'কর্তৃপক্ষ ভয়ে থাকে, ব্যারিস্টার কখন এসে লাইভ দেন'



মুজাহিদুল ইসলাম, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
বার্তা২৪.কম-এর একান্ত সাক্ষাৎকারে ব্যারিস্টার সায়েদুল হক সুমন

বার্তা২৪.কম-এর একান্ত সাক্ষাৎকারে ব্যারিস্টার সায়েদুল হক সুমন

  • Font increase
  • Font Decrease

‘আমি রাতে ফেসবুকে কোন সমস্যা নিয়ে লাইভে কথা বললে, সকালে দেখা যায় ২০ লাখ মানুষ দেখে ফেলেছে। তখন হয়তোবা সমস্যার সমাধানে কর্তৃপক্ষের ওপরে চাপ পড়ে। কর্তৃপক্ষ সাথে সাথে গিয়ে সমস্যাগুলোর সমাধান করে ফেলেন। বিভিন্ন কর্তৃপক্ষের লোকজন সব সময় ভয়ের মধ্যে থাকেন যে, ব্যারিস্টার কখন এসে লাইভ দিয়ে ফেলেন।’


কথাগুলো ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমনের। তিনি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর। কর্মজীবনে আইনি পেশার পাশাপাশি যুক্ত আছেন সামাজিক নানা কর্মকাণ্ডে। সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে নাগরিক সমস্যার নানা বিষয়ে কথা বলে আলোচনায় এসেছেন।

আলোচিত এই ব্যক্তি কখনও আবর্জনার স্তূপে কখনও চলন্ত গাড়ি থামিয়ে সড়কের পাশে আবার কখনও পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর পাশে দাঁড়িয়ে ফেসবুকে লাইভে তুলে ধরছেন সমস্যা ও সম্ভাবনার কথা। তাৎক্ষণিক এসব সমাধান হওয়ায় অনেকেই তাকে ফাটাকেস্ট বলে আখ্যা দিয়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।


বার্তা২৪.কম-এর একান্ত সাক্ষাৎকারে ব্যারিস্টার সায়েদুল হক সুমন জানালেন তার এমন উদ্যোগের নানা গল্প। সোশ্যাল মিডিয়ার ভাইরাল এ আইনজীবীর আলোচারিতা তুলে ধরেছেন স্টাফ করেসপন্ডেন্ট মুজাহিদুল ইসলাম।


ব্যারিস্টার সুমন জানালেন, আন্তর্জাতিক আপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর (রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী) হিসেবে কাজ করছি। পেশাগত দায়িত্বের বাইরে যে সময়টুকু নিজের জন্য থাকে, তার পুরোটাই আমি আমার জন্মস্থানের বিভিন্ন অসঙ্গতিগুলো নিজের সামর্থ্যে সমাধানের চেষ্টা করি। তবে যদি দেখি সমস্যাগুলো নিজের সামর্থ্যে সমাধান করা যাবে না তাহলে  সেগুলো ফেসবুকের মাধ্যমে তুলে ধরি যাতে এসব সমস্যা কর্তৃপক্ষের নজরে আসে এবং সমাধান হয়ে যায়।

দেশ ও মানুষের সেবা করতে হলে জনপ্রতিনিধি হতে হয় না জানিয়ে ব্যারিস্টার সুমন বলেন, আমি বিশ্বাস করি যে প্রতিটা মানুষই তার জন্মস্থান এবং তার দেশের জন্য নেতা। সেবা করার জন্য এমপি, চেয়ারম্যান, মেম্বার হতে হবে, এমনটায় আমি বিশ্বাসী নই। আপনি ডাক্তার হতে পারেন, ব্যারিস্টার, ইঞ্জিনিয়ার হতে পারেন। আপনিও কোন না কোন জায়গার সাংঘাতিক রকমের অভিভাবক হয়ে যেতে পারেন। বাংলাদেশে প্রচলন আছে, যে যার পেশা নিয়ে থাকবে। আমাদের বৃত্তের বাইরে বের হয়ে আসতে হবে। ধারণা বদলাতে হবে।

