রাজশাহী বিভাগে জাতীয় পার্টির সম্ভাব্য প্রার্থীদের তালিকা



সেরাজুল ইসলাম সিরাজ, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
জাতীয় পার্টির লোগো, ছবি: সংগৃহীত

জাতীয় পার্টির লোগো, ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

নব্বইয়ে এরশাদের পতনের পর রাজশাহীর ৯ জেলায় খুব কম সংখ্যক আসনে জাপার প্রার্থী বিজয়ী হতে পেরেছেন। তবে প্রত্যেক আসনেই তাদের কর্মী সমর্থক রয়েছে। দুই দলের বৈরী রাজনীতির কারণে জাপার জনপ্রিয়তা বেড়েছে বলে মনে করেন দলের নেতাকর্মীরা।

এই বিভাগেও জাতীয় পার্টি তাদের সম্ভাব্য প্রার্থীর তালিকা চূড়ান্ত করে রেখেছে। স্থানীয়ভাবে জরিপের ভিত্তিতে একই আসনে এক বা একাধিক প্রার্থীর তালিকা বার্তা২৪.কমের হাতে এসেছে। ওই তালিকায় রয়েছে-

রাজশাহী জেলা
রাজশাহী-১ আসনে মিনহাজুল ইসলাম কালু, অধ্যাপক বরজান আলী ও শফিক বিশ্বাস, রাজশাহী-২ শাহাবুদ্দিন বাচ্চু ও ফেরদৌসী জোহা, রাজশাহী-৩ শাহাবুদ্দিন বাচ্চু, রাজশাহী-৪ আবু তালহা, রাজশাহী-৫ অধ্যাপক আবুল হোসেন ও মাসুদুজ্জমান মাসুদ, রাজশাহী-৬ ইকবাল হোসেন ও সাবেদ আলী জিন্নাহ।

জয়পুরহাট জেলা
জেলার দু’টি আসনে সাবেক দুই ছাত্রনেতাকে মনোনয়ন দেওয়া হচ্ছে। দু’টি আসনেই একক প্রার্থী খসড়ায় দেখা গেছে। জয়পুরহাট-১ আসনে আসম মোক্তাদির তিতাস, জয়পুরহাট-২ আসনে জাতীয় ছাত্র সমাজের সাবেক সভাপতি কাজী আবুল কাশেম রিপন।

আরও পড়ুন: ঢাকা বিভাগে জাতীয় পার্টির সম্ভাব্য প্রার্থীদের তালিকা

নওগাঁ জেলা
নওগাঁ-১ আকবর আলী কালু, নওগাঁ-২ হুমায়ুন কবীর চৌধুরী, নওগাঁ-৩ অ্যাড. তোফাজ্জল হোসেন, নওগাঁ-৪ আলতাফ হোসেন, অ্যাড এনামুল হক ও এমএ মতিন (ইসলামী মহাজোট), নওগাঁ-৫ ইফতারুল ইসলাম বাবুল, নওগাঁ-৬ কদর খান ও মোফাজ্জাল হোসেন।

নাটোর জেলা
নাটোর-১ আশরাফুল আল খান ডাবলু, অধ্যাপক শাহিন ইসলাম, অ্যাড. সোহেল রানা ও এমএ তালহা, নাটোর-২ মজিবুর রহমান সেন্টু, নাটোর-৩ ইঞ্জিনিয়ার আনিসুর রহমান ও অধ্যাপক আব্দুস সালাম, নাটোর-৪ অধ্যাপক আলাউদ্দিন মৃধা ও আবুল কাশেম সরকার।

সিরাজগঞ্জ জেলা
সিরাজগঞ্জ-১ মোমিন উদ দৌলা সেমাজী, গাজী মির্জা ফারুক আহমেদ, সিরাজগঞ্জ-২ আমিনুল ইসলাম সেন্টু, সিরাজগঞ্জ-৩ অধ্যাপক জাকির হোসেন, সিরাজগঞ্জ-৪ আব্দুল্লাহ আল হাসেম রাজু ও আব্দুস সাত্তার, সিরাজগঞ্জ-৫ মোক্তার হোসেন, শাহীন চৌধুরী ও রফিকুল ইসলাম, সিরাজগঞ্জ-৬ অ্যাড. সাখাওয়াত হোসেন ও আফজাল হোসেন।

পাবনা জেলা
পাবনা-১ সরদার শাহাজাহান ও ওমর আলী খান মান্নাফ, পাবনা-২ মকবুল হোসেন সন্টু ও হাজী মোহাম্মদ আলী মদন, পাবনা-৩ হায়দার আলী ও সুমাইয়া আক্তার হ্যাপী, পাবনা-৪ অ্যাড. আব্দুস সাত্তার, আব্দুল আজিজ, মোস্তাফিজার রহমান মন্টু, ও মীর নাদিম ডাবলু, পাবনা-৫ আব্দুল কাদের খান কদর, মমতাজ উদ্দি ও ইঞ্জিনিয়ার নাসির উদ্দিন।

