বার্ন ইউনিটে থামছে না সাবিনার আহাজারি

রংপুর, জাতীয়

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রংপুর | 2023-08-31 15:19:26

দেবরের স্ত্রীর দেওয়া মরিচ মেশানো গরম পানিতে ঝলসে গেছে গৃহবধূ সাবিনার মুখ। নয়দিন ধরে হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে থামছে না তার আহাজারি। কিছুক্ষণ পর পর চিৎকার করছেন। তার আহাজারিতে কান্না করছে দশ বছরের শিশু সন্তান রিতুমনি। মা মেয়ের কান্নায় ভারি হয়ে উঠেছে বার্ন ইউনিটের পরিবেশ।

বুধবার (১৯ জুন) বিকেলে রংপুর মেডিকেল কলেজ (রমেক) হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে গিয়ে এমন চিত্র দেখা যায়।

জানা গেছে, দগ্ধ সাবিনা বেগম রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলার লক্ষীটারি ইউনিয়নের পূর্ব মান্দ্রাইন গ্রামের গোলাম রব্বানীর স্ত্রী। গাছ কাটা নিয়ে বিরোধের জের ধরে তার মুখে ও বুকে মরিচ মাখা গরম পানি ঢেলে দেন ছোট দেবরের স্ত্রী আমেনা বেগম ওরফে ময়নাবুড়ি। এ ঘটনার পর মামলা হলেও এখনো ধরা ছোঁয়ার বাইরে অভিযুক্তরা।

এলাকাবাসী জানান, গত ১১ জুন সকালে সাবিনাদের বসত ভিটায় লাগানো গাছ কাটাকে কেন্দ্র করে দেবর তারিক মিয়া ও ময়না বুড়ির সঙ্গে ঝগড়া বিবাদ সৃষ্টি হয়। এ সময় ময়নাবুড়ি ফুটন্ত গরম পানির মধ্যে মরিচের গুঁড়া মিশিয়ে সাবিনার মুখে ও বুকে ছুঁড়ে দেন। এতে সাবিনার মুখ ও বুক ঝলসে যায়। ঘটনার সময় দগ্ধ সাবিনার চিৎকারে এলাকাবাসী ছুটে এসে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেন।

রমেক হাসপাতালের বার্ন ইউনিটের বিভাগীয় প্রধান ডাক্তার মারুফুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘দগ্ধ সাবিনার শরীরের ২৮ ভাগ ঝলসে গেছে। তাকে সুস্থ্য করার আমাদের চেষ্টা অব্যহত আছে। তবে তার মুখের অবস্থা আগের মত ফিরানো যাবে না।’

দগ্ধ সাবিনার ভাই শারীরিক প্রতিবন্ধী সাঈদ মিয়া বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘ঘটনার পর পরই আমরা মামলা করেছি। কিন্তু পুলিশ এখন পর্যন্ত আসামিদের গ্রেফতার করেনি। আমার বোনের দুই মেয়ের মধ্যে রিতুমনি ঘটনার সময় গরম পানিতে আহত হয়। আমি এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তসহ জড়িতদের শাস্তি চাই।’

গঙ্গাচড়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুশান্ত কুমার সরকার বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘আমরা অভিযোগ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আসামিদের গ্রেফতারে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছিলাম। কিন্তু আসামিরা ঘটনার পর থেকে গা ঢাকা দিয়েছে। তাদের গ্রেফতারে চেষ্টা চলছে।’

এ সম্পর্কিত আরও খবর