জীবনের প্রথম উদ্যোগে ‘পাগল’ খেতাব পেয়েছিলেন, অনেকেই বলছিলেন এসব ব্যারিস্টার সাহেবের ‘নাটক’। তবে দমে যাননি তিনি।

প্রথম কাজটা নিয়ে বলেন, আমার এলাকায় ব্রিজের কারণে বাচ্চারা স্কুলে যেতে পারে না। তখন  চিন্তা করলাম আমি তো পাকা ব্রিজ করে দিতে পারবো না। আমি কাঠের ব্রিজ বানানো শুরু করলাম। প্রথমে মানুষজন বলতে লাগল যে ব্যারিস্টার পাগল হয়ে গেছে, ব্যারিস্টার নাটক করতেছে, ব্যারিস্টার নেতা হতে চায়। এসব তো আমি সহ্য করে নিলাম। এভাবে একটা দুইটা করে বানাইতে বানাইতে যখন আমি তেইশটা ব্রিজ বানিয়ে ফেললাম, তখন মানুষ বুঝতে শুরু করল না, ওর মনে হয় ভিতর থেকে আসে কাজগুলো। এখন মানুষ দেখতেছে যে, অনেক উন্নয়ন হচ্ছে। ফলে মানুষের কষ্ট কমতেছে। হয়তো আমি চাচ্ছিলাম আমার এলাকাকে সামনে দিকে নিয়ে যেতে। কিন্তু আমার বক্তব্য ছড়িয়ে পড়েছে সারা দেশে।

কাজ পাগল এই মানুষটি মনে করেন, সবাই যার যার জায়গা থেকে  মানুষের সেবায় এগিয়ে আসলে দেখুন, পুরো দেশের উন্নয়ন হবে।

‘আপনি কখনোই সারাদেশে আপনার কাজ ছড়িয়ে দিতে পারবেন না । আমি কত কাজ করতে পারি? আমি চাই, সবাই তার জন্মস্থানে দুই দিন হলেও যাক। মাসে একবার না পারেন দুই মাসে একবার যেতে পারে। কারণ, আমার জন্মস্থানের জন্য যে টান অনুভব করি নিশ্চয়ই আপনার বাড়ির জন্য আমি এই টান অনুভব করি না। আপনিও আমার বাড়ির জন্য এই টান অনুভব করেন না। নিজের বাড়িতে শুধু ঈদে গেলে হবে? যাবেন মানুষের জন্য, যারা আপনার জানাজায় থাকবে। আপনার জানাজায় তো আমি থাকবো না। আপনার জানাজায় আপনার এলাকার লোকজন থাকবে। তো এদের জন্য কিছু একটা করেন।

সোশ্যাল মিডিয়ার জনপ্রিয়তার বিষয়ে তিনি বলেন, সস্তা জনপ্রিয়তা পাওয়ার জন্য যদি আমি এসব কাজ করে থাকি, আমিতো জনপ্রিয়তা পেয়ে গেছি। তাহলে আমি এখনো কাজগুলো কেন করছি। তারপরেও আমার এলাকায় ২৩ টি ব্রিজ তৈরি করেছি। সস্তা জনপ্রিয়তা পাওয়ার জন্য হলেও আপনারা এলাকায় একটা ব্রিজ বানান না।  আগে একটা ব্রিজ বানান, ব্রিজের উপরে দাঁড়িয়ে বলুন আমি অমুক বলছি। একটা ব্রিজ বানিয়েছি এখানে। আপনারা নিজেরা কাজ করবেন না, অন্যরা করলে আপনারা আবোল-তাবোল কথা বলবেন।

