‘ফণী’ বাংলাদেশে আঘাত হানলে ভয়াবহ ক্ষতির শঙ্কা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম
বৈঠক করে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় ও আবহাওয়া অধিদফতরের কর্মকর্তারা / ছবি: বার্তা২৪

বৈঠক করে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় ও আবহাওয়া অধিদফতরের কর্মকর্তারা / ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রবল গতি নিয়ে ধেয়ে আসছে ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’। এর গতিবেগ আগে প্রতি ঘণ্টায় ২০ কিলোমিটার থাকলেও তা বেড়ে এখন প্রতি ঘণ্টায় ২৭ কিলোমিটার বিরাজ করছে।

বুধবার (১ মে) সচিবালয়ে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ঘূর্ণিঝড় ফণী’র বিষয়ে বৈঠকে আবহাওয়া অধিদফতরের পরিচালক সামছুদ্দিন আহমেদ এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘বর্তমানে শক্তিশালী এই ঘূর্ণিঝড় বাংলাদেশ থেকে ১ হাজার কিলোমিটার দূরে বর্তমানে গভীর সমুদ্রে অবস্থান করছে। এটি যদি গভীর সমুদ্র থেকে সরাসরি মংলা হয়ে বাংলাদেশে আঘাত হানে, তাহলে ভয়াবহ ক্ষতির শঙ্কা রয়েছে। আর যদি এটি ভারতের পশ্চিম বঙ্গ এবং ওড়িশা হয়ে আমাদের দেশে আসে তাহলে তা অনেকটাই হালকা হয়ে যাবে। এতে ক্ষতির শঙ্কা কম থাকবে।’

আবহাওয়া অধিদফতরের পরিচালক বলেন, ‘ইতোমধ্যে ভারতের পশ্চিম বঙ্গ এবং ওড়িশায় রেড এলার্ট জারি করেছে ভারত সরকার। বর্তমানে বাংলাদেশের সমুদ্র বন্দর এলাকাগুলোতে ৪ নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। তবে এটি পরবর্তীতে ৫, ৬ বা ৭ নম্বর সংকেতে উন্নীত হতে পারে। এ বিপদ সংকেত বেড়ে যদি ৮, ৯ বা ১০-এ উন্নীত হয়, তাহলে তা হবে মহাবিপদ সংকেত।

বৈঠকে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমানসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

আরও পড়ুন: ভয়ঙ্কর ফোনির প্রভাবে সমুদ্রবন্দরে ৪ নম্বর হুঁশিয়ারি সংকেত

আরও পড়ুন: ভয়ঙ্কর 'ফোনি' ওড়িশায় আঘাত হানবে, বাংলাদেশেও প্রভাব পড়বে

আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় ‘ফোনি’র প্রভাবে সমুদ্রবন্দরে ২ নম্বর হুঁশিয়ারি সংকেত

আরও পড়ুন: তীব্র গরমের পর আসছে ঘূর্ণিঝড় ‘ফোনি’

   

বরিশালে সাবান চুরির সাজানো মামলায় ৭ দিনের কারাভোগ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, বরিশাল
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

মাত্র একটি সাবান চুরির ঘটনায় সাজানো মামলায় ঘটনাস্থলে উপস্থিত না থেকেও প্রধান আসামি হয়ে সাতদিন কারাভোগ করতে হয়েছে মোস্তফা কামালকে।

বরিশাল নগরীর ২৮ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা মৃত মোজাফফর খলিফার ছেলে মোস্তফা কামালকে কারাগারে পাঠিয়ে প্রতিপক্ষের লোকজন বিরোধপূর্ণ জমিতে আদালতের দুই দফার নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে তড়িঘড়ি করে দ্রুত ভবন নির্মাণের কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন।

তবে মামলার বাদী আলমগীর হোসেন বলেন, সাবান চুরির ঘটনায় মারামারিটা মোস্তফা কামাল নাকি তার লোকজন দিয়ে করিয়েছেন। সে কারণে তাকে আসামি করা হয়েছে। তবে আমি ঘটনাস্থলে গিয়ে মোস্তফাকে দেখিনি।

ওই মামলায় সাতদিন কারাভোগ করে জামিনে বেরিয়ে রোববার সকালে মোস্তফা কামাল বার্তা২৪.কমকে বলেন, যে মামলায় আমি হাজতবাস করেছি, সেই ঘটনার সঙ্গে আমার কোনো ধরনের সম্পৃক্ততা নেই। পুলিশ প্রশাসন এজাহার গ্রহণের আগে সরেজমিন তদন্ত করলে আমাকে কারাভোগ করতে হতো না।

মোস্তফা কামাল অভিযোগ করে বলেন, একই এলাকার মৃত আবুল হোসেনের ছেলে বোরহান উদ্দিনের সঙ্গে জমিজমা দিয়ে অনেকদিন থেকেই আমার বিরোধ চলে আসছে।

