মিয়ানমারের সামরিক ব্যবসায়ীরা মানবাধিকার লঙ্ঘন করেছে



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর কিছু কর্মকর্তা ব্যবসার নামে বিদেশি বিভিন্ন সংস্থার কাছ থেকে টাকা নিয়ে মানবাধিকার লঙ্ঘন করেছে।

জেনেভা থেকে সোমবার (৫ আগস্ট) প্রকাশিত জাতিসংঘের ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং মিশন মিয়ানমারের এ ধররনে ব্যবসায়ী  সামরিক কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা জারির আহ্বান জানায়।

জাতিসংঘের একটি  অনুসন্ধানকারী মিশন সামরিক মালিকানাধীন  ব্যবসায়ীদের উপর  অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞার আহ্বান জানিয়ে বলেছে, মিয়ানমারের  সামরিক বাহিনী অর্থ নিয়ে পরিকল্পিতভাবে কাচিন, শান ও রাখাইন রাজ্যে দেশি-বিদেশি ব্যবসায়ীদের সুবিধা দিতে মানবাধিকার লঙ্ঘণ করেছে। এই পরিকল্পনার অংশ হিসেবেই রাখাইন থেকে রোহিঙ্গাদের বিতাড়িত করা হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০১৬ সাল থেকে মিয়ানমারে যুদ্ধবিমান, সাঁজোয়া যুদ্ধজাহাজ, ক্ষেপণাস্ত্র ও ক্ষেপণাস্ত্র লঞ্চার সরবরাহকারী চীন, রাশিয়া ও ইসরাইলসহ সাতটি দেশের অন্তত ১৪ বিদেশি সংস্থাকেও নিষেধাজ্ঞার জারির আহ্বানও জানিয়েছে।

জাতিসংঘের  অনুসন্ধানকারী মিশন চেয়ারম্যান মারজুকি দারুসমান সোমবার ১১১ পৃষ্ঠার প্রতিবেদনে প্রকাশ করে বলেন, মিয়ানমারের এ রাজ্যগুলোতে  সামরিক ব্যবসা ও বিদেশি সংস্থাগুলোর বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা জারি হলে এ অঞ্চলে মানবাধিকার লঙ্ঘন কমবে।

প্রতিবেদনে সামরিক নিয়ন্ত্রিত মিয়ানমার ইকোনমিক হোল্ডিংস লিমিটেড (এমইএইচএল) এবং জেড ও রুবির খনির ক্ষেত্রে মিয়ানমার অর্থনৈতিক কর্পোরেশন (এমইসি) কর্তৃক মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়ে বিস্তারিত বিবরণ দেওয়া হয়েছে।

জেড ও রুবির মত মূল্যবান এই রত্নের অবৈধ বাণিজ্য রোধ করতে পারলেই এই অঞ্চলের শান্তি ফিরে আসবে বলে জানানো হয়।

কারণ সামরিক নিয়ন্ত্রণাধীন এমইএইচএল ও এমইসি-এর আওতায়  বিভিন্ন নির্মাণ, ফার্মাসিউটিক্যালস, বিমা, পর্যটন এবং ব্যাংকিংসহ  কমপক্ষে ১২০ টি কোম্পানি সরাসরি যুক্ত রয়েছে।

উভয় সংস্থাই কাচিন এবং শান রাজ্যে জেড এবং রুবি খনির লাইসেন্সেও রয়েছে।

প্রতিবেদনে দেখা গেছে, যে সামরিক ব্যবসার সাথে কমপক্ষে ১৫ টি বিদেশি সংস্থার সরাসরি যৌথ উদ্যোগ রয়েছে।  ৪৪ টির সংস্থার সাথে নানান বাণিজ্যিক সম্পর্ক রয়েছে, যার সংখ্যাগরিষ্ঠই চীন, দক্ষিণ কোরিয়া, জাপান এবং সিঙ্গাপুরের সংস্থা। প্রতিবেদনে বিশ্বের বিভিন্ন সংস্থাকে সতর্ক করে দিয়ে বলা হয়েছে সেখানে যেন তারা অনুদান দিতে চিন্তাভাবনা করে। কারণ ২০১৭ সালে কমপক্ষে ৪৫টি কোম্পানি এই সামরিক ব্যবসায়ীদের ১০.২ মিলিয়ন অনুদান দিয়েছিল।

