আওয়ামী সিন্ডিকেটের কারণে পণ্যের দাম বাড়ছে: আমীর খসরু

বিএনপি, রাজনীতি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম | 2023-09-01 01:01:06

আওয়ামী সিন্ডিকেটের কারণে পণ্যের দাম বাড়ছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।

তিনি বলেন, আওয়ামী সিন্ডিকেটের কারণে পণ্যের দাম বাড়ছে। এই সিন্ডিকেট ছাড়া কেউ ডলার পাচ্ছে না। এমনিতে তো ডলার সব খেয়ে ফেলছে। ১০ লাখ কোটি টাকার ডলার তারা বিদেশে পাচার করেছে। এখন ডলারের রিজার্ভ শূন্যের দিকে যাচ্ছে। যা আছে তা পাচ্ছে আওয়ামী সিন্ডিকেট। এ সিন্ডিকেট বেশি দামে পণ্য মানুষের ওপর চাপিয়ে দিচ্ছে।

শনিবার (১৮ মার্চ) বিকেলে আওয়ামী লীগ সরকারের সর্বগ্রাসী দুর্নীতির প্রতিবাদে, ঘোষিত ১০ দফা বাস্তবায়নের দাবিতে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহবায়ক ডা. শহাদাত হোসেনের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্করের পরিচালনায় কেন্দ্র ঘোষিত চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির বিক্ষোভ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, অনির্বাচিত, দখলদার ফ্যাসিস্ট সরকারের দুর্নীতির প্রতিবাদে আজকের এই সমাবেশ। অর্থাৎ আপনারা বিএনপির শুধু নেতাকর্মী নন, যুদ্ধক্ষেত্রে সৈনিকরা যে প্রস্তুতি নেয়, সেটি আপনারা শিখেছেন। আপনারা আগামী দিনের আন্দোলনের জন্য সৈনিক হয়ে গেছেন। যুদ্ধক্ষেত্রে হুকুমের সঙ্গে সঙ্গে সৈনিকরা ঝাপিয়ে পড়ে। এটাই প্রমাণ করে শেখ হাসিনার পতন অবশ্যম্ভাবী। শিগগিরই এ সরকারের পতন হবে এবং আমরা বাধ্য করব।

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের ভোট চোর, ব্যাংক চোর, শেয়ার বাজার চোরসহ যত উপাধি আছে বলে শেষ করা যাবে না। এতো চোর, এতো চুরি বিশ্বের কোনো দেশে হয় না। দ্রব্যমূল্য মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে চলে গেছে। আওয়ামী চোর ব্যতীত সাধারণ মানুষের দুই বেলা খাওয়া মুশকিল হয়ে গেছে। স্কুলের বেতন দিতে কষ্ট হচ্ছে, চিকিৎসার খরচ মেটাতে কষ্ট হচ্ছে। আওয়ামী চোর ব্যতীত বাংলাদেশের বাকি মানুষের নাভিশ্বাস উঠেছে।

আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, কেন দ্রব্যমূল্য বাড়ছে? বিদ্যুৎ খাতে আওয়ামী লীগের সবচেয়ে বড় দুর্নীতি। যাদেরকে সরকার বিদ্যুৎ উৎপাদনের অনুমতি দিয়েছে, তারা সবাই আওয়ামী লীগের। এক্ষেত্রে কোনো টেন্ডার হয়নি। প্রধানমন্ত্রী অফিসে যেতে বলেছেন। একটা একটা করে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এরা বিদ্যুতের লাইসেন্স নিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদনের প্রস্তুতি নিয়েছে। কিন্তু উৎপাদন না করেও কুইক চার্জের নামে ৯০ হাজার কোটি টাকা তারা সরকারের কোষাগার থেকে লুটপাট করে নিয়ে গেছে। তাদের বিরুদ্ধে যাতে ভবিষ্যতে কোনো মামলা করতে না পারে, সেটার জন্য আইন করেছে। অর্থাৎ দুর্নীতি করার জন্য আইন করেছে তারা।

এ সম্পর্কিত আরও খবর