মনে পড়ে তাদের কথা?



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
উল্লেখযোগ্য পাঁচ জুটি

উল্লেখযোগ্য পাঁচ জুটি

  • Font increase
  • Font Decrease

রোমান্টিক জুটি ছাড়া কি আর বাংলা সিনেমা হয়? মোটেই না। প্রায় সবক’টা বাংলা সিনেমার কেন্দ্রই যেখানে প্রেম, জুটি ছাড়া উপায় কী! বাংলা চলচ্চিত্রের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত অনেক জুটি দেখেছে দর্শক। কতজনকেই বা মনে রেখেছে? সেটা যে যার মতন ভেবে নিক।


আপাতত জেনে নেওয়া যাক পাঁচটি উল্লেখযোগ্য জুটি সম্পর্কে।


https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2018/Oct/05/1538695671861.jpg

রাজ্জাক-কবরী

সময়কাল ১৯৬৭।

সুভাষ দত্তের পরিচালনায় মুক্তি পায় ‘আবির্ভাব’। এর মাধ্যমেই রূপালী পর্দায় আসেন রাজ্জাক-কবরী। শুরু হয় তাদের সফলতা, দর্শকপ্রিয়তা।

দেখুন, চিরসবুজ নায়ক জাফর ইকবাল

১৯৬৯ সালে কাজী জহিরের ‘ময়নামতি’ ও মিতার ‘নীল আকাশের নিচে’, ১৯৭০ সালে নজরুল ইসলামের ‘দর্পচূর্ণ’, মিতার ‘দীপ নেভে নাই’, কামাল আহমেদের ‘অধিকার’ চলচ্চিত্রে রাজ্জাক-কবরী জুটির প্রেমের অনবদ্য উপস্থাপন দর্শকের মনে তুমুলভাবে স্থান করে নেয়।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2018/Oct/05/1538695695953.jpg

সে সময় দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি ছিল উত্তাল। একদিকে পাকিস্তানী শাসকদের পৃষ্ঠপোষকতায় উর্দু সিনেমার রমরমা বাজার, অন্যদিকে পূর্ববাংলার জনগণের মধ্যে জেগে উঠছে বাংলাভাষার প্রতি ভালবাসা ও দেশপ্রেম, বাঙালীর মধ্যে বিকশিত হচ্ছে অসাম্প্রদায়িক জাতীয় চেতনা।

দেখুন, আসিফকে নিয়ে কেন ছবি বানাচ্ছেন সৈকত নাসির?

সেই পরিস্থিতিতে উর্দু সিনেমার জনপ্রিয় জুটি শবনম-রহমান ও শাবানা-নাদিমের বিপরীতে পাল্লা দিয়ে এগুতে থাকে রাজ্জাক-কবরী জুটি। স্বাধীনতার পরেও সমানতালে জনপ্রিয়তা বাড়তে থাকে রাজ্জাক-কবরী জুটির।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2018/Oct/05/1538695748320.jpg

তাদের অভিনীত ‘রংবাজ’ ছবিটিকে ‘ট্রেন্ড সেটার’ হিসেবে ধরা হয়। সে সিনেমায় লাস্যময়ী কবরীর দেখা পায় দর্শক। সুপারহিট হয় সিনেমাটি।

দেখুন, সেক্সি জয়া!

এ ছবির ‘সে যে কেন এল না, কিছু ভাল লাগে না’ গানটি দর্শকের মুখে মুখে ফেরে। প্রেমিক-প্রেমিকা জুটি হিসেবে আজও নক্ষত্রসম রাজ্জাক-কবরী। তারা ষাটের অধিক সিনেমায় এক সঙ্গে অভিনয় করেন।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2018/Oct/05/1538695790454.JPG

শাবানা-আলমগীর

পরিচালক এহতেশামের হাত ধরে বাংলা চলচ্চিত্রে পদার্পণ করেন মিষ্টি মেয়ে ‘রত্না’।

দেখুন, নতুন ছবির ‘পুরনো’ প্রচার

পরিচালক সেই ‘রত্না’ নাম বদলে নাম দিলেন ‘শাবানা’। সেই থেকে শুরু হলো বাংলা চলচ্চিত্রের এক লক্ষ্মীদেবীর যুগ, যা ছিল একটানা ’৭০-৯০ দশক পর্যন্ত দুর্দান্ত প্রতাপে। শাবানা বেশ কয়েকজন নায়কের সঙ্গে জুটি বেঁধে অভিনয় করেছেন। তবে, সবাইকে ছাপিয়ে গেছেন আলমগীর।

