সমাবেশের নামে গন্ডগোলের অপচেষ্টা হলে কঠোর হস্তে দমন: তথ্যমন্ত্রী

আওয়ামী লীগ, রাজনীতি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম | 2023-10-28 16:57:00

তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বিএনপির উদ্দেশ্যে বলেছেন, শান্তিপূর্ণ সমাবেশ করুন, প্রশাসন আপনাদের সহযোগিতা করবে। কিন্তু গন্ডগোলের অপচেষ্টা করলে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে সেটি কঠোর হস্তে মোকাবিলা করা হবে, সন্ত্রাসীদের বিতাড়িত করা হবে।

শনিবার (২৮ অক্টোবর) চট্টগ্রামে কর্ণফুলী নদীর তলদেশে বঙ্গবন্ধু টানেল উদ্বোধন অনুষ্ঠানে শেষে আনোয়ারায় কেইপিজেড ময়দানে জনসভায় তিনি এ হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন।

মন্ত্রী বলেন, এই দেশে গণতন্ত্রের অভিযাত্রাকে নস্যাৎ করতে দেওয়া হবে না, গণতন্ত্র নিয়ে ছিনিমিনি খেলতে দেওয়া হবে না, গণতন্ত্রকে বাধাগ্রস্ত করার যে ষড়যন্ত্র চলছে সেই ষড়যন্ত্রকে নস্যাৎ করা হবে।

এদিন ঢাকায় বিএনপির সমাবেশ নিয়ে হাছান আরও বলেন, বিএনপি আজ ঢাকায় সমাবেশের অনুমতি চেয়েছিল, আমরা অনুমতি দিয়েছি। নাও দিতে পারতাম কিন্তু দিয়েছি। এটাকে দুর্বলতা ভাবলে ভুল হবে।

অথচ আমরা যখন বিরোধী দলে ছিলাম, বিএনপি আমাদের সমাবেশের অনুমতি দেয়নি স্মরণ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, তারা আমাদের লাঠিপেটা করেছে, মতিয়া চৌধুরীর মতো জ্যেষ্ঠ রাজনীতিবিদকে টানা-হেঁচড়া করেছে। আর এখন তারা ক'দিন পরপর কর্মসূচি দেয়। হাঁটা, বসা, দৌড়ানো কর্মসূচির পর সামনে হয়তো হামাগুড়ি কর্মসূচি দেবে।

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ বলেন, কিন্তু মনে রাখতে হবে, আওয়ামী লীগ শুধু রাজনৈতিক দল নয়, আওয়ামী লীগ একটি অগ্নিস্ফুলিঙ্গের নাম, আর আমাদের নেত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা, যার শিরায়-ধমনীতে বঙ্গবন্ধুর রক্তস্রোত প্রবাহমান, যে রক্ত আপোষ জানে না, পরাভব মানে না। তাই নয়াপল্টনে ৩০-৪০ বা ৫০ হাজার লোক সমাবেশ করে লাভ নেই, যেখানে গুলিস্তানের মোড়ে পাগল নাচলেও ১০-২০ হাজার লোক জড়ো হয়।

ড. হাছান বলেন, দক্ষিণ এশিয়ায় নদীর তলদেশ দিয়ে সড়ক টানেল এটিই প্রথম। পাহাড়ের তলদেশে টানেল, নদীর তলদেশে রেল টানেল থাকলেও নদীর নিচ দিয়ে সড়ক টানেল দক্ষিণ এশিয়ায় আর কোথাও নেই।

তিনি বলেন, চট্টগ্রামের উন্নয়নে গত ১৫ বছরে প্রধানমন্ত্রী এক লাখ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছেন। যার ফলে ঢাকার মতো চট্টগ্রামকেও আর আকাশ থেকে চেনা যায় না, ব্যাংকক-সিঙ্গাপুর মনে হয়।

এ সম্পর্কিত আরও খবর