‘জনগনকে সত্য ভুলিয়ে দেয়ার অপচেষ্টা করছে সরকার’

বিএনপি, রাজনীতি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা | 2023-08-24 10:18:39

সরকার জনগনকে সত্য ভুলিয়ে দেয়ার অপচেষ্টা করছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান।

রোববার (১৮ ডিসেম্বর) সকালে মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে গুলশানে চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক অনুষ্ঠানে তিনি এই মন্তব্য করেন।

তিনি বলেন, ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ মধ্য রাতে বাংলাদেশে যিনি প্রথম বলেছিলেন, উই রিভোল্ড, আমরা বিদ্রোহ করলাম। সেই মানুষটার নাম মেজর জিয়াউর রহমান। এবং সেখান থেকে তিনি তার ইউনিটে ফিরে যান, তার কামন্ডার একজন পাঞ্জাবি অফিসার তাকে বন্দি করেন, হত্যা করেন। এবং তার কন্ঠেই প্রথম আমরা স্বাধীনতার ঘোষণা শুনেছি রেডিওতে। কেউ এখন আইন করে কিংবা কোনো আদালত রায় দিয়ে যদি আমাকে বলে যে, তুমি নিজের কানে যা শুনেছো সেটা বিশ্বাস করো না। আমি কি করে তা মানব?

নজরুল ইসলাম খান বলেন, রাজনৈতিক নেতৃত্ব যদি ক্ষেত্র প্রস্তুত না করত তাহলে তো যুদ্ধে করে আমরা জনগণের সমর্থন পেয়ে বিজয়ী হতে পারতাম না। সেই সময়ে সারা দুনিয়ার যারাই আমাদের সহযোগিতা করেছে, সমর্থন জানিয়েছে তারা সবাই আমাদের শ্রদ্ধা পাওয়ার যোগ্য। সেই সময়ে আমাদের দেশে যারা প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে আমাদেরকে সহযোগিতা করেছে, এমনকি যারা কিছু করতে পারেন নাই আমাদের জন্য দোয়া করেছেন তাদের কাছেও আমাদের কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করতে হবে। কিন্তু কাউকে কোনো মর্যাদা না দিয়ে, কারো প্রতি কোনো কৃতজ্ঞতাবোধ না জানিয়ে শুধুই যদি আমরা কেউ নিজেরা এই গৌরবকে দখল করতে চাই এটা জনগণের কাছে গ্রহনযোগ্য হবে না, এটা অন্যায়।

শেখ মুজিবুর রহমান ও জিয়াউর রহমানের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেন, আজকে এই মহান স্বাধীনতার সূবর্ণ জয়ন্তীর সময়ে আমি গভীর শ্রদ্ধা জানাই মহান স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের প্রতি, স্বাধীনতার স্থপতি শেখ মুজিবুর রহমান সাহেবের প্রতি, স্বাধীন বাংলাদেশের যে প্রথম সরকার সেই সরকারের যারা নেতৃত্ব দিয়েছেন তাদের প্রতি, মুক্তিযুদ্ধের প্রধান সেনাপতি জেনারেল ওসমানীসহ সব সেক্টার কামান্ডার, ফোর্সেস কমান্ডার, সাব সেক্টার কমান্ডার, যারা সৈনিক ছিলেন, যারা সহযোগী ছিলেন, যারা সাহায্য করেছেন এবং শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানাই।

বিএনপির এই নেতা বলেন, ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের ঘোষক জিয়াউর রহমানের সহধর্মিনী বেগম খালেদা জিয়াসহ তার দুই সন্তান পাকিস্তান হানাদার বাহিনীর কারাগারের মাসের পর মাস কাটাতে হয়েছে। তারা মুক্তিযোদ্ধ। তাদের প্রতিও আমাদের শ্রদ্ধা। কিন্তু কি দুর্ভাগ্য আমাদের, যিনি ৭১ সালে পাকিস্তানি বাহিনীর কারাগারে দুই সন্তানসহ বন্দিজীবন কাটিয়েছেন আজকে আবার এই সরকারের আমলে মিথ্যা অভিযোগ কারারুদ্ধ হয়ে থাকতে হচ্ছে দারুণ অসুস্থ অবস্থায়।

দলের স্বাধীনতা সূবর্ণ জয়ন্তী উদযাপন স্বরচিত কবিতা ও চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা কমিটির আহবায়ক সেলিমা রহমানের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব কবি আবদুল হাই শিকদারের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে বিএনপির স্বনির্ভর বিষযক সম্পাদক শিরিন সুলতানা বক্তব্য রাখেন।

এ সম্পর্কিত আরও খবর