়। তবে এখন বেশির ভাগ টাকাই পার্টি খেয়ে ফেলে। তাই কাঙালিনীর অভাব যায় না।’

কাঙালিনী সুফিয়া সেই ১৪ বছর বয়স থেকে গান গাওয়া শুরু করেন। বয়স ৫৭ পেরিয়েছে অনেক আগেই। তাই সব সময় দূর-দূরান্তে গিয়ে গান গাওয়া সম্ভব হয়ে উঠে না। কুষ্টিয়ার লালন একাডেমীসহ বিভিন্ন এলাকায় একাগ্রচিত্তে গান গেয়ে যান তিনি। গান পরিবেশনের এক ভিন্নমাত্রার ঢং রয়েছে তার মধ্যে। যা মানুষকে আকর্ষণ করে আসছে বহু বছর ধরে।

এ নিয়ে তিনি বলেন, ‘আমি তো গুরু বিদ্যায় বিশ্বাসী। যার কারণে আমার মধ্যে সাধন-ভজন বিষয়টি এখনো কাজ করে। আর এ বিষয়টিকে পুঁজি করেই বেঁচে রয়েছি। গান তো আমার শরীরের প্রত্যেকটি রন্ধ্রে রন্ধ্রে মিশে রয়েছে। যার কারণে অভিমান হয়নি কখনো। যতদিন বেঁচে আছি এভাবেই থাকব।’

   

মোনালি ঠাকুরের মা মারা গেছেন



বিনোদন ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
মা মিনতি ঠাকুর এবং মোনালি ঠাকুর

মা মিনতি ঠাকুর এবং মোনালি ঠাকুর

  • Font increase
  • Font Decrease

বাবার পথে হেঁটেই ভারতীয় বাংলার জনপ্রিয় সঙ্গীত শিল্পী এবং অভিনেত্রী হয়ে ওঠেন মোনালি ঠাকুর। একাধারে কাজ করেছেন বলিউডেও। সঙ্গীত ও অভিনয় শিল্পী শক্তি ঠাকুরের মেয়ে হিসেবে পরিচিত হলেও, মোনালির জীবনের অনুপ্রেরণার এক বিশেষ অংশ ছিলেন তার মা। অবশেষে নাড়ির বন্ধনে আবদ্ধ সম্পর্ক ছিন্ন করে না ফেরার দেশে পাড়ি জমালেন গায়িকার মা মিনতি ঠাকুর।   

মিনতি ঠাকুর (বামে), মোনালি ঠাকুর, মেহুলি ঠাকুর (ডানে)

শুক্রবার (১৭ মে) মায়ের মৃত্যু খবর দিলেন মোনালি ঠাকুরের বড় বোন মেহুলি ঠাকুর। কিডনির সমস্যায় ভুগছিলেন তিনি। দু’টো কিডনিই বিকল হয়ে গিয়েছিল, তাই ডায়ালাইসিস চলছিল। কোলকাতার এক বেসরকারি নার্সিংহোমে চিকিৎসাধীন ছিলেন প্রায় এক মাস ধরে। এপ্রিলের শেষে দিকে ভর্তি হওয়ার পর তাকে লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয়েছিল।

মা মিনতি ঠাকুরের সঙ্গে মোনালি ঠাকুর

মায়ের অবস্থা বিশেষ ভালো নয় আগেই জানিয়েছিলেন মোনালি। বৃহস্পতি তিনি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জানান, মায়ের অবস্থা দিন দিন শোচনীয় হয়ে উটছে। মায়ের সঙ্গে ছোটবেলার এক ছবি শেয়ার করেন তিনি। সাথে লেখেন, ‘কঠিন পরিস্থিতিতে কীভাবে লড়াই করব মা? এই একাকিত্ব, এই যন্ত্রণা। বড্ড অসহায় লাগছে।

মাকে নিয়ে মোনালির আবেগঘন পোস্ট

কিন্তু এবার সময় এসেছে। তাঁকে লাইফ সাপোর্ট থেকে বের করে নেওয়ার মতো কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে হবে আমাকে। তৈরি হতে হবে!  আমার মাকে শান্তি দাও ঈশ্বর এবং আমাকে সাহায্য করো... এখন মাকে ছাড়া আমার জীবনটাই বা কী ভাবে কল্পনা করব? আর নিজেকে ঠিক রাখতে পারছি না।’

