সাংবাদিক রোজিনা ইসলামের নিঃশর্ত মুক্তির দাবি বিএনপির

বিএনপি, রাজনীতি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা | 2023-08-23 11:25:04

সচিবালয়ে প্রথম আলোর সিনিয়র সাংবাদিক রোজিনা ইসলামকে আটক রেখে নির্যাতনের পর পুলিশের কাছে হস্তান্তরপূর্বক তাঁকে গ্রেফতার করার ঘটনায় তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানিয়ে অবিলম্বে নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করেছেন বিএনপি।

মঙ্গলবার (১৮ মে) বিএনপির চলতি দপ্তরের দায়িত্বপ্রাপ্ত দলটির সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্সের স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিবৃতিতে রোজিনার নিঃশর্ত মুক্তির দাবি করেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

বিবৃতিতে বিএনপি মহাসচিব বলেন, এই ন্যাক্কারজনক ঘটনায় প্রমাণ হয়-বাংলাদেশে এখন আর স্বাধীন সাংবাদিকতা এবং তথ্য পাওয়ার কোন সুযোগ অবশিষ্ট নেই। রোজিনা ইসলাম একজন সিনিয়র সাংবাদিক। তাঁর অনেক অনুসন্ধানী ও সাহসী রিপোর্টে সরকারের বিশেষ করে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে অনেক দুর্নীতি, অনিয়মের খবর জনগণ জানতে পেরেছে। সেজন্য সরকার তাঁর ওপর ক্ষুব্ধ ছিল এবং নজরদারি করছিল। গতকাল পেশাগত কারণে তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে গেলে তাঁকে একা পেয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কতিপয় কর্মকর্তা-কর্মচারী অন্যায়ভাবে তাঁকে দীর্ঘ প্রায় ৬ ঘণ্টা আটকে রেখে তাঁর ওপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালায় এবং পরে তাকে গ্রেফতার করা হয়। একজন নারী সাংবাদিকের ওপর সরকারি কর্মকর্তাদের এহেন আচরণ লজ্জাজনক এবং ক্ষমার অযোগ্য অপরাধ।

তিনি বলেন, এটি কোন তুচ্ছ বা বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। কর্তৃত্ববাদী শাসনে সাংবাদিক দলন এবং ভিন্নমত, সত্য প্রকাশ ও সরকারের সীমাহীন দুর্নীতি প্রচারে সরকারের প্রতিবন্ধকতার এটি একটি উদাহরণ মাত্র। সাহসী ও অনুসন্ধানী সাংবাদিকরা যাতে আর সরকারের দুর্নীতি, লুটপাট, অনিয়ম ও স্বেচ্ছাচারিতার সংবাদ প্রকাশ করতে না পারে-এ ঘটনার মাধ্যমে তাদেরকে ভয় দেখানো হলো। সরকার ভয় ও আতঙ্ক ছড়িয়ে তাদের দুর্নীতি ও দুঃশাসনকে আড়াল করতে চায়।

বিবৃতিতে ফখরুল বলেন, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকের ওপর নিষ্ঠুর আচরণের দায় সরকার এড়াতে পারে না। স্বাস্থ্যমন্ত্রী ও সচিব এ ঘটনা জানলেও তারা রোজিনা ইসলামকে উদ্ধারে কোন পদক্ষেপ নেয় নাই। উল্টো তাঁকে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়। তাদের নির্দেশেই রোজিনা ইসলামের ওপর এ নির্যাতন চালানো হয়েছে। এই জন্য স্বাস্থ্যমন্ত্রী ও সচিবের পদত্যাগ দাবি করছি।

বিবৃতিতে বিএনপি মহাসচিব রোজিনা ইসলামের মুক্তি, তাঁর বিরুদ্ধে দায়ের করা মিথ্যা অভিযোগ প্রত্যাহার, তাঁকে আটক রাখাসহ নির্যাতনের সাথে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি, স্বাস্থ্যমন্ত্রী ও সচিবের পদত্যাগ এবং সাংবাদিক দলন-নিপীড়ন বন্ধ করে স্বাধীন সাংবাদিকতা ও সঠিক তথ্য পাবার অধিকারে সরকারি হস্তক্ষেপ বন্ধের জোর দাবি জানান। 

এ সম্পর্কিত আরও খবর