আরও পড়ুন: সিলেট বিভাগে জাতীয় পার্টির সম্ভাব্য প্রার্থীদের তালিকা

চাঁপাইনবাবগঞ্জ
আমের রাজধানী বলে খ্যাত চাঁপাইনবাবগঞ্জ-১ আসনে আলাউদ্দিন টিপু ও আরিফ আল টিসু, চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ ইসমাইল হোসেন আজাদ, অধ্যাপক আব্দুর রাজ্জাক অ্যাড. আব্দুর রশিদ ও আরিফ আলী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ অ্যাড. নজরুল ইসলাম সোনা, একরাম হোসেন ও শাহজাহান মিয়া।

বগুড়া জেলা
বগুড়া-১ জিএম বাবলু মণ্ডল ও মোখছেদুল আমীন, বগুড়া-২ বর্তমান এমপি শরিফুল ইসলাম জিন্নাহ, বগুড়া-৩ বর্তমান এমপি নুরুল ইসলাম তালুকদার, বগুড়া-৪ শাহীন মোস্তফা কামাল ফারুক ও হাজী বাচ্চু, বগুড়া-৫ শাহজাহান তালুকদার, বগুড়া-৬ নুরুল ইসলাম ওমর এমপি ও আব্দুস সোবহান (ইসলামী মহাজোট), বগুড়া-৭ বর্তমান এমপি আলতাফ হোসেন ও লুৎফর রহমান সরকার স্বপন।

আরও পড়ুন: জাপার দুর্গ রংপুর বিভাগের সম্ভাব্য প্রার্থীরা

   

পটুয়াখালীর দুই ইউনিয়ন পরিষদে উৎসবমুখর পরিবেশে ভোট চলছে



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, পটুয়াখালী
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

পটুয়াখালীর সদর উপজেলার ভুরিয়া ও কমলাপুর দুটি ইউনিয়নে উৎসবমুখর ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোট গ্রহণ শুরু হয়েছে।

রোববার (২৮ এপ্রিল) সকাল ৮টায় ব্যালটের মাধ্যমে ভোট গ্রহণ শুরু হয়ে একটানা চলবে বিকাল ৪টা পর্যন্ত।

সরেজমিনে দেখা যায় প্রচণ্ড তাপদাহ উপেক্ষা করেও ভোটাররা তাদের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে কেন্দ্রের সামনে সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে রয়েছেন। এদিকে ভোটারদের স্বাস্থ্য সমস্যা হলে তাৎক্ষণিক চিকিৎসা সেবা দিতে প্রস্তুত রয়েছে মেডিকেল টিম।

নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা যায়, দুই ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে ৭ জন, সাধারণ সদস্য ৫১ জন ও সংরক্ষিত সদস্য পদে ১৭ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এ দুই ইউনিয়নে ১৮টি ভোট কেন্দ্রে প্রায় ২৮ হাজার ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন।

নির্বাচনী আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োজিত থাকবে। এছাড়াও নির্বাচন সুষ্ঠ করতে দুই ইউনিয়নে ১২ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, ৪ প্লাটুন বিজিবি, ৫ প্লাটুন র‍্যাব নির্বাচনী মাঠে কাজ করছেন। প্রতিটি কেন্দ্রে আটজন পুলিশ সদস্য, ১৭ আনসার সদস্য সার্বক্ষণিক দায়িত্ব পালন করবেন।

ভোটাররা জানান, এখন পর্যন্ত ভোটের পরিবেশ সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ ও নিরাপদ রয়েছে। সারাদিন যদি এমন পরিবেশ বিরাজ করে তাহলে তারা তাদের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে পারবেন।

পটুয়াখালী উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা সারমিন সুলতানা বলেন, নির্বাচন অবাধ সুষ্ঠু নিরপেক্ষ হবে। আশা করছি কোন অনাকাঙ্খিত ঘটনা ছাড়াই শান্তিপূর্ণভাবে ভোট সম্পন্ন হবে।

;

১৯ ইউনিয়ন পরিষদে চলছে ভোট



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
১৯ ইউনিয়ন পরিষদে চলছে ভোট

১৯ ইউনিয়ন পরিষদে চলছে ভোট

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশের আটটি জেলার ১৯টি ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনের ভোটগ্রহণ চলছে।

রোববার (২৮ এপ্রিল) সকাল ৮টা থেকে শুরু হয়েছে ভোটগ্রহণ। একটানা চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত।

এর আগে, নির্বাচন কমিশনের (ইসি) নির্বাচন ব্যবস্থাপনা শাখার উপসচিব মো. আতিয়ার রহমান জানিয়েছিলেন, নির্বাচনের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে।

যেসব ইউনিয়নে ভোটগ্রহণ চলছে সেগুলো হলো- লক্ষ্মীপুর সদরের দক্ষিণ হামছাদী, দালাল বাজার, বাঙ্গাখা, লাহারকান্দি ও তেওয়ারীগঞ্জ; দিনাজপুরের বিরল উপজেলার আজিমপুর, ফরক্কাবাদ ও বিরল; রাজশাহীর পুঠিয়ার পুঠিয়া; পটুয়াখালী সদরের কমলাপুর ও ভুরিয়া; বরগুনার আমতলীর আমতলী; সাতক্ষীরা সদরের আলিপুর; ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবার কুটি; কক্সবাজারের ঈদগাঁও উপজেলার ইসলামপুর, ইসলামাবাদ, জালালাবাদ, ঈদগাঁও এবং পোকখালী ইউনিয়ন পরিষদ।