২২ দিন টানা চিকিৎসাধীন ছিলেন মিনতি। ১৮ দিনই ছিলেন লাইফসাপোর্টে। শেষে লাইফ সাপোর্ট থেকে বের করে নেওয়ার মতো কঠিন সিদ্ধান্তও নিতে হয়। তখন অক্সিজেন লেভেলও ছিল কম, ৫১ তে। মৃত্যু নিশ্চিত জেনে বাধ্য হয়েই তাই এরকম পদক্ষেপ নেয় ঠাকুর পরিবার। ঠিক একদিন পরই দেহ ত্যাগ করলেন তিনি।

শক্তি ঠাকুর (বামে), প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়, মোনালি ঠাকুর, মেহুলি ঠাকুর (ডানে)

কয়েক বছর আগেই করোনার সময় বাবা শক্তি ঠাকুরকে হারিয়েছিলেন মেহুলি-মোনালি। ২০২০ সালের অক্টোবরে পরপারে চলে যান তিনি। এবার মাকেও হারিয়ে অভিভাবকহারা হলেন তারা।

;

জামদানির পর কানে ভাবনার দেশিয় বেনারসির জৌলুস



মাসিদ রণ, সিনিয়র নিউজরুম এডিটর, বার্তা২৪.কম
কানে সাফিয়া সাথীর বেনারসির পোশাকে ভাবনা

কানে সাফিয়া সাথীর বেনারসির পোশাকে ভাবনা

  • Font increase
  • Font Decrease

মেধাবী অভিনেত্রী আশনা হাবিব ভাবনার কান চলচ্চিত্র উৎসবের যাত্রা এখন বেশ আলোচনায়। তার কানের পোশাক-আশাক দেখে বোঝাই যাচ্ছে, বেশ সময় নিয়ে আটঘাট বেঁধেই ভূমধ্যসাগরের পাড়ে হাজির হয়েছেন।

কানে সাফিয়া সাথীর ডিজাইন করা বেনারসির পোশাকে ভাবনা

তাইতো তার প্রতিদিনের ছবি নিয়ে নেটিজেনদের আগ্রহ ক্রমশ বাড়ছে। প্রথম দুদিন পাশ্চাত্যের গাউন বেছে নিলেও তৃতীয় দিন থেকে এই তারকা হাজির হচ্ছেন দেশি পোশাকে।

কাক খুব ভালোবাসেন। কাকের অনেক ছবি এঁকেছেন। এবার সেই ‘কাক’ পোশাকে ধারণ করে কানের রেড কার্পেটে ভাবনা

নিয়ন গ্রীণ জামদানির সঙ্গে ঢাকার ঐতিহ্য রিকশা পেইন্টের মোটিফে ডিজাইন করা ব্লাউজ পরে বেশ চর্চিত হয়েছেন তিনি। এবার নতুন আরও কিছু ছবি পোস্ট করলেন ভাবনা। এগুলো তার কানের চতুর্থ দিনের লুক।

রিকশা পেইন্টের মোটিফে ডিজাইন করা ব্লাউজ পরে বেশ চর্চিত হয়েছেন ভাবনা

আর এদিনও তিনি বেছে নিলেন দেশিয় কাপড়। জামদানির পর বেনারসির জৌলুসে তাক লাগালেন ভাবনা। তবে দেশি ফেব্রিক বেছে নিলেও তিনি বেনারসি শাড়িতে নিজেকে জড়াননি। বর্তমান সময়ের অন্যতম চাহিদাসম্পন্ন ডিজাইনার সাফিয়া সাথীর নকশা করা কাতানের ভিন্নধর্মী গাউনে ধরা দিয়েছেন গ্ল্যামার গার্ল ভাবনা।