আলমগীর-শাবানা জুটি এখন পর্যন্ত গ্রামবাংলা ও নগরের প্রায় সবার কাছেই সামাজিক ও পারিবারিক ছবির জনপ্রিয় জুটি। দেশীয় চলচ্চিত্রের জুটি প্রথার ইতিহাসে ‘আলমগীর-শাবানা’ জুটি হয়ে সর্বাধিক ছবিতে অভিনয় করেছেন।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2018/Oct/05/1538695902724.jpg

তাদের অভিনীত ছবি ১২৬টি, যার বেশিরভাগই ব্যবসাসফল। এসব ছবিতে কখনও গরিব-দুঃখী এক নারী, কখনও শহরের আধুনিক মেয়ে, কখনও স্বামীভক্ত বাংলার চিরচেনা স্ত্রী, কখনও ভাবি, কখনও মা, কখনও এক প্রতিবাদী নারী- এমন সব চরিত্রে অভিনয় করে পুরোটা সময় দর্শকদের কেন্দ্রবিন্দুতে থাকতেন শাবানা।

দেখুন, মাইকেল জ্যাকসনের যে বারোটি বিষয় কম জানে মানুষ।

তিনি এমনই এক দুর্দান্ত অভিনেত্রী ছিলেন, যিনি সব অভিনেত্রীর মধ্যে সবচেয়ে বেশি পুরস্কৃত হয়েছেন। আলমগীরও কোন অংশে কম যাননি। সহকর্মী অনেকের কাছেই ভাললাগার অভিনয় শিল্পীদের মধ্যে আলমগীরের নামটাই উচ্চারিত হয় আগে। তাদের কাছে আলমগীর মানেই অভিনয়ে ভিন্নতা, পর্দায় প্রাণবন্ত উপস্থিতি।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2018/Oct/05/1538695947496.jpg

নাঈম-শাবনাজ

তখন ১৯৯০।

প্রয়াত বরেণ্য চলচ্চিত্র নির্মাতা এহতেশাম তাঁর নতুন চলচ্চিত্র ‘চাঁদনী’র জন্য দুজন নতুন মুখ বাছাই করেন। সেই দুজনই হলো নবাব পরিবারের ছেলে নাঈম আর বিক্রমপুরের মেয়ে শাবনাজ। প্রথম ছবিতেই জুটি হিসেবে ব্যাপক সাড়া ফেলেন নাঈম-শাবনাজ।

দেখুন, জ্যোতিকা জ্যোতির গ্রাম ও সংগ্রামের গল্প

এরপর তারা একের পর এক অভিনয় করেন ‘লাভ’, ‘চোখে চোখে’, ‘দিল’, ‘টাকার অহঙ্কার’, ‘ঘরে ঘরে যুদ্ধ’, ‘সোনিয়া’ ও ‘অনুতপ্ত’সহ আরও বেশ কয়েকটি ছবিতে। প্রতিটি ছবিই জনপ্রিয় ও ব্যবসাসফল হয়েছিল।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2018/Oct/05/1538696064092.jpg

নাঈম-শাবনাজের মাধ্যমেই নব্বই দশকের বাংলা চলচ্চিত্র আবার মাথা তুলে দাঁড়ায়। শুরু হয় চলচ্চিত্রের নতুন স্বর্ণযুগের। যার রেশ ধরে আগমন সালমান শাহ, মৌসুমী ও শাবনূরের মতো মহাতারকার। চলচ্চিত্রে অভিনয় করতে গিয়েই ঘনিষ্ঠ হন নাঈম-শাবনাজ। শুরু থেকেই তাদের প্রেম কাহিনী মিডিয়ায় আসে।