'ফাটাকেস্ট' বা 'হিরো’ উপাধির বিষয়ে তিনি বলেন, আমি হিরো না। কয়েকটা ভালো কাজ করি মানে এই নয় যে,  আমি ভালো লোক হয়ে গেছি। আমারও সীমাবদ্ধতা আছে।  আমি কাউকে বলি নাই যে, আমার চরিত্র পীর সাহেবের মত। আমি একজন সাধারণ মানুষ। একটাই বিষয়, মানুষের কষ্ট দেখলে আমার খারাপ লাগে। আর এই যে ফাটাকেস্ট বা অন্য যে নামই বলেন,  ব্যাপারটা হচ্ছে আমার কথা লোকজন শুনতে শুরু করেছে।

তরুণদের উদ্দেশে ব্যারিস্টার সুমন আহ্বান জানিয়ে বলেন, ভালো কাজ করলে বাধা আসবেই। এতে ভয় পেয়ে থাকলে চলবে না। বাংলাদেশে যতো আন্দোলন সফল হয়েছে আস্তে আস্তে গড়ে উঠেছে। হঠাৎ করেই জনস্রোত চলে আসে নাই। আস্তে আস্তে আপনি আপনার বক্তব্য গুলো দিতে থাকেন, আপনি চিৎকার করতে থাকেন, আপনি সোশ্যাল মিডিয়ায় আপনার আওয়াজগুলো পৌঁছে দেন। দেখবেন মানুষ একটা সময় নেমে  আসতে বাধ্য। সিস্টেমগুলো বদলাতে হবে। শুধু নেতা বদল করে আপনার লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারবেন না।

 

 

   

বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীরা এ দেশের স্বাধীনতা মেনে নিতে পারেনি: গণপূর্তমন্ত্রী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীরা এ দেশের স্বাধীনতা মেনে নিতে পারেনি: গণপূর্তমন্ত্রী

বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীরা এ দেশের স্বাধীনতা মেনে নিতে পারেনি: গণপূর্তমন্ত্রী

  • Font increase
  • Font Decrease

বঙ্গবন্ধুকে যারা হত্যা করেছে তারা এ দেশের স্বাধীনতা মেনে নিতে পারেনি বলে মন্তব্য করেছেন গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী।

এসময় তিনি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানিয়েছেন।

সোমবার (২৯ এপ্রিল) ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের উদ্যোগে শেখ জামালের ৭১তম জন্মদিন উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ আহ্বান জানান।

যুবলীগ সভাপতি শেখ ফজলে শামস পরশের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রেস ইনস্টিটিউট অব্ বাংলাদেশের (পিআইবি) মহাপরিচালক মোঃ জাফর ওয়াজেদ, যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিল, কবি, প্রাবন্ধিক ও লেখক অজয় দাশ গুপ্ত প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী আরো বলেন, বঙ্গবন্ধুকে যারা হত্যা করেছে তারা এ দেশের স্বাধীনতা মেনে নিতে পারেনি। একটা গভীর রাজনৈতিক চক্রান্তের অংশ হিসেবে জাতির পিতাকে হত্যা করা হয়েছে। বঙ্গবন্ধুর দ্বিতীয় পুত্র শহীদ লেফটেন্যান্ট শেখ জামাল অত্যন্ত অমায়িক, ভদ্র ও মিশুক প্রকৃতির মানুষ ছিলেন। তিনি একজন স্মার্ট মিলিটারি অফিসার ছিলেন। মাত্র সতেরো বছর বয়সে মুক্তিযুদ্ধে গিয়েছিলেন। তার মতো দেশপ্রেমের উজ্জ্বল নক্ষত্রকে যারা হত্যা করতে পারে তাদের নির্মমতা সহজেই অনুমেয়। তরুণ প্রজন্মকে শেখ জামালের মতো দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে তার মতো জীবন গঠনের আহ্বান জানান।