কান চলচ্চিত্র উৎসব প্রাঙ্গনে ভাবনা

মেরুণ কাতানে সোনালি জরির কাজ করা। বোঝাই যাচ্ছে বিয়ের বেনারসি কেটে পোশাকটি ডিজাইন করা হয়েছে। লম্বা টেলওয়ালা গাউনটির এক পাশে স্লিট করা। একপাশে অফ সোল্ডার, অণ্যপাশে ফুল হাতা। সঙ্গে কন্ট্রাস্ট সবুজ ঝোলানো দুল। সবমিলিয়ে নায়িকাকে অণ্য দিনের তুলনায় বেশি গর্জিয়াস লাগছে।

কানে সাফিয়া সাথীর ডিজাইন করা বেনারসির লম্বা টেলওয়ালা গাউনে ভাবনা

ছবি দেখে মনে হচ্ছে, কানের প্রতিটি মুহূর্ত উপভোগ করছেন ভাবনা। প্রতিদিন দারুণসব সিনেমার প্রিমিয়ার শো উপভোগ করছেন। যখন যেমন ইভেন্টে অংশ নিচ্ছেন তখন তেমনি পোশাকে ধরা দিচ্ছেন। এই যেমন খেতে বের হবার সময় পরেছেন অ্যানিমেল প্রিন্টের স্লিভলেস টপ। সঙ্গে নিয়েছেন মেরুণ রঙের ব্র্যান্ডের হাতব্যাগ।

কান চলচ্চিত্র উৎসব প্রাঙ্গনে ভাবনা

;

সদস্যপদ বাতিল : নিজের খোঁড়া গর্তে পড়ছেন নিপুণ?



বিনোদন ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
জায়েদ খান ও নিপুণ আক্তার

জায়েদ খান ও নিপুণ আক্তার

  • Font increase
  • Font Decrease

চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক থাকাকালীন সাবেক সাধারণ সম্পাদক জায়েদ খানের সদস্যপদ বাতিল করেছিলেন নিপুণ আক্তার। গণমাধ্যমে শিল্পী সমিতি ও সাধারণ সম্পাদককে নিয়ে বাজে মন্তব্য করায় এমন সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা জানিয়েছিলেন নিপুণ। এবার একই কারণে সদস্যপদ হারাতে পারেন নিপুণ।

নিপুণের সদস্যপদ কেন বাতিল হবে না, জানতে চেয়ে চিঠি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বর্তমান কমিটি। বৃহস্পতিবার সমিতির কার্যকরী সভা শেষে এমনটা জানিয়েছেন সহ-সভাপতি ডি এ তায়েব।

নিপুণ আক্তার

গত বুধবার ২০২৪-২০২৬ মেয়াদের নির্বাচনের ফল বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে রিট করেন নিপুণ। তাই এ বিষয়ে সমিতির পদক্ষেপ কী হতে পারে তা নিয়ে বৈঠক করেন সদস্যরা।

বৈঠক শেষে ডি এ তায়েব বলেন, ‘রিট করা নিয়ে আমরা এখনো ভাবছি না। আমাদের কাছে নোটিশ এলে আইনিভাবে তা মোকাবিলা করা হবে।’

এর একদিন আগে সাধারণ সম্পাদক মনোয়ার হোসেন ডিপজলকে ‘অশিক্ষিত’সহ নানা কুরুচিপূর্ণ ভাষায় নিপুণ গালাগালি করেন বলেন জানান ডি এ তায়েব। তিনি বলেন, ‘নিপুণ আক্তার গণমাধ্যমে সমিতির সাধারণ সম্পাদকের বিরুদ্ধে যা বলেছেন, তা কুরুচিপূর্ণ, মানহানিকর। তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন কমিটির সবাই। তার সদস্যপদ কেন বাতিল হবে না, জানতে চেয়ে চিঠি দেওয়া হবে। ৭ দিনের মধ্যে যদি তিনি উত্তর না দেন অথবা উত্তর যথোপযুক্ত মনে না হয়, তাহলে তার সদস্যপদ বাতিল করা হবে।’