দেখুন, নতুনদের জন্য ফারুকের পরামর্শ

কিন্তু প্রথা অনুযায়ী সেসব অস্বীকার করলেও অবশেষে সব জল্পনা-কল্পনা ভেঙে ১৯৯৬ সালে বিয়ের পিঁড়িতে বসেন এ জুটি। এরপর ২০০০ সালের প্রথম দিকে চলচ্চিত্রে অশ্লীলতা শুরু হলে নীরবে এ জগত থেকে আড়ালে চলে যান তারা।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2018/Oct/05/1538696120921.jpg

সালমান-মৌসুমী

নব্বইয়ের দশক।

বাংলাদেশী চলচ্চিত্র তখন সর্বজনীনতা হারিয়ে শ্রেণী বিশেষের বিনোদন মাধ্যমে পরিণত হয়। চলচ্চিত্রের অক্সিজেন বলে খ্যাত বাংলার মধ্যবিত্ত সমাজ মুখ ফিরিয়ে নেয় সিনেমা হল থেকে।

দেখুন, পরিচালকের ছবি ছিনতাই!

হঠাৎ করেই নব্বইয়ের শুরুর দিকেই আবির্ভাব হয় বাংলা চলচ্চিত্রের প্রবাদ পুরুষ সালমানের। তার হাত ধরে চলচ্চিত্র আবার গতি পায়, পরিচালকরা নতুনভাবে লড়াইয়ে নামে, ইন্ডাস্ট্রিও লাভের মুখ দেখতে থাকে।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2018/Oct/05/1538696181152.jpg

শুরুর দিকে সালমানের সঙ্গী ছিল মৌসুমী। মাত্র চারটি ছবিতে একসঙ্গে অভিনয় করেছেন সালমান-মৌসুমী জুটি। তবুও অভিনয় দক্ষতা, সৌন্দর্য, ফ্যাশন সচেতনতা ও ব্যক্তিত্ব গুণে এ জুটি আজও সমান জনপ্রিয়।

দেখুন, চিরকুটের লন্ডন কনসার্ট

সালমানকে যেমন ‘স্টাইল অবতার’ হিসেবে স্বীকার করা হয়, মৌসুমীও তেমনি এখনও দ্যুতি ছড়াচ্ছেন। তাদের প্রথম ছবি ‘কেয়ামত থেকে কেয়ামত’ মুক্তির পর পরই তারা হয়ে উঠেছিলেন দর্শকদের কাম্য জুটি।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2018/Oct/05/1538696224131.jpg

এ ছবিটি মূলত ভারতের আমির-জুহির ‘কেয়ামত সে কেয়ামত তক’ ছবির বাংলা সংস্করণ। ছবিটি মূল ছবির প্রযোজক ও পরিচালকের অনুমতি নিয়েই তৈরি করা হয়েছিল।

দেখুন, মুকুটহীন সম্রাটের চলে যাওয়ার পঞ্চম বছর

‘কেয়ামত থেকে কেয়ামত’ ছিল তোজাম্মেল হক বকুলের ‘বেদের মেয়ে জ্যোৎস্না’ ছবির পর রেকর্ড করা ব্যবসা সফল ছবি, যা দেখতে সারা বাংলার সব মানুষ হলে হুমড়ি খেয়ে পড়েছিল।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2018/Oct/05/1538696259465.jpg

সালমান-শাবনূর

‘তুমি আমার (১৯৯৪)’ চলচ্চিত্রে অভিনয়ের মধ্য দিয়ে সালমানের সঙ্গে জুটি বাঁধেন শাবনূর।

প্রথম ছবিতেই ব্যাপক সফলতা পায় এ জুটি। যার ফলে পরিচালক-প্রযোজকরা একের পর এক ছবিতে নিতে থাকেন তাদের। সালমান অভিনীত ২৭টি ছবির মধ্যে ১৪টি ছবিতেই তার বিপরীতে অভিনয় করেছেন শাবনূর।

দেখুন, জন্মদিনে কালিকাপ্রসাদ

ঢাকাই ছবির জগতে অন্যতম সফল এই মহাকাব্যিক রোমান্টিক জুটি ভক্তদের কতটা ভেতরে প্রবেশ করতে পেরেছিল, তা তো সবাই-ই জানেন। তরুণদের পোশাকে সালমানের কালোত্তীর্ণ ফ্যাশন, কণ্ঠে সালমানের সিনেমার গান।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2018/Oct/05/1538696290420.jpg