নির্বাচন পর্যবেক্ষণের জন্য নির্বাচন কমিশন একটি মনিটরিং সেল গঠন করেছে। এই সেল নির্বাচন ভবন থেকে ভোটগ্রহণ পর্যবেক্ষণ করছে। বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের নিয়ে সেলটি গঠিত হয়েছে।

২০২২ সালে সাত ধাপে সাড়ে চার হাজার ইউপির ভোটগ্রহণ সম্পন্ন করে নির্বাচন কমিশন।

মেয়াদোত্তীর্ণ হওয়া সাপেক্ষে বাকি ইউপির ভোট হচ্ছে সময়ে সময়ে।

;

লক্ষ্মীপুরের ৫ ইউপিতে ভোটগ্রহণ শুরু,কেন্দ্রে উৎসবের আমেজ



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, লক্ষ্মীপুর
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার ৫টি ইউনিয়ন পরিষদে শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে ভোটগ্রহণ চলছে।

রোববার (২৮ এপ্রিল) সকাল ৮ টা শুরু হওয়া ভোটগ্রহণ চলবে বিকেল ৪ টা পর্যন্ত। সকালে এসব ইউনিয়নের কয়েকটি কেন্দ্রে গিয়ে দেখা যায় উৎসবের আমেজ। কেন্দ্রগুলোতে পুরুষের পাশাপাশি নারী ভোটারের ব্যাপক উপস্থিতি পরিলক্ষিত হয়েছে।

দীর্ঘ ১৩ বছর পর জেলার সদর উপজেলার ২নং দক্ষিণ হামছাদি, ৩নং দালাল বাজার, ৬ নং বাঙ্গাখাঁ, ১৫ নং লাহারকান্দি ও ১৯ নং তেয়ারীগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। ফলে ভোটারদের মাঝে এ উৎসবের আমেজ বিরাজ করতে দেখা যায়।

নারী ভোটারদের উপস্থিতিও বেশি

জেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা গেছে, ৫টি ইউনিয়নের ৪৬টি কেন্দ্রে মোট এক লাখ ২২ হাজার ৯২৮ জন ভোটার। নির্বাচন সুষ্ঠু করার জন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় সকল প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। প্রতিটি কেন্দ্রে ১৭ জন আনসার সদস্য, একজন পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) ও তিনজন কনস্টেবল মোতায়েন করা হয়েছে। প্রতিটি ইউনিয়নে দুটি করে স্টাইকিং ফোর্স, একজন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট, দুইজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালত রয়েছে। 

এছাড়া নির্বাচনী এলাকায় দুই প্লাটুন বিজিবি এবং র‍্যাবসহ প্রয়োজনীয় সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন আছে। 

জেলা প্রশাসক সুরাইয়া জাহান জানান, নির্বাচনী এলাকায় বহিরাগতদের কোন স্থান দেয়া হবে না। তারা যাতে ভোটকেন্দ্রে প্রভাব বিস্তার করতে না পারে, সে জন্য প্রশাসন কঠোর অবস্থানে রয়েছে। জাল ভোট ও বহিরাগত কাউকে ভোটকেন্দ্র এলাকায় দেখলে তাদেরকে আইনের আওতায় নেয়া হবে। নিরপেক্ষ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ৫টি ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন সম্পন্ন করা হবে বলে জানান তিনি। 

;

উপজেলা নির্বাচন ব্যর্থ হলে গণতন্ত্র ক্ষুণ্ন হবে: সিইসি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

উপজেলা নির্বাচন ব্যর্থ হলে বিগত সংসদ নির্বাচনে গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা প্রতিষ্ঠা হয়েছে তা ক্ষুণ্ন হতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার সিইসি কাজী হাবিবুল আওয়াল।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) সকালে আগারগাঁও নির্বাচন ভবনে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন উপলক্ষে মাঠ প্রশাসনের সাথে আইনশৃঙ্খলা বিষয় সভায় তিনি এই কথা বলেন।

সিইসি কাজী কাজী হাবিবুল আওয়াল বলেন, দেশের নির্বাচনে আবেগ অনুভূতির জন্য কিছুটা বিশৃঙ্খলা হয়। ভোটাররা যেন নির্বিঘ্নে ভোট দিতে পারে সেই ব্যবস্থা করতে হবে। যেকোন মূল্যে নির্বাচন সুষ্ঠু করতে হবে। এই নির্বাচনে ব্যর্থ হলে বিগত সংসদ নির্বাচনে যে গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা প্রতিষ্ঠা হয়েছে তা ক্ষুণ্ন হতে পারে। বাংলাদেশে গণতন্ত্র আছে তা সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে প্রমাণ করতে হবে। 

সভায় দেশের সকল জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার উপস্থিত আছেন। পুলিশপ্রধান সহ স্বরাষ্ট্র ও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের শীর্ষ কর্মকর্তারা উপস্থিত আছেন।

;