মিশা সওদাগর ও ডিপজল

বৃহস্পতিবার সমিতির সভার আগে মিশা-ডিপজল প্যানেলকে সংবর্ধনা দিয়েছেন ইলিয়াস কাঞ্চন ও নিপুণের সময় সদস্যপদ ফিরে পাওয়া ১০৩ শিল্পী। এ সময় নির্বাচন বাতিল চেয়ে রিট করা নিপুণকে নিয়ে কথা বলেন শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক ডিপজল। তিনি বলেন, ‘আজকে যাকে (নিপুণ) নিয়ে কথা হচ্ছে, সে তো তার বাপকেই অস্বীকার করছে। রক্তে সমস্যা না থাকলে এটা হওয়ার কথা না। যাকে (ডিপজল) দিয়ে সবাই তার মুখ চিনল, তাকেই সে ভুলে যায়। সে কি আমাদের সঙ্গে টেস্ট খেলতে চায়? আসো খেলো। কিন্তু আমরা চাই ভদ্রতা ও নম্রতা। চলচ্চিত্র কীভাবে এগিয়ে নেওয়া যায় সেদিকেই কাজ করব।’

;

দক্ষিণি ছবিতে নগ্ন এই জনপ্রিয় বাঙালি অভিনেতা!



বিনোদন ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ঋষভ বসু / ছবি : ইন্সটাগ্রাম

ঋষভ বসু / ছবি : ইন্সটাগ্রাম

  • Font increase
  • Font Decrease

কলকাতার অভিনেতা ঋষভ বসু বাংলাদেশেও পরিচিত ওটিটির কল্যাণে। তার অভিনীত ‘শ্রীকান্ত’, ‘ভটভটি’, ‘মহাভারত মার্ডারস’ ইত্যাদি কাজগুলো আলোচিত হয়েছে। এবার টালিউড থেকে দক্ষিণি সিনেমায় দেখা গেল তরুণ এই অভিনেতাকে। তেলেগু ছবি ‘দক্ষিণা’র ট্রেলারে ঋষভকে নগ্ন দেখে চমকে গেছেন তাঁর ভক্ত-অনুসারীরা। 

এর আগে শাশ্বত চট্টোপাধ্যায়, যীশু সেনগুপ্তকে দেখা গেছে দক্ষিণি ছবিতে। এবার একই পথে হাঁটলেন ঋষভ। পরিচালক ওশো তুলসীরামের ডার্ক থ্রিলার ‘দক্ষিণা’ সিনেমার হাত ধরেই তেলেগু ইন্ডাস্ট্রিতে পা রাখলেন তিনি।

ঋষভ বসু / ছবি : ইন্সটাগ্রাম

ট্রেলারেই ইঙ্গিত মিলল যে বাঙালি অভিনেতাকে এখানে নেতিবাচক চরিত্রে দেখা যাবে। একের পর এক মেয়ে খুন করে এক সাইকো কিলার। সেই চরিত্রেই ঋষভ বসু।

প্রথমবার দক্ষিণি ছবিতে পা রেখেই আলোচনায় এই বাঙালি অভিনেতা। চিত্রনাট্যের প্রয়োজনেই ক্যামেরার সামনে নগ্ন হলেন তিনি। ট্রেলারে এক হাড় হিম করা দৃশ্যে ঋষভকে দেখা গেল একেবারে নগ্ন অবস্থায়।

অভিনেতার অবশ্য পর্দায় নগ্নতা নিয়ে কোনো ছুতমার্গ নেই! তাঁর কথায়, ‘এই ছবিতে নগ্নতা প্রযুক্তির সাহায্যে দেখানো হয়েছে। তাই খুব একটা অস্বস্তি হয়নি। তবে চরিত্রের প্রয়োজনে যদি আমাকে নগ্ন হতে হয়, সেটা নিয়ে কোনো ছুতমার্গ নেই।’

ঋষভ বসু / ছবি : ইন্সটাগ্রাম

‘মহাভারত মার্ডারস’-এ ধূসর চরিত্রে ঋষভের অভিনয় দেখেই নাকি ডার্ক থ্রিলার ‘দক্ষিণা’ সিনেমার জন্য তাঁকে বেছে নিয়েছিলেন পরিচালক।

;