যুবলীগ সভাপতি শেখ ফজলে শামস পরশ সভাপতির বক্তব্যে বলেন, জিয়াউর রহমান প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত ছিলো। একটি পৃথক কমিশন গঠন করে এ হত্যাকাণ্ডের পেছনে জিয়ার ভূমিকা উন্মোচন ও তার মরণোত্তর বিচারের দাবি জানান তিনি।

অনুষ্ঠানে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, যুবলীগের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দসহ আওয়ামী লীগের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।

;

দুর্নীতির অভিযোগে ইসলামপুরের পৌর মেয়র সাময়িক বরখাস্ত



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, জামালপুর
দুর্নীতির অভিযোগে ইসলামপুরের পৌর মেয়র সাময়িক বরখাস্ত

দুর্নীতির অভিযোগে ইসলামপুরের পৌর মেয়র সাময়িক বরখাস্ত

  • Font increase
  • Font Decrease

 

দুর্নীতির অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় জামালপুরের ইসলামপুর পৌরসভার মেয়র আব্দুল কাদের সেখকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।

সোমবার (২৯ এপ্রিল) স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের পৌর-১ শাখার উপসচিব মো. আব্দুর রহমান স্বাক্ষরিত আদেশে এ তথ্য জানা গেছে।

এতে বলা হয়েছে, ইসলামপুর পৌরসভার মেয়র আব্দুল কাদের সেখের বিরুদ্ধে ১১ জন কাউন্সিলরের আনীত স্বেচ্ছাচারী আচরণ, সরকারি গুদামের মাল লুট, আত্মসাৎ ও দুর্নীতির অভিযোগ তদন্তে প্রমাণিত হওয়ায় স্থানীয় সরকার (পৌরসভা) আইন, ২০০৯ এর ধারা ৩২ (১) (খ) (ঘ) এবং (২) অনুযায়ী তাকে মেয়র এর পদ থেকে অপসারণের কার্যক্রম শুরু করা হয়।

স্থানীয় সরকার (পৌরসভা) আইন, ২০০৯ এর ধারা ৩১ (১) অনুযায়ী 'পৌরসভা বা রাষ্ট্রের হানিকর কার্যকলাপে জড়িত থাকা' এবং অসদাচরণ বা ক্ষমতার অপব্যবহারে দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় মেয়র এর পদ থেকে আব্দুল কাদের সেখকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হলো। এতে আরও বলা হয়, যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমোদনক্রমে এ আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে।

এর আগে ২০২২ সালে ২৭ নভেম্বর জামালপুর জেলা প্রশাসকের কাছে মেয়র আব্দুল কাদের সেখের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দেন পৌরসভার ১২ জন কাউন্সিলরের মধ্যে ১১ জন। একই সঙ্গে মেয়রের বিরুদ্ধে অভিযোগগুলো তদন্তের জন্য ময়মনসিংহ বিভাগীয় কমিশনারের কাছেও আবেদন করেন তারা।

এ বিষয়ে পৌর মেয়র (বরখাস্ত) আব্দুল কাদের সেখের মুঠোফোনের মাধ্যমে যোগাযোগ করা হলে তিনি ব্যস্ততা দেখিয়ে ফোন কেটে দেন।

;

পরিবেশ দূষণ রোধে ১০ সুপারিশ উপস্থাপন



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
পরিবেশ দূষণ রোধে ১০ সুপারিশ উপস্থাপন

পরিবেশ দূষণ রোধে ১০ সুপারিশ উপস্থাপন

  • Font increase
  • Font Decrease

কাউন্টারপার্ট ইন্টারন্যাশনাল কারিগরি সহায়তায় এবং ইউএসএইড-এর সহযোগিতা বাস্তবায়িত প্রোমোটিং অ্যাডভোকেসি এন্ড রাইটস কর্মসূচি জাতীয় রাউন্ডটেবিল আলোচনায় খুলনা, ও ঢাকার প্রান্তিক মানুষের প্রতিনিধিরা পরিবেশ দূষণ রোধ, পরিকল্পিত নগরায়ণ ও নদীর পানি দূষণ রোধে ১০টি সুপারিশমালা উপস্থাপন করেছেন।