সালমানের মাথায় কাপড় প্যাঁচানো, হ্যাট, চশমা, গেঞ্জি- কী নকল হয়নি না তখন তরুণদের মাঝে! সবাই ভাবত তাদের মধ্যে বাস্তবেও বোধহয় ভিন্নরকম সম্পর্ক ছিল। এসব নিয়ে কম কথাও রটেনি সিনেমাঙ্গনে।

দেখুন, সাঞ্জু ছবির অজানা সাত

কিন্তু শাবনূর জানালেন, ‘সালমান শাহ আমার খুবই প্রিয় ছিল। সে আমাকে পিচ্চি বলে ডাকত। আমি তো তখন অনেক ছোট ছিলাম। সালমান বলত- এই পিচ্চি এদিক আয়, আমার তো কোন বোন নেই। এই পিচ্চি তুই আমার ছোট বোন।’

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2018/Oct/05/1538696339414.jpg

সালমান বেঁচে থাকলে হয়ত আরেকটি উত্তম-সুচিত্রা জুটি হতে পারত সালমান-শাবনূর জুটি। তাদের দিয়ে বানানো যেত ‘হারানো সুর’, ‘সাগরিকা’, ‘সপ্তপদী’র মতো অনেক কালজয়ী চলচ্চিত্র।

আরও পড়ুনঃ

হ্যালো খান সাহেব..

‘প্রতিশোধের আগুন’ কদ্দুর?

কালজয়ী ২০০ গান (প্রথম পর্ব)

   

মোনালি ঠাকুরের মা মারা গেছেন



বিনোদন ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
মা মিনতি ঠাকুর এবং মোনালি ঠাকুর

মা মিনতি ঠাকুর এবং মোনালি ঠাকুর

  • Font increase
  • Font Decrease

বাবার পথে হেঁটেই ভারতীয় বাংলার জনপ্রিয় সঙ্গীত শিল্পী এবং অভিনেত্রী হয়ে ওঠেন মোনালি ঠাকুর। একাধারে কাজ করেছেন বলিউডেও। সঙ্গীত ও অভিনয় শিল্পী শক্তি ঠাকুরের মেয়ে হিসেবে পরিচিত হলেও, মোনালির জীবনের অনুপ্রেরণার এক বিশেষ অংশ ছিলেন তার মা। অবশেষে নাড়ির বন্ধনে আবদ্ধ সম্পর্ক ছিন্ন করে না ফেরার দেশে পাড়ি জমালেন গায়িকার মা মিনতি ঠাকুর।   

মিনতি ঠাকুর (বামে), মোনালি ঠাকুর, মেহুলি ঠাকুর (ডানে)

শুক্রবার (১৭ মে) মায়ের মৃত্যু খবর দিলেন মোনালি ঠাকুরের বড় বোন মেহুলি ঠাকুর। কিডনির সমস্যায় ভুগছিলেন তিনি। দু’টো কিডনিই বিকল হয়ে গিয়েছিল, তাই ডায়ালাইসিস চলছিল। কোলকাতার এক বেসরকারি নার্সিংহোমে চিকিৎসাধীন ছিলেন প্রায় এক মাস ধরে। এপ্রিলের শেষে দিকে ভর্তি হওয়ার পর তাকে লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয়েছিল।

মা মিনতি ঠাকুরের সঙ্গে মোনালি ঠাকুর

মায়ের অবস্থা বিশেষ ভালো নয় আগেই জানিয়েছিলেন মোনালি। বৃহস্পতি তিনি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জানান, মায়ের অবস্থা দিন দিন শোচনীয় হয়ে উটছে। মায়ের সঙ্গে ছোটবেলার এক ছবি শেয়ার করেন তিনি। সাথে লেখেন, ‘কঠিন পরিস্থিতিতে কীভাবে লড়াই করব মা? এই একাকিত্ব, এই যন্ত্রণা। বড্ড অসহায় লাগছে।

