ব্রেক্সিট ইস্যু: যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্ট মুলতবি ঘোষণা



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

যুক্তরাজ্যের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন আসছে সেপ্টেম্বর মাসে পার্লামেন্ট মুলতবি রাখার জন্য আবেদন করেন রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের কাছে। এরই প্রেক্ষিতে রানি আবেদন মঞ্জুর করে আগামী ৯ সেপ্টেম্বর থেকে অক্টোবরের ১৪ তারিখ পর্যন্ত পার্লামেন্টের অধিবেশন মুলতবি রাখার অনুমোদন দেন।

বুধবার (২৮ আগস্ট) আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম জানায়, প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন পার্লামেন্ট মুলতবি থাকার ঘোষণা দেওয়ার পাশাপাশি ১৪ অক্টোবর পার্লামেন্ট শুরুর দিন রানি বক্তব্য রাখবেন বলে জানান। যেখানে রানি ব্রেক্সিট পরবর্তী পরিকল্পনা সম্পর্কে জানাবেন বলেও ইঙ্গিত দেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রীর এমন ঘোষণায় যুক্তরাজ্যের বিরোধী দলগুলো ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। প্রধানমন্ত্রীর এমন আচরণকে স্বৈরতান্ত্রিক আখ্যা দিয়ে রানিকে এমন কাজের জন্য পরামর্শ দেওয়া হয়েছে বলে তারা মন্তব্য করেন। 

বিরোধী দলীয় নেতারা বলছেন, বরিস জনসন তার নো-ডিল ব্রেক্সিট চুক্তিকে বাস্তবায়নের লক্ষে এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। নিয়ম বহির্ভূত এমন সিদ্ধান্তে প্রধানমন্ত্রীর নো-ডিল চুক্তিতে অন্য নেতারা যেন হস্তক্ষেপ করতে না পারেন তাই এমন পরিকল্পনা করেছেন তিনি। 

যদিও রানির বক্তব্যের আগে পার্লামেন্ট স্থগিত রাখার নিয়ম আছে তবে এতদিনের জন্য মুলতবি ঘোষণা করা নিয়মের বাইরে বলে মন্তব্য করেন নেতারা। জনসনের নো-ডিল চুক্তিতে যুক্তরাজ্যের অর্থনীতি মারাত্মক হুমকির সম্মুখীন হতে পারে বলে মন্তব্য করেন বিরোধী দলীয় লেবার পার্টির নেতা জেরেমি করবিন। 

এ নিয়ে স্কটল্যান্ডের মুখ্যমন্ত্রী নিকোলা এক বিবৃতিতে জানান, প্রধানমন্ত্রীর এমন সিদ্ধান্ত যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্টের জন্য মৃত্যুর শামিল। এমন মন্তব্যের প্রেক্ষিতে বরিস জনসন বলেন, পার্লামেন্ট মুলতবির সঙ্গে ব্রেক্সিটের কোনো সম্পর্ক নেই।   

এদিকে, অক্টোবরের ৩১ তারিখ ব্রেক্সিট চুক্তি বাস্তবায়নের শেষ দিন। এজন্য পার্লামেন্টের মুলতবি ঘোষণা নিয়ে শুরু হয়েছে জল্পনা-কল্পনা। এর মাধ্যমে সরকার ব্রেক্সিটের নো-ডিল চুক্তির দিকে অগ্রসর হচ্ছে বলেও ধারণা করা হচ্ছে।

এর আগে বরিস জনসন ব্রেক্সিটকে বাস্তবায়ন করতে নো-ডিল চুক্তির কথা বলেন, যেখানে কোনো চুক্তি ছাড়াই যুক্তরাজ্যে ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বিদায় নেবে বলে জানান তিনি।

