মাসিক স্বাস্থ্য সম্পর্কে জানা মৌলিক অধিকারের অংশ

বিবিধ, স্বাস্থ্য-বার্তা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা | 2023-08-31 02:33:35

বাংলাদেশে মাসিক শব্দটি এখনও একটা ট্যাবু। সমাজে বিষয়টি নিয়ে খোলামেলা আলোচনা নেই। বরং নারী স্বাস্থ্যের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও স্বাভাবিক এ বিষটিকে রাখা হয়েছে অনেকটা গোপনে।

এতে যেমন নারীরা তাদের সঠিক মাসিক স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে, ঠিক তেমনি ভয়, সংকোচ, অস্বস্তি নারীরদেরকে আরও সংকুচিত করে তুলেছে। অথচ মাসিক স্বাস্থ্য বিষয়ে শিক্ষা নেওয়াটা মৌলিক অধিকার। তাই মাসিক স্বাস্থ্য নিয়ে নীরাবতা ভেঙে কথা বলার সময় এসেছে।

মঙ্গলবার (২৮ মে) সকালে রাজধানীর জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতর মিলনায়তনে এক আলোচনা সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন। 'মেন্সট্রুয়াল হাইজিন ডে' উপলক্ষে যৌথভাবে অনুষ্ঠানটি আয়োজন করে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতর ও ইউনিসেফ।

শুরুতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ডিপিএইচই প্রধান প্রকৌশলী সাইফুর রহমান। এরপর মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতরের নির্বাহী প্রকৌশলী শর্মিষ্ঠা দেবনাথ। প্রবন্ধে তিনি বাংলাদেশে নারীদের মাসিক স্বাস্থ্য সংক্রান্ত চিত্রটি তুলে ধরেন।

প্রবন্ধের ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব জি এম গোলাম ফারুক বলেন, নাগরিক সুবিধার পাশাপাশি ব্যক্তিগত স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে সরকার আন্তরিক। বিশেষ করে নারীদের স্বাস্থ্যগত বিষয়গুলো। আমরা সেভাবেই কাজ করে যাচ্ছি। কেননা আমাদের সমাজের অর্ধেকই নারী।

স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য বলেছেন, স্বাস্থ্য মানুষের মৌলিক অধিকার। যে কোনো মৌলিক অধিকারের ব্যাপারে শিক্ষা লাভের অধিকার প্রতিটি নাগরিকের আছে। মাসিক স্বাস্থ্য বিষয়ে শিক্ষা লাভের অধিকারও মৌলিক অধিকার।

তিনি বলেন, আমাদের সমাজে এখনও মাসিক শব্দটি উচ্চারণ করা বা এনিয়ে আলোচনা করার অবস্থা নেই, অনেক কুসংস্কার বিদ্যমান। আমরা আস্তে আস্তে বিভিন্ন কার্যক্রম চালিয়ে কুসংস্কার দূর করে এগিয়ে যাচ্ছি।

এরপর বাংলাদেশ জাতীয় নারী ফুটবল দলের একজন প্রতিনিধি এবং দু’জন কিশোর-কিশোরী মাসিক স্বাস্থ্য নিয়ে নিজেদের অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরেন।

তারা বলেন, মাসিক স্বাস্থ্য কোনো হাসাহাসির বিষয় নয়। বরং এই সময় একজন নারীর পারিবারিক সহায়তাটুকু সবচেয়ে জরুরি।

অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন ইউনিসেফ বাংলাদেশের প্রতিনিধি তোমো হজুমি, এসিআই’র বিজনেস ডিরেক্টর (হাইজিন ও টয়লেট্রিজ) কামরুল হাসান, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের পরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) ড. মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর হোসেন এবং স্বাস্থ্য অধিদফতরের সিনিয়র মহা পরিচালক নাসিমা সুলতানা।

এ সম্পর্কিত আরও খবর