মাকে নিয়ে মোনালির আবেগঘন পোস্ট

কিন্তু এবার সময় এসেছে। তাঁকে লাইফ সাপোর্ট থেকে বের করে নেওয়ার মতো কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে হবে আমাকে। তৈরি হতে হবে!  আমার মাকে শান্তি দাও ঈশ্বর এবং আমাকে সাহায্য করো... এখন মাকে ছাড়া আমার জীবনটাই বা কী ভাবে কল্পনা করব? আর নিজেকে ঠিক রাখতে পারছি না।’

২২ দিন টানা চিকিৎসাধীন ছিলেন মিনতি। ১৮ দিনই ছিলেন লাইফসাপোর্টে। শেষে লাইফ সাপোর্ট থেকে বের করে নেওয়ার মতো কঠিন সিদ্ধান্তও নিতে হয়। তখন অক্সিজেন লেভেলও ছিল কম, ৫১ তে। মৃত্যু নিশ্চিত জেনে বাধ্য হয়েই তাই এরকম পদক্ষেপ নেয় ঠাকুর পরিবার। ঠিক একদিন পরই দেহ ত্যাগ করলেন তিনি।

শক্তি ঠাকুর (বামে), প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়, মোনালি ঠাকুর, মেহুলি ঠাকুর (ডানে)

কয়েক বছর আগেই করোনার সময় বাবা শক্তি ঠাকুরকে হারিয়েছিলেন মেহুলি-মোনালি। ২০২০ সালের অক্টোবরে পরপারে চলে যান তিনি। এবার মাকেও হারিয়ে অভিভাবকহারা হলেন তারা।

;

জামদানির পর কানে ভাবনার দেশিয় বেনারসির জৌলুস



মাসিদ রণ, সিনিয়র নিউজরুম এডিটর, বার্তা২৪.কম
কানে সাফিয়া সাথীর বেনারসির পোশাকে ভাবনা

কানে সাফিয়া সাথীর বেনারসির পোশাকে ভাবনা

  • Font increase
  • Font Decrease

মেধাবী অভিনেত্রী আশনা হাবিব ভাবনার কান চলচ্চিত্র উৎসবের যাত্রা এখন বেশ আলোচনায়। তার কানের পোশাক-আশাক দেখে বোঝাই যাচ্ছে, বেশ সময় নিয়ে আটঘাট বেঁধেই ভূমধ্যসাগরের পাড়ে হাজির হয়েছেন।

কানে সাফিয়া সাথীর ডিজাইন করা বেনারসির পোশাকে ভাবনা

তাইতো তার প্রতিদিনের ছবি নিয়ে নেটিজেনদের আগ্রহ ক্রমশ বাড়ছে। প্রথম দুদিন পাশ্চাত্যের গাউন বেছে নিলেও তৃতীয় দিন থেকে এই তারকা হাজির হচ্ছেন দেশি পোশাকে।

কাক খুব ভালোবাসেন। কাকের অনেক ছবি এঁকেছেন। এবার সেই ‘কাক’ পোশাকে ধারণ করে কানের রেড কার্পেটে ভাবনা

নিয়ন গ্রীণ জামদানির সঙ্গে ঢাকার ঐতিহ্য রিকশা পেইন্টের মোটিফে ডিজাইন করা ব্লাউজ পরে বেশ চর্চিত হয়েছেন তিনি। এবার নতুন আরও কিছু ছবি পোস্ট করলেন ভাবনা। এগুলো তার কানের চতুর্থ দিনের লুক।

রিকশা পেইন্টের মোটিফে ডিজাইন করা ব্লাউজ পরে বেশ চর্চিত হয়েছেন ভাবনা

আর এদিনও তিনি বেছে নিলেন দেশিয় কাপড়। জামদানির পর বেনারসির জৌলুসে তাক লাগালেন ভাবনা। তবে দেশি ফেব্রিক বেছে নিলেও তিনি বেনারসি শাড়িতে নিজেকে জড়াননি। বর্তমান সময়ের অন্যতম চাহিদাসম্পন্ন ডিজাইনার সাফিয়া সাথীর নকশা করা কাতানের ভিন্নধর্মী গাউনে ধরা দিয়েছেন গ্ল্যামার গার্ল ভাবনা।