যদিও ব্রেক্সিটের নো-ডিল চুক্তির মধ্যে দিয়ে গেলে যুক্তরাজ্যকে অনেক চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হবে বলে মন্তব্য করেন বিশ্লেষকরা। এসব চ্যালেঞ্জের মধ্যে এক মুদ্রা বাজার ব্যবস্থা, শুল্কমুক্ত আমদানি, আমদানি পণ্যের দর বৃদ্ধি, সম্পৃক্ত প্রশাসনিক সংস্থা থেকে বেরিয়ে আসা, ইউরোপিয়ান দেশগুলোতে হেলথ ইনস্যুরেন্স সেবা স্থগিত, মোবাইল কলরেটে রোমিং চার্জ আরোপ ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য।

   

বাইডেনের বিপক্ষে ৭১% নাগরিক, জনপ্রিয়তায় এগিয়ে ট্রাম্প



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সম্প্রতি এক জরিপে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে জনপ্রিয়তায় পেছনে ফেলেছেন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। বাইডেনের জনপ্রিয়তায় ধসের পেছনে তার গাজানীতি দায়ী বলে মনে করে মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন।

সিএনএন জানিয়েছে, নতুন এক জরিপে ৬০ শতাংশ মার্কিনি বাইডেনের নীতিমালা ও কার্যক্রমকে ‘ডিস–অ্যাপ্রুভাল’ বা অসম্মতি জানিয়েছেন। অন্যদিকে ৪০ শতাংশ মনে করেন, বাইডেনের কার্যক্রম সঠিক পথেই রয়েছে।

এ ছাড়া ৭১ শতাংশ মার্কিনি মনে করেন, ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধে বাইডেন যে নীতি অবলম্বন করেছেন, তা ভুল ছিল। এর বিপরীতে ২৮ শতাংশ মার্কিনি বাইডেনের নীতিকে সমর্থন জানিয়েছেন।

জরিপে অংগ্রহণকারীরা বাইডেনের অন্যান্য নীতিরও সমালোচনা করেছেন। যেমন বাইডেনের স্বাস্থ্য ও শিক্ষানীতির প্রতি সমর্থন জানিয়েছেন মাত্র ৪৫ ও ৪৪ শতাংশ মানুষ। এ ছাড়া অর্থনীতি বিষয়ে বাইডেনের নীতিকে সমর্থন করেছেন ৩৪ শতাংশ এবং মুল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে বাইডেনের নীতিকে সমর্থন করেছেন ২৯ শাতাংশ মার্কিনি।

বেশির ভাগ মার্কিন নাগরিক মনে করেন, ট্রাম্পের শাসনামলের চার বছর ভালো ছিল। তিনি বাইডেনের তুলনায় সফল প্রেসিডেন্ট ছিলেন। ৫৫ শতাংশ মার্কিনি বলেছেন, ট্রাম্প সফল ছিলেন। অন্যদিকে ৪৪ শতাংশ বলেছেন, তিনি ব্যর্থ ছিলেন।

বর্তমান মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের ব্যাপারে ৬১ অংশগ্রহণকারীরা বলেছেন, তিনি দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হয়েছেন। আর মাত্র ৩৯ শতাংশ বলেছেন, তিনি সফল। 

সিএনএন জানিয়েছে, ১৭ শতাংশ মার্কিনির মতে, বাইডেন-ট্রাম্প উভয়েই ব্যর্থ। তাই পরও ভোট দিতে হলে ৪৩ শতাংশ ট্রাম্পকে ভোট দেওয়ার ইচ্ছা পোষণ করেছেন, আর ৩১ শতাংশ বাইডেনকে ভোট দেওয়ার কথা জানিয়েছেন।

গত ১৮ থেকে ২৩ এপ্রিল পর্যন্ত সিএনএন এই জরিপ চালিয়েছে। এই জরিপে অংশ নিয়েছিল ১ হাজার ২১২ জন প্রাপ্ত বয়স্ক মার্কিন নাগরিক। অনলাইন ও টেলিফোনের মাধ্যমে এ জরিপ পরিচালনা করেছে এসএসআরএস।