ওই বিরোধের জের ধরে আমার জমি দখলের জন্য থানা পুলিশের সঙ্গে আঁতাত করে সাবান চুরির ঘটনায় সৃষ্ট মারধরের ঘটনায় আমাকে প্রধান আসামি করে এয়ারপোর্ট থানায় মামলা দায়ের করা হয়।

সেই সাজানো মামলায় পুলিশ কোনো ধরনের তদন্ত না করেই গত ৯ এপ্রিল আমাকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে জেল-হাজতে পাঠায়।

১৫ এপ্রিল জামিনে বেরিয়ে এসে তিনি (মোস্তফা কামাল) দেখতে পান, বোরহান উদ্দিন তার জমি দখল করে আদালতের দুই দফা নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে দ্রুতগতিতে ভবন নির্মাণ করে আসছেন।

জানা গেছে, ২৪ মার্চ নগরীর কাশিপুর আনসার অফিসের উল্টো দিকে নির্মাণাধীন ভবনের শ্রমিকেরা পাশের একটি পুকুরে গোসল করতে যান। সেখানে স্থানীয় বাসিন্দা রুবেলের রেখে যাওয়া সাবান শ্রমিকেরা নিয়ে যান। পরে রুবেল এসে সাবান খুঁজে না পেয়ে শ্রমিকদের সঙ্গে বাগবিতণ্ডার একপর্যায়ে হাতাহাতি হয়।

এসময় কয়েকজন শ্রমিক মিলে রুবেলকে মারধর করেন। খবর পেয়ে রুবেলের বাড়ির লোকজন এলে পাল্টাপাল্টি মারামারির ঘটনা ঘটে।

সাবান চুরি থেকে মারামারির ঘটনাটি ভিন্নখাতে প্রবাহিত করে স্বার্থ হাসিলের উদ্দেশ্যে বোরহান উদ্দিন শ্রমিক আলমগীরকে দিয়ে এয়ারপোর্ট থানায় মামলা করিয়েছেন। ওই মামলায় মোস্তফা কামালকে প্রধান আসামি করা হয়। পুলিশ মামলার অভিযোগের তদন্ত না করেই এজাহারভুক্ত করে ঈদের আগ মুহূর্তে মোস্তফাকে গ্রেফতার করে।

অভিযুক্ত বোরহান উদ্দিন বলেন, জমিতে নিষেধাজ্ঞা আছে কি না সেটা দেখবে আদালত। মোস্তফা গংরা আমার নির্মাণাধীণ ভবনের শ্রমিকদের ওপর হামলা চালিয়ে মালামাল নিয়ে গেছে। এ কারণে আমার শ্রমিক আলমগীর বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেছেন।

মামলার বাদী আলমগীর হোসেন বলেন, মারামারিটা নাকি মোস্তফা কামালই তার লোকজন দিয়ে করিয়েছেন। সে কারণে তাকে আসামি করা হয়েছে।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এয়ারপোর্ট থানার এসআই (উপপরিদর্শক) সুমন চন্দ্র মজুমদার বলেন, মামলা দায়েরের পর প্রধান আসামি মোস্তফা কামালকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়। অন্যান্য আসামিরা জামিনে রয়েছেন।

বরিশাল এয়ারপোর্ট থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এসএম মাসুদ আলম চৌধুরী বলেন, তদন্ত শেষেই অভিযোগটি এজাহারভুক্ত করা হয়েছে। কোনো নিরপরাধ ব্যক্তি হেনস্তা হবে না।

;

চট্টগ্রামে পরিবহন ধর্মঘট স্থগিত



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রশাসনের আশ্বাসে বৃহত্তর চট্টগ্রামে গণপরিবহন মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদের ডাকা ৪৮ ঘণ্টার চলমান ধর্মঘট স্থগিত করা হয়েছে।

দীর্ঘ দুই ঘণ্টা আলোচনা শেষে রোববার (২৮ এপ্রিল) বিকেল সাড়ে ৫টায় এ ঘোষণা দেন সংগঠনের আহ্বায়ক মঞ্জুর আলম চৌধুরী।

তিনি বলেন, জেলা প্রশাসকের অনুরোধে জনস্বার্থের কথা বিবেচনা করে ৪৮ ঘণ্টার চলমান ধর্মঘট আমরা স্থগিত করেছি। জেলা প্রশাসক আমাদের দাবিগুলো মেনে নিয়েছেন, সেজন্য তাকে আমরা ধন্যবাদ জানাই। পরবর্তীতে এরকম কোন পরিস্থিতি সৃষ্টি হলে পুনরায় ধর্মঘট দেব।

;

কক্সবাজার বিমানবন্দরে ৪৫০ গ্রাম স্বর্ণসহ যুবক আটক



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কক্সবাজার
কক্সবাজার বিমানবন্দরে ৪৫০ গ্রাম স্বর্ণসহ যুবক আটক

কক্সবাজার বিমানবন্দরে ৪৫০ গ্রাম স্বর্ণসহ যুবক আটক

  • Font increase
  • Font Decrease

কক্সবাজার বিমানবন্দরে ৪৫০ গ্রাম (আনু) স্বর্ণসহ একজন যাত্রীকে আটক করেছে জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থা এনআসআই।

