কিশোরদের উদ্ধারে সময় ও পানি সঙ্গে যুদ্ধ উদ্ধারকারীদের

, আন্তর্জাতিক

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম | 2023-08-26 01:39:37

ভয়াবহ বন্যায় আক্রান্ত থাইল্যান্ডের চিয়াং রাইয়ের গুহায় আটকা বাকি আট কিশোর ও তাদের কোচ উদ্ধার অভিযান পুন:রায় শুরুর অপেক্ষায় রয়েছে। তবে তাদের বের করে আনার ঝুঁকিপূর্ণ এ  অভিযান সোমবার (৯ জুলাই) সকালে ফের  শুরু হওয়ার কথা থাকলেও বৃষ্টি বাঁধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে। ফলে  এ অভিযানকে সময়, পানি ও প্রকৃতির সঙ্গে যুদ্ধ বলে মানছেন উদ্ধারকারী ও স্থানীয় প্রশাসন।

রোববার (৮জুলাই) ৪ কিশোরকে গুহা থেকে উদ্ধার করা হয়।  এরপর অভিযান বন্ধ ছিল বায়োট্যাঙ্ক পুন:স্থাপনের জন্য।  বন্যার পানি বাড়ার আশঙ্কায় উদ্ধারকারীরা আবারও বিপদজ্জনক এ অভিযান চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে বৈরী আবহাওয়ায় উদ্ধারকাজে ব্যাহত হচ্ছে।  আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে এমন খবর প্রকাশিত হয়েছে।


আরও পড়ুন, বের হয়ে আসছেন গুহায় আটকা পড়া কিশোররা  


চিয়াং রাইয়ের গভর্নর নারংসাক ওসোতানাক্রন বলেন, সব বায়োট্যাঙ্ক পুন:স্থাপনের পর উদ্ধার অভিযানের পরের ধাপ শুরু হবে।  আমাদের সামনে দু‘টো বাঁধা, একটা হচ্ছে সময় অপরটি হচ্ছে পানি। দুইয়ের সঙ্গে যুদ্ধ করতে হচ্ছে। প্রথম দিনের থেকেও আমাদের আরও সতর্ক হতে হবে। আমরা সাধ্যতম সব কিছু করব যদিও প্রাকৃতিক শক্তির সঙ্গে যুদ্ধ করাটা কঠিন।

বন্যার পানিতে নিমজ্জিত চিয়াং রাই এলাকার থাম লুয়াং নং নন গুহার শুকনো উঁচু জায়গায় দুই সপ্তাহ ধরে ১২ কিশোর ফুটবলার ও তাদের কোচ  আশ্রয় নিয়েছে।, তাদের উদ্ধারে ৯০ জন অভিজ্ঞ ডুবুরি কাজ করছেন।  দুজন ডুবুরির তত্ত্বাবধানে একেকজন কিশোরকে বের করে আনা হচ্ছে।  রোববার উদ্ধারকারীরা বৃষ্টি থামার সুযোগ নিয়ে অভিযান শুরু করে। গুহায় আটকা ১২ কিশোরের মধ্যে চারজনকে উদ্ধার করেছে। ওই চার কিশোরকে হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।


পড়ুন, গুহায় আটকা পড়া কিশোরদের উদ্ধার অভিযান শুরু


উদ্ধারকারী কর্মীরা জানান, গুহা থেকে কিশোরদের বের করে আনতে  অন্তত ৮ ঘণ্টা করে সময় লাগছে। ডুবুরিরা কিশোরদের অন্ধকার ও নিমজ্জিত পথে দিয়ে গুহার মুখ পযর্ন্ত নিয়ে আসছে।  তারপর তাদের বাকি পথ পায়ে হেঁটে আসতে হচ্ছে।  প্রাকৃতিক অবস্থা ভালো থাকলে আটকে পড়াদের দুই থেকে তিন দিনের মধ্যে বের করা সম্ভব হবে জানায় তারা।

বিপদজ্জনক অভিযান

গুহার ভিতরে চার কিলোমিটার কাঁদা-পানির স্তর। গুহার চারপাশ পানি দিয়ে আটকা। ভিতরে অক্সিজেন সরবরাহও সীমিত। বিশেষ করে যারা সাঁতার জানে না তাদের জন্য প্রথম চার কিলোমিটার ভয়াবহ বিপদজ্জনক। এই জায়গাটাকে বিপদজ্জনক হওয়ার কারণ, চ্যানেলটা এত সংর্কীণ যে একজন মানুষ সাঁতরে বের হতে পারবে।  সেক্ষেত্রে কিশোরকে বের করে আনতে হলে  দড়ি দিয়ে বেঁধে ডুবুরিকে তার অক্সিজেন সিলিন্ডার হাতে নিতে হবে। এরপর পেন্সিল আকারে বের হয়ে আসতে হবে। উদ্ধার হওয়া কিশোরদের বিশেষ উদ্ধারকারীর হাতে দেওয়া হবে, যারা তাদের প্রয়োজনীয় চিকিৎসা প্রদান করবে।

সংশ্লিষ্টরা জানায়, যারা সাহসী এবং সাঁতার জানে তাদের আগে বের করে আনার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। তবে কারা আগে বের হয়ে আসবে এটা ঠিক হবে চিকিৎসকের পরীক্ষার উপর।

উদ্ধারকারী ডুবুরিরা জানায়, অভিযানকে তারা হালকাভাবে নিচ্ছেন না। কারণ, একজন ডুবুরির মৃত্যু তাদের মধ্যে প্রভাব ফেলছে। উদ্ধার অভিযান যে কতটা বিপদজ্জনক তারা সেটা অনুধাবণ করতে পেরেছে। এরপরও ডুবুরিরা জীবিত অবস্থায় কিশোরদের উদ্ধার করার জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা করে যাচ্ছে।

আরও পড়ুন, গুহায় আটকা কিশোরদের ফাইনাল ম্যাচের আমন্ত্রণ ফিফা সভাপতির 

‘চিন্তা করো না, আমরা শক্ত আছি…’

ভালো আছেন থাই ফুটবলাররা, দেওয়া হয়েছে এনার্জি জেল

নয়দিন পর জীবিত খোঁজ মিলল থাই ফুটবলারদের

ঠিক আছে, কাল দেখা হবে

এ সম্পর্কিত আরও খবর