;

পাকিস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রী হলেন ইসহাক দার



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

পাকিস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার। রোববার (২৮ এপ্রিল) পাকিস্তানের মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ এক বার্তায় তাকে নিয়োগের বিষয়টি জানিয়েছে। 

ইসহাক দারকে উপপ্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দেওয়ায় প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে পাকিস্তান তেহেরিক-ই ইনসাফ (পিটিআই)। দলটির নেতারা বলছেন, শাহবাজ শরীফ এখন জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ পোস্টে পরিবারের লোকদের বসাচ্ছে। 

গত ৮ ফেব্রুয়ারির নির্বাচনের পর পাকিস্তানে পিএমএল–এনের নেতৃত্বে জোট সরকার গঠিত হলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হন ৭৩ বছর বয়সী ইসহাক দার। 

পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম জিও নিউজের প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ জানিয়েছে, ‘কেন্দ্রীয় সরকারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ ইসহাক দারকে উপপ্রধানমন্ত্রী পদে নিয়োগ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরীফ। অবিলম্বে এ নিয়োগ কার্যকর হবে।’ 

ইসহাক দার পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও পাকিস্তান মুসলিম লিগ–নওয়াজের (পিএমএল–এন) নেতা নওয়াজ শরিফের মেয়ে আসমা নওয়াজের শ্বশুর।

ইসহাক দার একজন চার্টার্ড অ্যাকাউনট্যান্ট। নওয়াজ শরিফের নিকটাত্মীয় হওয়ার পাশাপাশি তার ঘনিষ্ঠ একজন মিত্র ইসহাক দার। এর আগে তিনি চারবার দেশটির অর্থমন্ত্রী ছিলেন।

 

;

করোনার টিকার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার কথা স্বীকার করল অ্যাস্ট্রাজেনেকা



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

করোনার টিকার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার কথা অবশেষে স্বীকার করলো ব্রিটিশ-সুইস ওষুধ নির্মাতা কোম্পানি অ্যাস্ট্রাজেনেকা। বিশ্লেষকেরা বলছেন, এই স্বীকারোক্তির ফলে প্রতিষ্ঠানটিকে বিপুল পরিমাণ জরিমানা গুনতে হতে পারে।

রোববার (২৭ এপ্রিল) ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম টেলিগ্রাফের এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে। 

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইংল্যান্ডের অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটির গবেষকদের তৈরি কোভিড-১৯ এর টিকার কারণে বহু গুরুতর অসুস্থতা ও মৃত্যুর ঘটনার কথা উল্লেখ করে অ্যাস্ট্রাজেনেকার বিরুদ্ধে ৫১টি মামলা দায়ের করা হয়েছে।

২০২৩ সালে অ্যাস্ট্রাজেনেকার বিরুদ্ধে প্রথম মামলাটি দায়ের করেছিলেন দুই সন্তানের জনক জেমি স্কট। ২০২১ সালের এপ্রিলে ভ্যাকসিন নেওয়ার পরে তার মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ হয় ও তা জমাট বেঁধে যায়। এর ফলে তার মস্তিষ্কে স্থায়ী ক্ষত তৈরি হয়। স্বাভাবিক কার্যক্ষমতাও কমে গেছে জেমি স্কটের। 

অ্যাস্ট্রাজেনেকা গত ফেব্রুয়ারিতে আদালতে জমা দেওয়া একটি নথিতে স্বীকার করেছে যে, তাদের তৈরি কোভিড ভ্যাকসিনের কারণে ‘খুব বিরল টিটিএস’ এর ঘটনা ঘটতে পারে। টিটিএসের পূর্ণ রূপ হলো থ্রম্বোসিস উইথ থ্রম্বোসাইটোপেনিয়া সিনড্রোম। এর ফলে মানুষের রক্তে প্লেটলেট কমে যায় এবং রক্ত জমাট বেঁধে যায়।