   

চীনে টর্নেডোতে নিহত ৫, আহত ৩৩



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

চীনের একটি শহরের উপর দিয়ে টর্নেডো বয়ে গেলে ৫ জন নিহত এবং আরো ৩৩ জন আহত হয়েছেন।

রোববার (২৮ এপ্রিল) চীনের বার্তাসংস্থা জিনহুয়ার বরাত দিয়ে ইরানের বার্তাসংস্থা মেহর নিউজ এ খবর জানায়।

খবরে বলা হয়, শনিবার বিকেলের দিকে দক্ষিণ চীনের গুয়াংঝৌ প্রদেশের বাইয়ুন জেলার উপর দিয়ে টর্নেডো বয়ে গেলে ৫ জন নিহত এবং ৩৩ জন আহত হন। এছাড়া এসময় ১শ ৪১টি কারখানা ভবন বিধ্বস্ত হয়।

স্থানীয় সরকারের বরাত দিয়ে জানানো হয়েছে, ঘটনার পর পরই উদ্ধারকর্মী, স্বাস্থ্যকর্মীসহ জরুরি ত্রাণকর্মীদের ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছে।

 

;

৫ম দফায় সৌদি যাচ্ছেন ব্লিঙ্কেন



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

গাজা উপত্যকায় যুদ্ধবিরতি এবং বৃহত্তর আঞ্চলিক সংঘাত প্রতিরোধের প্রচেষ্টা নিয়ে আলোচনা করতে সৌদি আরবে সফরে যাচ্ছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন। মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

ফরাসি বার্তাসংস্থা এএফপি এক প্রতিবেদনে এ খবর দিয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, রোববার (২৮ এপ্রিল) সৌদি আরবের উদ্দেশে পাড়ি দেবেন ব্লিঙ্কেন। সাম্প্রতিক সময়ে ইরান এবং ইসরাইলের মধ্যকার দীর্ঘ ছায়া যুদ্ধের পর প্রথমবারের মতো তিনি ওই অঞ্চলে সফরে যাচ্ছেন। এই সফরে উপসাগরীয় আরব দেশগুলোর মন্ত্রীদের সঙ্গে তার সাক্ষাৎ করার কথা।

মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার বলেছেন, গাজায় যুদ্ধবিরতির চলমান প্রচেষ্টা নিয়ে আলোচনা করবেন ব্লিঙ্কেন। হামাসের হাতে বন্দি জিম্মিদের মুক্তি নিশ্চিতের বিষয়েও আলোচনা করবেন তিনি।

ম্যাথিউ মিলার জানান, সংঘাত ছড়িয়ে না পড়ার গুরুত্বের বিষয়ে জোর দেবেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। একই সঙ্গে এই অঞ্চলে স্থায়ী শান্তি ও নিরাপত্তা অর্জনের জন্য চলমান প্রচেষ্টা নিয়েও আলোচনা করবেন তিনি।

উল্লেখ্য, গত বছরের ৭ অক্টোবর ইসরাইলের ওপর হামাসের হামলার আগে সৌদি আরব এবং ইসরাইলের মধ্যে সম্পর্ক স্বাভাবিক হওয়ার বিষয়ে আলোচনা চলছিল। তবে হামাস এবং ইসরায়েলের মধ্যে সংঘাত শুরুর পর এই প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত হয়। 



;

‘যুদ্ধক্ষেত্রে’ পরিণত হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয়



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

গাজা উপত্যকায় চলমান ইসরায়েলের আগ্রাসনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভে উত্তাল যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো। এ আন্দোলন থেকে এরই মধ্যে ৫৫০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আন্দোলনকারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটছে।

বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে ৩০টির বেশি বিশ্ববিদ্যালয়ে ইসরায়েল বিরোধী বিক্ষোভ চলছে। সম্প্রতি মার্কিন সম্প্রচারমাধ্যম সিএনএনে একটি ভিডিও প্রকাশ করা হয়েছে। যাতে দেখা যায়, ফিলিস্তিনের পক্ষ থেকে নেওয়ায় আটলান্টার এমরি ইউনিভার্সিটির অধ্যক্ষ ক্যারোলিন ফহলিনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

রোববার (২৮ এপ্রিল) ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

এমরি ইউনিভার্সিটির ইংরেজি এবং আদিবাসী অধ্যয়নের অধ্যাপক এমিল কেমে বলেন, ক্যাম্পাসে সংঘর্ষের দৃশ্য তাকে গুয়াতেমালার গৃহযুদ্ধের কথা মনে করিয়ে দেয়। সেখানে কিশোর বয়সে তিনি যুদ্ধ দেখেছিলেন।

এই অধ্যাপক আরও বলেন, ‘পুলিশ আন্দোলনকারীদের সরে যেতে বাধ্য করেছে। আমার মনে হচ্ছিল, আমি যুদ্ধক্ষেত্রে রয়েছি। সব পুলিশের হাতে অস্ত্রশস্ত্র ছিল।’

আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা বলছেন, তারা গাজাবাসীর সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করছে আন্দোলনের মাধ্যমে। তাদের দাবি, যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটিগুলো যেন ইসরায়েলে তাদের বিনিয়োগ বন্ধ করে দেয়।

এদিকে আটলান্টা পুলিশ ও জর্জিয়ার ট্রুপারস নামের আরেকটি নিরাপত্তা বাহিনী আন্দোলনকারীদের তাবু উচ্ছেদে এমরি ইউনিভার্সিটিতে যৌথ অভিযান চালিয়েছে। এসময় ২৮ জনকে গ্রেফতার করা হয়। 

এ বিক্ষোভ প্রথম শুরু হয়েছিল কলাম্বিয়া ইউনিভার্সিটিতে। এরপর থেকে অন্যান্য জায়গাও বিক্ষোভের সূত্রপাত হয়।




;

ইউক্রেনের ১৭টি ড্রোন ভূপাতিত করেছে রাশিয়া



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রাশিয়া পশ্চিমের বিভিন্ন অঞ্চলে শনিবার (২৭ এপ্রিল) রাতে ১৭টি ইউক্রেনীয় ড্রোন ভূপাতিত করেছে বলে জানিয়েছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়।

রোববার (২৮ এপ্রিল) প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে এ কথা জানানো হয়। মন্ত্রণালয় টেলিগ্রাম পোস্টে বলেছে, ‘বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ১৭টি ইউক্রেনীয় ইউএভি প্রতিরোধ ও ধ্বংস করেছে।’

বার্তাসংস্থা এএফপি’র প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
মন্ত্রণালয় জানায়, বেশিরভাগ ড্রোন ইউক্রেনের সীমান্তবর্তী অঞ্চলে গুলি করে ভূপাতিত করা হয়, যার মধ্যে নয়টি ব্রায়ানস্কে, তিনটি কুরস্কে ও দুটি বেলগোরোদে ভূপাতিত করা হয়। কালুগার অভ্যন্তরীণ অঞ্চলে আরও তিনটি ধ্বংস হয়েছে।
ইউক্রেন সাম্প্রতিক মাসগুলোতে রাশিয়ান শোধনাগার ও তেল মজুত স্থাপনাগুলোয় ধারাবাহিক হামলার দাবি করেছে। মস্কো ইউক্রেনের জ্বালানি স্থাপনাগুলোয় কয়েকটি বড় ধরণের হামলা চালিয়েছে।
এসব হামলায় ব্যাপকভাবে উৎপাদন ব্যহত হয়েছে, ইউক্রেন জুড়ে ব্ল্যাকআউট এবং উল্লেখযোগ্য জ্বালানি রেশনিং বাধাগ্রস্ত হয়েছে।

;