কান চলচ্চিত্র উৎসব প্রাঙ্গনে ভাবনা

মেরুণ কাতানে সোনালি জরির কাজ করা। বোঝাই যাচ্ছে বিয়ের বেনারসি কেটে পোশাকটি ডিজাইন করা হয়েছে। লম্বা টেলওয়ালা গাউনটির এক পাশে স্লিট করা। একপাশে অফ সোল্ডার, অণ্যপাশে ফুল হাতা। সঙ্গে কন্ট্রাস্ট সবুজ ঝোলানো দুল। সবমিলিয়ে নায়িকাকে অণ্য দিনের তুলনায় বেশি গর্জিয়াস লাগছে।

কানে সাফিয়া সাথীর ডিজাইন করা বেনারসির লম্বা টেলওয়ালা গাউনে ভাবনা

ছবি দেখে মনে হচ্ছে, কানের প্রতিটি মুহূর্ত উপভোগ করছেন ভাবনা। প্রতিদিন দারুণসব সিনেমার প্রিমিয়ার শো উপভোগ করছেন। যখন যেমন ইভেন্টে অংশ নিচ্ছেন তখন তেমনি পোশাকে ধরা দিচ্ছেন। এই যেমন খেতে বের হবার সময় পরেছেন অ্যানিমেল প্রিন্টের স্লিভলেস টপ। সঙ্গে নিয়েছেন মেরুণ রঙের ব্র্যান্ডের হাতব্যাগ।

কান চলচ্চিত্র উৎসব প্রাঙ্গনে ভাবনা

;

সদস্যপদ বাতিল : নিজের খোঁড়া গর্তে পড়ছেন নিপুণ?



বিনোদন ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
জায়েদ খান ও নিপুণ আক্তার

জায়েদ খান ও নিপুণ আক্তার

  • Font increase
  • Font Decrease

চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক থাকাকালীন সাবেক সাধারণ সম্পাদক জায়েদ খানের সদস্যপদ বাতিল করেছিলেন নিপুণ আক্তার। গণমাধ্যমে শিল্পী সমিতি ও সাধারণ সম্পাদককে নিয়ে বাজে মন্তব্য করায় এমন সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা জানিয়েছিলেন নিপুণ। এবার একই কারণে সদস্যপদ হারাতে পারেন নিপুণ।

নিপুণের সদস্যপদ কেন বাতিল হবে না, জানতে চেয়ে চিঠি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বর্তমান কমিটি। বৃহস্পতিবার সমিতির কার্যকরী সভা শেষে এমনটা জানিয়েছেন সহ-সভাপতি ডি এ তায়েব।

নিপুণ আক্তার

গত বুধবার ২০২৪-২০২৬ মেয়াদের নির্বাচনের ফল বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে রিট করেন নিপুণ। তাই এ বিষয়ে সমিতির পদক্ষেপ কী হতে পারে তা নিয়ে বৈঠক করেন সদস্যরা।

বৈঠক শেষে ডি এ তায়েব বলেন, ‘রিট করা নিয়ে আমরা এখনো ভাবছি না। আমাদের কাছে নোটিশ এলে আইনিভাবে তা মোকাবিলা করা হবে।’

এর একদিন আগে সাধারণ সম্পাদক মনোয়ার হোসেন ডিপজলকে ‘অশিক্ষিত’সহ নানা কুরুচিপূর্ণ ভাষায় নিপুণ গালাগালি করেন বলেন জানান ডি এ তায়েব। তিনি বলেন, ‘নিপুণ আক্তার গণমাধ্যমে সমিতির সাধারণ সম্পাদকের বিরুদ্ধে যা বলেছেন, তা কুরুচিপূর্ণ, মানহানিকর। তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন কমিটির সবাই। তার সদস্যপদ কেন বাতিল হবে না, জানতে চেয়ে চিঠি দেওয়া হবে। ৭ দিনের মধ্যে যদি তিনি উত্তর না দেন অথবা উত্তর যথোপযুক্ত মনে না হয়, তাহলে তার সদস্যপদ বাতিল করা হবে।’