এর আগে, ২০২৩ সালের মে মাসে স্কটের আইনজীবীর কাছে পাঠানো এক মেইলে অ্যাস্ট্রাজেনেকা বলেছিল, ‘জেনেরিক লেভেলে এই টিকার কারণে টিটিএস-এর ঘটনা ঘটেছে বলে আমরা স্বীকার করি না।’

কিন্তু চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে হাইকোর্টে জমা দেওয়া নথিতে অ্যাস্ট্রাজেনেকা বলে, ‘আমরা এটি স্বীকার করছি যে, অ্যাস্ট্রাজেনেকা টিকার কারণে খুব বিরল ক্ষেত্রে টিটিএস-এর মতো ঘটনা ঘটাতে পারে।’ 

অ্যাস্ট্রাজেনেকা নথিতে আরও উল্লেখ করে, ‘এ ছাড়া, অ্যাস্ট্রাজেনেকা টিকা (বা যেকোনো টিকা) না দিলেও থ্রম্বোসিস উইথ থ্রম্বোসাইটোপেনিয়া সিনড্রোমের ঘটনা ঘটতে পারে। কোনো ব্যক্তির ক্ষেত্রে এমনটা ঘটার কারণ জানার বিষয়টি বিশেষজ্ঞদের বিবেচনার দাবি রাখে।’

সব মিলিয়ে অ্যাস্ট্রাজেনেকার বিরুদ্ধে ব্রিটিশ হাইকোর্টে ৫১টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এসব মামলায় ভুক্তভোগী ও তাদের স্বজনেরা ক্ষতিপূরণ হিসেবে মোট ১০০ মিলিয়ন পাউন্ড ক্ষতিপূরণ দাবি করেছেন। আইনজীবীরা বলছেন, সংখ্যা ছোট হলেও এই টিকা ভুক্তভোগীদের পরিবারের ওপর ভয়াবহ প্রভাব ফেলেছে।

 

;

মেক্সিকোতে সড়ক দুর্ঘটনায় ১৪ জনের মৃত্যু



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

মেক্সিকোতে সড়ক দুর্ঘটনায় ১৪ জন নিহত হয়েছেন এবং আহত হয়েছেন আরও ৩১ জন। স্থানীয় সময় রোববার (২৮ এপ্রিল) এ দুর্ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছে দেশটির কর্তৃপক্ষ। 

স্থানীয় নিরাপত্তা সচিব জানিয়েছেন, মেক্সিকো রাজ্যের রাজধানীর উপকণ্ঠে সড়কপথে একটি বাস উল্টে গেলে এ দুর্ঘটনা ঘটে। তিনি আরও বলেন, এ দুর্ঘটনায় প্রাথমিকভাবে ১৪ জন নিহত এবং ৩১ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। 

দেশটির জাতীয় পরিসংখ্যান ইনস্টিটিউট জানিয়েছে, ২০২০ সাল থেকে মেক্সিকোতে সড়ক দুর্ঘটনা বেড়ে গেছে। ২০২২ সালে ৩ লাখ ৭৭ হাজার ২৩১টি সড়ক দুর্ঘটনার খবর রেকর্ড হয়েছে।

গত ২৪ ফেব্রুয়ারি, উত্তর-মধ্য রাজ্য সান লুইস পোটোসিতে একটি সড়ক দুর্ঘটনায় ১০ জনের মৃত্যু হয়। এর মধ্যে চারজনই ছিল শিশু।

এর আগে, শনিবার (২৭ এপ্রিল) অভিবাসীদের ওপর একটি ট্রাক উঠে গেলে তিনজন নিহত হন। দক্ষিণাঞ্চলীয় ওক্সাকা রাজ্যে এই ঘটনা ঘটেছে বলে স্থানীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে। ওই ঘটনায় চালক এখনও পলাতক রয়েছেন।

 
 
;