সোমবার (২৯ এপ্রিল) রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক হোটেলে টেকসই নগরায়ণ ও পরিবেশের সুরক্ষায় সুপারিশ শীর্ষক জাতীয় রাউন্ডডটেবিল আলোচনায় সুপারিশগুলো উপস্থাপন করা হয়।

আলোচনায় সুপারিশগুলোর মধ্যে বিদ্যমান কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা নীতিমালা বাস্তবায়ন, একবার-ব্যবহার্য প্লাস্টিকের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা, প্রস্তাবিত নীতিমালার বাস্তবায়ন, জাতীয় পর্যায়ে কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় ডিজিটাল মনিটরিং ও নজরদারির ব্যবস্থা এবং পরিকল্পিত নগরায়ণের জন্য বাংলাদেশের সকল সিটি কর্পোরেশনে মাল্টি-স্টেকহোল্ডার ওয়ার্কিং কমিটি গঠন, নিয়মিতভাবে মাল্টি-সেক্টরাল সভায় নদী এবং পরিবেশ দূষণের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা ও পদক্ষেপের অগ্রগতি আলোচনা, জাতীয় পর্যায়ে একটি টাস্কফোর্স গঠন, সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্বমূলক পদক্ষেপ গ্রহণ, জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের তদারকি ক্ষমতার পরিধি বৃদ্ধি এবং নতুন সরকারি অবকাঠামোগত উন্নয়নমূলক প্রকল্প অনুমোদনের পূর্বে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে পরিবেশগত দিক মূল্যায়ন করা।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরি বলেন, পিএআর কর্মসূচির মাধ্যমে প্রান্তিক মানুষ যেভাবে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, পরিকল্পিত নগরায়ণ,সরকারি সেবা প্রদানকারী সংস্থাগুলোর সেবা প্রদান ব্যবস্থা, নদী দূষণ রোধে সকলের অংশগ্রহণে সুপারিশসমূহ তৈরি করেছে এবং স্থানীয় পর্যায় থেকে জাতীয় পর্যায়ে সুপারিশমালা উপস্থাপন করেছে তা সুশাসন ও জবাবদিহিতার একটি মডেল পদ্ধতি হিসেবে পরিগণিত হতে পারে।

মন্ত্রী আরো বলেন, সংসদীয় কমিটিতে ককাস গঠন করে এই সব সুপারিশমালা দ্রুত বাস্তবায়ন ও সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যে বাংলাদেশের আলোকবর্তিকার ধারক প্রান্তিক মানুষকেই উদ্যোগ নিতে হবে ও সকলের অংশগ্রহণ নিশ্চিতে কাজ করতে হবে।

ইউএসএআইডি-এর অফিস অফ ইকোনমিক গ্রোথের পরিচালক মুহাম্মদ এন খান বলেন, মানবাধিকার এবং দেশের মৌলিক সংস্কারের জন্য সুশীল সমাজ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। প্রোমোটিং অ্যাডভোকেসি এবং রাইটস প্রোগ্রামের মতো উদ্যোগগুলি নাগরিকবান্ধব শাসনব্যবস্থাকে এগিয়ে নিতে বাংলাদেশের সুশীল সমাজ, প্রান্তিক মানুষ এবং সরকারের মধ্যে অংশীদারিত্ব জোরদার করায় মার্কিন সরকারের প্রতিশ্রুতিকে জোরদার করে। ইউএসএইড আজকের এই ফলপ্রসূ আলোচনার অংশ হতে পেরে গর্বিত এবং নাগরিকরা কীভাবে ইতিবাচক পরিবর্তনকে আরো প্রভাবিত করে আপনাদের সকলকে সাথে নিয়ে কাজ করে যেতে চায়।