মিশা সওদাগর ও ডিপজল

বৃহস্পতিবার সমিতির সভার আগে মিশা-ডিপজল প্যানেলকে সংবর্ধনা দিয়েছেন ইলিয়াস কাঞ্চন ও নিপুণের সময় সদস্যপদ ফিরে পাওয়া ১০৩ শিল্পী। এ সময় নির্বাচন বাতিল চেয়ে রিট করা নিপুণকে নিয়ে কথা বলেন শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক ডিপজল। তিনি বলেন, ‘আজকে যাকে (নিপুণ) নিয়ে কথা হচ্ছে, সে তো তার বাপকেই অস্বীকার করছে। রক্তে সমস্যা না থাকলে এটা হওয়ার কথা না। যাকে (ডিপজল) দিয়ে সবাই তার মুখ চিনল, তাকেই সে ভুলে যায়। সে কি আমাদের সঙ্গে টেস্ট খেলতে চায়? আসো খেলো। কিন্তু আমরা চাই ভদ্রতা ও নম্রতা। চলচ্চিত্র কীভাবে এগিয়ে নেওয়া যায় সেদিকেই কাজ করব।’

;

দক্ষিণি ছবিতে নগ্ন এই জনপ্রিয় বাঙালি অভিনেতা!



বিনোদন ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ঋষভ বসু / ছবি : ইন্সটাগ্রাম

ঋষভ বসু / ছবি : ইন্সটাগ্রাম

  • Font increase
  • Font Decrease

কলকাতার অভিনেতা ঋষভ বসু বাংলাদেশেও পরিচিত ওটিটির কল্যাণে। তার অভিনীত ‘শ্রীকান্ত’, ‘ভটভটি’, ‘মহাভারত মার্ডারস’ ইত্যাদি কাজগুলো আলোচিত হয়েছে। এবার টালিউড থেকে দক্ষিণি সিনেমায় দেখা গেল তরুণ এই অভিনেতাকে। তেলেগু ছবি ‘দক্ষিণা’র ট্রেলারে ঋষভকে নগ্ন দেখে চমকে গেছেন তাঁর ভক্ত-অনুসারীরা। 

এর আগে শাশ্বত চট্টোপাধ্যায়, যীশু সেনগুপ্তকে দেখা গেছে দক্ষিণি ছবিতে। এবার একই পথে হাঁটলেন ঋষভ। পরিচালক ওশো তুলসীরামের ডার্ক থ্রিলার ‘দক্ষিণা’ সিনেমার হাত ধরেই তেলেগু ইন্ডাস্ট্রিতে পা রাখলেন তিনি।

ঋষভ বসু / ছবি : ইন্সটাগ্রাম

ট্রেলারেই ইঙ্গিত মিলল যে বাঙালি অভিনেতাকে এখানে নেতিবাচক চরিত্রে দেখা যাবে। একের পর এক মেয়ে খুন করে এক সাইকো কিলার। সেই চরিত্রেই ঋষভ বসু।

প্রথমবার দক্ষিণি ছবিতে পা রেখেই আলোচনায় এই বাঙালি অভিনেতা। চিত্রনাট্যের প্রয়োজনেই ক্যামেরার সামনে নগ্ন হলেন তিনি। ট্রেলারে এক হাড় হিম করা দৃশ্যে ঋষভকে দেখা গেল একেবারে নগ্ন অবস্থায়।

অভিনেতার অবশ্য পর্দায় নগ্নতা নিয়ে কোনো ছুতমার্গ নেই! তাঁর কথায়, ‘এই ছবিতে নগ্নতা প্রযুক্তির সাহায্যে দেখানো হয়েছে। তাই খুব একটা অস্বস্তি হয়নি। তবে চরিত্রের প্রয়োজনে যদি আমাকে নগ্ন হতে হয়, সেটা নিয়ে কোনো ছুতমার্গ নেই।’

ঋষভ বসু / ছবি : ইন্সটাগ্রাম

‘মহাভারত মার্ডারস’-এ ধূসর চরিত্রে ঋষভের অভিনয় দেখেই নাকি ডার্ক থ্রিলার ‘দক্ষিণা’ সিনেমার জন্য তাঁকে বেছে নিয়েছিলেন পরিচালক।

;