রোববার (২৮ এপ্রিল) কক্সবাজার বিমানবন্দর থেকে তাকে আটক করা৷ হয়।

আটককৃত ব্যক্তি হলেন, কক্সবাজার সদরের ঘোনার পাড়া এলাকার বিমল ধরের ছেলে রুবেল ধর।

গোয়েন্দা সংস্থা এনএসআই জানায়, রোববার বেলা ১টা ২০ মিনিটের সময় বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস এর ফ্লাইট যোগে ঢাকা হতে কক্সবাজার আসেন ওই যাত্রী। তার কাছে অবৈধ স্বর্ণ থাকার খবর পেয়ে তার সাথে থাকা লাগেজ বিমানবন্দরের স্ক্যানারে স্ক্যান করলে অলংকার সদৃশ বস্তু দৃশ্যমান হয়। পরবর্তীতে লাগেজ তল্লাশি করলে আনুমানিক ৪৫০ গ্রাম স্বর্ণ ও কিছু রূপা পাওয়া যায়।

উল্লেখ্য, ওই ব্যক্তি শনিবার (২৭ এপ্রিল) বিকেল ৩টা ৪৫ মিনিটের সময় সৌদি আরবের দাম্মাম শহর হতে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস যোগে (ফ্লাইট নং BG 350) ঢাকা শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর আগমন করেছিলেন।

আটককৃত ব্যক্তির বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য কক্সবাজার বিমানবন্দরে দায়িত্বরত এপিবিএন এর মাধ্যমে আইনানুগ কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।

;

কক্সবাজারে অস্ত্র ও গুলিসহ ৫ রোহিঙ্গা আটক



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কক্সবাজার
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

কক্সবাজারের উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে দেশী-বিদেশি অস্ত্র ও গুলিসহ পাঁচ রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীকে আটক করেছে আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন)।

রোববার (২৮ এপ্রিল) সকালে উখিয়া উপজেলার কুতুপালং ২-ওয়েস্ট নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ডি-৯ ব্লকে এ অভিযান চালানো হয় বলে জানান ১৪ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) অধিনায়ক অতিরিক্ত উপ-মহাপরিদর্শক (এডিআইজি) মোহাম্মদ ইকবাল।

আটককৃতরা হলো, উখিয়া উপজেলার কুতুপালং ২-ওয়েস্ট নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ডি-৯ ব্লকের মৃত কবির আহম্মদের ছেলে মোহাম্মদ জোবায়ের (২২) এবং একই ক্যাম্পের সি-২ ব্লকের মৃত আব্দুল জলিলের ছেলে দিল মোহাম্মদ (৩৫), সি-৭ ব্লকের আব্দুস সালামের ছেলে মোহাম্মদ খলিল (৩৪), সি-২ ব্লকের মতিউর রহমানের ছেলে মোহাম্মদ ইদ্রিছ (২৮) ও এ-৬ ব্লকের মৃত সাব্বির আহাম্মদের ছেলে মোহাম্মদুল্লাহ (২৫)।

এপিবিএন পুলিশ জানিয়েছে, অস্ত্রসহ আটক হওয়া সবাই রোহিঙ্গা ক্যাম্প ভিত্তিক একটি সশস্ত্র সন্ত্রাসী সংগঠনের সক্রিয় সদস্য।

মোহাম্মদ ইকবাল আরও বলেন, রোববার সকালে উখিয়া উপজেলার কুতুপালং ২-ওয়েস্ট নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ডি-৯ ব্লকের জনৈক ব্যক্তির বসত ঘরে কতিপয় লোকজন অপরাধ সংঘটনের উদ্দেশ্যে সশস্ত্র অবস্থায় অবস্থান করছে খবরে এপিবিএন পুলিশের একটি দল অভিযান চালায়। এতে সন্দেহজনক বসত ঘরটি ঘিরে ফেললে ১০ থেকে ১২ জন লোক পুলিশ সদস্যদের উপস্থিতি টের পেয়ে দৌঁড়ে পালানোর চেষ্টা চালায়। এসময় ধাওয়া দিয়ে ৫ জনকে আটক করা সম্ভব হলেও অন্যরা পালিয়ে যায়।

পরে তাদের শরীর এবং বসত ঘরটি তল্লাশি করে পাওয়া যায় বিদেশি ৫ টি পিস্তল, দেশীয় তৈরি ২ টি বন্দুক ও ১৮ টি গুলি।

এপিবিএন পুলিশের এ কর্মকর্তা বলেন, আটক হওয়া সবাই রোহিঙ্গা ক্যাম্প ভিত্তিক একটি সশস্ত্র সন্ত্রাসী সংগঠনের সক্রিয় সদস্য। তাদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে নানা অপরাধে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে। 

তাদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট আইনে উখিয়া থানায় মামলা করা হয়েছে বলেও জানানো হয়।

;