গৃহহীন পরিচয়ে অর্থ সংগ্রহ করে মাদক সেবন

আমেরিকা, আন্তর্জাতিক

আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম | 2023-08-27 07:37:28

একজন গৃহহীনের জন্য অর্থ সংগ্রহ করে তার কল্যাণে ব্যয় করবে এটি তো মহৎ উদ্যোগ। এই মহৎ উদ্যোগগুলো মানুষের চোখে পড়লে অনুপ্রাণিত হয়ে সেখানে অর্থ দান করে। কিন্তু সবসময় কি সেই অর্থ যার জন্য সংগ্রহ করা হচ্ছে তার পকেটে যায়? নাকি সংগ্রহকারীরা এই অর্থ দিয়ে নিজেদের পকেট ভারি করে?

তবে কিছু সময় সংগৃহীত অর্থ দুঃস্থের কাছে পৌঁছালেও অনেক সময় এই অর্থ উত্তোলনকারীদের পকেটেও যায়। আবার অনেকে ‘ভুয়া’ দুঃস্থ মানুষ সেজেও অর্থ সংগ্রহ করে।

এমন এক ঘটনা ঘটেছে যুক্তরাষ্ট্রে। ২০১৭ সালের দিকে জনি ববিট নামে এক গৃহহীন মার্কিন নাগরিকের জন্য সর্বসাধারণের কাছে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয় কেইট ম্যাকলুর, মার্ক ও ডি-অ্যামিকো।

২০১৭ সালের নভেম্বরের পর থেকে অর্থ সংগ্রহ করে প্রায় চার লাখ মার্কিন ডলার সংগ্রহ করে তারা। অর্থ সংগ্রহের এই ক্যাম্পেইনে বেশ উৎসাহের সাথে মানুষ দান করে। দানের পেছনে মূল কারণ জনি ববিট একজন সাবেক মার্কিন মেরিন সদস্য।

কিন্তু এই গৃহহীন মানুষটির জন্য বাংলাদেশি টাকায় প্রায় তিন কোটিরও বেশি টাকা সংগৃহীত হলেও নিজের পাওনাটা পায়নি ববিট। এই বিষয়ে সাবেক মেরিন সদস্য আদালতের দ্বারস্থ হন।

এই বিষয়ে বৃহস্পতিবার (১৫ নভেম্বর) এক সংবাদ সম্মেলনে প্রসিকিউটর স্কট কফিনা বলেন, ‘অর্থ সংগ্রহের পুরো ক্যাম্পেইনটা মিথ্যা উপর ভিত্তি করে গড়ে তোলা’।

২০১৭ সালের দিকে অর্থ সংগ্রহ শুরু করলেও এটা সম্পূর্ণ মিথ্যার উপর ভিত্তি করে এই টাকা সংগ্রহ করা হয়। মূলত মাদক সেবনের জন্য ববিটকে ব্যবহার করে এই অর্থ উত্তোলন করা হয়। তিনজনের এই চক্রটিতে সবাই মারাত্মকভাবে মাদকাসক্ত।

মূলত মাদকের টাকা সংগ্রহের জন্য তিনজন মিলে টাকা সংগ্রহ করে। পরবর্তীতে সেগুলো নিজেদের মধ্যে ভাগ ভাটোয়ারা করে নিজেদের নেশা চালিয়ে যেতে থাকে বলে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম বিবিসি’র এক প্রতিবেদনে জানানো হয়। কিন্তু ববিট ভাগের টাকা যথার্থভাবে না পাওয়াতে থলের বিড়াল আস্তে আস্তে বের হওয়া শুরু করে।

তবে আদালতে বিচারের প্রার্থনা করলেও ববিট এখন কারাগারে বন্দী রয়েছেন। শেষ পর্যন্ত বিচার প্রক্রিয়া শেষে দোষী সাব্যস্ত হলে তিনজনকেই ১০ বছরের কারা ভোগ করতে হবে।

এ সম্পর্কিত আরও খবর