কাউন্টারপার্ট ইন্টারন্যাশনালের চিফ অব পার্টি কেটি ক্রোক অনুষ্ঠান বলেন, নানাবিধ নাগরিক সমস্যা সমাধানের জন্য একসাথে কাজ করায় সকলকে আন্তরিক ধন্যবাদ। সারা বাংলাদেশে জনগণের জীবনযাত্রার উন্নতির জন্য নাগরিক এবং নীতিনির্ধারকদের মধ্যে মেলবন্ধনের যে শিক্ষণীয় মডেল আপনারা সবাই তৈরি করছেন, তা আমাদের কাজকে সার্থক করে তুলেছে।

প্রসঙ্গত, ২০২৪ সালের সংসদীয় নির্বাচনের আগে, পিএআর প্রকল্প বাংলাদেশি সহযোগী সংস্থাদেরকে দেশের অপেক্ষাকৃত কম ও প্রতিনিধিত্বহীন দুই হাজার ৩০৩ জন নাগরিককে একই কাতারে আনতে সহায়তা করে যারা নিজেরাই তাদের গুরুত্বপূর্ণ সমস্যা চিহ্নিত করে ও এবং তা সমাধানের কার্যকরী সুপারিশ দেয়। এরপর সেসব চিহ্নিত সমস্যা এবং সুপারিশ নিয়ে তারাই ২১৭ জন রাজনৈতিক নেতা এবং ৪৬ জন সংসদীয় প্রার্থীর কাছে সরাসরি তুলে ধরে ও নির্বাচনী ইশতেহারে এবং প্রার্থীদের প্রতিশ্রুতি সেগুলো অন্তর্ভুক্তির দাবি জানায়। যার ফলশ্রুতি রাজনৈতিক নেতা ও প্রার্থীদের কাছ থেকে ২৬৩ টি অঙ্গীকারনামা। নির্বাচনের পর পিএআর কর্মসূচি সেইসব নাগরিক সমস্যাগুলোর বাস্তব সমাধান প্রক্রিয়াকে আরো এগিয়ে নিতে রূপরেখা তৈরিতে কারিগরি সহায়তা প্রদান করে যেখানে নির্বাচনী ইশতেহার এবং প্রার্থীদের প্রতিশ্রুতি প্রতিফলিত হয়েছে। এই রূপরেখা লাখ লাখ বাংলাদেশি নাগরিকরা যেন তাদের দেশের টেকসই উন্নয়নে পিছিয়ে না থাকে তা নিশ্চিত করবে বলে পিএআর কর্মসূচি বিশ্বাস করে। 

;

নীলফামারীতে কীটনাশক পানে বৃদ্ধের মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪, নীলফামারী
নীলফামারীতে কীটনাশক পানে বৃদ্ধের মৃত্যু

নীলফামারীতে কীটনাশক পানে বৃদ্ধের মৃত্যু

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলায় পারিবারিক কলহের জেরে কীটনাশক পানে জ্যোতিষ চন্দ্র (৬০) নামে এক বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে।

সোমবার (২৯ এপ্রিল) রাতে বিষয়টি নিশ্চিত করেন থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) পলাশ চন্দ্র মন্ডল।

এর আগে রোববার রাতে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

নিহত বৃদ্ধ বড়ভিটা ইউনিয়নের খামারডুমরিয়া এলাকার বাসিন্দা ছিলেন।

নিহতের স্বজন ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, পারিবারিক কলহের জেরে আত্মহত্যার উদ্দেশ্যে জমিতে দেওয়া কীটনাশক পান করেন। পরে বাড়ির আঙিনায় বমি করা শুরু করলে স্বজনরা তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেসময় দায়িত্বরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রোববার রাতে তার মৃত্যু হয়।

কিশোরগঞ্জ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) পলাশ চন্দ্র মন্ডল বলেন, জমিতে দেওয়া কীটনাশক খেয়ে জ্যোতিষ চন্দ্র (৬০) নামে এক বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে।

;